স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক

আইসিএমআর-এর ইতিহাস বিবরণীর উদ্বোধন করলেন ড. হর্ষ বর্ধন

Posted On: 28 SEP 2020 5:15PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০২০

 

 


‘কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. হর্ষ বর্ধন আজ আইসিএমআর – এর সদর দপ্তর পরিদর্শন করেন, আবরণ উন্মোচন করেন আইসিএমআর-এর ঐতিহাসিক সাফল্য সংক্রান্ত বিবরণীর। এছাড়াও উদ্বোধন করেন আইসিএমআর এর মোবাইল স্ট্রোক ইউনিট এবং একটি কোভিড ভ্যাকসিন এবং ক্লিনিক্যাল রেজিস্ট্রি পোর্টালের। আইসিএমআর এর মহানির্দেশক ড. বলরাম ভার্গব, আইসিএমআর – এনআইএন –এর অধিকর্তা ড. আর হেমলতা এবং অন্য বরিষ্ঠ আধিকারিক এবং বিজ্ঞানীরা উপস্থিত ছিলেন।


ড. হর্ষ বর্ধন আইসিএমআর এর ঐতিহাসিক বিবরণীর আবরণ উন্মোচন করেন, যেখানে ১৯১১’র প্রতিষ্ঠা দিবস থেকে ভারতের এই শীর্ষস্থানীয় গবেষণা পরিষদের ১০৮ বছরের যাত্রা বর্ণিত হয়েছে। সেই সময় এই প্রতিষ্ঠানের নাম ছিল ইন্ডিয়ান রিসার্চ ফান্ড অ্যাসোসিয়েশন (আইআরএফএ)। বিবরণীতে ধরা হয়েছে, আইসিএমআর-এর নীতি এবং কর্মসূচী। জননী এবং শিশুর স্বাস্থ্য, এইচআইভি, ক্যান্সার এবং পুষ্টি সহ অন্যান্য বিষয়ে অবদান এবং রোগ প্রতিরোধে এর ভূমিকা প্রসঙ্গ।


প্রতিষ্ঠার দিন থেকে ১০৮ বছরের আইসিএমআর ইতিহাস বিবরণীর উদ্বোধন করে সন্তোষ জানিয়ে ড. হর্ষ বর্ধন বলেন, “আইসিএমআর, একদিকে জৈব চিকিৎসা গবেষণায় বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলেছে, আবার অন্যদিকে দেশের স্বাস্থ্য সমস্যার বাস্তব সমাধান খোঁজার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছে।” তিনি আরো বলেন যে, ইতিহাসের এই মুহূর্তটি মনে রাখা হবে,  আইসিএমআর – এর উজ্জ্বল ইতিহাস এত সুন্দরভাবে প্রদর্শিত করা হয়েছে।


নতুন প্রদর্শগুলির আবরণ উন্মোচন করে ড. হর্ষ বর্ধন বলেন, “আইসিএমআর, সবসময় দেশের স্বাস্থ্য গবেষণায় সামনের সারিতে আছে এবং বর্তমানে অভূতপূর্ব অতিমারীর মোকাবিলায় বৈজ্ঞানিক পরিশ্রম এবং উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এটি দেশের কল্যাণে বহু অবদান রেখেছে, এই সব প্রদর্শগুলির মাধ্যমে মানুষ চিকিৎসা বিজ্ঞানে আইসিএমআর এবং দেশের অবদান সম্পর্কে জেনে গর্ববোধ করবে।”


কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোবাইল স্ট্রোক-এর সূচনা করে তিনি বলেন, “মানুষকে হৃদযন্ত্রের সমস্যা এবং উচ্চরক্তচাপে ভুগতে দেখা খুবই হতাশাজনক, ঠিক সময়ে চিকিৎসা হলে মৃত্যুর আশঙ্কা কমে এবং শারীরিকভাবে অক্ষম হওয়া থেকে মানুষকে রক্ষা করা যায়। স্ট্রোকের বিশাল বাড়বাড়ন্ত এবং অসমে এর পরিষেবার অনুপস্থিতিতে এই এলাকায় এই উদ্যোগ মানুষের প্রয়োজন মেটাবে ভবিষ্যতে। এই মোবাইল ইউনিট টেলিপরামর্শের মাধ্যমে ঠিক সময়ে উপযুক্ত চিকিৎসা নিশ্চিত করে।” তিনি প্রশংসা করেন স্বাস্থ্যকর্মীদের যারা স্বার্থশূন্যভাবে মানুষের সেবা করছেন এমনকি কোভিডের সময়ে যখন অন্যান্য উপায় সীমাবদ্ধ তখন।
তিনি ভ্যাকসিন পোর্টাল এবং কোভিড ক্লিনিক্যাল রেজিস্ট্রি পোর্টালের সূচনা করেন। টিকা তৈরির বিষয়ে বিস্তারিত, স্বচ্ছ তথ্যের গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, “এই পোর্টাল থেকে নিয়মিতভাবে স্থানীয় স্তরে বা দেশ-বিদেশের টিকা তৈরি, চলতি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এবং অগ্রগতি বিষয়ে প্রয়োজনীয় জরুরী তথ্য যোগাবে। বর্তমানে এই কোভিডের সময়ে টিকা তৈরির দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখা হচ্ছে। তাই দেশে টিকা তৈরির অগ্রগতি বিষয়ে জানানো জরুরী হয়ে পড়েছে।”


কোভিড – ১৯ এর বিরুদ্ধে ভারতের লড়াই প্রসঙ্গে ড. হর্ষ বর্ধন বলেন, “ভারতে ক্রমাগত বাড়তে থাকা সুস্থতার হার এবং ক্রমশ কমতে থাকা মৃত্যুর হার প্রমাণ করে, কোভিড – ১৯ নিয়ন্ত্রণে সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সাফল্য। একটি মাত্র ল্যাব থেকে বর্তমানে ১৮০০-র বেশি ল্যাব নিয়ে আমরা অনেকটা পথ পেরিয়ে এসেছি নিজেদের শক্তিশালী করে তুলতে, আমরা সাফল্যের সঙ্গে বাড়াতে পেরেছি নমুনা পরীক্ষা যা এখন দৈনিক ১৫ লক্ষ ছুঁয়েছে।”


ড. হর্ষ বর্ধন সমস্ত মানুষকে কোভিড বিধি মানার আবেদন জানান। তিনি মানুষকে মনে করিয়ে দেন, এই সংক্রমণকে রুখতে হলে মাস্ক পরা, হাত পরিষ্কার রাখা, হাঁচি, কাশির সময় মুখ ঢাকা, একে অপরের সঙ্গে ২ গজের দূরত্ব বজায় রাখার মতো সামাজিক টিকাকরণ সম্বন্ধে।

 

 


CG/AP/SFS



(Release ID: 1659945) Visitor Counter : 198