অর্থমন্ত্রক
অর্থমন্ত্রী আত্মনির্ভর ভারত ৩.০-র কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন
Posted On:
12 NOV 2020 6:05PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ১২ নভেম্বর, ২০২০
কেন্দ্রীয় অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন আত্মনির্ভর ভারত ৩.০-র আওতায় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কেন্দ্রের ১২ দফা কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছেন। শ্রীমতী সীতারমন আজ সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, কেন্দ্র যে পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে, সেই অনুসারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আজকের তারিখ পর্যন্ত কোভিড-১৯ মহামারীর ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সাহায্যে উদ্যোগী হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৯.৮৭ লক্ষ কোটি টাকার সংস্থান করা হয়েছে যা দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ১৬ শতাংশ। এর মধ্যে ৯ শতাংশ মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের অর্থ কেন্দ্র যোগান দিচ্ছে।
আত্মনির্ভর ভারত ৩.০-র ১২টি মূল বিষয়বস্তু হল :
(১) আত্মনির্ভর ভারত রোজগার যোজনা
কোভিড-১৯ মহামারীর ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে একটি নতুন প্রকল্পের সূচনা হয়েছে। ইপিএফও নিবন্ধীকৃত সংস্থাগুলি যদি নিবন্ধীকরণ ছাড়াই নতুন কর্মচারীদের নেন অথবা যাঁরা আগে কাজ হারিয়েছেন তাঁদেরকে আবারও কাজে অন্তর্ভুক্ত করেন, এই যোজনার ফলে এই সমস্ত কর্মচারীরা উপকৃত হবেন।
এই প্রকল্পের আওতায় নতুন কর্মীদের সুবিধা :-
>ইপিএফও নিবন্ধীকৃত কোনও সংস্থায় যদি মাসে ১৫ হাজার টাকার কম বেতনে কোনও কর্মী কাজে যোগদান করেন
>যেসব ইপিএফও সদস্যরা ১৫ হাজার টাকার কম অর্থ আয় করেন, যাঁরা ১ মার্চ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোভিড মহামারীর কারণে কাজ হারিয়েছেন এবং ১ অক্টোবরের পর থেকে অন্য জায়গায় কাজ শুরু করেছেন
>কেন্দ্র নতুন যোগ্য কর্মচারীদের ১ অক্টোবর থেকে দু'বছরের জন্য ভর্তুকির ব্যবস্থা করেছে
> যে সমস্ত সংস্থায় সর্বোচ্চ ১ হাজার জন কাজ করেন, যে সমস্ত কর্মীরা তাঁদের আয়ের ১২ শতাংশ এবং সংস্থাও ১২ শতাংশ অর্থাৎ, মোট ২৪ শতাংশ আয়ের অর্থ ইপিএফও-তে জমা দেন
>যে সমস্ত সংস্থায় ১ হাজারের বেশি কর্মচারী রয়েছে সেই সমস্ত সংস্থায় যেসব কর্মচারীর ইপিএফ-এর হার ১২ শতাংশ
এই প্রকল্পটি চালু হওয়ার সময়সীমা ১ অক্টোবর থেকে বিবেচনা করা হবে। এর মেয়াদ শেষ হবে ৩০ জুন। এই যোজনার আওতায় যোগ্যতা নির্ধারণের বিষয়গুলি বিবেচনার পর কেন্দ্র নতুন কর্মচারীদের দু'বছর ভর্তুকি দেবে।
(২) আপৎকালীন আমানত নিশ্চয়তা প্রকল্প :
অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ এমএসএমই, বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থা, মুদ্রা প্রকল্পের ঋণ গ্রহীতারা এবং যে সমস্ত মানুষ ব্যবসায়িক কারণে ঋণ নিয়েছেন তাঁদের জন্য এই সুযোগ ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হল।
আমানত নিশ্চয়তা সহায়ক প্রকল্প স্বাস্থ্যক্ষেত্র সহ ২৬টি ক্ষেত্রের জন্য সূচনা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ৫০ কোটি টাকা থেকে ৫০০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ বকেয়া থাকলে তাঁরাই এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। এইসব সংস্থাগুলি অতিরিক্ত ঋণবাবদ বকেয়া ঋণের ২০ শতাংশ অর্থের সমপরিমাণ টাকা পাঁচ বছরের মেয়াদে নিতে পারবে। এক্ষেত্রে আসল টাকা এক বছরের মোরাটোরিয়ামের মধ্যে থাকবে। এই প্রকল্পটির সুযোগ ৩১ মার্চ পর্যন্ত পাওয়া যাবে।
(৩) উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত উৎসাহ-ভিত্তিক প্রকল্প – ১০টি ক্ষেত্রে ১.৪৬ লক্ষ কোটি টাকা
১০টি মূল ক্ষেত্রকে উৎপাদন ভিত্তিক সহায়তা প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে যার ফলে দেশীয় সংস্থাগুলির উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার পরিবেশ গড়ে উঠবে। এর মাধ্যমে অর্থনীতি, বিনিয়োগ, রপ্তানি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গতি আসবে। আগামী পাঁচ বছরের জন্য এই প্রকল্পগুলিতে ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই ১০টি ক্ষেত্র হল – অ্যাডভান্সড সেল কেমিস্ট্রি ব্যাটারি, বৈদ্যুতিন ও কারিগরি পণ্য, অটোমোবাইল ও গাড়ির যন্ত্রাংশ, ওষুধ নির্মাণ শিল্প, টেলিকম ও নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত সামগ্রী, বস্ত্র শিল্পের বিভিন্ন সামগ্রী, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, সৌরশক্তির জন্য উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ফটোভোল্টেইক মডিউল, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র ও এলইডি বাল্ব অর্থাৎ, হোয়াইট গুডস এবং বিশেষ ধরনের ইস্পাত।
(৪) পিএম আবাস যোজনা - শহরাঞ্চলের জন্য ১৮ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত বরাদ্দ
পিএম আবাস যোজনা - শহরাঞ্চলের জন্য ১৮ হাজার কোটি টাকার সংস্থান করা হয়েছে। এর আগে এ বছরে আরও ৮ হাজার কোটি টাকার সংস্থান করা হয়েছিল। এর ফলে, ১২ লক্ষ বাড়ি তৈরিতে উদ্যোগী হওয়া যাবে এবং ১৮ লক্ষ বাড়ির কাজ শেষ হবে। এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে ৭৮ লক্ষ কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে ও উৎপাদনের গুণমান বাড়বে। একইসঙ্গে, ইস্পাত ও সিমেন্টের বিক্রি বাড়ায় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাবে।
(৫) নির্মাণ ও পরিকাঠামো ক্ষেত্রে সহায়তার জন্য অগ্রিম আমানত বাবদ অর্থের ক্ষেত্রে সরকারি নিলামে কিছু ছাড়
সহজে ব্যবসা করার পরিবেশ গড়ে তুলতে এবং যে সমস্ত ঠিকাদাররা তাঁদের টাকা অন্য জায়গায় বিনিয়োগ করেছেন, এঁদের জন্য বার্ষিক ৫-১০ শতাংশ হারে কাজ সম্পাদনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার সুরক্ষা দেওয়া হবে। এই অর্থের পরিমাণ সর্বনিম্ন ৩ শতাংশ হবে। এক্ষেত্রে বিড সিকিউরিটি ডিক্লারেশনের পরিবর্তে ইএমডি-র মাধ্যমে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। এই ছাড়ের ফলে সাধারণ অর্থনৈতিক নিয়মাবলী ২০২১-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
(৬) নির্মাণকারী এবং বাড়ির ক্রেতাদের আয়কর সংক্রান্ত ছাড়ের সুযোগ
রিয়েল এস্টেটের ক্ষেত্রে সার্কেল রেট এবং চুক্তির অর্থের যে পার্থক্য দেখা যায়, সেটি আয়কর আইনের ৪৩সিএ ধারার মাধ্যমে এই পরিমাণ ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। যেসব নাগরিকরা সর্বোচ্চ ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যয় করতে পারবেন, তাঁদের জন্য ৩০ জুন পর্যন্ত এই সুবিধা দেওয়া হবে। এর ফলে, ক্রেতারা ২০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ের সুযোগ পাবেন। আয়করের নিয়মের ক্ষেত্রে এই পরিবর্তনের ফলে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষেরা আরও বেশি করে বাড়ি কিনবেন।
(৭) পরিকাঠামোগত ঋণের ক্ষেত্রে আর্থিক সাহায্যদান
সরকার ন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফান্ড (এনআইআইএস)-এ বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে, এই সংস্থা ১.১ লক্ষ কোটি টাকা ২০২৫ সাল পর্যন্ত পরিকাঠামো নির্মাণে সাহায্য করবে।
(৮) কৃষিক্ষেত্রে সহায়তা : ৬৫,০০০ কোটি টাকার ভর্তুকিযুক্ত সার
দেশে সারের ব্যবহার যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষকরা যাতে সারের সরবরাহ ঠিক সময়ে পান, তার জন্য ৬৫,০০০ কোটি টাকার সংস্থান রাখা হয়েছে। এর ফলে, সঠিক সময়ে সার বাজার থেকে কিনতে পাওয়া যাবে।
(৯) গ্রামীণ কর্মসংস্থানের ওপর গুরুত্ব
পিএম গরীব কল্যাণ রোজগার যোজনার আওতায় ১০ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত সংস্থান রাখা হয়েছে। এর ফলে, গ্রামীণ অর্থনীতিতে গতি আসবে।
(১০) রপ্তানি সংক্রান্ত প্রকল্পগুলিতে উৎসাহদান
একজিম ব্যাঙ্ককে ৩ হাজার কোটি টাকার মূলধন যোগানো হবে যাতে বিভিন্ন রপ্তানি সংক্রান্ত প্রকল্পে সুবিধা হয়। ইন্ডিয়ান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইকনমিক অ্যাসিস্ট্যান্স স্কিমের আওতায় একজিম ব্যাঙ্ক মূলধনের যোগান দিতে পারবে।
(১১) মূলধন ও শিল্পে উদ্দীপনা
১০ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত বাজেটের সংস্থান রাখা হয়েছে যাতে মূলধন ও শিল্প সংস্থাগুলি দেশীয় প্রযুক্তিতে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সরঞ্জাম, শিল্পের পরিকাঠামো এবং পরিবেশ-বান্ধব জ্বালানির ক্ষেত্রে কাজে গতি সঞ্চার হয়।
(১২) কোভিড টিকার জন্য গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে অনুদান
জৈব প্রযুক্তি দপ্তর কোভিড-১৯ মহামারীর টিকা নিয়ে কাজ করার জন্য ৯০০ কোটি টাকা অর্থ সাহায্য পাবে।
***
CG/CB/DM
(Release ID: 1672467)
Visitor Counter : 389
Read this release in:
English
,
Urdu
,
Marathi
,
Hindi
,
Manipuri
,
Assamese
,
Punjabi
,
Gujarati
,
Odia
,
Tamil
,
Telugu
,
Kannada