PIB Headquarters

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত পিআইবি’র প্রাত্যহিক সংবাদ

Posted On: 13 JAN 2021 5:30PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ১৩ জানুয়ারি, ২০২১

    ভারতে করোনায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ক্রমশই কমছে ; ১৯৭ দিন পর দেশে এখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ ১৪ হাজার, গত ২৪ ঘন্টায় ১৫ হাজার ৯৬৮ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন।

    ভারতে এখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২ লক্ষ ১৪ হাজার ৫০৭ জন। এখন দেশে প্রকৃত সক্রিয় রোগীর হার ২.০৪ শতাংশ। ১৯৭ দিন পর সক্রিয় রোগীর হার সর্বনিম্নে নেমে এসেছে। গত ২৪ ঘন্টায় ১৫ হাজার ৯৬৮ জন করোনায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। অন্যদিকে এই সময়কালে আরোগ্য লাভ করেছেন ১৭ হাজার ৮১৭ জন। প্রতিদিনই নতুন করে সংক্রমিত রোগীর থেকে আরোগ্যের সংখ্যা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে যার প্রভাব পরেছে সক্রিয় রোগীর হারে। এর জেরে সক্রিয় রোগীর হার ক্রমশই নিচে নেমে আসছে। এ পর্যন্ত দেশে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ কোটি ১ লক্ষ ২৯ হাজার ১১১ জন। দেশে আরোগ্যের হার বেড়ে হয়েছে ৯৫.৫১ শতাংশ। ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে আরোগ্যের হার দাঁড়িয়েছে ৮১.৮৩ শতাংশ। একদিনেই কেরালায় সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ২৭০ জন। মহারাষ্ট্রে ৩ হাজার ২৮২ এবং ছত্তিশগড়ে ১ হাজার ২০৭ জন একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। অন্যদিকে ৭টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নতুন করে করোনা আক্রান্তের হার দাঁড়িয়েছে ৭৪.৮২ শতাংশ। কেরালায় গত ২৪ ঘন্টায় ৫ হাজার ৫০৭, মহারাষ্ট্রে ২ হাজার ৯৩৬ এবং কর্ণাটকে ৭৫১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘন্টায় ৭টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে আরও ২০২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে মহারাষ্ট্রে ৫০, কেরালায় ২৫ এবং পশ্চিমবঙ্গে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ব্রিটেনে প্রথম পাওয়া নোভেল করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেনের জেরে এ পর্যন্ত দেশে ১০২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। কোভিড-১৯ টিকাদান প্রক্রিয়া আগামী ১৬ই জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্মী, প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের মতো প্রায় ৩ কোটি ব্যক্তিকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই টিকা দেওয়া হবে। এরপ ৫০ উর্দ্ধ এবং তারপর ৫০এর নিচে অন্যান্য রোগের উপসর্গ রয়েছে এমন ২৭ কোটি ব্যক্তিকে করোনার টিকা দেওয়া হবে।

বিস্তারিত জানার জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে https://pib.gov.in/PressReleseDetail.aspx?PRID=1688157

কোভিড ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হচ্ছে

সারা দেশজুড়ে কোভিড ভ্যাকসিনের প্রয়োগ শুরু হচ্ছে। এজন্য কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলির সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে আজ বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভ্যাকসিন সংক্রান্ত কোউইন- সফটওয়্যার  সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়।

আজকের এই বৈঠকে পৌরোহিত্য করেন কোভিড মোকাবিলার জন্য গঠিত এম্পাওয়ার্ড গ্রুপ অফ টেকনোলজি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট- এর চেয়ারম্যান শ্রী রাম সেবক শর্মা। বৈঠকে বিভিন্ন রাজ্যের প্রধান সচিব, ন্যাশনাল হেলথ মিশন এর অধিকর্তারা ছাড়াও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আধিকারিকরা। ভ্যাকসিন মহড়ার বিষয়টি নিয়েও বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

শ্রী আর এস শর্মা তাঁর বক্তব্যে কোউইন সফটওয়্যার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের আধার কার্ডের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের প্রতি তিনি গুরুত্বারোপ করেন। সংশ্লিষ্ট সফট্ওয়ারে কিভাবে ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের তথ্য নথিভুক্ত করতে হবে তা নিয়েও এদিন বিস্তারিত আলোচনা হয়।

বিস্তারিত জানার জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1687421

 

কোভিড টিকা প্রয়োগ শুরু, ডাঃ হর্ষ বর্ধন ৮ই জানুয়ারি টিকাদান প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি এবং সেক্ষেত্রে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকারের নেতৃত্বদানের বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ হর্ষ বর্ধন বৃহস্পতিবার বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব, প্রধান সচিব এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রীদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন। ৮ই জানুয়ারি কোভিড টিকার দেশব্যাপি মহড়া প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি বিষয় নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সুষ্ঠুভাবে এই প্রক্রিয়া যাতে সম্পন্ন হয় এবং সেক্ষেত্রে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকার যাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তারজন্য সকলের কাছে আর্জি জানান তিনি। দ্বিতীয় দফায় কোভিড-১৯ টিকার মহড়া চালানো হয় ৩৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৭৩৬টি জেলায়। এই মহড়ায় জেলা, রাজ্য, ব্লক এবং হাসপাতাল স্তরের আধিকারিকদেরও যুক্ত করা হয়। 

বিস্তারিত জানার জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1686812

 

    সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৮ই জানুয়ারি কোভিড-১৯ টিকাদানের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণের বিষয় নিয়ে মহড়া চালানো হয়

    কেন্দ্রীয় সরকার দেশজুড়ে কোভিড-১৯ টিকাদানের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। এরই অঙ্গ হিসেবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক কোভিড-১৯ টিকা প্রয়োগ প্রস্তুতির পর্ববর্তী কর্মকান্ডগুলি খতিয়ে দেখছে। এরজন্য বিগত কয়েক মাস ধরে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকার ও বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে কাজ করে চলেছে। ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া সম্প্রতি জরুরি ভিত্তিতে ২টি কোভিড টিকা দানের অনুমতি দিয়েছে। সেই কারণে দেশ ব্যাপি সেই টিকা দানের বিষয় নিয়ে পরিকল্পনা শুরু হয়ে গেছে। গত ৫ এবং ৭ই জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা ব্যাতিত সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৬৭টিরও বেশি জেলায় এই মহড়া চলে। ৮ই জানুয়ারি সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে টিকা পৌঁছানো এবং তা ব্যবস্থাপনার বিষয় নিয়ে মহড়ার আয়োজন করা হয়। 

বিস্তারিত জানার জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1686615

 

কোভিড – ১৯ এর টিকাকরণের জন্য মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পৌরহিত্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী, ১১ই জানুয়ারী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির প্রশাসকদের সঙ্গে কোভিড – ১৯ টিকাকরণের প্রস্তুতি সংক্রান্ত পর্যালোচনা বৈঠকে পৌরহিত্য করেছেন। 

    প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ১৬ই জানুয়ারী থেকে বিশ্বের বৃহত্তম টিকাকরণ অভিযান শুরু হবার মধ্য দিয়ে দেশ, এই লড়াইয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ে পৌঁছাবে। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, জরুরী পরিস্থিতিতে যে দুটি টিকা ব্যবহারের অনুমতি পাওয়া গেছে, সেগুলি ভারতে তৈরি হওয়ায়টি গর্বের বিষয়। পৃথিবীর অন্যান্য টিকার সঙ্গে তুলনা করলে, এই দুটি টিকার আর্থিক মূল্য যথেষ্ট কম।  বিদেশী টিকার উপর নির্ভর করলে,  ভারতকে যথেষ্ট সমস্যার সম্মুখীন হতে হতো। প্রধানমন্ত্রী, এই প্রসঙ্গে  টিকাকরণের বিষয়ে ভারতের বিপুল অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, এর ফলে টিকাকরণের এই উদ্যোগটিতে যথেষ্ট সুবিধা হবে। রাজ্যগুলির সঙ্গে পরামর্শের পর বিশেষজ্ঞ ও বৈজ্ঞানিকদের সঙ্গে আলাপ – আলোচনায় কাদের প্রথম টিকা দেওয়া হবে, সেবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথমে সরকারী এবং বেসরকারী স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা দেওয়া হবে। তাঁদের সঙ্গে সাফাই কর্মচারী, অন্যান্য সামনের সারিতে থাকা কর্মীরা, পুলিশ, আধা সামরিক বাহিনী, হোমগার্ড, বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা স্বেচ্ছাসেবক সহ অসামরিক প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের জওয়ানরা এবং নজরদারীর সঙ্গে জড়িত রাজস্ব আধিকারিকরাও এই টিকা পাবেন। এধরণের মানুষের সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি। প্রথম পর্যায়ে যে ৩ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে, তার জন্য কোনো অর্থ রাজ্য সরকারগুলিকে বহন করতে হবে না। কেন্দ্রই এই খরচ বহন করবে বলে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন। দ্বিতীয় পর্বে যাদের বয়স ৫০ এর উপর এবং ৫০ এর কম যাঁরা নানা জটিল অসুখে ভুগছেন অথবা সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে, তাদের টিকা দেওয়া হবে। সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে টিকাকরণের প্রস্তুতি, পরিকাঠামো ও লজিস্টিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশজুড়ে টিকাকরণের মহড়ার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আমাদের সর্বজনীন টিকাকরণের  পূর্বের অভিজ্ঞতা সহ কোভিডের জন্য সাধারণ পরিচালন পদ্ধতি এবং নতুন নতুন প্রস্তুতির বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশজুড়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা এবং সর্বজনীন টিকাকরণের অভিজ্ঞতা এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। নির্বাচনে বুথ পর্যায়ে কৌশলকে একাজে ব্যবহার করা যেতে পারে মুখ্যমন্ত্রীরা টিকার প্রস্তুতির বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা টিকা সংক্রান্ত কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং বেশ কিছু বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন,  যেগুলির বিষয়ে বৈঠকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। 

বিস্তারিত জানার জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে https://pib.gov.in/PressReleseDetail.aspx?PRID=1687680

 

    কোভিড-১৯ পরিস্থিতি এবং টিকাদান প্রক্রিয়ার বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সমাপ্তি ভাষণের পূর্ণাঙ্গ বয়ান

বিস্তারিত জানার জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে https://pib.gov.in/PressReleseDetail.aspx?PRID=1687708 

 

প্রধানমন্ত্রী কোভিড-১৯ এর সর্বশেষ পরিস্থিতি এবং টিকাকরণের প্রস্তুতির পর্যালোচনা করেছেন

    প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে শনিবার কোভিড-১৯ এর সর্বশেষ পরিস্থিতি এবং রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে কোভিড টিকাকরণের প্রস্তুতি নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে ক্যাবিনেট সচিব, প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিব, স্বাস্থ্য সচিব সহ অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকরা যোগ দেন। কোভিড-১৯ এর ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী একটি বিস্তারিত ও সর্বাঙ্গীন পর্যালোচনা করেন। কোভিশিল্ড ও কো-ভ্যাকসিন – এই দুটি টিকা নিরাপদ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর প্রমাণ দেওয়ার পর জাতীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা আপৎকালীন ভিত্তিতে এই টিকা দুটি ব্যবহারে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সঙ্গে টিকাকরণের প্রস্তুতি নিয়ে কেন্দ্র কতটা তৎপর বৈঠকে সেটি প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। জনসাধারণের অংশগ্রহণ অর্থাৎ জনভাগিদারী, নির্বাচনের সময় বুথ সামলানোর কৌশলের মতো অভিজ্ঞতা, সর্বজনীন টিকাকরণ কর্মসূচী, বর্তমান স্বাস্থ্য পরিষেবা অক্ষুণ্ণ রাখা, বৈজ্ঞানিক ও প্রথাগত বিভিন্ন নিয়মের সঙ্গে আপোষ না করা, সব রকমের সাধারণ পরিচালন পদ্ধতি মেনে এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে যথাযথভাবে টিকাকরণের বিষয়টি পুরো প্রক্রিয়ায় গুরুত্ব পাবে। কোভিড-১৯ টিকা প্রথমে স্বাস্থ্য কর্মী ও সামনের সারিতে থাকা কর্মীদের দেওয়া হবে। এঁদের সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি। পরবর্তী পর্যায়ে প্রায় ২৭ কোটি নাগরিক যাঁদের বয়স ৫০ এর বেশি এবং ৫০-এর কম যেসমস্ত ব্যক্তি বিভিন্ন জটিল অসুখে ভুগছেন তাঁদের দেওয়া হবে।

বিস্তারিত জানার জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1687305

 

ভারত ও জার্মানীর নেতৃবৃন্দের মধ্যে ভিডিও টেলি-কনফারেন্স

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বুধবার জার্মান চ্যান্সেলার ডঃ আঙ্গেলা মেয়ারকেলের সঙ্গে ভিডিও টেলি-কনফারেন্সে যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রী, ইউরোপে এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে স্থিতিশীল ও যোগ্য নেতৃত্বের জন্য চ্যান্সেলার মেয়ারকেলের দীর্ঘস্থায়ী ভূমিকার প্রশংসা করেন। ভারত-জার্মান কৌশলগত অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি জার্মান চ্যান্সেলারের পথপ্রদর্শকের ভূমিকার জন্যও ধন্যবাদ জানান।  কোভিড-১৯ মহামারী, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, আঞ্চলিক বিষয় এবং ভারত ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সম্পর্ক সহ পারষ্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে উভয় নেতা আলোচনা করেন। ফ্রাউ মেয়ারকেলকে প্রধানমন্ত্রী ভারতে কোভিড-১৯ টিকার উদ্ভাবনের বিষয়ে জানান। ভারতের সাধ্য অনুযায়ী বিশ্বকে উপকারের ক্ষেত্রে অঙ্গীকারের কথা তিনি বৈঠকে জানান। জার্মানী সহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলিতে সংক্রমণের নতুন ঢেউকে দ্রুত প্রতিহত করায় শ্রী মোদী শুভেচ্ছা জানান। প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক সৌরজোটে জার্মানীর যোগদানের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। তিনি দূর্যোগ মোকাবিলার জোট কোয়ালিশন ফর ডিজাস্টার রেজিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচারে (সিডিআরআই) জার্মানীর সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।    

বিস্তারিত জানার জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1686612

 

শিক্ষামন্ত্রক অভিবাসী শিশুদের পরিচিতি, ভর্তি এবং ধারাবাহিক শিক্ষার জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে

    বর্তমান কোভিড জনিত পরিস্থিতিতে শিক্ষা কেন্দ্র খোলার বিষয়ে রূপরেখা তৈরি করতে শিক্ষা মন্ত্রক উদ্যোগ নিয়েছে। মন্ত্রকের  পক্ষ থেকে অভিবাসী শিশুদের পরিচিতি, ভর্তি এবং ধারাবাহিকভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। বিদ্যালয়ের বাইরে থাকা শিক্ষার্থী ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের জন্য ধারাবাহিকভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলির মাধ্যমে বিদ্যালয়ের ৬ থেকে ১৮ বছর বয়সী পড়ুয়াদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা চালানো, শিক্ষাবর্ষের প্রারম্ভে 'প্রবেশ উৎসব' বা 'স্কুল চলো অভিজান' প্রভৃতি গ্রহণের পরামর্শ, এর পাশাপাশি মাস্ক পরা, ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার জন্য সচেতনতা গড়ে তোলা। একইসঙ্গে বিদ্যালয় বন্ধ থাকাকালিন শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা। প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরামর্শ দেওয়া ও সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এ বিষয়ে মনোদর্শন ওয়েব পোর্টাল ও টেলি কাউন্সেলিং এরও সুযোগ নেওয়া যেতে পারে। এর পাশাপাশি পড়াশোনার সামগ্রীও দেওয়া যেতে পারে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বিস্তার বাড়াতে প্রয়োজনে বেতার ও টেলিভিশনের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। সেইসঙ্গে বৃত্তি সময়মতো দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিদ্যালয় পুনরায় খোলার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা, কোনো শিক্ষার্থী যাতে বর্তমান পরিস্থিতিতে স্কুলছুট না হয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখা, বিদ্যালয় চালুর পর ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে পুনরায় প্রস্তুতি নিতে পারে সে বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধি, এ বিষয়ে নিষ্ঠা- অনলাইন ট্রেনিং মডিউলসটি কার্যকর ভুমিকা নিয়েছে। দীক্ষা- পোর্টালেরও খুব শীঘ্রই সূচনা হবে। এন সি ই আর টি-এর পক্ষ থেকে একটি বিকল্প শিক্ষা কার্যক্রম প্রস্তুত করা হয়েছে।

বিস্তারিত জানার জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে https://pib.gov.in/PressReleseDetail.aspx?PRID=1687442

 

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং বলেছেন, করোনা ভারতকে তার মূল সংস্কৃতিতে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে

কেন্দ্রীয় উত্তর পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর দফতর , কর্মীবর্গ, গণ অভিযোগ, পেনশন, আণবিক শক্তি ও মহাকাশ দফতরের প্রতিমন্ত্রী  ডঃ জিতেন্দ্র সিং বলেছেন,  করোনার জেরে দেশে  মূল ভারতীয় সংস্কৃতি ফিরে এসেছে  এবং  হাত ধোয়া ও নমস্কারের  মতো অভ্যাস গুলি আরও বেশি প্রচলিত হয়েছে।  তিনি বলেন, কোভিড সকলকে  জাতীয় অগ্রাধিকার হিসাবে স্বাস্থ্যসেবার গুরুত্ব সম্পর্কে সজাগ করে তুলেছে এবং বিশ্বকে সামাজিক দূরত্বের স্বাস্থ্যবিধি, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, যোগব্যায়াম, আয়ুর্বেদ এবং ঐতিহ্যবাহী ওষুধ ইত্যাদির গুণাবলী সম্পর্কেও সচেতন করেছে তুলেছে। এখন অনেকেই  যোগ, আয়ুর্বেদ বিষয়ে আগের চেয়ে  বেশি বিশ্বাস করতে পেরেছে  এবং এর প্রতি নতুনভাবে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী  সর্বদা এর পক্ষে  জোরালো সওয়াল করে এসেছেন । ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইআইপিএ)এর উদ্যোগে আয়োজিত "সুস্থতার জন্য অভ্যন্তরীণ ইঞ্জিনিয়ারিং-প্রযুক্তি" শীর্ষক এক আলোচনা সভায় সদগুরুর সঙ্গে  আলাপচারিতায় এ কথা জানান তিনি। শ্রী  সিং বলেন  লক্ষণীয় বিষয় যে লকডাউন  সময়কালে, অনেকেই যোগাভ্যাস শুরু করেছিলেন শুধুমাত্র নিজেদের পুষ্টি বৃদ্ধি জন্যই নয়, তাদের একাকীত্ব ও উদ্বেগ প্রশমনের জন্যও। তিনি বলেন, যারা লকডাউন সময়কালে যোগ চর্চাকে অভ্যাসে পরিণত করেছেন তারা কোভিড পরবর্তী সময়ে আরো ভালো সুস্থ জীবন যাপনের জন্য এই চর্চা যাচ্ছেন।এটি তাদের কাছে  আশীর্বাদ স্বরূপ।  ডঃ জিতেন্দ্র সিং বলেন সুশাসনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য  হ'ল সাধারণ নাগরিকের জীবনযাত্রাকে স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তোলা। 

বিস্তারিত জানার জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে  https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1687294

 

    সিবিআইসি অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র, মাঝারি শিল্পোদ্যোগ সংস্থাগুলির জন্য জনকল্যাণমুখী উদারীকৃত অর্থনৈতিক পরিচালন প্যাকেজের সূচনা করেছে

    কোভিড-১৯ মহামারীর জেরে বর্তমানে কঠিন সময়ে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তুলতে অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র, মাঝারি শিল্পোদ্যোগ সংস্থাগুলির উল্লেখযোগ্য অবদানের কথা স্বীকার করে কেন্দ্রীয় অপ্রত্যক্ষ কর ও শুল্ক পর্ষদ (সিবিআইসি)তাদের জন্য ‘উদারীকৃত অর্থনৈতিক পরিচালন প্যাকেজ’এর সূচনা করেছে।

বিস্তারিত জানার জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে  https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1686826

 

    কেরালা এবং হরিয়ানায় এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমিত জেলাগুলিতে একাধিক কেন্দ্রীয় দল পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক কেরালার কোট্টায়াম এবং আলাপুজ্জা এবং হরিয়ানার পঞ্চগুলায়  এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমিত জেলায় বহুস্তরীয় কেন্দ্রীয় দল পাঠিয়েছে। পশুপালন দপ্তর গত চৌঠা জানুয়ারি এই দুই রাজ্যের জেলাগুলি থেকে মৃত হাঁসের নমুনায় এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার সন্ধান পেয়েছে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ভাইরোলজি, চন্ডীগড়ের পিজিআইএমআর, নতুন দিল্লীর ডঃ রামমোহন লোহিয়া হাসপাতাল এবং লেডি হার্ডিঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে দুটি দল গঠন করা হয়েছে। এই দলদুটিকে কেরালা এবং হরিয়ানায় এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পাঠানো হয়েছে। 

বিস্তারিত জানার জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে  https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1686569

 

    পিআইবি-র আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য

    অরুণাচলপ্রদেশ : মঙ্গলবার এখানে ৫ জন নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। বর্তমানে এই রাজ্যে প্রকৃত সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৬১।

    আসাম : বর্তমানে এই রাজ্যে কোভিড-১৯এর সংখ্যা বেড়ে ২ লক্ষ ১৬ হাজার ৬৯০এ পৌঁছেছে। আরও ৫৫ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২ লক্ষ ১২ হাজার ৬৩২ জন রোগী। মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৬৪ জনের।

    নাগাল্যান্ড : মঙ্গলবার আরও ১০ কোভিড-১৯এ আক্রান্ত হয়েছেন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১ হাজার ৯৫৭। কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ হাজার ৯৯৬এ পৌঁছেছে। মঙ্গলবার আরও ৭ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৫৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ১২৯ জনের। 

    কেরালা : টিকাকরণের প্রথম পর্যায়ে কোভিড টিকা নিয়ে প্রথম বিমানটি কেরালায় পৌঁছেছে। উল্লেখ্য, দেশের মধ্যে এই কেরালা রাজ্যে প্রথম নোভেল করোনা ভাইরাস রোগের সন্ধান মিলেছিল। কেরালা ৪ লক্ষ ৩৩ হাজার ৫০০ কোভিড শিল্ড টিকার ডোজ পেয়েছে। এই টিকা তৈরি করেছে পুনের সিরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া। এ পর্যন্ত ৩ লক্ষ ৬২ হাজার ৮৭০ জন টিকাকরণের জন্য নাম নথিভুক্ত করেছেন। রাজ্যে ১৩৩টি টিকাকরণ কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। এই কেন্দ্রগুলি থেকে প্রত্যেক দিন ১০০টি করে ডোজ দেওয়া হবে।

    তামিলনাড়ু : মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮ লক্ষ ২৭ হাজার ৬১৪। মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ২৩৬ জনের। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৮০৭ জন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৮ লক্ষ ৮ হাজার ৫৭১ জন।

    কর্ণাটক : মোট সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ লক্ষ ২৮ হাজার ৮০৬। মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ১৪৯ জনের। এ রাজ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৮ হাজার ৯০৯। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৯ লক্ষ ৭ হাজার ৭২৯ জন।

    অন্ধ্রপ্রদেশে : মঙ্গলবার অন্ধ্রপ্রদেশে প্রথম দফার করোনা টিকা পৌঁছেছে। এরাজ্যে প্রায় ৪ লক্ষ ৭৭ হাজার করোনার ডোজ দেওয়া হয়েছে। শনিবার থেকেই সেরাজ্যে দেশে বৃহত্তম করোনা টিকাকরণ অভিযান শুরু হচ্ছে। রাজ্য সরকারের পক্ষে থেকে এই টিকা সংরক্ষণ করে রাখার জন্য হিমঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রথম দফায় এরাজ্যে ৩ লক্ষ ৮ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী সহ প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের টিকা দেওয়া হবে। মঙ্গলবার পর্যন্ত এরাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮ লক্ষ ৮৫ হাজার ২৩৪। তবে এরমধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৮ লক্ষ ৭৫ হাজার ৬৯০। মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজার ১৩৩ জনের। 

    তেলেঙ্গানা : ১৬ই জানুয়ারি থেকে দেশব্যাপি শুরু হওয়া করোনা টিকাদান অভিযানের সমস্ত রকম প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে তেলেঙ্গানা। মুখ্যমন্ত্রী শ্রী কে চন্দ্রশেখর রাও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেন। এ রাজ্যের জন্য ৩ লক্ষ ৩৪ হাজার কোভিড শিল্ড টিকার ডোজ পাঠিয়েছে পুনের সিরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া। রাজ্যে ৮৬৬টি কোল্ড চেন ইউনিট গড়ে তোলা হয়েছে। ১৩৯টি নির্ধারিত কেন্দ্র থেকে টিকাদান করা হবে। রাজ্য বর্তমানে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ ৯০ হাজার ৬৪০। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৫৭১ জনের। সুস্থ হয়েছেন ২ লক্ষ ৮৪ হাজার ৬১১ জন। 

    মহারাষ্ট্র : ৯ লক্ষ ৬৩ হাজার কোভিড শিল্ড টিকার ডোজ রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। প্রথম দফায় ১ লক্ষ ৩৯ হাজার ৫০০ জন এই ডোজ গ্রহণ করবেন। করোনার টিকা সংরক্ষণ করে রাখার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ১৬ তারিখ থেকে এ রাজ্যে টিকাদান প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মুম্বাইয়ে ৭২, পুনেতে ৫৫, থানেতে ৪২, নাসিকে ২৩ এবং আহমেদ নগরে ২১টি টিকাদান কেন্দ্র খোলা হয়েছে। কো-উইন অ্যাপে ৭ লক্ষ ৮৪ হাজারেরও বেশি স্বাস্থ্যকর্মী নাম নথিভুক্ত করেছেন। রাজ্যে এ পর্যন্ত সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ১৯ লক্ষ ৭৪ হাজার ৪৮৮ জন। করোনা থেকে আরোগ্য লাভ করেছেন ১৮ লক্ষ ৭১ হাজার ২৭০ জন। 

    গুজরাট : ২ লক্ষ ৭৬ হাজার কোভিড শিল্ড টিকার ডোজ গুজরাটে পৌঁছেছে। রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী শ্রী নীতিন প্যাটেল সহ স্বাস্থ্য দপ্তরের শীর্ষ আধিকারিকরা প্রথম দফার এই টিকা আমেদাবাদ বিমান বন্দরে গ্রহণ করেন। গান্ধীনগরে এই টিকা সংগ্রহের জন্য আঞ্চলিক স্টোরেজ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। এছাড়া আমেদাবাদ, ভাদোদরা, রাজকোট, সুরাট এবং ভাবনগরে আঞ্চলিক টিকা সংরক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। গুজরাটে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ ৫৩ হাজার ১৬১। সুস্থ হয়েছেন ২ লক্ষ ৪১ হাজার ৩৭২ জন। 

    মধ্যপ্রদেশ : সারা দেশের সঙ্গে এ রাজ্যেও ১৬ই জানুয়ারি থেকে টিকাদান প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। ৫ লক্ষ ৬ হাজার করোনার টিকা সেরাজ্যে পৌঁছেছে। প্রথম দফায় ৪ লক্ষ ১৬ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী সহ ৮৫ হাজার বেসরকারী হাসপাতালে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীকে এই টিকা দেওয়া হবে।

    ছত্তিশগড় : মঙ্গলবার ৭২৯ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২ লক্ষ ৯০ হাজার ৮১৩। আরোগ্য লাভ করেছে ২ লক্ষ ৭৯ হাজার ২৩৬ জন। মঙ্গলবার আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে এখানে। 

রাজস্থান : প্রথম দফায় ২০ হাজার কোভিড-১৯এর ডোজ রাজ্যে এসে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার এরাজ্যে আরও ৪২৯ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। ৫৬৮ জন সুস্থ হয়েছেন গত ২৪ ঘন্টায়। 

গোয়া : আজ সকালে প্রথম দফার কোভিড-১৯ টিকা এ রাজ্যে এসে পৌঁছেছে। মোট ২৩ হাজার ৫০০টি করোনার টিকা গোয়ায় পাঠানো হয়েছে। এরাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫১ হাজার ৯৮৩। রাজ্যে আরোগ্যের হার ৯৭.০৩ শতাংশ। 

***

 

 

CG/SS /NS


(Release ID: 1688399) Visitor Counter : 4067