কর্পোরেটবিষয়সংক্রান্তমন্ত্রক

কোভিড-১৯ কর্মকান্ডে বাণিজ্য ক্ষেত্রে সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) সম্পকির্ত খরচ বিষয়ে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের কিছু প্রশ্নোওর

Posted On: 11 APR 2020 7:07PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ১১ এপ্রিল, ২০২০

 

 



কোভিড-১৯ কর্মকান্ডে বাণিজ্য ক্ষেত্রে সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) সম্পকির্ত খরচের বিষয়ে বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা চেয়ে কেন্দ্রীয়  বাণিজ্য মন্ত্রকের কাছে কিছু প্রশ্ন করা হয়েছিল।সংস্থাগুলির করা সেই প্রশ্নের উওর দিয়েছে মন্ত্রক। সেগুলি হলো-

১) পি এম -কেয়ার তহবিলে যে অর্থ অনুদান হিসেবে প্রদান করা হচ্ছে, তা সিএসআর হিসেবে কি গণ্য হবে?এর উওরে মন্ত্রক জানিয়েছে ২০১৩'র কোম্পানি আইনের ‌৭ নম্বর তফসিলের  অনুচ্ছেদ ৮এর আওতায় পি এম -কেয়ার তহবিলে দান করা অর্থ সিএসআর হিসেবে গণ্য করা হবে।এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানিয়ে গত ২৮ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

২) কোভিড-১৯ এর জন্য গঠিত  মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল অথবা  রাজ্য ত্রাণ তহবিলে যে অর্থ দান করা হচ্ছে, তা  বাণিজ্য ক্ষেত্রে সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) সম্পকির্ত খরচ হিসেবে বিবেচিত হবে? এর উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক জানিয়েছে ২০১৩'র কোম্পানি আইনের ‌৭ নম্বর তফসিলের আওতায় মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল অথবা  রাজ্য ত্রাণ তহবিলকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় নি,তাই এ ক্ষেত্রে দান করা অর্থ সিএসআর হিসেবে গণ্য করা হবে না।

৩) রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের কাছে দান করা অর্থ সিএসআর হিসেবে কি বিবেচিত হবে?এই প্রশ্নের উওরে মন্ত্রক জানিয়েছে ২০১৩'র কোম্পানি আইনের ‌৭ নম্বর তফসিলের  অনুচ্ছেদ ৭এর আওতায় কোভিড-১৯'র মোকাবিলায় গঠিত রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের কাছে দান করা অর্থ সিএসআর হিসেবে গণ্য করা হবে।এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে গত ২৩ মার্চ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

৪) যদি কোন সংস্থা তার সিএসআর তহবিল থেকে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় অর্থ খরচ করে তাহলে কি তা সিএসআর হিসেবে গণ্য হবে? এর জবাবে  কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, গত ২৩ মার্চ বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে সংস্থার সিএসআর তহবিল থেকে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় খরচ করা অর্থ সিএসআর হিসেবে গণ্য হবে।

৫) লকডাউন সময়কালে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক  সহ কর্মচারী ও শ্রমিকদের বেতন / মজুরি প্রদান সংস্থাগুলির সিএসআর ব্যয় হিসেবে ধরা যায় কিনা, এ বিষয়েও প্রশ্ন করা হয়েছে? এর উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক জানিয়েছে সাধারণ পরিস্থিতিতে বেতন / মজুরি প্রদানের ক্ষেত্রে  কোম্পানিগুলির একটি চুক্তি এবং আইনী বাধ্যবাধকতা রয়েছে । একইভাবে, লকডাউন সময়কালে কর্মচারী ও শ্রমিকদের বেতন / মজুরি প্রদান নিয়োগকর্তাদের নৈতিক বাধ্যবাধকতা, কারণ এই সময়ের মধ্যে তাদের চাকরি বা জীবিকার কোনও বিকল্প উৎস নেই।  সুতরাং, লকডাউন সময়কালে কর্মচারী ও শ্রমিকদের বেতন / মজুরি প্রদান সিএসআর ব্যয় হিসাবে গ্রহণ যোগ্য হবে না।

৬) লকডাউন সময়কালে অনিয়মিত প্রয়োজন ভিত্তিক / দৈনিক মজুরির শ্রমিকদের যে মজুরি দেওয়া হচ্ছে তা সংস্থাগুলির সিএসআর ব্যয় হিসেবে ধরা যায় কি? এই ধরনের প্রশ্নের উওরে মন্ত্রক জানিয়েছে, লকডাউন সময়কালে অস্থায়ী বা অনিয়মিত প্রয়োজন ভিত্তিক বা দৈনিক মজুরির শ্রমিকদের মজুরি প্রদান কোম্পানির নৈতিক / মানবিক / চুক্তিগত বাধ্যবাধকতার অংশ এবং ২০১৩'র কোম্পানি আইনের ১৩৫ নম্বর ধারায় সমস্ত সংস্থার সিএসআর ক্ষেত্রে আইনগত বাধ্যবাধকতার বিষয়ে বলা হয়েছে।সুতরাং, লকডাউন সময়কালে অস্থায়ী বা দৈনিক মজুরির শ্রমিকদের মজুরি প্রদানের পরিমাণ সিএসআর ক্ষেত্রে ব্যয় হিসাবে গণ্য হবে না।

৭) অস্থায়ী / অনিয়মিত প্রয়োজন ভিত্তিক / দৈনিক মজুরির শ্রমিকদের অগ্রিম অর্থ প্রদান সিএসআর ব্যয় হিসাবে গ্রহণ যোগ্য হবে কি? কেন্দ্রীয়  বাণিজ্য মন্ত্রক এর জবাবে জানিয়েছে,যদি সংস্থা কোন অগ্রিম অর্থ বিশেষকরে কভিড ১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য অস্থায়ী / অনিয়মিত প্রয়োজন ভিত্তিক কর্মী / দৈনিক মজুরির শ্রমিকদের বেতনের সঙ্গে বিতরণ বা তারপরের উপরে প্রদান করে , তবে তা সিএসআর ব্যয়ের ক্ষেত্রে এটি এককালীন ছাড় হিসাবে গ্রহণযোগ্য হবে।তবে  সংস্থার বোর্ড কর্তৃক যথাযথভাবে নিরীক্ষণের পর এ বিষয়ে সুস্পষ্ট ঘোষণা করতে হবে।

 

 



CG/SS



(Release ID: 1613490) Visitor Counter : 334