ক্রেতা, খাদ্যএবংগণবন্টনমন্ত্রক

শ্রী রামবিলাস পাসোয়ান চিনি ক্ষেত্রের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খাদ্য ও গণবন্টন ক্ষেত্রের আধিকারিকদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন

Posted On: 08 JUN 2020 8:51PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ৮ জুন, ২০২০

 

 


কেন্দ্রীয় খাদ্য, গণবন্টন ও ক্রেতা বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী শ্রী রামবিলাস পাসোয়ান আজ খাদ্য এবং গণবন্টন দপ্তরের সচিব শ্রী শীর্ষেন্দু পাণ্ডে ও শীর্ষ  দপ্তরের আধিকারিকের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন। বৈঠকে তিনি আখ উৎপাদন, আখ চাষিদের বকেয়া পরিশোধ, ইথানল উৎপাদন এবং অন্যান্য বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। শ্রী পাসোয়ান আখ চাষিদের বকেয়া সময়মতো প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা জারি করতে বলেন আধিকারিকদের। মন্ত্রী জানান, এ বছর ২৭০ লক্ষ টন চিনি উৎপাদিত হতে পারে।

চলতি ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে চিনি ক্ষেত্রের জন্য সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ :

৪০ লক্ষ মেট্রিক টন চিনির বাফার স্টক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকার ১,৬৭৪ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। ৬০ লক্ষ মেট্রিক টন চিনি রপ্তানির জন্য চিনি কলগুলিকে ১০,৪৪৮ কোটি টাকা (মেট্রিক টন পিছু) সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এর জন্য সরকারের খরচ হয়েছে প্রায় ৬,২৬৮ কোটি টাকা।

২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে চিনি ক্ষেত্রে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ:

২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে চিনি কলগুলিকে ক্যুইন্টাল পিছু ১৩.৮৮ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এর জন্য সরকারের খরচ হয়েছে ৩,১০০ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে দেশ থেকে চিনি রপ্তানির সুবিধার্থে অভ্যন্তরীণ পরিবহণ, পরিচালন ব্যবস্থা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যয় হ্রাস করার জন্য চিনি কলগুলিকে মোট ৯০০ কোটি টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

গৃহীত পদক্ষেপের প্রভাব:

এই ব্যবস্থাগুলি গ্রহণ করার ফলে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে চিনি কলগুলিকে আখ ক্রয়ের ক্ষেত্রে ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে প্রায় ৮৬,৭২৩ কোটি টাকা। আখ চাষিদের ৮৫,৯৫৬ কোটি টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। রাজ্যগুলির পরামর্শযুক্ত দামের ভিত্তিতে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে বকেয়া ৭৬৭ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

২০১৯-২০ অর্থবর্ষে আখ চাষিদের বকেয়া ৬৬,৯৩৪ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ৬৯ শতাংশ বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আগামী চার মাসের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ:

কোভিড-১৯-এর কারণে দেশব্যাপী লকডাউনের জেরে চাহিদা কমে যাওয়ার ফলে চিনির ব্যবহার প্রায় ১০ মেট্রিক টন কমে গেছে। এর ফলে, চিনি কলগুলির আয়ও কমেছে। কিন্তু এখন লকডাউন ধীরে ধীরে তুলে নেওয়ার ফলে এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন দিক খুলে যাওয়ার জন্য চিনির বিক্রি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী চার মাসের মধ্যে এ ক্ষেত্রে ভারসাম্য ফিরে  আসবে। চলতি বছরের জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে আশা করা যাচ্ছে চিনি বিক্রির পরিমাণ দাঁড়াবে ৮৪ লক্ষ মেট্রিক টন। আগামী চার মাসে ১০ লক্ষ মেট্রিক টন চিনি রপ্তানি করা যাবে বলেও মনে করা হচ্ছে। এতে চিনি কল মালিকদের ৩০ হাজার কোটি টাকা আয়েরও সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও, খাদ্য ও গণবন্টন দপ্তর চলতি মাসে চিনি কলগুলিকে রপ্তানি ও বাফার স্টকের ভর্তুকি বাবদ ১,১০০ কোটি টাকা সহায়তা প্রদান করবে। যা  দেশের চিনি কলগুলিকে তাদের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে এনে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে।

অতিরিক্ত চিনি ইথানলে রূপান্তর এবং এর মাধ্যমে কৃষকদের বকেয়া ছাড়ের জন্য সরকারের উদ্যোগ:

ইথানল চিনির ক্ষেত্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে থাকে। ২০২২ সালের মধ্যে সমস্ত চিনি কলগুলিকে আখ এবং চিনির জ্বালানির মাত্রা ১০ শতাংশ কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। সরকার বর্তমানে চিনি এবং চিনির শিরার থেকে ইথানল তৈরির অনুমতি দিয়েছে। ৩৬২টি চিনি কলকে ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ৮,৬৪৩ কোটি টাকা ঋণ প্রদানেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৬৪টি চিনি কলকে ৩,১১৪ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর করা হয়েছে। ইতিমধ্যে , ৩৮টি চিনি কলকে ১,৩১১ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। ব্যাঙ্কগুলিতে ঋণের আবেদন করলে দ্রুততার সঙ্গে যাতে ঋণ মেলে তার জন্য অর্থ  দপ্তরকে অনুরোধ করা হয়েছে। যেসব চিনি কলগুলির পাতন ক্ষমতা রয়েছে , তাদেরকে সেই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ইথানল উৎপাদনের জন্য  সর্বাধিক পরিমাণে বি-ভারী গুড় এবং চিনির সিরাপ তৈরিতে  উৎসাহ দেওয়া হয়েছে ।

২০১৯-২০ অর্থবর্ষের অক্টোবর থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মজুতের অবস্থান:

(১) ১ অক্টোবর, ২০১৯-এর হিসেব অনুযায়ী শুরুতে মজুতের পরিমাণ ছিল ১৪৫ লক্ষ মেট্রিক টন।
(২) ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে আখ চাষের মরশুমে উৎপাদনের পরিমাণ ২৭০ লক্ষ মেট্রিক টন।
(৩)অভ্যন্তরীণ ব্যবহার  পরিমাণ ২৫০ লক্ষ মেট্রিক টন।
(৪) ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে আখ চাষের মরশুমে রপ্তানির পরিমাণ ৫৫ লক্ষ মেট্রিক টন।
(৫) ২০২০-র ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মজুত ধরা হচ্ছে ১১৫ লক্ষ মেট্রিক টন।
(৬) ৩০শে এপ্রিল পর্যন্ত মজুতের পরিমাণ  ছিল ২৩৫ লক্ষ মেট্রিক টন।

 



CG/SS/DM


(Release ID: 1630361) Visitor Counter : 258