কৃষিমন্ত্রক

এই মরশুমে সরকারি সংস্থাগুলি ন্যুনতম সহায়ক মূল্যে রেকর্ড পরিমাণ ধান কিনেছে౼ গম-ও একইভাবে কেনা হবে এবং কোন কৃষকের সমস্যা হবেনা : হরদীপ পুরি

Posted On: 13 OCT 2020 2:57PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ১৩ অক্টোবর, ২০২০

 

 

কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগরোন্নয়ন দপ্তর, অসামরিক বিমান চলাচল দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শ্রী হরদীপ সিং পুরি বলেছেন, পাঞ্জাবে সরকারের বিরুদ্ধে অসন্তোষ সৃ্ষ্টি করার জন্য কেউ কেউ অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং তারা খুব ভালোভাবেই জানেন নতুন কৃষি আইনগুলি কৃষক বিরোধী নয়। এই আইনের সাহায্যে কৃষকদের আয় বৃদ্ধি পাবে। ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের ব্যবস্থা বজায় থাকবে। অমৃতসরের তরণ তরণে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কৃষি সংস্কার বিলের প্রসঙ্গে শ্রী পুরি কৃষি ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানী, অধ্যাপক এবং অন্যান্য প্রবীণ ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

আঢ়তিয়া সম্প্রদায়ের (কমিশন এজেন্ট) এই সংস্কারের ফলে কি কি লাভ হবে সে বিষয়েও মন্ত্রী বিষদে ব্যাখ্যা করেছেন। আঢ়তিয়ারা ভালো বীজ, কৃষিকাজ সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান, সরবরাহ শৃঙ্খলের বিষয়ে পরামর্শ দিতে পারবেন। তারা যে বিনিয়োগ করবেন সেই বিনিয়োগের ফলে কৃষিক্ষেত্রে ক্ষতি ক্রমশ কমবে। বর্তমানে এই ক্ষেত্রে মোট ৩০ শতাংশের মতো ক্ষতি হয়ে থাকে।

মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, পাঞ্জাবে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের মাধ্যমে বর্তমান খরিফ মরশুমে যথেষ্ট ফসল সংগ্রহ করা হচ্ছে। গত বছর ৭.৪ লক্ষ মেট্রিক টন শস্য সংগ্রহ হয়েছিল। এ বছর তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২৬.১ লক্ষ মেট্রিক টন- অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় ২৫১ শতাংশ বেশি।

১১ই অক্টোবরের হিসেব অনুসারে দেশে এ বছর ৪২.৫ মেট্রিক টন ধান ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে কেনা হয়েছে। গত বছর এই পরিমাণ ছিল ৩১.৭ লক্ষ মেট্রিক টন। গত বছরের তুলনায় এ বছর ৩৫ শতাংশ বেশি ধান ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে কেনা হয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০১৪র মধ্যে ১,৭৬৮ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছিল। এর জন্য খরচ হয়েছিল ২,০৬,০৫৯ টাকা। সেখানে শেষ ৫ বছরে ৩,০৬৯ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কিনতে খরচ হয়েছে ৪,৯৫,০৪৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ ২.৪ গুন বেশি অর্থ ধান কেনার জন্য ব্যয় হয়েছে। একইভাবে গত ৫ বছরে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ১,৬২৭ লক্ষ মেট্রিক টন গম কেনা হয়েছে। এর জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দেওয়া হয়েছে ২ লক্ষ ৯৭ হাজার ২৩ টাকা। ২০০৯-২০১৪ সালের মধ্যে ১,৩৯৫ লক্ষ মেট্রিক টন গম কেনা হয়েছিল। সেই সময় ব্যয় হয়েছিল ১,৬৮,২০২ টাকা।

রবি মরশুমের জন্য গম সংগ্রহের কেন্দ্র ২০২০-২১ বর্ষে বৃদ্ধি পেয়ে করা হয়েছে ২১,৮৬৯টি। গত বছর ১৪ হাজার ৮৩৮টি সংগ্রহ কেন্দ্র ছিল। অর্থাৎ এ বছর ৫০ শতাংশ সংগ্রহ কেন্দ্র বাড়ানো হয়েছে। খরিফ মরশুমে গত বছর ৩৯,১৩০টি শস্য সংগ্রহ কেন্দ্র ছিল। এ বছর ৩০ শতাংশ বাড়িয়ে ৩০,৫৪৯টি করা হয়েছে।

রবি এবং খরিফ মরশুমের মোট হিসেবে ২০১৬-১৭তে ৪৮,৫৫০টি সংগ্রহ কেন্দ্র ছিল। ২০১৯-২০তে তা ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৬৪,৫১৫টি। ২০১৭-১৮র থেকে ২০১৯-২০তে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের সুবিধা ৭২ শতাংশ বেশি কৃষক পেয়েছেন।

এনডিএ সরকারের সময়ে গত ৬ বছরে কৃষকদের কল্যাণে যেসব পদক্ষেপগুলি নেওয়া হয়েছে সেগুলি হল :

১) স্বামীনাথন কমিটির সুপারিশ অনুসারে কৃষিকাজের ব্যয়ের ন্যূনতম ৫০ শতাংশ লাভ বিবেচনা করে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারিত হয়েছে।

২) ২০০৯-১০ অর্থবর্ষে বাজেটে কৃষিখাতে ব্যয়-বরাদ্দ ছিল ১২ হাজার টাকা। সেখানে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১,৩৪,৩৯৯ কোটি টাকা।

৩) আত্মনির্ভর ভারত প্যাকেজের আওতায় ১ লক্ষ কোটি টাকার কৃষি পরিকাঠামো তহবিল তৈরি করা হয়েছে।

৪) পিএম কিষাণ সম্মান নিধির আওতায় ১০ কোটির বেশি কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ৯৪,০০০ কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে।

৫) কোভিড মহামারীর সময়ে ৯ কোটির বেশি কৃষককে পিএম কিষাণ যোজনার আওতায় ৩৮ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

৬) ২০১৯এর ফেব্রুয়ারি থেকে মৎস্যজীবী ও পশুপালন ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কিষাণ ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হয়েছে।

৭) গত ৬ মাসে ১ কোটি ২৯ লক্ষ নতুন কিষাণ ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হয়েছে।

৮) গ্রীষ্মকালে এ বছর ৫৭ লক্ষ হেক্টর জমিতে বীজ বপণের কাজ হয়েছে- গত বছরের তুলনায় যা ১৬ লক্ষ হেক্টর বেশি।

৯) এ বছরের খরিফ মরশুমে ১১০৪ লক্ষ হেক্টর জমিতে বীজ বপন করা হয়েছে। যা ২০১৬ সালের থেকে বেশি। ওই বছর ১ হাজার ৭৫ লক্ষ হেক্টর জমিতে খরিফ মরশুমের শস্যের বীজ বপন করা হয়েছিল।

১০) কোভিড মহামারীর সময় লকডাউনের মধ্যে ই-ন্যাম সবজি বাজার ৫৮৫টি থেকে বৃদ্ধি করে ১ হাজার করা হয়েছে। এই সময়ে ই-ন্যাম প্ল্যাটফর্মের সাহায্যে ১ লক্ষ কোটি টাকার বেশি ব্যবসা বাণিজ্য হয়েছে।

 

CG/CB /NS



(Release ID: 1664103) Visitor Counter : 148