স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক

ডাঃ হর্ষ বর্ধন তৃতীয় পর্বে সানডে সংবাদ-এর মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করলেন

Posted On: 27 SEP 2020 4:39PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লী, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০
 
 
 
 
    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ হর্ষ বর্ধন আজ তৃতীয়বার সানডে সংবাদ বা রবিবাসরীয় মতবিনিময় প্ল্যাটফর্মে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া ফলোয়ারদের সঙ্গে আলাপচারিতায় অংশ নেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একাধিক প্রশ্নের জবাব দেন। বর্তমানে কোভিড-১৯ সংকট ছাড়াও চিকিৎসা পরিকাঠামো, ভারতের জনস্বাস্থ্যের ভবিষ্য, জলবায়ু পরিবর্তন গবেষণায় দেশের অবদান সম্পর্কে একাধিক প্রশ্নের উত্তর দেন।
 
    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্কুল খোলার বিষয়ে ভয় দূরে সরিয়ে রাখা এবং সেলুন ও স্পা কেন্দ্রগুলিতে যথাযথ নিময় অনুসরণ করার পরামর্শ দেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সকলকে কোভিড-১৯ সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠার আহ্বান জানান এবং মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেন। তিনি উপাসনা স্থলে মাস্ক পরার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
 
    তিনি বলেন, ‘এই মহামারীর বিরুদ্ধে তখনই লড়াই করা যেতে পারে যখন সরকার ও সমাজ মিলিতভাবে কাজ করবে।’ এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ‘দো গজকি দুরি, অর থোরি সমজদারি, পরেগা করোনা পে ভারি’ এই স্লোগানের বিষয়টি তুলে ধরেন। 
 
    আইসিএমআর-এর সেরো সমীক্ষার প্রতিবেদন বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষকে আত্মতুষ্টি না ভোগার পরমর্শ দেন তিনি। প্রথম এই সেরো সমীক্ষাটি চালানো হয়েছিল মে মাসে। তখন দেশব্যাপি নভেল করোনা ভাইরাসের হার ছিল ০.৭৩ শতাংশ। দ্বিতীয় সেরো সমীক্ষার প্রতিবেদন যখন প্রকাশ হয় তখন দেশে করোনা প্রতিরোধ বিষয়ে একাধিক প্রতিবন্ধকতা দূর করে সাফল্য অর্জনের পথে এগোন সম্ভবপর হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। কোভিড-১৯এর বিরুদ্ধে সকলকে একযোগে সচেতন হয়ে লড়াই চালানোর পরামর্শ দেন।
 
    রেমডেসিভিয়ার এবং প্লাজমা থেরাপির বিষয়ে গবেষণামূলক কাজ জারি রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার এ বিষয়ে নিয়মিত পরামর্শ জারি করছে। বেসরকারী হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা পদ্ধতির বিষয়ে উপযুক্ত পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। এমনকি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির চিকিৎসকরা ওয়েবিনারের মাধ্যমে এবং নতুন দিল্লীর এইমস হাসপাতালের চিকৎসকরা টেলি পরামর্শের সাহায্যে সচেতনতার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
 
    অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, এই রোগ কেবলমাত্র আমাদের ফুসফুসেই নয়, অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গতেও প্রভাব ফেলতে পারে। কোভিড-১৯এর বিষয়গুলি দেখার জন্য বিশেষজ্ঞদের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আইসিএমআর এই বিষয় নিয়ে গবেষণামূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। 
 
    ডাঃ হর্ষ বর্ধন বলেন, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে কোভিড পরীক্ষার খরচ কমিয়ে আনার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই মহামারীর প্রথম পর্যায়ে করোনা পরীক্ষার কিটগুলি বিদেশ থেকে আমদানি করতে হতো। তাই তখন তার দাম ছিল বেশি এবং করোনা পরীক্ষার খরচও পরতো অনেক। তবে এখন পরীক্ষার কিট সরবরাহের ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা লক্ষ্য করা গেছে। অভ্যন্তরীণ উৎপাদানও শুরু হয়েছে। তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রক রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে স্বল্প খরচে বেসরকারী পরীক্ষাগারগুলিতে করোনা পরীক্ষার জন্য চিঠিও পাঠিয়েছে। এমনকি করোনা পরীক্ষার খরচ হ্রাসে একাধিক রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রীদের সঙ্গে ব্যক্তিগত পর্যায়ে কথাবার্তা চলেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
 
    ‘আত্মনির্ভর ভারত যোজনা’ সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বনির্ভর হয়ে ওঠার লক্ষ্যে উচ্চমানের ওষুধ তৈরি ও চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরির জন্য পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং দেশীয় উৎপাদনে বিশেষ জোর দেওয়ার মতো কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমদানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে উৎপাদন এবং রপ্তানীর ওপর বিশেষ জোর দেওয়ার নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। আগামীদিনে দেশের প্রয়োজনে স্বল্প ব্যয়ে গুণমান সম্পন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরি এবং তা বিশ্বব্যাপি সরবরাহের ক্ষেত্রে সক্ষমতা অর্জন করা সম্ভবপর হবে বলেও শ্রী বর্ধন জানান। তিনি বলেন, এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পরার পর থেকে বিগত কয়েক মাসে ভারত ভেন্টিলেটর, পিপিই, টেস্টিং কিট এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরির ক্ষেত্রে দ্রুত অগ্রগতি লাভ করেছে।
 
    স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আঞ্চলিক ভারসাম্যতা দূরীকরণের লক্ষ্যে সরকার সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চল সহ বিভিন্ন অঞ্চলে একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষা যোজনার মতো কেন্দ্রীয় প্রকল্প বিশেষ সুবিধা প্রদান করেছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এছাড়াও দেশে বর্তমান চিকিৎসা পরিকাঠামো উন্নতিতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আসামের ধুবড়ি, নওগাঁও, উত্তর লখিমপুর, কোকরাঝাড়, মণিপুরের চুরচন্দ্রপুর, মেঘালয়ের পশ্চিম গারো পার্বত্য জেলা এবং নাগাল্যান্ডের মন, কোহিমা ও মিজোরামের ফালকাওয়ান জেলাতে কেন্দ্রীয় সরকার বর্তমান জেলা ও রেফারেল হাসপাতালগুলিকে যুক্ত করে নতুন মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন করেছে।
 
    ডাঃ হর্ষ বর্ধন আরও বলেন, বিগত ৫ বছরে কেন্দ্রীয় সরকার নতুন করে ২৯ হাজার ১৮৫টি এমবিবিএস আসন তৈরি করেছে। একইসঙ্গে নতুন মেডিক্যাল কলেজ প্রতিস্থাপন, বর্তমান সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলির উন্নতিসাধন ও ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি মেডিক্যাল কলেজগুলিতে শিক্ষক ও ডিন নিয়োগ ও তাদের বয়সের সময়সীমা বৃদ্ধি সহ একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
 
    জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করার বিষয়ে একাধিক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের জিডিপি-র ২.৫ শতাংশ জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্র খরচের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে খরচ বৃদ্ধির জন্য পঞ্চদশ অর্থ কমিশন স্বাস্থ্য বিষয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের গোষ্ঠী গঠন করেছে বলেও জানান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। আগামী ৫ বছরে স্বাস্থ্য পরিষেবায় ব্যয় যথেষ্ট পরিমানে বৃদ্ধি পাবে বলেও আশাপ্রকাশ করেন তিনি।
 
    এই তৃতীয় সানডে সংবাদ পর্বটি পূর্ণাঙ্গরূপে দেখার জন্য ক্লিক করুন নিম্নলিখিত লিঙ্কে-
    ট্যুইটার-  https://twitter.com/drharshvardhan/status/1310119734684327937
 
    ফেসবুক-   https://www.facebook.com/drharshvardhanofficial/posts/1739860256162792
 
    ইউটিউব-  https://youtu.be/-zp_JRl88LU
 
    ডিএইচভি অ্যাপ-  http://app.drharshvardhan.com/download
 
 
 
 
CG/SS/NS


(Release ID: 1659846) Visitor Counter : 151