স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ মুম্বাইয়ে ‘ইন্ডিয়া মেরিটাইম উইক-২০২৫’-এর উদ্বোধন করেছেন
Posted On:
27 OCT 2025 4:37PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ আজ মহারাষ্ট্রের মুম্বাইয়ে ‘ইন্ডিয়া মেরিটাইম উইক-২০২৫’-এর উদ্বোধন করেছেন। এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বন্দর, জাহাজ চলাচল ও জলপথ মন্ত্রী শ্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এবং মহারাষ্ট্র, গুজরাট, গোয়া ও ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী সহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
শ্রী শাহ বলেন, মুম্বাই হল ভারতের প্রবেশদ্বার। ভারতের সমুদ্রপথে বাণিজ্য আন্দোলন গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়াকে বিশ্বের প্রবেশদ্বারে পরিণত করেছে। গত এক দশক ধরে সমুদ্রপথে ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত ক্ষেত্রে যে সংস্কার কার্যকর করা হয়েছে, তার প্রভাব পড়েছে সংশ্লিষ্ট অর্থনীতিতে। আজ আন্তর্জাতিক স্তরে সামুদ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারত এক শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ভারতের তটরেখার দৈর্ঘ্য ১১ হাজার কিলোমিটার। ১৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এই উপকূলবর্তী অঞ্চলের ভাগীদার। সংশ্লিষ্ট রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ৬০ শতাংশ সরবরাহ করে। সামুদ্রিক অবস্থান, গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা এবং নৌ-বাহিনীর দক্ষতার কারণে ভারত দক্ষিণী বিশ্ব ও ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মধ্যে সেতুবন্ধের কাজ করে। এ দেশের সামুদ্রিক বাণিজ্যের ইতিহাস ৫ হাজার বছর ধরে হয়ে আসছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দেশ সেই ইতিহাসের নতুন অধ্যায় রচনা করতে প্রস্তুত। আজকের এই অনুষ্ঠানে ১০০টির বেশি প্রতিনিধিদের উপস্থিতি তারই প্রমাণ।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ মেরিটাইম ডায়ালগ প্ল্যাটফর্মে ইন্ডিয়ান মেরিটাইম উইক স্থান পেয়েছে। এই সম্মেলন ভারতকে ২০৪৭ সালের মধ্যে সমুদ্রপথে ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পৌঁছে দিতে সহায়ক হবে। এই অনুষ্ঠানে ১ লক্ষের বেশি প্রতিনিধির সামনে ৫০০-র বেশি সংস্থা থেকে ৩৫০ জন বক্তা তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরবেন। এর ফলে, ১০ লক্ষ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি হবে।
শ্রী শাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা, স্থিতিশীলতা ও স্বনির্ভরতা – এই তিনটি স্তম্ভের ওপর সামুদ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্যের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা রচনা করেছেন। সাগরমালা, মহাসাগর-ভিত্তিক অর্থনীতি বা ব্লু ইকনমি এবং পরিবেশ-বান্ধব গ্রিন মেরিটাইম ভিশনের মতো বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্য দিয়ে ২০৩০ সালের জন্য মেরিটাইম ইন্ডিয়া ভিশন বাস্তবায়িত করা হবে। ভারত এখন গভীর সমুদ্রে বৃহৎ বন্দর গড়তে উদ্যোগী হয়েছে। প্রতি বছর ১০ হাজার মিলিয়ন মেট্রিন টন পণ্য ওঠা-নামার পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। এটি ডিজিটাল পদ্ধতিতে বাস্তবায়িত হবে। এছাড়াও, ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডর, ইস্টার্ন মেরিটাইম করিডর এবং উত্তর-দক্ষিণ পরিবহণ করিডরের মতো বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, গত ১১ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতের সামুদ্রিক বাণিজ্য ক্ষেত্রকে জাতীয় স্তরের শক্তির উৎস, আঞ্চলিক স্তরের স্থিতিশীলতা এবং আন্তর্জাতিক স্তরের সমৃদ্ধির উৎস হিসেবে বর্ণনা করে এসেছেন। আজ আন্তর্জাতিক স্তরের দুই-তৃতীয়াংশ ব্যবসা-বাণিজ্য ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সমুদ্রপথকে কাজে লাগিয়ে করা হয়। ভারতের ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশই সমুদ্রপথের সহায়তা নেয়। প্রধানমন্ত্রীর মিউচ্যুয়াল অ্যান্ড হলিস্টিক অ্যাডভান্সমেন্ট ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড গ্রোথ অ্যাক্রস রিজিয়ন্স বা মহাসাগর প্রকল্পের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, মোদী সরকার সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে বাজেটের পরিমাণ ছয়গুণ বাড়িয়ে ২৩ কোটি মার্কিন ডলারে উন্নীত করেছে। সাগরমালা প্রকল্পের আওতায় গত মার্চ মাসের মধ্যে ৮৩৯টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। এদের মধ্যে ২৭২টি প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ১,৭০০ কোটি মার্কিন ডলার। ৫০০ কোটি ডলার ব্যয়ে গ্রেট নিকোবর প্রকল্প নির্মাণের কাজ করা হবে। এছাড়াও, কোচিতে দেশের বৃহত্তম ডক নির্মাণ করা হচ্ছে। এ কাজে ব্যয় হবে ২০ কোটি মার্কিন ডলার। আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে দেশের সেকেলে আইনগুলিতে পরিবর্তন করা হয়েছে। এ বছর আমাদের সংসদে ১১৭ বছরের পুরনো ভারতীয় বন্দর সংক্রান্ত বিলটি পাশ হয়েছে। মেজর পোর্ট অথরিটিজ অ্যাক্ট, ২০২৫-এর মাধ্যমে দেশের বন্দরগুলিকে আরও স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হচ্ছে।
শ্রী শাহ বলেছেন, সুরক্ষা এবং মৎস্যজীবীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ব্লু ইকনমি উন্নয়নে মোদী সরকার কাজ করে চলেছে। গত এক দশকে উপকূলবর্তী অঞ্চলে জাহাজ চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে ১১৮ শতাংশ এবং জাহাজে পণ্য পরিবহণ বেড়েছে ১৫০ শতাংশ। সমুদ্র বাণিজ্যে বৃত্তীয় অর্থনীতিকে উৎসাহিত করতে এবং জাহাজ নির্মাণ সংক্রান্ত অত্যাধুনিক নিয়মাবলীকে কার্যকর করার ক্ষেত্রে সরকার উদ্যোগী হয়েছে। ছোট ছোট দ্বীপরাষ্ট্র দক্ষিণী বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতির সম্মুখীন। এই দেশগুলির কথা বিবেচনা করে ভারত পরিবেশ-বান্ধব ও সমৃদ্ধশালী বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
SC/CB/DM
(Release ID: 2183013)
Visitor Counter : 7
Read this release in:
Odia
,
हिन्दी
,
Malayalam
,
English
,
Urdu
,
Marathi
,
Assamese
,
Punjabi
,
Gujarati
,
Tamil
,
Telugu
,
Kannada