স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক
ডঃ হর্ষ বর্ধন ডিজিটাল পদ্ধতিতে কর্ণাটকের বাল্লারিতে বিজয়নগর ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস সুপার স্পেশালিটি ট্রমা সেন্টারের উদ্বোধন করেছেন
प्रविष्टि तिथि:
31 AUG 2020 4:08PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ৩১ আগস্ট, ২০২০
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডঃ হর্ষ বর্ধন এবং কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বি এস ইয়েদুরিয়াপ্পা আজ কর্ণাটকের বাল্লারিতে বিজয়নগর ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস সুপার স্পেশালিটি ট্রমা সেন্টার ডিজিটাল পদ্ধতিতে জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন। এই সুপার স্পেশালিটি ট্রমা সেন্টার উদ্বোধনের অব্যবহিত পর, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে এক্সপ্রেস ফিডার লাইন, আইসিইউ ওয়ার্ড এবং ১৩ কেএল লিকুইড মেডিকেল অক্সিজেন ট্যাঙ্কের উদ্বোধন করেন। এই অনুষ্ঠানে কর্ণাটকের চিকিৎসা-শিক্ষা মন্ত্রী ডঃ কে সুধাকর উপস্থিত ছিলেন। বিল্লারির বিজয়নগর ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস-এর সুপার স্পেশালিটি ট্রমা সেন্টারটি গড়ে তুলতে খরচ হয়েছে ১৫০ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষা যোজনার আওতায় এই সেন্টারটি গড়ে তোলা হয়েছে। ট্রমা সেন্টারে আপৎকালীন পরিষেবা বিভাগ ও ট্রমা কেয়ার সহ নিউরো সার্জারি ও অর্থোপেডিক্স বিভাগ রয়েছে। সদ্য গড়ে ওঠা ট্রমা সেন্টারটিতে মোট আটটি অপারেশন থিয়েটার রয়েছে যার মধ্যে ছয়টি মডিউলার-১, ২০০টি সুপার স্পেশালিটি শয্যা, ৭২টি আইসিইউ শয্যা, ২০টি ভেন্টিলেটর এবং অত্যাধুনিক সিটি স্ক্যান তথা ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন থাকছে। এছাড়াও, স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ২৭ জন চিকিৎসা-বিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রী এই ট্রমা কেয়ার সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন।
এই উপলক্ষে ডঃ হর্ষ বর্ধন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ব্যক্তিগত আগ্রহের কথা স্মরণ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষা যোজনার তৃতীয় পর্যায়ের কাজকর্ম এগিয়ে নিয়ে যাতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। ২০১৯-এ বাল্লারিতে এ ধরনের ট্রমা কেয়ার সেন্টার গড়ে তোলার এক বছরের মধ্যেই এই কাজ বাস্তবায়িত হয়েছে। তিনি আরও জানান, উন্নয়নে আগ্রহী জেলাগুলিতে ৭৪টি মেডিকেল কলেজ চালু করার কাজ পুরোদমে চলছে। কর্ণাটকে এইমস-এর ধাঁচে একটি নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার এবং আরও চারটি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলেও ডঃ হর্ষ বর্ধন জানান। তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় অর্থ সহায়তায় ১৫৭টি মেডিকেল কলেজ চালু হয়েছে এবং রাজ্য প্রশাসন এগুলির নজরদারি করছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের ১ লক্ষ ৫০ হাজার আয়ুষ্মান ভারত-স্বাস্থ্য ও রোগীকল্যাণ কেন্দ্র চালু করার অঙ্গীকারের কথা পুনরায় উল্লেখ করে ডঃ হর্ষ বর্ধন জানান, ২০২৫-এর মধ্যে বিশ্ব জুড়ে যক্ষ্মা, স্মল পক্স ও পোলিও দূরীকরণের যে লক্ষ্য স্থির হয়েছে, সরকার তা পূরণে অঙ্গীকারবদ্ধ। এই সময়ের মধ্যেই রুবেলা ভাইরাসও দূর করা হবে বলে তিনি জানান। 'ইট রাইট ইন্ডিয়া' এবং ফিট ইন্ডিয়া অভিযানের কথা উল্লেখ করে ডঃ হর্ষ বর্ধন বলেন, এই কর্মসূচিগুলি দেশকে সুস্থ-সবল করে তুলতে পরিপূরক ভূমিকা পালন করবে। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী রাজ্য কর্তৃপক্ষ ও নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন কর্মসূচির ওপর নজর রাখার অনুরোধ জানান যাতে কর্ণাটক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন কর্মসূচির রূপায়ণে অগ্রণী ভূমিকা নিতে পারে।
সংক্রমণ শৃঙ্খল ভেঙে ফেলে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে কর্ণাটকের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর দৃঢ়চেতা নেতৃত্বের ফলে বাল্লারির মতো পিছিয়ে পড়া এলাকাও এবার থেকে উন্নয়নের সুফল উপভোগ করতে পারবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ইয়েদুরিয়াপ্পা কর্ণাটকে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সক্রিয় ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে গুলবার্গাতে ইএসআই হাসাপাতালটির মানোন্নয়নের বিভিন্ন দিক বিবেচনা করার অনুরোধ জানান।
অনুষ্ঠানে রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী ও সরকারি আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন।
CG/BD/DM
(रिलीज़ आईडी: 1650059)
आगंतुक पटल : 285