ক্রেতা, খাদ্যএবংগণবন্টনমন্ত্রক
সুফলভোগীদের চিহ্নিতকরণের পদ্ধতি নিয়ম অনুযায়ী সারা দেশেই অভিন্ন; জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় সুফলভোগীদের চিহ্নিতকরণের প্রাথমিক দায়িত্ব রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির : খাদ্য ও গণবন্টন দপ্তর
Posted On:
30 JUL 2020 2:27PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ৩০ জুলাই, ২০২০
জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন, ২০১৩-র আওতায় বিহারে রেশন কার্ড বিলির ক্ষেত্রে প্রকৃত নয়, এমন সুফলভোগীদের চিহ্নিতকরণ তথা পক্ষপাতমূলক আচরণ হয়েছে বলে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেই প্রেক্ষিতে এক শ্রেণীর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর কেন্দ্রীয় খাদ্য ও গণবন্টন দপ্তরের পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে দপ্তরের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বলা হয়েছে, জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় সুফলভোগীদের চিহ্নিতকরণের প্রাথমিক দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলির। এমনকি, সুফলভোগীদের চিহ্নিতকরণের ক্ষেত্রে যে সমস্ত নির্দেশাবলী রয়েছে তার ভিত্তিতেই স্থির করা হয়। বিহারে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের সুফলভোগীদের চিহ্নিতকরণের ক্ষেত্রে কোনরকম কারচুপি বা বৈষম্য করা হয়নি বলেও দপ্তরের পক্ষ সুস্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আরও বলা হয়েছে, দেশের সমস্ত রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নিয়ম মোতাবেক সুফলভোগীদের চিহ্নিতকরণের পদ্ধতি এক ও অভিন্ন।
২০১৩-র জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় বিহারে প্রায় ৮ কোটি ৭১ লক্ষ সুফলভোগী রয়েছেন। এর মধ্যে ২৫ লক্ষ অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনার অধীন পরিবার রয়েছে।
খাদ্য ও গণবন্টন দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত মে মাসে বিহার রাজ্য সরকার দপ্তরের কাছে মাসিক বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ানোর অনুরোধ জানায়। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ৮ কোটি ৭১ লক্ষ সুফলভোগীর সকলের কাছেই জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দিতেই বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ানোর অনুরোধ করা হচ্ছে। রাজ্যের এই অনুরোধের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে বিহারে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় সুফলভোগীদের জন্য মাসিক বরাদ্দ বৃদ্ধির বিষয়টি দ্রুত অনুমোদন করা হয় যাতে ৮ কোটি ৭১ লক্ষ সুফলভোগীর প্রত্যেকেই এই আইনের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় খাদ্য ও গণবন্টন দপ্তরের পক্ষ থেকে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় সমস্ত সুফলভোগীর কাছে সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার ব্যাপারে বিহার সরকারের কাছ থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এ প্রসঙ্গে জানানো হয়েছে রাজ্যে বর্তমানে নিষ্ক্রিয় রেশন কার্ডের সংখ্যা ১৫ লক্ষ এবং আইন অনুযায়ী এই কার্ডগুলি বাতিল করার প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়াও, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে প্রায় ২৩ লক্ষ ৩৯ হাজার নতুন রেশন কার্ড বন্টন করা হয়েছে। বর্তমানে রাজ্যে যে ১ কোটি ৪১ লক্ষ চালু রেশন কার্ড রয়েছে, এগুলি তার অতিরিক্ত। জুলাই মাসে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় সুফলভোগীদের প্রাপ্য বন্টনের পর ওই তালিকা সংশোধন করে চূড়ান্ত করা হবে বলেও রাজ্যের পক্ষ থেকে কেন্দ্রকে জানানো হয়েছে। উল্লেখ করা প্রয়োজন, গণবন্টন ব্যবস্থার আওতায় সুফলভোগীদের খাদ্যশস্য বিতরণের জন্য বিহার রাজ্য সরকারের নিজস্ব কোন কর্মসূচি নেই।
জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি বছর বিহারকে প্রায় ৫৫ লক্ষ ২৪ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য সরবরাহ করে। এজন্য ভর্তুকিবাবদ ১৬,৫০০ কোটি টাকা খরচ হয়। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় সুফলভোগীদের খাদ্যশস্য বন্টনের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনার আওতায় চলতি বছরের এপ্রিল থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত বন্টনের জন্য ইতিমধ্যেই প্রায় ৩৪ লক্ষ ৮০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য অতিরিক্ত ভর্তুকি মূল্যে রাজ্য সরকারকে দেওয়া হয়েছে। ভর্তুকিবাবদ এই খাতে ব্যয় হয়েছে ১২,০৬১ কোটি টাকা। এমনকি, আত্মনির্ভর ভারত প্যাকেজের আওতায় প্রায় ৩২২ কোটি টাকার ভর্তুকি মূল্যে ৮৭ লক্ষের মতো প্রবাসী শ্রমিকদের দুই মাসে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য বন্টনের জন্য ৮৬,৪০০ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য ইতিমধ্যেই রাজ্যকে সরবরাহ করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় খাদ্য ও গণবন্টন দপ্তরের পক্ষ থেকে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, বিহারে প্রকৃতপক্ষেই দুর্গত ব্যক্তি / পরিবারগুলিকে ভর্তুকিতে খাদ্যশস্য প্রদানের জন্য সর্বাত্মক উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
CG/BD/DM
(Release ID: 1642347)
Visitor Counter : 194