স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হু-র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের ৭৩ তম অধিবেশনে ডাঃ হর্ষবর্ধনের অংশগ্রহণ

Posted On: 09 SEP 2020 3:04PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০

 



কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ হর্ষবর্ধন আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু-র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের ৭৩ তম অধিবেশনে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে হু-র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের অধিকর্তা ডঃ পুনম ক্ষেত্রপাল সিং উপস্থিত ছিলেন।


এই প্রথম কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে দুদিনের অনুষ্ঠান পুরোপুরি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। থাইল্যান্ড সরকার এই ৭৩ তম অধিবেশন আয়োজন করেছে। গতবার এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছিল দিল্লিতে। অনুষ্ঠানে থাইল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী তথা সেদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিষ্টার আনুতিন চার্নভিরাকুল কোভিড-১৯ এর কারণে প্রাণহানির জন্য গভীর সমবেদনা জানান। তিনি এই দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলের সামনের সারির করোনা যোদ্ধাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, এই সামনের সারির করোনা যোদ্ধারা নিজেদের জীবন বিপন্ন করে সমস্ত প্রতিকূলতাকে জয় করে মানুষের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করেছেন।


অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ হর্ষবর্ধন এই দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলে করোনা সংক্রমণ রোধে সম্মিলিত প্রয়াসের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব। এই অঞ্চলে জনস্বাস্থ্যের সমস্যার বিষয়ে আলোকপাত করেন এবং আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজে বের করা অত্যন্ত জরুরি বলে জানান তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে ১১টি সদস্য দেশ রয়েছে। এই দেশগুলির জনসংখ্যা  বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ। তাই এইসব দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন। তবেই বিশ্বে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সুস্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভবপর হবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্যই হলো সকলের জন্য সুস্বাস্থ্য’। অদূর ভবিষ্যতে সকলের সঙ্গে সরাসরি এবং নিরাপদে সাক্ষাৎ সম্ভবপর হবে বলেও আশাপ্রকাশ করেন তিনি।


বৈঠকে ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে ডাঃ হর্ষবর্ধন দেশের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন সেই প্রসঙ্গও তুলে ধরেন। শ্রী মোদী নাগরিকদের জীবন জীবিকাকে মহামারীর হাত থেকে রক্ষার্থে এবং সংক্রমণ প্রশমনে কোনো পথই বাকি রাখেন নি। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ভারতের প্রতিশ্রুতির কথা জানাতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ২০১৭ সালে জাতীয় স্বাস্থ্য নীতির কথা বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেন। দেশের সকল নাগরিকদের স্বাস্থ্য পরিষেবার মধ্যে নিয়ে আসতে কেন্দ্রীয় সরকার যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সে প্রসঙ্গও তুলে ধরেন তিনি। এর পাশাপাশি ২০১৮ সালে চালু হওয়া আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের আওতায় সার্বিক স্বাস্থ্য পরিষেবার বিষয়ের কথা জানান। তিনি বলেন, এই প্রকল্প বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বৃহত্তম সরকার পোষিত স্বাস্থ্য প্রকল্প। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে, ভারতে সবচেয়ে কম খরচে ওষুধ কেনার জন্য জন ঔষুধি কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এখান থেকে সাশ্রয়ী মূল্যের ওষুধ কিনতে পারবেন সাধারণ মানুষ।


কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী পোলিও নির্মূল, মাতৃত্বকালীন এবং নবজাতক শিশুর মৃত্যু হ্রাস-এর মতো একাধিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে দেশ থেকে যক্ষা নির্মূলের লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য পরিচালন ক্ষেত্রে বহুপাক্ষিক সুবিধার কথাও তুলে ধরেন তিনি। ‘২০২২ সালের মধ্যে সকলের জন্য গৃহ, স্বচ্ছ ভারত অভিযান, পুষ্টি মিশন, দক্ষতা উন্নয়ন, স্মার্ট শহর গঠন, ফিট ইন্ডিয়া, ইট রাইট ইন্ডিয়া’ ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে বহুপাক্ষিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান। জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের ফলে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতিসাধন প্রয়োজন বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।


দেশের মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতি সাধনে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিভঙ্গির বর্ণনা করতে গিয়ে ডাঃ হর্ষবর্ধন জাতীয় ডিজিটাল স্বাস্থ্য মিশনের সুযোগ সুবিধার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এতে প্রত্যেক ভারতবাসীকে একটি করে ডিজিটাল স্বাস্থ্য আইডি প্রদান করা হবে। এতে প্রত্যেক ব্যক্তির স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য থাকবে। স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বৃদ্ধির কথাও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

 

 


CG/SS/SKD



(Release ID: 1652845) Visitor Counter : 212