ক্রেতা, খাদ্যএবংগণবন্টনমন্ত্রক
শ্রী রাম বিলাস পাসোয়ান বলেছেন - লকডাউন চলাকালীন অতিরিক্ত চাহিদা পূরণ করার পরেও এফসিআই-এর পর্যাপ্ত মজুত ভান্ডার রয়েছে
শ্রী পাসোয়ান বলেছেন, লকডাউন চলাকালীন এফসিআই, উন্মুক্ত বাজার বিক্রয় প্রকল্পের মাধ্যমে ৪.৫০ এলএমটি গম এবং ৫.৬১ এলএমটি চাল বিক্রি করেছে
Posted On:
05 MAY 2020 7:21PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ৫ মে ২০২০
কেন্দ্রীয় ক্রেতাসুরক্ষা, খাদ্য ও গণবন্টন মন্ত্রী, শ্রী রাম বিলাস পাসোয়ান সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং সরকারের কাছে খাদ্যশস্য ও ডালের মোট মজুত ভান্ডার এবং এখনো পর্যন্ত রাজ্যগুলিতে কতটা পরিমান খাদ্যশস্য পাঠানো হয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন ।
গত চৌঠা মে’র রিপোর্ট অনুসারে, এফসিআইতে বর্তমানে ২৭৬.৬১ এলএমটি চাল এবং ৩৫৩.৪৯ এলএমটি গম রয়েছে বলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন। মোট ৬৩০.১০ এলএমটি খাদ্যশস্যের ভান্ডার রয়েছে। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন (এনএফএসএ) এবং অন্যান্য কল্যাণমূলক প্রকল্পের আওতায় এক মাসের জন্য প্রায় ৬০ এলএমটি খাদ্যশস্যের প্রয়োজন হয়।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন যে লকডাউনের পর, মজুত ভান্ডার থেকে প্রায় ৬৯.৫২ এলএমটি খাদ্যশস্য, রেলের ২৪৮৩ টি রেকের মাধ্যমে পরিবহন করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়েছে। রেলপথ ছাড়াও সড়ক ও নৌপথে খাদ্যশস্য পরিবহন করা হয়। মোট ১৩৭.৬২ এলএমটি খাদ্যশস্য পরিবহন করা হয়েছে। মোট ৫.৯২ এলএমটি শস্য উত্তর-পূর্ব রাজ্যে পাঠানো হয়েছে।
লকডাউন চলাকালীন, অসরকারী সংস্থা এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলি,ত্রাণ শিবিরগুলিতে খাদ্য সরবরাহ করতে উন্মুক্ত বাজার বিক্রয় প্রকল্পের (ওএমএসএস) হারে সরাসরি এফসিআই ডিপো থেকে গম এবং চাল কিনতে পারে। রাজ্য সরকারগুলিও সরাসরি এফসিআই থেকে খাদ্যশস্য কিনতে পারে। রাজ্য সরকারগুলি এনএফএসএ -র অন্তর্ভুক্ত নয় এমন পরিবারগুলিকে, যাদেরকে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার রেশন কার্ড বিলি করেছে তাদেরকে পরবর্তী তিন মাস ধরে চাল / গম সরবরাহ করতে পারে। উল্লেখ্য ওএমএসএস সম্পর্কিত একটি চিঠি পাঠিয়ে সমস্ত রাজ্য / কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী / প্রশাসকদের এনএফএসএ -র অন্তর্ভুক্ত নয় এমন দরিদ্র পরিবারকে রেশন দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। ওএমএসএসের আওতায় চালের দাম ২২ টাকা প্রতি কেজি এবং গম ২১ টাকা প্রতি কেজি নির্ধারিত করা হয়েছে। লকডাউন চলাকালীন ওএমএসএসের মাধ্যমে এফসিআই, ৪.৫০ এলএমটি গম এবং ৫.৬১ এলএমটি চাল বিক্রি করেছে।
“প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা”র আওতায়, আগামি ৩ মাসের জন্য মোট ১০৪.৪ এলএমটি চাল এবং ১৫.৬ এলএমটি গম প্রয়োজন যার মধ্যে ৫৯.৫০ এলএমটি চাল এবং ৮.১৪ এলএমটি গম বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সংগ্রহ করেছে। ৬ টি রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে গম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে – এগুলি হল- পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, চণ্ডীগড়, দিল্লি এবং গুজরাট এবং বাকি রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে চাল সরবরাহ করা হয়েছে। ভারত সরকার এই প্রকল্পে ১০০% আর্থিক ব্যয়ভার বহন করছে। এই প্রকল্পের আওতায় খরচ প্রায় ৪৬,০০০ কোটি টাকা।
ডালের ক্ষেত্রে, পরবর্তী তিন মাসের জন্য মোট প্রয়োজন ৫.৮২ এলএমটি। এখনও অবধি ২২০৭২৭ এমটি ডাল পাঠানো হয়েছে এবং ১৪৭১৬৫ মেট্রিক টন ডাল রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে পৌঁছেছে এবং ৪৭৪৯০ মেট্রিক টন বিতরণ করা হয়েছে। ৫ মে ২০২০ পর্যন্ত মোট ১২.৫৪ এলএমটি ডাল (তুর -৫.১৬ এলএমটি, মুগ-১.২৬ এলএমটি, বিউলি-২.৫৫ এলএমটি, বেঙ্গল গ্রাম(ছোলার ডাল) -২.৭২-এলএমটি এবং মসুর-০.৮৪ এলএমটি) মজুত রয়েছে।
ইতোমধ্যে উপভোক্তা বিষয়ক দপ্তর কোভিড ১৯ জনিত কারণে বাড়তি চাহিদা বিবেচনা করে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনের অধীনে ফেস মাস্ক এবং স্যানিটাইজারের বিষয়টি নজরে এনেছে। মাস্ক, স্যানিটাইজার এবং এগুলির উপাদানগুলির দামও নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। লকডাউন সত্ত্বেও সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সরবরাহের ব্যবস্থাপনায় যাতে কোন বাধা সৃষ্টি না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য রাজ্যগুলিকে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র ইসি আইনের অধীনে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সমস্ত ক্ষমতা রাজ্য সরকারগুলিকে হস্তান্তর করেছে।
CG/TG
(Release ID: 1621517)
Visitor Counter : 212