স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
আরও বেশি কাজকর্মের সুযোগ করে দিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সম্প্রসারিত নির্দেশিকা
Posted On:
27 OCT 2020 3:38PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ২৭ অক্টোবর, ২০২০
• আরও বেশি কাজকর্মের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ৩০শে সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। সেই নির্দেশিকায় আগামী ৩০শে নভেম্বর পর্যন্ত জারি থাকছে।
• কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে আরও বেশি কাজকর্ম করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
o কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে ২৪শে মার্চ সারা দেশজুড়ে লকডাউন জারি করা হয়। এর পর ধীরে ধীরে কনটেনমেন্টের বাইরে কাজকর্মে গতি আনার জন্য একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং কনটেনমেন্টে জোনের বাইরে অঞ্চলগুলিকে ধীরে ধীরে উন্মুক্ত করা হয়েছে। যদিও বেশিরভাগ কার্যকলাপে অনুমতি দেওয়া হলেও বহু সংখ্যক মানুষের সমাগম হতে পারে এমন কিছু কার্যক্রমে বিধিনিষেধ জারি রয়েছে। স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা সম্পর্কে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর জারি করা হয়েছে। মেট্রো রেল, শপিংমল, হোটেল, রেস্তোঁরা, পরিষেবা প্রদানকারী স্থল, ধর্মীয় স্থান, যোগ প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, জিমনাশিয়াম, সিনেমা হল, বিনোদন পার্ক ইত্যাদি খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
o কিছু কাজের ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকার কারণে সংশ্লিষ্ট রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসন পরিস্থিতিরি ওপর বিচার করে উপরোক্ত স্থানগুলি খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও অনুমতি দিতে পারে। বিদ্যালয়, কোচিং প্রতিষ্ঠান, সরকারি অথবা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণারত শিক্ষাবিদদের ১০০ জনের বেশি জমায়েতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
o কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে ৩০শে সেপ্টেম্বর জারি করা শেষ নির্দেশিকায় যে সমস্ত ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে অনুমতি দেওয়া হয়েছে –
ক) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক বিমানে যাত্রীদের যাতায়াতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
খ) ক্রীড়াবিদদের প্রশিক্ষণের জন্য সুইমিংপুল ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
গ) বাণিজ্য থেকে বাণিজ্য (বিটুবি) উদ্দেশ্যে প্রদর্শনী হল ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
ঘ) সিনেমা/থিয়েটারস/মাল্টিপ্লেক্সে ৫০ শতাংশ দর্শকদের বসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
ঙ) সামাজিক/শিক্ষা/খেলাধুলা/বিনোদনমূলক/সাংস্কৃতিক/ধর্মীয়/রাজনৈতিক কার্যক্রম এবং অন্যান্য জনসমাগম বদ্ধ ঘরের মধ্যে হলে সেই ঘরের লোক ধরতে পারে তার মোট জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ পর্যন্ত এবং বিষয় ভিত্তিতে সর্বোচ্চ ২০০ জন পর্যন্ত অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এই কার্যক্রমের বিষয়ে পরবর্তী কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে পরিস্থিতির ওপর পর্যালোচনা করে।
• কোভিড মোকাবিলায় যথোপযুক্ত ব্যবস্থাপনা।
o আরও কাজের সুযোগ এবং উন্মুক্ত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ক্রমশ সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে এর অর্থ এই নয় যে মহামারী শেষ হয়ে গেছে। প্রত্যেক নাগরিকের দৈনন্দিন জীবনে কোভিড-১৯ মোকাবিলার বিষয়টি যথাযথভাবে মেনে চলা উচিত। এর জন্য সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গত ৮ই অক্টোবর কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ‘জন আন্দোলন’ কর্মসূচীর সূচনা করেছিলেন এবং তিনটি মন্ত্র মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেগুলি হল –
১) সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করা।
২) ঘন ঘন হাত ধোয়া, এবং
৩) ৬ ফুটের দূরত্ব বজায় রাখা।
o নাগরিকদের মধ্যে কোভিড-১৯ মোকাবিলা সংক্রান্ত বিষয়ে জনসচেতনতা গড়ে তোলা বিশেষ প্রয়োজন। তবেই এই মহামারী মোকাবিলা করা সম্ভব। পুনরায় কার্যকলাপ শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে এই মহামারী সম্পর্কে সচেতন হওয়াও প্রয়োজন।
o কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ইতিমধ্যেই সমস্ত রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির প্রধান সচিব/প্রশাসকদের পরামর্শ দিয়েছে যে, তাঁরা যেন তৃণমূল স্তরে কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে যথাযথভাবে নিয়ম মেনে চলে, সে বিষয়ে প্রচার চালানোর। মাস্ক পরা, হাত ধোয়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো নিয়মগুলি যাতে সঠিকভাবে মেনে চলা হয় তাও দেখতে বলা হয়েছে।
কোভিড-১৯ মোকাবিলায় জাতীয় কার্যক্রম।
• কোভিড-১৯ মোকাবিলায় যাতে সঠিকভাবে আচরণগুলি মেনে চলা হয়, তার জন্য সারা দেশজুড়ে কোভিড-১৯ মোকাবিলা সংক্রান্ত জাতীয় কার্যক্রম চালু করা চলছে।
৩০শে নভেম্বর পর্যন্ত কনটেনমেন্ট জোনের ভেতর কঠোরভাবে লকডাউন মেনে চলতে হবে।
• ৩০শে নভেম্বর পর্যন্ত কনটেনমেন্ট জোনের ভেতর কঠোরভাবে লকডাউন বলবৎ থাকছে।
• কনটেনমেন্ট জোনের ভেতর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুসারে তৃণমূল স্তর পর্যন্ত জেলা কর্তৃপক্ষ নিয়মগুলি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মেনে চলতে সাহায্য করবে। কনটেনমেন্ট জোনের ভেতর কঠোরভাবে নিয়মগুলি বলবৎ থাকবে। কেবলমাত্র প্রয়োজনীয় কার্যকলাপেরই অনুমতি দেওয়া হবে।
• কনটেনমেন্ট জোনের ভেতর অবাধ চলাচলের ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় থাকবে, কেবলমাত্র প্রয়োজনীয় কাজেরই অনুমতি দেওয়া হবে।
• কনটেনমেন্ট জোন সম্পর্কে জেলা কালেক্টরের ওয়েবসাইট এবং রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে বিভিন্ন তথ্য ভাগ করে নিতে হবে।
কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে কোথাও কোনো লকডাউন ঘোষণা করতে পারবে না রাজ্যগুলি।
• রাজ্য সরকার অথবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসন রাজ্য/জেলা/সাবডিভিশন/শহর/গ্রামীণ স্তরে কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে কেন্দ্রীয় সরকারের পরামর্শ ছাড়া কোনো লকডাউন বলবৎ করতে পারবে না।
আন্তঃরাজ্য এবং দেশের ভেতর যে কোনো রাজ্যের মধ্যে যাতায়াতের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকছে না।
• রাজ্যের ভেতর অথবা অন্য রাজ্যে যাতায়াতের ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ থাকছে না, ব্যক্তি অথবা পণ্যবাহী গাড়ি বিনা বাধায় যাতায়াত করতে পারবে। এর জন্য কোনো অনুমতি/অনুমোদন/ই-পার্মিটের প্রয়োজন হবে না।
দুর্বল ব্যক্তিদের সুরক্ষা।
• ৬৫ বছরের ঊর্ধ ব্যক্তি, যারা আগে থেকেই অসুস্থ রয়েছেন এমন ব্যক্তি, গর্ভবতী মহিলা এবং ১০ বছরের কম বয়সী শিশুদের প্রয়োজনীয় কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে। তাদের স্বাস্থ্যের দিকে তাকিয়েই বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আরোগ্যসেতু ব্যবহার।
• আরোগ্যসেতু মোবাইল অ্যাপটি-র ব্যবহারের বিষয়ে প্রতি নিয়ত উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে।
CG/SS/SKD
(Release ID: 1668011)
Visitor Counter : 325
Read this release in:
English
,
Urdu
,
Marathi
,
Hindi
,
Manipuri
,
Assamese
,
Punjabi
,
Gujarati
,
Tamil
,
Telugu
,
Kannada
,
Malayalam