জাহাজচলাচলমন্ত্রক

ভারতীয় বন্দরগুলিতে নাবিকদের আসা যাওয়ার বিষয়ে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর জারি

Posted On: 22 APR 2020 1:28PM by PIB Kolkata

নতুনদিল্লি, ২২ এপ্রিল, ২০২০

 



কেন্দ্রীয় জাহাজ চলাচল দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী শ্রী মনসুখ মান্ডভিয়া ভারতীয় বন্দরগুলিতে নাবিকদের আসা যাওয়ার ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) জারির বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন। এই আদেশনামাটি জারি করায় তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এর ফলে বন্দরগুলিতে নাবিক এবং জাহাজকর্মী বদল করায় সুবিধে হবে। মন্ত্রী বলেন, হাজার হাজার নাবিক ও জাহাজকর্মীরা যে সমস্যায় পড়েছিলেন এই আদেশের ফলে তা দূর হল।


বাণিজ্যিক জাহাজগুলির ক্ষেত্রে নাবিক ও জাহাজকর্মীর পরিবর্তন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই জাহাজগুলির কর্মীদের আসা যাওয়া সংক্রান্ত স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) ২১ এপ্রিল জারি করেছে।


ক। যারা জাহাজে প্রবেশ করবেনঃ-


১। জাহাজে যে সব নাবিক ও জাহাজ কর্মীরা কাজে যোগ দেবেন , জাহাজের মালিক/ নিয়োগকারী সংস্থা তাঁদের শনাক্ত করবেন।
২। জাহাজ চলাচল দপ্তরের মহানির্দেশকের নিয়ম অনুসারে জাহাজের মালিক/ নিয়োগকারী সংস্থাকে নাবিক ও জাহাজ কর্মীরা ই-মেল মারফত জানাবেন গত ২৮দিনে তাঁরা কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন এবং কাদের কাদের সংস্পর্শে এসেছেন।
৩। জাহাজ চলাচল দপ্তরের মহানির্দেশকের অনুমোদিত স্বাস্থ্য পরীক্ষকরা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ওই সব নাবিক ও জাহাজ কর্মীদের পরীক্ষা করবেন। একইভাবে তাঁরা গত ২৮ দিন কোথায় কোথায় গিয়েছিলেম ,সেই ভ্রমণ বৃত্তান্তও পরীক্ষা করে দেখা হবে। যাঁদের শরীরে কোভিড-১৯ এর কোন লক্ষণ দেখা যাবে না ,তারাই জাহাজে প্রবেশ করতে পারবেন।
৪। যে জায়গায় নাবিক ও জাহাজ কর্মীরা থাকেন, সেখানকার স্থানীয় কতৃপক্ষকে তাঁর জাহাজে ঢোকার ছাড়পত্র পাবার বিষয়টি জানান হবে। যার ফলে থাকার জায়গা থেকে জাহাজ পর্যন্ত ট্রানজিট পাস দেওয়া হবে।
৫। যে গাড়ি করে ওই নাবিক বা জাহাজকর্মী যাবেন, সেই গাড়ির চালককেও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ একটি ট্রানজিট পাস দিতে পারেন।
৬। এই ট্রানজিট পাসটি একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্দিষ্ট রাস্তায় বৈধ থাকবে, যা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। এই পাস রাজ্য/কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল কতৃপক্ষই জারি করবে।
৭। নাবিক বা জাহাজকর্মী যে গাড়ি করে আসবেন, সেই গাড়িটিতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সহ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
৮। বন্দরে নাবিক বা জাহাজকর্মীকে কোভিড-১৯ এর পরীক্ষা করা হবে। যদি সংক্রমণ না থাকে , তাহলেই তিনি সমুদ্র যাত্রা করতে পারবেন, অন্যথায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 


খ। যারা জাহাজ থেকে বেড় হয়ে আসবেনঃ-


১। বিদেশের বন্দর থেকে যেসব জাহাজ আসবে অথবা যে সব জাহাজ অন্য ভারতীয় বন্দর থেকে আসবে  সব জাহাজের মাস্টারদের জাহাজে থাকা প্রত্যেকের স্বাস্থ্যের ঘোষণা বন্দরের স্বাস্থ্য বিভাগের কতৃপক্ষকে জানাতে হবে। এছাড়া সকলের তাপমাত্রার তালিকা সহ অন্যান্য খুটিনাটি বিষয়ও জানাতে হবে। সব দিক বিবেচনা করে বন্দরের স্বাস্থ্য বিভাগ তীরে নামার অনুমতি দেবে।
২। ভারতীয় নাবিক বা জাহাজকর্মীদের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত পরীক্ষা করা হবে। যদি দেখা যায় তিনি সংক্রমিত হন নি, তবেই নামতে পারবেন। জাহাজ থেকে নামার পর বন্দর কতৃপক্ষের কাছে আরেক দফা স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে জাহাজের মালিককে নিশ্চিত করতে হবে , ওই জাহাজে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সব নীতি নির্দেশিকা মেনে চলা হয়েছে।
৩) যতক্ষণ পর্যন্ত  নাবিক বা জাহাজকর্মীর টেস্টের রিপোর্ট না আসছে, ততক্ষণ তাকে বন্দর / রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তৃপক্ষের কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থায় থাকতে হবে।
৪) যদি দেখা যায়, নাবিক বা জাহাজকর্মী কোভিড – ১৯ এ সংক্রমিত, তাহলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৫) নাবিক এবং জাহাজকর্মীদের সংক্রমণ না হলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তাঁদের বাড়িতে যাবার অনুমতি দেবে এবং এবিষয়ে ট্রানজিট পাস জারি করা হবে।
৬) এই ধরণের ট্রানজিট পাস, ঐ নাবিক বা জাহাজকর্মী যে গাড়িতে করে যাবেন, সেই গাড়ির চালককেও দেওয়া হবে।
৭) এই ট্রানজিট পাসটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য, নির্দিষ্ট রাস্তায় বৈধ্য থাকবে। যা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। এই পাস, রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল কর্তৃপক্ষই জারি করবে।
৮। নাবিক বা জাহাজকর্মী যে গাড়ি করে আসবেন, সেই গাড়িটিতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সহ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

জাহাজ চলাচল দপ্তরের মহানির্দেশক, এসংক্রান্ত নীতি – নির্দেশিকাটি তৈরি করবেন।

 

 


CG/CB



(Release ID: 1617160) Visitor Counter : 407