পর্যটনমন্ত্রক

কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রক দেখো আপনা দেশ সিরিজের আওতায় ‘হায়দ্রাবাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ শীর্ষক ৫০তম ওয়েবিনারের আয়োজন

Posted On: 24 AUG 2020 6:16PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ২৫ আগস্ট, ২০২০

 

 


    কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রক শনিবার (২২শে আগস্ট) দেখো আপনা দেশে সিরিজের আওতায় ‘হায়দ্রাবাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ শীর্ষক ৫০তম ওয়েবিনারের আয়োজন করে। ভারতের পর্যটন স্থল সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি এবং দেশের জনপ্রিয় গন্তব্য স্থানগুলির মতো কম পরিচিত স্থানগুলিকে প্রচারের আলোয় নিয়ে আসতে পর্যটন মন্ত্রক বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’ কর্মসূচিতে উৎসাহদানে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।


    ‘হায়দ্রাবাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ শীর্ষক ওয়েবিনারটি উপস্থাপন করেন ঐতিহ্য শিক্ষা বিষয়ক বিশিষ্ট পরামর্শদাতা শ্রীমতি মধু ভোতরে। এই ওয়েবিনারের মাধ্যমে হায়দ্রাবাদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয়। নিজাম শাসনকালের সময় থেকে হায়দ্রাবাদের স্থাপত্য, খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাত্রা এবং পুরনো শহরে ভাষার বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। হায়দ্রাবাদের সাহিত্য ও চারুকলায় সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রয়েছে। হায়দ্রাবাদী ঐতিহ্যের সাক্ষ্য বহন করে নিয়ে চলে সেখানকার বেশ কয়েকটি জাদুঘর, আর্ট গ্যালারি।


    অনুষ্ঠানে শ্রীমতি ভোতরে হায়দ্রাবাদ কিভাবে ‘মুক্তের শহর’ এবং ‘নিজামের শহর’ নামে পরিচিতি লাভ করেছিল ও কুতুবশাহী রাজবংশের সূচনালগ্ন থেকে এই শহর কিভাবে প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছিল তা তুলে ধরেন। একইসঙ্গে হায়দ্রাবাদ যে ঐতিহ্যহাসিক ঐতিহ্যের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল সেকথাও জানান তিনি। শহরটি পরে মুঘল সাম্রাজ্যের দখলে আসে এবং শেষ পর্যন্ত আসফ জাহি রাজবংশের হাতে পড়ে। হায়দ্রাবাদের সংস্কৃতি আজও রাজকীয় অতীত বহন করছে। সেখানকার খাদ্যাভ্যাস, চার্মিনার, গোলকুন্ডার দূর্গের মতো এক একটি স্থাপত্য নির্দশন গৌরবময় ইতিহাসেরই স্বাক্ষ্য বহন করে নিয়ে চলেছে। অনুষ্ঠানে হায়দ্রাবাদের চৌমহল্লা প্রাসাদ, পুরানী হাভেলী, মক্কা-মসজিদ, কুতুবশাহী সৌধ, সালার জং জাদুঘর, ওয়ারাঙ্গল দূর্গ, কুতুবশাহী উডেন প্লেসের মতো একাধিক ঐতিহ্যশালী স্থানগুলির বিষয়ে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়।


    অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের অতিরিক্ত মহানির্দেশক রুপিন্দর ব্রার হায়দ্রাবাদের রেল, সড়ক, বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, হায়দ্রাবাদে কিভাবে আন্তর্জাতিক মানের বিমান বন্দর গড়ে তোলা হয়েছে। এরফলে মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে উঠেছে। শ্রীমতি ব্রার বলেন, পুরনো এই শহরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির মাধ্যমে দর্শকরা ইতিহাস সম্পর্কে জানার সুযোগ পেয়েছেন। আগামীদিনেও এই ধরণের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও আশা ব্যক্ত করেন তিনি।


    আগামী ২৯শে আগস্ট ‘হাম্পি শহরের অন্বেষণ’ শীর্ষক পরবর্তী ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়েছে। ওয়েবিনারগুলি এখন পর্যটন মন্ত্রকের ইউটিউব চ্যানেলেও দেখা যাবে। লিঙ্কটি হল-

https://www.youtube.com/channel/UCbzIbBmMvtvH7d6Zo_ZEHDA/




CG/SS/NS



(Release ID: 1648434) Visitor Counter : 226