শ্রমওকর্মসংস্থানমন্ত্রক
কোভিড – ১৯ মহামারীর মোকাবিলায় শ্রমমন্ত্রীর কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক
Posted On:
06 MAY 2020 6:24PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ৬ মে, ২০২০
কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী, শ্রী সন্তোষ কুমার গাঙ্গোয়ার আজ নতুন দিল্লিতে ওয়েবিনারের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে, কোভিড – ১৯ মহামারীর প্রেক্ষিতে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের এবং অর্থনীতির ওপর যাতে কম প্রভাব পড়ে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচ্য বিষয়ের মধ্য ছিল, কোভিড – ১৯ এর প্রেক্ষিতে শ্রমিক ও পরিযায়ী শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষা, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, নতুন করে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড শুরু এবং শ্রম আইন অনুসারে অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পোদ্যোগীদের পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া। এই বৈঠকে, মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ আধিকারিক এবং সমস্ত কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির প্রতিনিধিরা অনলাইনের মাধ্যমে যোগ দেন।
মন্ত্রী, কোভিড – ১৯ এর প্রেক্ষিতে শ্রমিকদের নানা সমস্যার সমাধানে তাঁর মন্ত্রক, কি কি পদক্ষেপ নিয়েছে, সেবিষয়ে বিস্তারিত জানান। তিনি শ্রমিক সংগঠনগুলির কাছে অনুরোধ করেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কর্মচারীদের স্বার্থসুরক্ষার জন্য কি কি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, সেবিষয়ে তাঁরা যেন সুচিন্তিত পরামর্শ দেন।
কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি যে পরামর্শগুলি দিয়েছে, সেগুলি হল –
১) দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর জন্য আরো ট্রেনের ব্যবস্থা করা ও তাঁদের জন্য আর্থিক প্যাকেজ তৈরি করা।
২) পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য জাতীয়স্তরে নাম নথিভুক্তকরণের ব্যবস্থা করা, যাতে এই সমস্ত শ্রমিকরা কর্মসংস্থান সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহায়তা পান।
৩) অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পোদ্যোগীদের মধ্যে অতিক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য ঋণের সুদ মুকুব করা এবং ভর্তুকিযুক্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা।
৪) হোটেল, সিনেমা, ক্রীড়া ক্ষেত্র এবং অটোমোবাইল শিল্পের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা সরকারকে নিতে হবে। কারণ লকডাউনের ফলে এরা খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
৫) অতিক্ষুদ্র এবং ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে এই সব সংস্থাগুলির কর্মীরা লকডাউনের সময়ও পুরো মাইনে পেতে পারেন।
৬) আশা এবং অঙ্গনওয়াড়ী স্বেচ্ছাসেবকরা যেন তাঁদের যথাযথ পারিশ্রমিকের পান।
৭) শ্রমিকদের কাজের সময় বাড়ানো চলবে না।
৮) শ্রম ও কর্মসংস্থান দপ্তরের নিয়ম অনুসারে তাদের মজুরি যেন না কমানো হয়।
৯) অসংগঠিত শিল্পের শ্রমিক এবং দিনমজুরদের জন্য আর্থিক সহায়তা ও বিনামূল্যে রেশনের ব্যবস্থা করা।
১০) সরকারকে কৃষিপণ্য সংগ্রহ করতে হবে। যাতে খেতমজুররা তাদের জমির মালিকের থেকে প্রাপ্য মজুরি পান।
১১) পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার সময় তাদের থেকে ট্রেনের ভাড়া নেওয়া চলবে না।
আগামী ৮ই মে, মন্ত্রক, মালিকপক্ষের সঙ্গেও একটি বৈঠক করবে।
CG/CB/SFS
(Release ID: 1621646)