স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক

দেশজুড়ে কোভিড-১৯ সংক্রমণ মোকাবিলা ব্যবস্থাপনার বর্তমান পরিস্থিতি এবং পদক্ষেপ পর্যালোচনা মন্ত্রীগোষ্ঠীর


মন্ত্রীগোষ্ঠী জানিয়েছে সময়মত চাহিদা পূরণই সমস্যার সমাধান করতে পারে

Posted On: 17 APR 2020 5:30PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি ১৭ এপ্রিল, ২০২০

 

 

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী  ড: হর্ষ বর্ধন কোভিড-১৯ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় চিকিৎসা সামগ্রী সময় মত সরবরাহের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন।উৎপাদিত পণ্যের মান এবং গুন সঠিক থাকছে কিনা সে দিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন ।নতুন দিল্লির নির্মাণ ভবনে আজ কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রীগোষ্ঠীর ১২ তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রীর পৌরহিত্যে আজকের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী শ্রী হরদীপ পুরী,বিদেশ মন্ত্রী ড: এস,জয়শঙ্কর,স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শ্রী নিত্যানন্দ রাই, জাহাজ এবং রসায়ন ও সার প্রতিমন্ত্রী শ্রী মনসুখ মন্দভিয়া,স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে। এ ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সদস্য ড: বিনোদ কুমার পাল, মুখ্য প্রতিরক্ষা আধিকারিক শ্রী বিপিন রাওয়াত।


মন্ত্রীগোষ্ঠীর বৈঠকে কোভিড-19 সংক্রমণ কালে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা বিস্তারিত ভাবে জানান হয়েছে। সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারগুলি যে ব্যবস্থা নিয়েছে তা কতটা কার্যকরী হয়েছে সে বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। মন্ত্রীগোষ্ঠীর বৈঠকে জানান হয় যে,দেশের সব জেলা গুলি কে এই সংক্রমণ মোকাবিলায় সব রকম ভাবে প্রস্তুত থাকার পাশাপাশি আগাম পরিকল্পনা করার কথা বলা হয়েছে। কোভিড-19 সংক্রমিত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য রাজ্যের হাসপাতাল গুলিকে আরও শক্তিশালী করতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করা হবে বলে মন্ত্রীগোষ্ঠীর বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আগের নির্দেশ মেনে শুধু মাত্র কোভিড-19 হাসপাতাল চিহ্নিত করতে রাজ্যগুলিকে জানানো হয়েছে।


মন্ত্রীগোষ্ঠীর বৈঠকে স্বস্তি প্রকাশ করা হয় যে দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যু হার বর্তমানে ৩% এর কাছে,অপর দিকে সুস্থ হওয়ার হার ১২%। অন্যান্য দেশের তুলনায় এই হার তুলনামূলক ভাবে ভালো বলে জানানোর পাশাপাশি এটি সামাজিক দূরত্ব এবং লকডাউনের ইতিবাচক প্রভাব বলে মনে করা হচ্ছে। মন্ত্রীগোষ্ঠীর বৈঠকে রোগনির্ণায়ক পরীক্ষার কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।পাশাপাশি হটস্পট চিহ্নিত করা,ক্লাস্টার ব্যবস্থাপনা এবং দেশে কত পরিমান টেস্টিং কিট রয়েছে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। মন্ত্রীগোষ্ঠীর বৈঠকে জানান হয় দেশের মোট ১৭০টি জেলাকে হটস্পট বা রেডজোন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।এর মধ্যে ১২৩ টি জেলাতে সংক্রমণ বড়ো আকার নিয়েছে ৪৭টি জেলাকে ক্লাস্টার তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ২০৭টি জেলা নন-হটস্পট ,এবং ৩৫৩ তি জেলা গ্রীনজোন বা সংক্রমিত নয় বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। আগামী ১৪ দিনে রেড জোন ভুক্ত জেলাগুলি থেকে আর কেউ সংক্রমিত না হলে,সেই জেলাকে অরেঞ্জ জোনে নিয়ে আসা হবে।পরবর্তী ১৪ দিনে যদি সেই জেলা থেকে নতুন সংক্রমণের খবর না পাওয়া যায় তাহলে সেই জেলা গ্রীন জোন বলে চিহ্নিত হবে।


মন্ত্রীগোষ্ঠীর বৈঠকে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী( পি পি ই), মাস্ক, ভেন্টিলেটার, ওষুধ সহ অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রীর প্রতুলতা ও সরবরাহ বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়। দেশের মধ্যে যারা এই সামগ্রী তৈরি করতে পারেন তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাদের নির্মাণের বরাত দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রীগোষ্টীর বৈঠকে জানান হয়েছে। ভেন্টিলেটারের তৈরির জন্য বরাত দেওয়া হয়েছে।
সরকারি এবং বেসরকারি কত গুলি ল্যাবে কোভিড-19 সংক্রমণ পরীক্ষা হচ্ছে তা জানান হয়।


বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি দফতর,বায়ো-টেকনোলজি দফতর এবং সি এস আই আর পক্ষ থেকে মন্ত্রীগোষ্ঠীর বৈঠকে কোভিড-১৯ সংক্রমণের চিকিৎসা, ওষুধ, এবং প্রতিষেধক তৈরির অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত জানান হয়। সব দফতর গুলি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক এবং আই সি এম আর এর সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করছে বলে জানান হয়।কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী সম্প্রতি সি এস আই আর এর মহানির্দেশক ড: শেখর সি মণ্ডে সহ সংস্থার অন্যান্য ল্যাবের নির্দেশকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনা করেন। সময়মত সামগ্রী পাওয়াই সমস্যা সমাধানের চাবিকাঠি বলে মন্ত্রীগোষ্ঠী মত দেন।


মন্ত্রিগোষ্ঠীর সভাপতি, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড:হর্ষ বর্ধন বলেন ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম(পি পি ই),মাস্ক,ভেন্টিলেটার এবং অন্যান্য সামগ্রী তৈরির ক্ষেত্রে কোনো ভাবেই গুনমান নিয়ে আপোস করা হবে না। এ ক্ষেত্রে উৎপাদনকারী যদি নিম্ন মানের সামগ্রী তৈরি করে তাহলে তাদের কড়া শাস্তি দেওয়া হবে।


শ্রী বর্ধন জানান কারা কি ধরনের পি পি ই পরবেন,কারা কি ধরনের মাস্ক পরবেন তা বিস্তারিত ভাবে মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে। তা ছাড়া কঠোর ভাবে লকডাউন বিধিনিষেধ মানা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা কোভিড-১৯ এর প্রতিষেধক বলে তিনি উল্লেখ করেন।


স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সচিব শ্রীমতী প্রীতি সুদান, বস্ত্র মন্ত্রকের সচিব শ্রী রবি কাপুর, অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রকের সচিব শ্রী প্রদীপ সিংহ খারলা, ঔষধি মন্ত্রকের সচিব শ্রী পি ডি বাঘেলা, বায়ো- টেকনোলজি সচিব ড:রেণু স্বরূপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব অধ্যাপক আশুতোষ শর্মা, সি এস আই আর এর মহানির্দেশক এবং ডি এস আই আর সচিব শ্রী শেখর সি মণ্ডে, বিশেষ স্বাস্থ্য সচিব শ্রী সঞ্জীবা কুমার, এম এইচ এ র অতিরিক্ত সচিব অনিল মালিক,আই টি বি পির মহানির্দেশক আনন্দ স্বরূপ, ডি জী এইচ এস এর ড: রাজিব গর্গ, আই সি এম আর এর প্রধান ড:রমন আর গঙ্গাখেড়কর, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্মসচিব শ্রী লব আগরয়াল সহ সেনা আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। আই টি বি পি,ওষুধ,ডি জি সি এ ও বস্ত্র মন্তকের প্রতিনিধিরা আজকের এই মন্ত্রীগোষ্ঠীর বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।


কোভিড-১৯ সংক্রমণ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন থাকলে,স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের হেল্প লাইন নম্বর:+91-11-23978046 বা 1075(নি:শুল্ক) তে করা যাবে। রাজ্য গুলির হেল্প লাইন নম্বর জানতে হলে

https://www.mohfw.gov.in/pdf/coronavirushelplinenumber.pdf. এ ক্লিক করতে হবে।

 

 


CG/PPM



(Release ID: 1615535) Visitor Counter : 176