স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ "ডেস্টিনেশন নর্থ ইস্ট -২০২০" উত্সব উদ্বোধন করেছেন
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, লোকসংস্কৃতি এবং শিল্পকলায় সমৃদ্ধ উত্তর-পূর্ব ভারত বিশ্ব পর্যটনের একটি প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠতে সক্ষম
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে উত্তর পূর্বাঞ্চল ভারতের প্রিয় পর্যটন এবং বাণিজ্যিক গন্তব্য হিসাবে আত্মপ্রকাশ করবে
‘ডেস্টিনেশন নর্থ ইস্ট -২০২০’ এর লক্ষ্য উত্তর- পূর্ব ভারতের পর্যটনকেন্দ্রগুলির পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন সংস্কৃতিকে পরস্পরের সঙ্গে পরিচিত করা
উত্তর-পূর্ব ভারতের শান্তি, উত্তর-পূর্বের অর্থনৈতিক বিকাশের জন্য এবং পর্যটন এবং কর্মসংস্থানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
তহবিল ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়, ১৪ তম অর্থ কমিশন উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বরাদ্দকে ২৫১ শতাংশ বাড়িয়ে ৩,১৩,৩৭৫ কোটি টাকা করেছে
মোদী সরকার উন্নয়নের সর্বাত্মক ও সর্বসমন্বয়ক রূপ গ্রহণ করে উত্তর-পূর্ব কাউন্সিলের বাজেটের ২১ শতাংশ পশ্চাৎপদ জেলা, গ্রাম, পশ্চাৎপদ অঞ্চল এবং বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচুর কাজ করা হয়েছে
করোনার সময়ে মোদী সরকার উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য যথেষ্ট ওষুধ সরবরাহ অক্ষুণ্ণ রেখেছে
Posted On:
27 SEP 2020 7:17PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ আজ প্রযুক্তির মাধ্যমে "ডেস্টিনেশন নর্থ ইস্ট -২০২০" উদ্বোধন করেছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উত্তর পূর্ব কাউন্সিলের চেয়ারম্যানএর দায়িত্বও পালন করেন। এই উপলক্ষে প্রতিমন্ত্রী (স্বতন্ত্র দায়িত্ব), উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় উন্নয়ন মন্ত্রক (ডোনার), প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, কর্মী, জনসাধারণের অভিযোগ, পেনশন, পরমাণু শক্তি বিভাগ ও মহাকাশ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের আটটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও উপস্থিত ছিলেন।
তাঁর বক্তব্যে শ্রী অমিত শাহ বলেন, উত্তর পূর্ব ভারত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, লোকসংস্কৃতি এবং শিল্পকলায় ঋদ্ধ, বিশ্ব পর্যটনের একটি প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠতে সক্ষম। শ্রী শাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে উত্তর পূর্বাঞ্চল ভারতের অন্যতম প্রিয় পর্যটন এবং ব্যবসায়িক গন্তব্য হিসাবে আত্মপ্রকাশ করবে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "ডেস্টিনেশন নর্থ ইস্ট -২০২০", উৎসব ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে, এর লক্ষ্য ছিল উত্তর পূর্ব ভারতের পর্যটন কেন্দ্রগুলির পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন সংস্কৃতিকে পরস্পরের সঙ্গে পরিচিত করানো এবং এর মধ্য দিয়ে সমগ্র ভারতকে উত্তর-পূর্ব ভারতের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করানো। শ্রী অমিত শাহ বলেন যে তিনি বহু রাজ্য এবং দেশের পর্যটন স্থান দেখেছেন তবে উত্তর পূর্বে যে সৌন্দর্য দেখা যায় তা কোথাও খুব কমই দেখা যায়। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ল্যান্ডস্কেপ, অসীম বিশালতার মন্ত্র প্রদানকারী স্থানীয় জনগণের এক বিশাল মিশ্রণ গোটা বিশ্বকে একটি বার্তা দেয়। উত্তর-পূর্বাঞ্চল ভারতের গয়না, এটি ছাড়া ভারতীয় সংস্কৃতি অসম্পূর্ণ। এই উৎসবের পরবর্তী সমারোহ তাঁর নির্বাচনী এলাকা গান্ধিনগরে আয়োজনের আমন্ত্রণ জানিয়ে শ্রী অমিত শাহ বলেন, এক্ষেত্রে এই উৎসব উত্তর-পূর্বের সঙ্গে গুজরাটের সংস্কৃতি এবং গুজরাটের জনগণের পরিচয় করাবে।
শ্রী অমিত শাহ বলেন, উত্তর-পূর্ব ভারতের অর্থনৈতিক বিকাশ এবং পর্যটন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য উত্তর পূর্বাঞ্চলে শান্তির পরিবেশ অব্যাহত রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে উত্তর-পূর্বাঞ্চল একসময় সন্ত্রাসবাদের কারণে প্রায়ই সারা দেশের সংবাদ শিরোনামে থাকতো, মোদী জি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে সাড়ে ছয় বছর ধরে শিল্পের বিকাশ এবং পর্যটনের জন্য বাড়তি সুযোগের কারণে এখন এই অঞ্চলের আকর্ষণ সারা দেশে ক্রমবর্ধমান। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রচুর কাজ হয়েছে। বাংলাদেশ সীমান্ত চুক্তি, মণিপুরের অবরোধ মুক্তি, বোডো চুক্তি এবং ৮ টি জঙ্গি গোষ্ঠীর ৬৪১ ক্যাডারসহ হাজার হাজার জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্বে থাকা মোদী সরকারের একটি বড় অর্জন। শ্রী অমিত শাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে, নরেন্দ্র মোদী উত্তর পূর্ব ভারতে ৩০ বারেরও বেশি সফর করেছেন, দেশ স্বাধীন পর থেকে তিনিই সর্বাধিকবার উত্তর-পূর্ব ভারতে সফরকারী প্রধানমন্ত্রী।
শ্রী অমিত শাহ বলেন, টাকা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। আগে উত্তর-পূর্বের উন্নয়নের জনয় অনেক উন্নয়ন পরিকল্পনা রচিত হতো ঠিকই, কিন্তু সেগুলি বাস্তবায়নের দের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ খুব কম ছিল। চতুর্দশতম অর্থ কমিশন উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য বরাদ্দকে ২৫১ শতাংশ বাড়িয়ে ৩,১৩,৩৭৫ কোটি টাকা করেছে, এর আগে ১ত্রয়োদশ অর্থ কমিশনে পূর্ববর্তী সরকার মাত্র ৮৯,১৬৮ কোটি টাকা দিয়েছে। শ্রী শাহ আরও বলেন, মোদী সরকার, সর্বব্যাপী ও সর্বসমন্বয়ী উন্নয়নের রূপ গ্রহণ করে উত্তর-পূর্ব কাউন্সিলের বাজেটের ২১ শতাংশ পশ্চাৎপদ জেলা, গ্রাম, পশ্চাৎ অঞ্চল এবং উন্নয়ন বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন যে কেন্দ্রের মোদী সরকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির মধ্যে মেলবন্ধন বাড়াতে এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে দেশের অন্যান্য অংশের যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য রেলপথ, সড়কপথ ও অসামরিক বিমান পরিষেবা উন্নয়নের জন্য অনেক চেষ্টা করছে। ফলে, ইতিমধ্যে ১৫,০৮৮ কোটি টাকা বিনিয়োগে রেলপথ প্রকল্প শেষ হয়েছে। এছাড়াও, বিমানবন্দরগুলির উন্নয়নে ৫৫৩ কোটি টাকা এবং ৮৯৯ কিলোমিটারের ১৯ টি সড়ক প্রকল্পে প্রায় ১০,০০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।
শ্রী অমিত শাহ বলেন, করোনার যুগে মোদী সরকার উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে নিয়মিত ওষুধ সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে, টেলি-সম্মেলনের মাধ্যমে ডাক্তারদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে এবং এআইএমএস ডাক্তারদের টেলি-সম্মেলনের মাধ্যমে জটিল মামলার চিকিত্সা সহ সকল স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যবস্থা করেছে। শ্রী শাহ আরও বলেন, এই সময়ে সরকার উত্তর –পূর্ব ভারতের৩.০৯ কোটি মানুষকে ৭.৭ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য সরবরাহ করেছে। প্রধানমন্ত্রীর কিষান সম্মান নিধির আওতায় ৫৩৩ কোটি এবং জন ধন যোজনার আওতায় ১,৭০৭ কোটি টাকা সরাসরি দরিদ্র মানুষের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন যে স্বাধীনতার পরে দেশের জিডিপিতে উত্তর-পূর্ব ভারতের অংশ ২০ শতাংশ ছিল, কিন্তু তারপর থেকে ক্রমে কমতে কমতে এখন তা অনেক নিচে নেমে এসেছে । তিনি উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে পর্যটন শিল্পের কেন্দ্র এবং আইটি এবং জৈব চাষের কেন্দ্র করে তুলে ২০২৪ সালের মধ্যে দেশের জিডিপিতে উত্তর-পূর্বের অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে এই পরিকল্পনাকে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘অ্যাক্ট ইস্ট’নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলে উল্লেখ করেন। শ্রী শাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে উত্তর-পূর্বের আটটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা এগিয়ে চলেছেন এবং তারা আত্মবিশ্বাসী যে খঅতি শীঘ্রই উত্তর-পূর্বাঞ্চল দেশের জন্য উন্নয়নের নতুন ইঞ্জিনে পরিণত হবে।
"ডেস্টিনেশন নর্থ ইস্ট -২০২০"এর প্রতিপাদ্য ‘দ্য ইমার্জিং ডিলেক্টিভ ডেস্টিনেশন’- এ এক্ষেত্রে গতি বাড়াতে পর্যটন গন্তব্যগুলিকে আরও শক্তিশালী ও আকর্ষণীয় করে তোলার উপায়গুলি নিয়ে এবং সেগুলির প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা হবে। অনুষ্ঠানটি মূলত পর্যটনকে কেন্দ্র করে। "ডেস্টিনেশন নর্থ ইস্ট -২০২০" উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রকের একটি ক্যালেন্ডার ইভেন্ট, এর লক্ষ্য উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সম্পর্ক নিবিড় করা এবং জাতীয় সংহতিকে জোরদার করা।
চার দিনের এই উৎসবে রাজ্যগুলি ও আঞ্চলিক পর্যটন কেন্দ্রগুলির অডিও ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনা, রাজ্যের বিখ্যাত এবং সফল ব্যক্তিদের বার্তা, বিশিষ্ট স্থানীয় শিল্পোদ্যোগীদের বার্তা এবং হস্তশিল্প / ঐতিহ্যবাহী ফ্যাশন / এবং স্থানীয় পণ্যগুলির ভার্চুয়াল প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রয়েছে। এই আটটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং পর্যটনমন্ত্রী এই কর্মসূচিতে বিশেষ বার্তা দেবেন। পাশাপাশি, রাজ্যগুলি তাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং মিশ্র সংস্কৃতির নানা নিদর্শন প্রস্তুত করবে।
CG/SB
(Release ID: 1659716)
Visitor Counter : 182