প্রতিরক্ষামন্ত্রক

২০২০-র স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের প্রাক কথন

प्रविष्टि तिथि: 14 AUG 2020 7:40PM by PIB Kolkata

নতুনদিল্লি, ১৪ই আগস্ট, ২০২০

 



প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ৭৪তম স্বাধীনতা দিবসে আগামীকাল লালকেল্লা থেকে মূল অনুষ্ঠানের নেতৃত্ব দেবেন। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর তিনি ঐতিহাসিক প্রাকার থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।

শ্রী মোদী সকাল ৭টা১৮মিনিটে লালকেল্লার লাহোর গেটে পৌছাবেন। সেখানে তাঁকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী শ্রী রাজনাথ সিং এবং প্রতিরক্ষা সচিব ডঃ অজয় কুমার স্বাগত জানাবেন। 


এর পর প্রতিরক্ষা সচিব দিল্লির জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল বিজয় কুমার মিশ্রের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর পরিচয় করাবেন। জিওসি এর পরে প্রধানমন্ত্রীকে অভিবাদন স্থলে নিয়ে যাবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে অভিবাদন জানানোর পর তাঁকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হবে। 


এই বছর সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল গৌরব এস ইয়েওয়াল্কর এই কুচকাওয়াজের সমন্বয় করবেন। সেনাবাহিনীর ২৪ জন সদস্যকে মেজর পালবিন্দর গ্রেওয়াল, নৌবাহিনীর ২৪ জন সদস্যকে লেফট্যানেন্ট কমান্ডার কে ভি আর রেড্ডি, বিমান বাহিনীর ২৪ সদস্যকে স্কোয়াড্রন লিডার বিকাশ কুমার ও দিল্লি পুলিশের ২৪ হন সদস্যকে অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার শ্রী জীতেন্দ্র কুমার মীনা নেতৃত্ব দেবেন౼এঁরা এই কুচকাওয়াজে যোগ দেবেন। 

লেফট্যানেন্ট কর্নেল জে টি ইভাটের যোগ্য নেতৃত্বে ১৯০১ সালের পয়লা মার্চ ল্যান্সডাউনে গাড়োয়াল রাইফেলের দ্বিতীয় ব্যাটেলিয়ান গড়ে ওঠে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই ব্যাটেলিয়ানের একশ বছরের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে এই বাহিনীর সদস্যদের শৌর্যের জন্য ব্যাটেলিয়ানের সদস্যদের ‘ইলেভেন ব্যাটেল’-এ সম্মানিত করা হয়। 


স্বাধীনতার পর ১৯৬৫-র যুদ্ধে এই ব্যাটেলিয়ানের সদস্যরা সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁরা ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ এবং ২০০৫ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত অপারেশন রক্ষকেও অংশ নিয়েছিলেন। এই ব্যাটেলিয়ান ৮০র বেশী জঙ্গিকে শেষ করেছে। 


গার্ড অফ অনারের পর প্রধানমন্ত্রী যাবেন লালকেল্লার প্রাকারে। সেখানে তাঁকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী শ্রী রাজনাথ সিং, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনেরাল বিপিন রাওয়াত, সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এম এম নারাভানে, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল করমবীর সিং ও বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আর কে এস ভাদোরিয়া অভিনন্দন জানাবেন। এরপর জিওসি দিল্লি,    প্রধানমন্ত্রীকে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের জায়গায় নিয়ে যাবেন।


জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় ন্যাশনাল গার্ড জাতীয় পতাকাকে রাষ্ট্রীয় স্যালুট জানাবে।  জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় এবং রাষ্ট্রীয় স্যালুটের সময় সামরিক বাহিনীর ব্যান্ড জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করবে। সুবেদার মেজর আব্দুল গনি জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার সময় তা পরিচালনা করবেন। এই সময় সকলে উঠে দাঁড়াবেন।

মেজর শ্বেতা পান্ডে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় প্রধানমন্ত্রীকে সাহায্য করবেন। ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকা উত্তোলনের সময় ২২৩৩ ফিল্ড ব্যাটারির সসদ্যরা লেফটেন্যান্ট কর্নেল জীতেন্দ্র সিং মেহতার নেতৃত্বে ২১বার গান স্যালুট দেবেন।


প্রধানমন্ত্রী যখন জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন, সেই সময় পতাকার রক্ষী হিসেবে সেনা বাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও দিল্লি পুলিশের ৩২ জন করে সদস্য এক জন আধিকারিকের নেতৃত্বে উপস্থিত থাকবেন। সেনাবাহিনীর মেজর সূর্য প্রকাশ, নৌবাহিনীর লেফট্যানেন্ট কমান্ডার বিবেক টিংলো, বিমান বাহিনীর স্কোয়াড্রেন লিডার মায়াংক অভিষেক, দিল্লি পুলিশের অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার শ্রী সুধাংশু ধামা এই নেতৃত্বদানের কাজটি করবেন।


ন্যাশনাল ফ্ল্যাগ গার্ড-এর সদস্যরা প্রথম গোর্খা রাইফেলসের পঞ্চম ব্যাটেলিয়ানের থেকে এই পতাকা গ্রহণ করবে। ১৯৪২ সালের জানুযারি মাসে এই ব্যাটেলিয়ান ধর্মশালায় তৈরি হয়েছিল। এরপরে ১৯৪৬ এর ডিসেম্বরে ব্যাটেলিয়ান ভেঙে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ১৯৬৫ সালের জানুয়ারীতে হিমাচল প্রদেশের সোলানে এই বাহিনী আবারো গঠিত হয়। 


১৯৭১সালে পূর্ব পাকিস্তানে ‘অপারেশন ক্যাকটাস লিলি’ পরিচালনার জন্য এই বাহিনী তিনটি মহাবীর চক্র ও দুটি বীর চক্র পেয়েছে। ২০০৮-২০০৯ সালে এই ব্যাটেলিয়ান সুদানে রাষ্ট্রসংঘের মিশনে কাজ করেছে। বর্তমানে এই ব্যাটেলয়ান রাষ্ট্রপতির পাহারায় নিযুক্ত।


জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। ভাষণের পর জাতীয় সমর শিক্ষার্থী বাহিনীর সদস্যরা জাতীয় সঙ্গীত গাইবেন। সেই সময় উপস্থিত সকলে উঠে দাঁড়িয়ে গান গাইবেন।


রাষ্ট্রীয় আবেগের এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ৫০০ জন জাতীয় সমর শিক্ষার্থী বাহিনীর (সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী)  সদস্যরা অংশ নেবেন।

 


CG/CB


(रिलीज़ आईडी: 1645979) आगंतुक पटल : 267
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें: English , Urdu , हिन्दी , Marathi , Manipuri , Punjabi , Gujarati , Odia , Tamil