স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক

কোভিড-১৯ সংক্রমণ আটকাতে বাজার এলাকায় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাধারণ পরিচালন পদ্ধতি জারি

Posted On: 02 DEC 2020 2:03PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ২ ডিসেম্বর, ২০২০

 

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক দেশে কোভিড-১৯ প্রতিহত করার জন্য সতকর্তামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সাধারণ পরিচালন পদ্ধতি (এসওপি) জারি করেছে।  

১) প্রেক্ষাপট 

স্বাস্থ্য মন্ত্রক কোভিড-১৯এর সংক্রমণ আটকাতে বাজার এলাকাগুলির জন্য প্রোটোকল তৈরি করেছে- এইসব এলাকায় মানুষ তাদের নিত্যদিনের চাহিদা মেটাতে, দোকান-হাট করতে, বিনোদনের জন্য ও খাবার খেতে প্রচুর সংখ্যায় জড়ো হন। কোভিড মহামারীর মধ্যেও অর্থনৈতিক কাজকর্ম ক্রমশ শুরু হচ্ছে, বাজারগুলিতে লোক বেশি করে আসা-যাওয়া করছে। বেশি ভিড় হলে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত যথাযথ আচরণবিধি মেনে না চললে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পরার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

২) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাদি

এই নথিটিতে কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ আটকাতে বাজার এলাকায় বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। খুচরো বাজার এবং পাইকারি বাজার- দু ধরণের বাজারেই এই নীতি নির্দেশিকা প্রযোজ্য। কোনও কোনও বড় বাজারে মল, সুপার মার্কেটও রয়েছে।  

এ ধরণের বাজারে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের আগেই যে নীতি-নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল সেটিই বলবৎ থাকবে। এই নীতি-নির্দেশিকা দেখার জন্য নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন- 

https://www.mohfw.gov.in/pdf/4SoPstobefollowedinShoppingMalls.pdf

বাজার এলাকায় যে সমস্ত রেস্তোরাঁ রয়েছে সেগুলির জন্যও মন্ত্রক আগে যে নীতি-নির্দেশিকা জারি করেছিল সেটিই বলবৎ থাকবে। এই নীতি-নির্দেশিকা দেখার জন্য নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন-

https://www.mohfw.gov.in/pdf/3SoPstobefollowedinRestaurants.pdf

বাজারগুলিতে অনেক সময় বা বাজার চত্ত্বরে বিভিন্ন অফিস, ধর্মস্থান, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, যোগ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, জিমনাসিয়াম, সিনেমা হল এবং থিয়েটার থাকে। এই ধরণের জায়গাগুলির জন্য মন্ত্রক বিভিন্ন সময়ে যে নীতি-নির্দেশিকা জারি করেছে সেগুলিই এক্ষেত্রে বলবৎ থাকবে।  

কন্টেনমেন্ট এলাকায় যেসব বাজার রয়েছে সেগুলি বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র কন্টেনমেন্ট এলাকার বাইরের দোকান-বাজার খোলা হবে। 

৩) ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য ব্যবস্থা 

যাঁদের বয়স ৬৫র বেশি, যাঁদের নানা রকমের জটিল অসুখ রয়েছে, গর্ভবতী মহিলা এবং যেসমস্ত শিশুদের বয়স ১০এর কম তাদের খুব প্রয়োজন না হলে এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কারণ ছাড়া বাড়িতেই থাকতে বলা হচ্ছে।

যেসমস্ত কর্মীরা অর্থাৎ বয়স্ক কর্মচারী, গর্ভবতী কর্মচারী এবং যাদের নানা অসুখ রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সতকর্তা নিতে হবে।  

বাজার সমিতিগুলিকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তারা যাতে এই ধরণের লোকেদের সামনের সারিতে নিয়ে না আসে এবং জনসাধারণের সঙ্গে তাদের যেন প্রত্যক্ষ যোগাযোগ না ঘটে সেই বিষয়টিকে নজর দিতে হবে।  

৪) কোভিড প্রতিহত করার জন্য যথাযথ আচরণ মেনে চলার বিষয়ে উৎসাহদান।  

কোভিডের ঝুঁকি কমানোর জন্য সাধারণ কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হয়। দোকানদার, ক্রেতা এবং কর্মচারীদের এই নিয়মগুলি মেনে চলতেই হবে। 

এগুলি হল : 

 যতটা সম্ভব শারীরিক দুরত্ব ৬ ফুট বজায় রাখতে হবে

 ফেস কভার/মাস্কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক

 ঘন ঘন হাত ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে। কমপক্ষে ৪০-৬০ সেকেন্ড হাত ধুতে হবে। হাত যদি আপাত দৃষ্টিতে নোঙরা নাও মনে হয় তাও সেটি ধুতে হবে। কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে অ্যালকোহল ভিত্তিক হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। দোকানের বাইরে বা অন্য জায়গায় এগুলি রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।

 হাঁচি, কাশির নিয়ম যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।

 মুখ এবং নাক  টিস্যু/রুমাল/কনুইয়ের খাঁজে  রেখে হাঁচতে বা কাশতে হবে।  

 নিজের স্বাস্থ্যের বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। শরীর খারাপ করলেই দ্রুত রাজ্য বা জেলা হেল্পলাইনে যোগাযোগ করতে হবে।

 যেখানে-সেখানে থুতু ফেলা যাবেনা

 আরোগ্য সেতু অ্যাপের ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে

৫) বাজার এলাকায় স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখা

স্বাভাবিক সময়ে বাজারে প্রচুর লোকের জমায়েত হয়। এরফলে সেখানে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলা হয়না। কোভিডের সংক্রমণ আটকাতে বাজারগুলিতে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। এরজন্য যে বিষয়গুলি করা প্রয়োজন : 

 প্রতিদিন বাজার খোলার আগে দোকানদারদের দোকানের ভিতর ১ % সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইটের মিশ্রণ দিয়ে জীবানুমুক্ত করতে হবে। 

 দরজার হাতল, লিফ্টের বোতাম, সিঁড়ির হাতল, চেয়ার, টেবিলের ওপরিভাগ, দোকানের কাউন্টার ইত্যাদি যেসব জায়গা ঘন ঘন স্পর্শ করা হয় সেখানে নিয়মিত সংক্রমণ মুক্ত করার কাজ করতে হবে। মেঝে, দেওয়াল ইত্যাদি জায়গায় দোকান খোলার এবং বন্ধ করার আগে জীবানু মুক্ত করার কাজ করতে হবে। 

 দোকানের প্রবেশ পথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা বাধ্যতামূলক। 

 পার্কিং-এর জায়গায় কর্মচারীদের নিয়মিত সংক্রমণ মুক্ত করার কাজ করতে হবে। গাড়ির স্টিয়ারিং, দরজার হাতল, চাবি ইত্যাদি জায়গায় গাড়ির মালিককে নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। 

 সর্বসাধারণের জন্য জায়গা এবং মুক্ত স্থানে নিয়মিতভাবে ১ % সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইটের মিশ্রণ দিয়ে জীবানুমুক্ত করতে হবে। 

 শৌচাগারগুলিকে যথেষ্টভাবে পরিষ্কার করতে হবে। দিনে ৩-৪ বার হাত ধোয়ার জায়গা ও জল খাওয়ার জায়গাগুলিকেও সংক্রমণ মুক্ত করতে হবে। 

 বাজার সমিতিকে সর্বসাধারণের জন্য এবং মুক্তাঞ্চলের জন্য স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখার দিকটি মেনে চলতে হবে। বাজার সমিতিগুলি নিজেরা অথবা স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় এই কাজ করতে পারে।  

এ সংক্রান্ত নীতি-নির্দেশিকাটি দেখার জন্য https://www.mohfw.gov.in/pdf/Guidelinesondisinfectionofcommonpublicplacesincludingoffices.pdf  এই লিঙ্কে ক্লিক করুন। 

৬) বাজার এলাকায় কোভিড সংক্রান্ত যথাযথ আচরণবিধি মেনে চলার পরিকল্পনা

৬.১- বাজার এলাকায় কোভিড সংক্রান্ত যথাযথ আচরণবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত উদ্যোগ

বাজার সমিতিগুলি বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে ব্যক্তিগত উদ্যোগে কোভিড সংক্রান্ত যথাযথ আচরণবিধি জারি করতে পারে :

 দোকানের মধ্যে এবং দোকানের বাইরে বাজার এলাকায় কোভিড সংক্রান্ত যথাযথ নিয়মাবলী মেনে চলার জন্য এবং সেগুলি ঠিকভাবে মানা হচ্ছে কি না তা দেখার জন্য একটি সাব কমিটি তৈরি করতে হবে।  

 সরকার নির্ধারিত মূল্যে মাস্ক বিক্রয় কেন্দ্র বাজারের ঢোকার জায়গায় এবং গাড়ি রাখার জায়গায় রাখতে হবে। 

 যাদের পক্ষে মাস্ক কেনা সম্ভব নয় তাদের বিনামূল্যে মাস্ক দিতে হবে।

 সাবান এবং জল সর্বসাধারণের জন্য হাত ধোয়ার জায়গায় যাতে রাখা হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে পায়ের সাহায্যে কল চালানো এবং হাত দিয়ে না ছুঁয়ে সাবান ব্যবহার করার ব্যবস্থাপনা তৈরির পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। 

 বাজারে ঢোকা এবং বেরনোর জায়গায় সর্বসাধারণের জন্য তাপমাত্রা পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করতে হবে। 

 থার্মাল গান, স্যানিটাইজার, সর্বসাধারণের জায়গাগুলিকে সংক্রমণ মুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সংগ্রহ করতে হবে।

 কোভিড প্রতিহত করার যথাযথ আচরণবিধির বিষয়ে বিভিন্ন জায়গায় নির্দেশাবলী রাখতে হবে।

 

৬.২- বাজার এলাকায় কোভিড সংক্রান্ত যথাযথ আচরণবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে প্রশাসনিক সংস্থাগুলির সাহায্য 

যখন সাধারণ মানুষ যথাযথ আচরণ করবেন না তখন বিভিন্ন নিয়ম প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে : 

 মাস্ক/ফেস কভার যারা পড়বেন না, যারা শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখবে না তাদের থেকে  জরিমানা নিতে হবে।

 প্রয়োজন অনুসারে বাজারের দোকানগুলিকে একদিন অন্তর খুলতে হবে। 

 যদি দেখা যায় বাজার এলাকায় প্রচুর সংখ্যক লোক সংক্রমিত হয়েছেন তাহলে প্রশাসন বাজার বন্ধ রাখতে পারে। 

 

৬.৩- বাজার পরিচালনার সময় দোকানদারদের কোভিড প্রতিহত করার যথাযথ আচরণের  বিষয়ে পরিকল্পনা

দোকানদারদের নিশ্চিত করতে হবে যে : 

 দোকানের ভিতরে এবং বাইরে ন্যূনতম ৬ ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। ক্রেতাদের দাঁড়ানোর জন্য জায়গাকে চিহ্নিত করতে হবে।  

 দোকানগুলির বাইরে এবং ভিতরে যথাযথভাবে লাইন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

 লাইন ঠিকমতো মেনে চলা হচ্ছে কি না, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা যাচ্ছে কি না তা নিশ্চিত করার জন্য প্রচুর নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করতে হবে। 

 যে সমস্ত খরিদ্দার মাস্ক ছাড়া দোকানে ঢুকবেন তাদের জন্য ত্রিস্তরীয় মাস্ক বা ফেস কভারের ব্যবস্থা করতে হবে।  

 গ্রাহকদের হাত  সংক্রমণ মুক্ত করার জন্য দোকানে ঢোকার মুখে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। সম্ভব হলে কর্মচারীদের এবং গ্রাহকদের তাপমাত্রা মাপার জন্য ব্যবস্থা করতে হবে। 

 সংস্পর্শহীন আর্থিক লেনদেনের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা করতে হবে। 

 

৬.৪- বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা

 যতটা সম্ভব প্রাকৃতিকভাবে বায়ু চলাচল নিশ্চিত করতে হবে। ছোট ছোট জায়গা উন্মুক্ত না করে বড় জায়গা খুলে দেওয়ার বিষয়ে উৎসাহ দিতে হবে।

 বাইরের থেকে বাতাস যাতে বেশি করে ঢুকতে  পারে তারজন্য জানলা-দরজা, পাখার ব্যবস্থা করতে হবে।

 যেসব দোকান বদ্ধ অবস্থায় রয়েছে,  তাদের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ/বায়ু চলাচলের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় পূর্ত বিভাগের নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্রের তাপমাত্রা ২৪-৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকা চাই। আপেক্ষিক আদ্রতা ৪০-৭০শতাংশ রাখতে হবে। যতটা সম্ভব বিশুদ্ধ বাতাস যাতে সেখানে ঢোকানো যায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে এয়ার হ্যান্ডেলিং ইউনিটগুলিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। 

 

৬.৫- ভিড় সামলানো

সারাদিন ধরে ভিড়ের পরিমাণ এক থাকেনা। কাজের দিনগুলিতে মূলত বিকেলের দিকে ভিড় বেশি হয়। অন্যদিকে সপ্তাহান্তে এবং ছুটির দিনে সারাদিন ধরেই প্রায় বাজারগুলিতে ভিড় থাকে। ভিড় থাকার সময়ে যথাযথ ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা করতে হবে। বাজার সমিতিগুলির সঙ্গে এ বিষয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন নীতি কৌশল গ্রহণ করার জন্য আলোচনা করতে হবে। 

এরমধ্যে রয়েছে :

 অসামরিক প্রতিরক্ষা স্বেচ্ছাসেবক/হোমগার্ড/স্বেচ্ছাসেবকদের ভিড় নিয়ন্ত্রণের কাজে ব্যবহার করতে হবে।

 গাড়ি রাখার জায়গায় যাতে বেশি গাড়ি না থাকে তার ব্যবস্থা করতে হবে।

 বাজারে যারা আসবেন তাদের যাতায়াতের বিষয়টি যাতে একমুখী হয় তার জন্য প্রবেশপথ এবং বাহির পথ আলাদা করতে হবে। 

 বাজারের মধ্যে সাইকেল, বৈদ্যুতিক রিকসা যাতে না ঢোকে এবং পথচারী/সাইকেল শুধু ঢোকে সেটি নিশ্চিত করতে হবে।  

 বাজারের রাস্তায় কেউ যদি অবৈধভাবে গাড়ি রাখে তাহলে তার বিরুদ্ধে জরিমানা আদায় করতে হবে।   

 নির্দিষ্ট জায়গাতেই গাড়ি রাখা যাবে। ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার জন্য গাড়ি রাখার জায়গা এবং বাইরে শারীরিক দূরত্ব বজায় থাকছে কি না সেটি নিশ্চিত করতে হবে। 

 সিসিটিভি-র মাধ্যমে কোথাও বেশি ভিড় হচ্ছে কি না সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

 দোকানগুলিতে যাতে বেশি ভিড় না হয় তার জন্য দীর্ঘক্ষণ দোকান খুলে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।

 স্থানীয় মেট্রো রেল স্টেশনের সঙ্গে কোনও বাজারের সরাসরি যোগাযোগ থাকলে সেই জায়গায় যথাযথভাবে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

 মুদির দোকানগুলিতে অনলাইনের মাধ্যমে কেনাকাটা করা এবং বাড়ির দরজায় জিনিসপত্র পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করার বিষয়ে উৎসাহ দিতে হবে। যেসমস্ত কর্মীরা বাড়িতে জিনিসপত্র পৌঁছে দেবেন তাদের দোকান থেকে বেরনোর আগে তাপমাত্রা মাপতে হবে। 

 যারা ভিড়ের সময় কেনাকাটা করতে যাবেন না তাদের জন্য বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করতে হবে।  

 

৬.৬- সচেতনতা গড়ে তোলা 

 বাজারের বিভিন্ন জায়গায় কোভিড-১৯এর সংক্রমণ আটকাতে কি কি করা উচিত এবং কি কি করা উচিত নয় সে বিষয়ে পোস্টার, অডিও ভিস্যুয়াল মাধ্যম সহ নানাভাবে বার্তা প্রচার করতে হবে। 

 অডিও ভিস্যুয়ালের মাধ্যম বাজারের বিভিন্ন জায়গায় কোভিড প্রতিহত করার জন্য সচেতনতামূলক বিভিন্ন ব্যবস্থা সম্পর্কে রেকর্ডেড মেসেজ বাজাতে হবে।

 দোকানের ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপে কোভিড-১৯এর বিরুদ্ধে কি কি ব্যবস্থা নিতে হবে সে বিষয়ে বার্তা প্রচার করতে হবে। যদি কোনও খরিদ্দারের কোভিড-১৯এ সংক্রান্ত কোনও লক্ষ্মণ দেখা যায় তাহলে তিনি যাতে বাজারে না আসেন সে সংক্রান্ত বার্তা প্রচার করতে হবে। 

 বাজারের বিভিন্ন জায়গায় রাজ্য হেল্পলাইন নম্বর এবং স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের ফোন নম্বর টাঙিয়ে রাখতে হবে। 

৬.৭- কোভিড সংক্রান্ত সরঞ্জামের সহজলভ্যতা

 ফেস কভার/মাস্কের মতো ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান, ১ % সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইটের মিশ্রণ ইত্যাদির ব্যবস্থা দোকানদারদের, তাদের কর্মচারীদের জন্য রাখতে হবে। বাজার সমিতি এইসব সামগ্রী সংগ্রহ করবে। 

 শরীরের তাপমাত্রা মাপার জন্য থার্মাল গান রাখতে হবে।

 ঢাকা ডাস্টবিন প্রচুর পরিমাণে রাখতে হবে যাতে জঞ্জাল যথাযথভাবে রাখা যায়। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নীতি-নির্দেশিকা জানার জন্য নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন

https://cpcb.nic.in/uploads/Projects/BioMedical-Waste/BMWGUIDELINES-COVID_1.pdf

 

৭) বাজারকে স্বাস্থ্যকরভাবে পরিচালনার ব্যবস্থা করা  

 কন্টেনমেন্ট এলাকায় যেসব দোকানদার, কর্মচারী এবং ক্রেতারা থাকেন তাদের বাজারে ঢোকা নিষিদ্ধ করতে হবে। 

 দোকানে ঢোকার জায়গায় স্যানিটাইজারের মাধ্যমে সমস্ত কর্মচারী এবং ক্রেতাদের হাত পরিষ্কারের ব্যবস্থা করতে হবে ও তাপমাত্রা মাপতে হবে। যেসমস্ত কর্মচারী এবং ক্রেতাদের সংক্রমণের কোনও লক্ষ্মণ নেই তারাই দোকানে ঢুকতে পারবেন। 

 সমস্ত কর্মচারী এবং ক্রেতারা মাস্ক বা ফেস কভার পরা থাকলেই দোকানে ঢুকতে পারবেন। দোকানের মধ্যে এবং বাইরে সবসময় মাস্ক পরা থাকতে হবে। 

 ক্রেতারা যখন লাইনে দাঁড়াবেন তখন ন্যূনতম ৬ ফুট দূরত্বে দাঁড়াতে হবে। 

 শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য দোকানের মধ্যে যাতে ক্রেতা কম থাকেন সেই ব্যবস্থা করতে হবে। 

 দোকানের মধ্যে যদি বসার জায়গা থাকে তাহলে চেয়ার বা বেঞ্চের দূরত্ব ন্যূনতম ৬ ফুট হতে হবে।

 লিফ্টে কম লোক উঠতে দিতে হবে। শারীরিক দূরত্ব যাতে বজায় থাকে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে লিফ্ট সব তলায় যাতে না থামে সে ব্যবস্থা করতে হবে। 

 দোকানদার এবং কর্মচারীদের ঘন ঘন হাত ধুতে হবে। 

***

 

CG/CB/NS



(Release ID: 1677768) Visitor Counter : 360