ক্রেতা, খাদ্যএবংগণবন্টনমন্ত্রক

সরকারি সংস্থাগুলির গম সংগ্রহের পরিমাণ গত বছরের পরিমাণকে ছাড়িয়ে গেছে

Posted On: 25 MAY 2020 12:17PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ২৫ মে, ২০২০




সরকারি সংস্থাগুলির গম সংগ্রহের পরিমাণ গত বছরের গম  সংগ্রেহের পরিমাণকে ছাড়িয়ে গেছে। সংস্থাগুলিতে গত বছরে গম সংগ্রহের পরিমাণ ছিল ৩৪১.৪১ লক্ষ মেট্রিক টন। চলতি বছরে ২৪শে মে পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুয়ায়ী গম সংগ্রহের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৪১.৫৬ লক্ষ মেট্রিক টন ।কোভিড-১৯ ভাইরাস সংক্রমণ এবং দেশব্যাপী লকডাউনের মতো সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে ছাপিয়ে এই গম সংগ্রহের পরিমাণ বেড়েছে। সাধারণত প্রতি বছর  মার্চ মাসের শেষের দিকে গম চাষ শুরু হয় এবং  এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে তা সংগ্রহ করা  হয়। কিন্তু এ বছর ২৪ তারিখ মধ্য রাত থেকে লকডাউন জারি হওয়ার ফলে সমস্ত কার্যকলাপ স্থগিত হয়ে যায়। এদিকে ততদিনে ফসল পাকতে শুরু করে এবং ফসল তোলার উপযুক্ত  হয়ে যায়। তাই সব দিক বিবেচনা করে ভারত সরকার লকডাউন সময়কালে কৃষি ও সেই সম্পর্কিত কাজকর্ম শুরু করার ক্ষেত্রে শিথিলতা দেয় যাতে বেশিরভাগ রাজ্যই ১৫ই এপ্রিলের পর থেকে গম সংগ্রহ করতে পারে। হরিয়ানায় কিছুটা দেরিতে হলেও, ২০ এপ্রিলের পর থেকে গম সংগ্রহের কাজ  শুরু হয়েছে।


এই কাজে সময় সবথেকে বড় সমস্যা ছিল মহামারী সময় কালে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে গম সংগ্রহ সুনিশ্চিত করা।তাই সচেতনতা বৃদ্ধি, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং প্রযুক্তির বহুমাত্রিক ব্যবহারের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা গেছে। একাধিক গম সংগ্রহ কেন্দ্র তৈরি করা হয় যাতে কৃষকদের ভিড় এড়ানো যায় এবং কৃষকরা আলাদা-আলাদা ভাবে গম সংগ্রহ কেন্দ্রে আসতে পারেন। এজন্য গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরেও নতুন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছিল। প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষকদের পণ্য আনার জন্য নির্দিষ্ট তারিখ এবং স্থান আগে থেকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। একইসঙ্গে সামাজিক দূরত্বের নিয়মবিধি, স্যানিটাইজেশনের কাজও সঠিকভাবে করা হয়েছিল। প্রতিদিন নিলামের সময় কেবলমাত্র ফসলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ব্যক্তিদেরই উপস্থিত থাকার অনুমতি দেওয়া হয়।


    এই ভাইরাস সংক্রমণের জেরে গম সংগ্রহের ক্ষেত্রে তিনটি বড় সমস্যা ছিল। সমস্ত পাটকল বন্ধ থাকায় গম কেনার পর তা পাটের ব্যাগে ভর্তি করার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই সমস্যা মোকাবিলায় কঠোর শর্তবিধি মেনে প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার করা হয়। দেশের কোথাও যাতে প্যাকেজিং উপকরণের অভাবে গম ক্রয় বন্ধ না হয়ে যায় তা সুনিশ্চিত করা হয়। এর পাশাপাশি আর একটি সমস্যা দেখা দেয়, প্রধান গম উৎপাদক রাজ্যে অসময়ে বৃষ্টির ফলে গম জলের সংস্পর্শে এসে পচতে শুরু করে। এমনকি কৃষকদের গম মজুত করার ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দিয়েছিল। এক্ষেত্রে ভারত সরকারের ফুড কর্পোরোশন অফ ইন্ডিয়া দ্রুত হস্তক্ষেপ করে এবং বিশদে বিশ্লেষণ করার পর কৃষকরা যাতে কোনো সমস্যায় না পড়েন তা সুনিশ্চিত করে। তৃতীয় সমস্যাটি ছিল শ্রমিকের সমস্যা। করোনা ভাইরাসের ভয়ে জনসাধারণের মধ্যে ভয় তৈরি হয়েছিল। রাজ্য প্রশাসন স্থানীয় স্তরে একাধিক আত্মবিশ্বাস মূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে এই ভয় কাটাতে উদ্যোগ নিয়েছিল। শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য মাস্ক, স্যানিটাইজার ও অন্যান্য সতকর্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল।


    ভারত সরকার, এফসিআই, রাজ্য সরকার এবং তাদের এজেন্সিগুলির সমন্বিত প্রয়াসের ফলে সমস্ত উদ্বৃত্ত রাজ্য থেকে সুষ্ঠুভাবে গম সংগ্রহ সম্পন্ন করা গেছে। একইসঙ্গে কৃষকদের যথাযথ সাহায্য এবং কেন্দ্রীয় ভান্ডারে পুনরায় গম মজুত করা সম্ভব হয়েছে। 

 



CG/SS/NS


(Release ID: 1626738) Visitor Counter : 331