প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
নতুন দিল্লিতে এনডিটিভি ওয়ার্ল্ড সামিট ২০২৫-এ প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ
प्रविष्टि तिथि:
17 OCT 2025 11:03PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
শ্রীলঙ্কার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হরিণী অমরাসুরিয়া জী, অস্ট্রেলিয়ার মাননীয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, আমার বন্ধু টনি অ্যাবট জী, মাননীয় প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক জী, বিশিষ্ট অতিথিগণ, ভদ্রমহোদয়া এবং ভদ্রমহোদয়গণ, নমস্কার!
এখন উৎসবের সময়। আমি আপনাদের সকলকে শুভ দীপাবলির শুভেচ্ছা জানাই। এনডিটিভি ওয়ার্ল্ড সামিট এই উৎসাহের আবহে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং আপনারা এই অধিবেশনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ থিম বেছে নিয়েছেন : আনস্টপেবল ইন্ডিয়া। নিশ্চিত ভাবে ভারত এখন থামার কথা ভাবছে না, আমরা থেমেও যাব না, বিশ্রামও নেবো না। আমরা ১৪০ কোটি দেশবাসী একসঙ্গে দ্রুত এগিয়ে যাবো।
বন্ধুগণ,
আজ যখন বিশ্ব নানা ধরনের অবরোধের সম্মুখীন, তখন আনস্টপেবল ইন্ডিয়া নিয়ে আলোচনা খুবই স্বাভাবিক। আমি এই বিষয়টিই ১১ বছর আগের এবং বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বলতে চেষ্টা করছি। আপনাদের মনে আছে, ২০১৪ -র আগে এই ধরনের সম্মেলনে কি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যা তখন শিরোনাম পেত, যে সব বিষয় আলোচনা হত, সম্মেলনে, রাস্তাঘাটে, পাড়ায়, আপনাদের পরিষ্কার মনে আছে এইগুলি। আপনারা তখন দেখবেন যে আলোচনা হত ভারত কিভাবে বিশ্ব সঙ্কটের মোকাবিলা করবে? কিভাবে ভারত বেরিয়ে আসবে ভঙ্গুর পাঁচ থেকে? কতদিন আর ভারত নীতি পঙ্গুত্বে ভুগবে? কখন ভারতে বড় বড় দুর্নীতিগুলি বন্ধ হবে?
বন্ধুগণ,
সেই সময় মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে অনেক প্রশ্ন ছিল। জানা গেছে কীভাবে জঙ্গিদের স্লিপার সেল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। “মুদ্রাস্ফীতি এক ডাইনি এবং সব খেয়ে নেয়”-এর মতো গানগুলি শোনা যেত। এখন আপনাদের কাছে পরিষ্কার ছবি উপস্থিত যে ২০১৪-র আগে কী কী ঘটত। সেই সময় দেশের এবং বিশ্বের মানুষ বিশ্বাস করতো যে, ভারত এতরকম সঙ্কটে জর্জরিত তার পক্ষে এর থেকে উদ্ধার হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু বিগত ১১ বছরে ভারত সমস্ত সন্দেহ দূর করে দিয়েছে। প্রত্যেকটা সমস্যা কাটিয়ে উঠেছে। আজ ভারত ভঙ্গুর পাঁচ থেকে বেরিয়ে শীর্ষ পাঁচ অর্থনীতির মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতি ২ শতাংশের নীচে, আর বৃদ্ধির হার ৭ শতাংশের বেশি। আজ চিপ থেকে শিপ আত্মনির্ভর ভারত যা আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। এখন ভারত সন্ত্রাসবাদী হামলার পর চুপ করে থাকে না। ভারত এখন সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, বিমান আক্রমণ এবং অপারেশন সিঁদুর দিয়ে মুখের মতো জবাব দেয়।
বন্ধুগণ,
কোভিডের সময়টা একবার ভাবুন, যখন বিশ্ব জীবন-মৃত্যুর ছায়ায় বাস করছিল। যখন বিশ্ব ভাবছিল যে কিভাবে এত জনসংখ্যার একটি দেশ এই বিশাল সঙ্কট কাটিয়ে উঠবে এবং মানুষ ভেবেছিল ভারতের জন্যই বিশ্ব ডুববে। নানা জল্পনা চলছিল। কিন্তু ভারত প্রত্যেকটি জল্পনাকে ভুল প্রমাণ করেছে। আমরা লড়াই করেছি; আমরা দ্রুত আমাদের নিজস্ব টিকা তৈরি করেছি। রেকর্ড সময়ের মধ্যে টিকা দিয়েছি এবং এত বড় সঙ্কট থেকে বেরিয়ে এসে আমরা দ্রুত বর্ধনশীল বড় অর্থনীতি হয়ে উঠেছি।
বন্ধুগণ,
করোনার প্রভাব এখনও কাটেনি, তার মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন অংশে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। শিরোনামে আসছে যুদ্ধের খবর। এখন আরও একবার প্রশ্ন উঠেছে ভারতের বৃদ্ধির কি হবে এই রকম সঙ্কটের সময়। ভারত আরও একবার সব জল্পনাকে ভুল প্রমাণ করেছে। ভারত লাগাতার অগ্রগতি ঘটাচ্ছে দ্রুততম বর্ধনশীল বড় অর্থনীতি হিসেবে। গত তিন বছরে ভারতের গড় বৃদ্ধি ৭.৮ শতাংশ। এটা অভূতপূর্ব এবং অপ্রত্যাশিত। এইতো দুদিন আগে পণ্য রপ্তানির পরিসংখ্যান পাওয়া গিয়েছে। গতবছরের তুলনায় রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ৭ শতাংশ। গতবছর ভারত ৪.৫ লক্ষ কোটি টাকা মূল্যের কৃষিপণ্য রপ্তানি করেছিল। বিভিন্ন দেশের অস্থির রেটিংএর মধ্যে এস অ্যান্ড পি ভারতের ক্রেডিট রেটিং বাড়িয়েছে ১৭ বছর পরে। আইএমএফ-ও ভারতের বৃদ্ধির হার সংশোধিত করে ঊর্ধ্বমুখী করেছে। এই কিছুদিন আগে গুগল ভারতের এআই ক্ষেত্রে ১৫ বিলিয়ন ডলারের বিশাল লগ্নি করার কথা ঘোষণা করেছে। আজ, গ্রিন এনার্জি, সেমিকন্ডাক্টর ক্ষেত্রেও বিশাল পরিমাণ লগ্নি হচ্ছে।
বন্ধুগণ,
বর্তমানে ভারতের বৃদ্ধি আন্তর্জাতিক সুযোগ সৃষ্টি করছে এবং এটা আমি বলছি অনেক দায়িত্ব নিয়ে। সম্প্রতি স্বাক্ষরিত ইএফটিএ বাণিজ্য চুক্তি এর বড় প্রমাণ। ইউরোপের দেশগুলি ভারতে ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এতে ভারতে অনেক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। মাত্র কিছু দিন আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী, আমার বন্ধু স্টার্মার, এক বড়সড় বাণিজ্য প্রতিনিধি দল নিয়ে ভারত সফর করেন, যার থেকে বোঝা যায় বিশ্ব ভারতের বিশাল সুযোগ নিয়ে অনেক আশা পোষণ করছে। আজ, জি-৭ দেশগুলির সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য ৬০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে গোটা বিশ্ব ভারতের দিকে তাকিয়ে আছে বিশ্বস্ত, দায়িত্ববান এবং দৃঢ় অংশীদার হিসেবে। ইলেক্ট্রনিক্স থেকে ওষুধ, গাড়ি থেকে মোবাইল উৎপাদন, বিপুল লগ্নির প্রবাহ আসছে ভারতে। এই বিনিয়োগ ভারতকে বিশ্ব সরবরাহ শৃঙ্খলের স্নায়ু কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করছে।
বন্ধুগণ,
এই সম্মেলনে আপনারা আলোচনা করছেন ‘এজ অফ দ্য আননোন’ বিষয়ে। বিশ্বের কাছে এজ অফ দ্য আননোন অনিশ্চিত বিষয় হতে পারে, কিন্তু ভারতের কাছে এটা সুযোগের প্রবেশদ্বার। বহু যুগ ধরেই ভারত অজানা পথে পা রাখার সাহস দেখিয়েছে। আমাদের সাধুরা, আমাদের বিজ্ঞানীরা, আমাদের নাবিকরা সবসময়ে পরিবর্তনের সূচনায় ‘প্রথম পদক্ষেপ’ ফেলেছে। সে প্রযুক্তিই হোক কিংবা করোনার টিকার প্রয়োজন, দক্ষ শ্রমশক্তি, ফিনটেক অথবা সবুজ শক্তি ক্ষেত্র, আমরা প্রত্যেকটি ঝুঁকিকে সংস্কারে রূপান্তরিত করেছি, প্রত্যেকটি সংস্কারকে দৃঢ়তায় এবং প্রত্যেকটি দৃঢ়তাকে বিপ্লবে। সম্প্রতি আইএমএফ প্রধান বলেছেন যে তিনি ভারতের সংস্কারের সাহসে অত্যন্ত উৎসাহিত বোধ করছেন। তিনি একটি উদাহরণও দিয়েছেন এবং আপনারা জেনে থাকতে পারেন যে, ভারতে একটি সংস্কার সংঘটিত হয়েছে। একটি পরিমণ্ডল তার অনুরণন ঘটিয়ে চলেছে। আমাদের বন্ধুরা হাসছে। কিন্তু সেটা বাধ্য হয়ে এবং সেই বাধ্যবাধকতা এসেছে আইএমএফ থেকেও। বর্তমানে সংস্কার হচ্ছে দৃঢ় বিশ্বাসের কারণে এবং সেই একই আইএমএফ বলছে যে তারা সংস্কারে ভারতের দৃঢ়তা লক্ষ্য করছে। আইএমএফ প্রধান একটি উদাহরণও দিয়েছেন : প্রত্যেকে বলছে যে সকলকে একধার থেকে ডিজিটাল প্রযুক্তি দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু ভারত তা ভুল প্রমাণ করেছে। বর্তমানে ফিনটেক বিশ্বের তাৎক্ষণিক ডিজিটাল লেনদেনের ৫০ শতাংশ হচ্ছে ভারতের, ৫০ শতাংশ! ভারতের ইউপিআই বিশ্বের ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থাকে চালিত করছে। এর অর্থ প্রত্যেকটি পূর্বাভাস, প্রত্যেকটি সমীক্ষাকে পেরিয়ে যাওয়াই আজকের ভারতের মনোভাব। আমি ‘প্রকৃতি’ শব্দটি ব্যবহার করিনি, আমি বলেছি ‘মনোভাব’ এবং মোদী যখন এখানে আছে, তখন সে মনোভাব নিয়ে বলবে এবং সেই কারণে ভারত অদম্য।
বন্ধুগণ,
একটি দেশের সাফল্যের প্রকৃত শক্তি আসে মানুষ থেকে এবং দেশের মানুষ তার সম্ভাবনার পূর্ণ ব্যবহার করতে সক্ষম হয়, যখন তাঁদের জীবনে সরকারের কোন চাপ বা হস্তক্ষেপ থাকে না। যখন সরকারের হস্তক্ষেপ বেড়ে যায়, তখন অনেক বাধা আসে এবং গণতন্ত্র যখন বাড়ে, তখন গতি আসে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে কংগ্রেস দল যারা ৬০ বছর ধরে দেশকে শাসন করেছে, সবসময় জোর দিত নীতি এবং প্রক্রিয়ায় সরকারি হস্তক্ষেপে। অথচ গত ১১ বছরে আমরা নীতি এবং প্রক্রিয়ার গণতন্ত্রীকরণের দিকে কাজ করেছি। অদম্য ভারতের পিছনে এটাও একটা বড় কারণ। ব্যাঙ্কিং-এর উদাহরণটি নিয়ে নিন। ১৯৬০-এর দশকে ইন্দিরা গান্ধীর ব্যাঙ্ক জাতীয়করণের কারণ কি? বলা হয় যে, জাতীয়করণ করা হয়েছিল গরীব, কৃষক, শ্রমিক, অর্থাৎ দেশের সাধারণ মানুষকে ব্যাঙ্কিং-এর সুবিধা দিতে। কিন্তু বাস্তবে কংগ্রেস কি করেছে? সরকার কি করেছে? দেশের মানুষের কাছ থেকে ব্যাঙ্ক আরও দূরে সরে গেছে; দূরত্ব আরও বেড়েছে। গরীব মানুষ ভয় পেত এমনকি ব্যাঙ্কের দরজায় যেতে। যখন ২০১৪-য় আমাদের সরকার গঠিত হয়, তখন দেশের জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি কোন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল না। আর এটা শুধুমাত্র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকাই নয়, এর অর্থ দেশের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ ব্যাঙ্কিং-এর সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাঁদের বাজারে অত্যন্ত উচ্চ হারে সুদ দিতে বাধ্য করা হত এবং প্রয়োজনের সময় বাড়ি, জমি বন্ধক রাখতে হত।
বন্ধুগণ,
তাই প্রয়োজন ছিল দেশকে সরকার নিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতি থেকে মুক্ত করা এবং আমরা তা করেছি। আমরা ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রের গণতন্ত্রীকরণ করেছি এবং সংস্কার করেছি। আমরা নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে ৫০ কোটির বেশি জন ধন অ্যাকাউন্ট খুলেছি। অর্থাৎ সমগ্র বিশ্বে যত অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে তা একদিকে, আর ভারতের মোট অ্যাকাউন্ট আর এক দিকে, এত কাজ করা হয়েছে। বর্তমানে দেশের প্রত্যেকটি গ্রামে কিছু না কিছু ব্যাঙ্কিং পরিষেবা আছে। ডিজিটাল লেনদেন ভারতকে বিশ্বের সর্বোত্তম আর্থিকভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক দেশ করে তুলেছে। কংগ্রেস শাসনে ব্যাঙ্কে অনুৎপাদক সম্পদের পাহাড় জমেছিল। বিজেপি-র গণতন্ত্রীকরণের ফলে ব্যাঙ্কগুলির রেকর্ড মুনাফা হয়েছে। বিগত ১১ বছরে কয়েক লক্ষ টাকার ঋণ দেওয়া হয়েছে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী, ছোট কৃষক, পশুপালক, মৎস্যজীবী, স্ট্রিট ভেন্ডর এবং বিশ্বকর্মা বন্ধুদের কোন গ্যারান্টি ছাড়াই।
বন্ধুগণ,
আমি আপনাদের পেট্রোল এবং গ্যাসের উদাহরণও দেব। ২০১৪-র আগে কি পরিস্থিতি ছিল, যখন রাষ্ট্রায়ত্তকরণের ধারণাই ছিল মুখ্য। আপনারা শুনে চমকে যাবেন যে, কংগ্রেস সরকার রাত ৮টা থেকে সকাল ৮টা পেট্রোল পাম্পগুলি বন্ধ রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, যাতে পেট্রোল এবং ডিজেলের বাড়তি ভর্তুকি দিতে না হয়। আপনারা আমাকে বলুন! এই যে ভাই, সে সাতটার সময় পেট্রোল ভরবে! আজ পরিস্থিতি কী? আজ পেট্রোল পাম্পগুলি খোলা থাকে দিনের ২৪ ঘণ্টাই। আজ আমরা বিকল্প জ্বালানি এবং বিদ্যুতে অভূতপূর্ব লগ্নি করছি।
বন্ধুগণ,
কংগ্রেস আমলে এমনকি একটা গ্যাস সংযোগ পেতে সাংসদদের লেখা চিঠি পেতে হত। একজন সাংসদ বছরে ২৫-টি কুপন পান এবং তিনি তাঁর এলাকায় গ্যাস সংযোগের জন্য মানুষকে ২৫-টি কুপন দিয়ে থাকেন। তাহলে মানুষকে তাঁর বাড়ির সামনে লাইন দিতে হয়। বলতে হয় আমাকে একটা গ্যাস কুপন দিন। এই তো পরিস্থিতি ছিল। এবং আপনারা চমকে যাবেন ২০১৩-র সংবাদপত্র বের করুন, কংগ্রেস ২০১৪-য় মোদীর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার রণকৌশল তৈরি করছিল। তারা আমাকে তখন ভাল করে জানতোও না, অবশ্য এখনও জানে না। তাই, তাদের আলোচনা সীমাবদ্ধ ছিল জনগণকে কি প্রতিশ্রুতি দেওয়া যায় তা নিয়ে, বছরে ৬টা না ৯টা সিলিন্ডার দেওয়া হবে সেই নিয়ে আলোচনা চলত। এর অর্থ গোটা ব্যবস্থাতেই সরকারি হস্তক্ষেপ ছিল। কিন্তু আমরা আসার পর কি
করেছি। আমরা ১০ কোটির বেশি দরিদ্র পরিবারকে, যাঁরা কখনও স্বপ্নেই ভাবেনি এই সুবিধার কথা, তাঁদের বিনামূল্যে গ্যাস সংযোগ দিয়েছি। আগে যখন গ্রামে গ্যাস সিলিন্ডার আসত, তখন সাধারণত সাধারণ মানুষ ভাবত যে এটা বড় মানুষের জন্য। তাঁরাই তাঁদের বাড়িতে গ্যাস রাখতে পারে, গরীব বাড়িতে নয়। আমরা পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন করেছি, গ্যাসস্টোভ পৌঁছে গেছে ১০ কোটি বাড়িতে। এটাই ব্যবস্থার গণতন্ত্রীকরণ এবং এটাই সংবিধানের প্রকৃত আদর্শ।
বন্ধুগণ,
সেই রাষ্ট্রায়ত্তকরণের ভাবনার যুগে কংগ্রেস সরকারি সংস্থাগুলি আমাদের পিএসইউ-গুলি বন্ধ করে শান্তিতে ঘুমাতো। এটা ডুবছে, বন্ধ করে দাও, এটা ডুবছে, বন্ধ করে দাও। কংগ্রেস সাধারণত ভাবতো কেন আমরা এত কষ্ট করব, যদি ডোবে তো ডুবুক, স্বাভাবিক মৃত্যু হোক, আমাদের পকেট থেকে তো কিছু যাচ্ছে না, এরকমই ছিল চিন্তাধারা। আমরা এই চিন্তাধারারও পরিবর্তন করেছি এবং আজ দেখুন, এলআইসি হোক, এসবিআই হোক, অথবা আমাদের বড় বড় পিএসইউ-গুলি হোক, সকলেই মুনাফার রেকর্ড গড়ছে।
বন্ধুগণ,
যখন সরকারি নীতি সরকারি হস্তক্ষেপের তুলনায় গণতন্ত্রের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়, তখন দেশবাসীর মনোবল বাড়ে। এই সরকারি হস্তক্ষেপের ভাবনা নিয়ে কংগ্রেস বারবার বলে যেত গরীবি হটাও, গরিবি হটাও। আপনারা প্রত্যেক নির্বাচনেই দেখে থাকবেন, লালকেল্লা থেকে এই পরিবারের দেওয়া ভাষণও শুনে থাকবেন, এই পরিবার থেকে যেই যেত লালকেল্লায় পতাকা তুলতে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আর কোন নেতা ছিল না, যাঁরা দারিদ্র্য নিয়ে ভাষণ দিতে পারেন। আপনারা ইউটিউবে এই ভাষণ শুনতে পারেন, কিন্তু গরিবি কমেনি। আমাদের গণতন্ত্রীকরণের ভাবনা গত ১১ বছরে ২৫ কোটি দরিদ্র মানুষকে দারিদ্র্য মুক্ত করেছি এবং সেই কারণে দেশ আমাদের বিশ্বাস করে এবং সেই জন্যেই ভারত অদম্য।
বন্ধুগণ,
বর্তমানে ভারতে এমন একটি সরকার আছে যারা দরিদ্র এবং বঞ্চিতদের সেবায় একনিষ্ঠ। আমরা অনগ্রসর শ্রেণীকে অগ্রাধিকার দিই। আমরা পুরোপুরি সংবেদনশীলতার সঙ্গে তাঁদের জীবনের উন্নতি করার জন্য কাজ করছি। বড় বড় আলোচনায় প্রায় এই বিষয়টি অবহেলিত থাকে। একটা উদাহরণ দিই, সম্প্রতি একটা কথা হয়েছে যে, বিএসএনএল মেক ইন ইন্ডিয়া ফোর-জি চালু করেছে।
এবং বন্ধুগণ,
আমি বলতে চাই যে, এটা দেশের জন্য একটি বড় সাফল্য। আজ আমরা গর্বের সঙ্গে বলতে পারি যে ভারত বিশ্বের পাঁচটি দেশের অন্যতম, যারা নিজের দেশে ফোর-জি তৈরি করেছে। ভারত টু-জি, টু-জি, টু-জি শুনেছে, কারণ, সেগুলি শিরোনাম হত “টু-জি-তে এই হচ্ছে, টু-জি-তে ওই হচ্ছে”। এখন আমি বলছি ফোর-জি নিয়ে, তাই একটু সময় লাগছে। আমি এই ব্যাখ্যা করতে করতে ক্লান্ত। বিএসএনএল, যে কোম্পানিকে কংগ্রেস সরকার ধ্বংস করতে কোন চেষ্টাই বাকি রাখেনি, সে এখন নতুন সাফল্য অর্জন করছে।
কিন্তু বন্ধুগণ,
এটা দেশের সাফল্যের মাত্র একটি দিক। এর অন্য দিকটি হচ্ছে যে এই একই দিনে ফোর-জি-র সূচনা হল, বিএসএনএল প্রায় ১ লক্ষ ফোর-জি মোবাইল টাওয়ার বসানো শুরু করল এবং এর ফলাফল কি? এতে দুর্গম অরণ্যে এবং পাহাড়ে বসবাসকারী লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে দ্রুত গতির ইন্টারনেট পরিষেবা এনে দিল, যেখানে এখনও পর্যন্ত দ্রুত গতির ইন্টারনেট লভ্য ছিল না।
বন্ধুগণ,
এখন আপনাদের একটা চমকপ্রদ কথা বলতে দিন আমাকে। আমরা টু-জি, ফোর-জি, সিক্স-জি ইত্যাদির কথা শুনে থাকি, তারপর আমরা বিশ্বের চারদিকে তাকাই এবং আমরা কিছু একটা ভাবি এবং ভাবার পর আমরা কিছু নতুন করবার চেষ্টা করি এবং আজ আপনাদের সামনে দেশের সাফল্যের তৃতীয় বিষয়টি রাখতে চাই এবং এখনও পর্যন্ত সংবাদমাধ্যম এই দিকে নজরই দেয়নি। ভাল কথা, অনেক জিনিস আছে আমার হিসেবে সেগুলি পিছনেই থেকে যাবে। যখন এই ধরনের সুযোগ দুর্গম এলাকায় পৌঁছোয় কীভাবে সেই সব এলাকার মানুষের জীবনে পরিবর্তন হয়ে যায়। আপনারা ই-সঞ্জীবনীর কথা শুনে থাকবেন। এই ই-সঞ্জীবনীর উদাহরণ আমাকে দিতে দিন। ধরুন, একটি পরিবার দুর্গম অরণ্যে কোথাও বাস করে, সেই পরিবারের এক সদস্য অসুস্থ এবং পাহাড়ে থাকা কেউ একজন অসুখে ভুগছে, বনেজঙ্গলে থাকা কোথাও। এখন খারাপ আবহাওয়ার কারণে তাঁরা তাঁদের পরিবারের অসুস্থ সদস্যকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে পারছে না। তখন তাঁরা কি করবে? এই পরিস্থিতিতে ই-সঞ্জীবনী পরিষেবা, যা দ্রুত গতির সংযোগের ওপর নির্ভর পরিষেবা তা তাঁদের সাহায্য করবে।
বন্ধুগণ,
রোগী তাঁর ফোনে ই-সঞ্জীবনী অ্যাপের মাধ্যমে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার সুযোগ পাবেন। এনডিটিভি-র দর্শকরা জেনে খুশি হবেন যে, এখনও পর্যন্ত ৪২ কোটি মানুষ ই-সঞ্জীবনীর মাধ্যমে পরামর্শ পেয়েছেন। এর অর্থ ফোর-জি, টু-জি শুধুমাত্র একটি সুবিধা নয়, এটি জীবনের একটি বল হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং আজ যখন আমি আপনাদের বলছি, সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত দেশের ১ লক্ষের বেশি মানুষ ই-সঞ্জীবনীতে সাহায্যে পেয়েছেন। আমি মাত্র আপনাদের ১২ ঘন্টার কথা বলছি। ই-সঞ্জীবনী শুধুমাত্র একটি সুবিধা নয়, এটি পুনঃআশ্বাস যে, সঙ্কটে তাৎক্ষণিক সাহায্য পাওয়া যাবে। এটা ব্যবস্থার গণতন্ত্রীকরণের একটি চমকপ্রদ উদাহরণ।
বন্ধুগণ,
একটি সংবেদনশীল সরকার, গণতন্ত্রের প্রতি নিষ্ঠ একটি সরকার, সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ একটি সরকার এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে, এই নীতি তৈরি করতে পারে। আমরা জোর দিই মানুষের জীবনকে সহজ করে তোলার ওপর এবং মানুষের সঞ্চয় বৃদ্ধি করার ওপর। একটা উদাহরণ দিই- ১ জিবি ডেটার খরচ ছিল ৩০০ টাকা, এখন তার জন্য খরচ হচ্ছে ১০ টাকা। এর অর্থ প্রতি বছর প্রত্যেক ভারতীয়ের কয়েক হাজার টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। দরিদ্র রোগীরা ১.২৫ লক্ষ কোটি টাকা সাশ্রয় করতে পারছে আয়ুষ্মান ভারত কর্মসূচির মাধ্যমে। পিএম জন ঔষধি কেন্দ্রগুলিতে ৮০ শতাংশ ছাড়ে ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে। এই কারণে মানুষ প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করতে পারছে। স্টেন্টের দাম কমায় গরীব এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণী বছরে ১২ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করছেন।
বন্ধুগণ,
আমরা সৎ করদাতাকেও সরাসরি সুবিধা দিয়েছি। সে আয়কর হোক বা জিএসটি, বিপুল ছাড় দেওয়া হয়েছে। এবছর ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর শূন্য করা হয়েছে। জিএসটি সাশ্রয় উৎসব পুরোদমে চলছে। এর অর্থ আমি আজকাল সব জায়গায় বাজারের ছবি দেখছি। যদি আপনি গুগলের দিকে তাকান, তাহলে সব জায়গায় কেন? এটা জিএসটি সাশ্রয় উৎসব, যা এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে। আজকার আমরা দেখতে পারছি পূর্বেকার বিক্রয়ের রেকর্ড রোজ ভাঙছে। এই আয়কর এবং জিএসটি দুই পদক্ষেপে দেশবাসী নিশ্চিত যে বছরে প্রায় ২.৫ লক্ষ কোটি টাকা সাশ্রয় করবে।
বন্ধুগণ,
সাম্প্রতিক সময়ে দেশ এবং বিশ্ব অপারেশন সিঁদুর নিয়ে অনেক আলোচনা করেছে। সম্প্রতি আমাদের বন্ধু রাহুল জী অপারেশন সিঁদুর নিয়ে অনেক কথা বলেছেন। তিনি সেনা পরিবারের লোক, তাই এই নিয়ে তাঁর মাথাব্যথা স্বাভাবিক। এই জিনিসগুলি তাঁর ধমনীতে বহমান। তিনি গর্বের সঙ্গে প্রশংসা করেছেন এবং দেশ এবং বিশ্ব একই জিনিস করছে। কিন্তু আজ আমি আপনাদের অন্য এক বিষয় জানাতে চাই, যা শুধুমাত্র দেশের নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তাই নয়, এটা আমাদের তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যতের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই বিষয়টি নকশালবাদের সঙ্গে যুক্ত। আমি বিশ্বাস করি যে, এই নকশালবাদ শব্দটি এই ধরনের মানুষদেরই দেওয়া। বাস্তবে এটা মাওবাদী সন্ত্রাস। আজ আমি আপনাদের মাওবাদী সন্ত্রাসের একটি কাহিনী বলতে চাই। কংগ্রেস শাসনে শহুরে নকশালদের পরিমণ্ডল এই শহুরে নকশালরা একরকমভাবে খুব প্রভাবশালী ছিল, এখনও তারা প্রভাবশালী। তারা সাধারণত প্রবল নিষেধাজ্ঞা চালিয়ে দেশের মানুষের কাছে যাতে মাওবাদী সন্ত্রাসের খবর না পৌঁছোয় তা নিশ্চিত করে, আমাদের দেশে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে এত আলোচনা হয়। এখন ৩৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে বিতর্ক হয়। কংগ্রেস আমলে আমাদের শহরগুলিতে যে শহুরে নকশালরা বেড়ে উঠেছে, যারা সেই সব প্রতিষ্ঠানকে বেছে নিয়েছে মাওবাদী সন্ত্রাসকে আড়াল করতে এবং দেশকে অন্ধকারে রাখতে। এই তো কিছুদিন আগে মাওসন্ত্রাসীদের দ্বারা পীড়িত অনেকে দিল্লিতে এসেছিল। খুব কষ্টকর ব্যাপার। তারা অনেক সংখ্যায় এসেছিল। কারও হাত নেই, কারও পা নেই, কারও চোখ নেই, কারও কারও দেহের অন্য অংশ নেই। এরা সব মাওবাদী সন্ত্রাসের শিকার। গ্রামের গরীব, আদিবাসী ভাই ও বোনেরা, কৃষকের সন্তানরা, মা এবং বোনেরা অনেকেরই পা কাটা পড়েছে, তারা দিল্লিতে এসেছিল, ৭ দিন থেকেছিল। তারা জোড় হাতে আবেদন করেছিল তাদের বার্তা দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে। তারা প্রেস কনফারেন্স করে, তা কেউ বোধ হয় দেখেননি, শোনেননি। মাওবাদী সন্ত্রাসের এই ঠিকাদাররা যারা এখানে বসে আছে তারা এই অত্যাচারে পীড়িতদের বেদনা ভারতের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে দেয়নি। কংগ্রেস পরিমণ্ডলে এই সব নিয়ে আলোচনাও হয়নি।
বন্ধুগণ,
পরিস্থিতি এমন ছিল যে দেশের প্রায় প্রত্যেকটি রাজ্য নকশালবাদী হিংসা এবং মাওবাদী সন্ত্রাসের কবলে ছিল। দেশের বাকি অংশে সংবিধান চালু থাকলেও রেড করিডোরে কেউ তার উল্লেখ করার সাহস পেত না। আর আমি পুরো দায়িত্ব নিয়ে বলতে চাই যারা মাথায় সংবিধান নিয়ে নাচানাচি করে, তারা এখনও দিনরাত বাঁচাতে চেষ্টা করে মাওবাদী সন্ত্রাসীদের যারা সংবিধানে বিশ্বাস করে না।
বন্ধুগণ,
সরকার নির্বাচিত হয়, কিন্তু রেড করিডোরে তার স্বীকৃতি নেই। সন্ধ্যা নামলে বাড়ির বাইরে বের হওয়া মুশকিল। যারা জনগণকে নিরাপত্তা দেয়, তাদেরই সুরক্ষাকর্মী নিয়ে ঘোরাফেরা করতে হয়।
বন্ধুগণ,
গত ৫০-৫৫ বছরে, কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে, এই মাওবাদী সন্ত্রাসের কারণে, অনেক নিরাপত্তাকর্মী মাওবাদী সন্ত্রাসের শিকার, আমরা কত তরুণকে হারিয়েছি। এই নকশালবাদীরা, এই মাওবাদী সন্ত্রাসীরা স্কুল খুলতে দিত না, হাসপাতাল তৈরি করতে দিত না, যদি হাসপাতাল থেকেও থাকে তারা চিকিৎসকদের প্রবেশ করতে দিত না, তার পরেও যেগুলি ছিল সেগুলিকে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হয়। কয়েক দশক ধরে দেশের একটা বড় অংশ এবং অনেক মানুষ উন্নয়নের আলো থেকে বঞ্চিত রয়ে গেছে। আমাদের আদিবাসী ভাই-বোনেরা, দলিত ভাই-বোনেরা এবং গরীব মানুষ এই কারণে বিপুল ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে।
বন্ধুগণ,
মাওবাদী সন্ত্রাসবাদ দেশের তরুণদের কাছে এক বড় অন্যায়, এক বড় পাপ। আমি আমার দেশের এই তরুণ সমাজকে এই পরিস্থিতিতে ছেড়ে দিতে পারি না। আমি অস্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতাম, আমি মুখ বন্ধ করে বসে থাকতাম। বর্তমানে এই প্রথম আমি আমার কষ্টের কথা জানাচ্ছি। আমি সেই সব মাকে জানি যাঁরা তাঁদের ছেলেকে হারিয়েছেন, সেই সব ছেলেদের কাছ থেকে সেই সব মায়েদের আশা-প্রত্যাশা ছিল, হয় তারা মাওবাদী সন্ত্রাসীদের মিথ্যার জালে জড়িয়ে গেছে অথবা মাওবাদী সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে এবং সেই থেকে ২০১৪-র পরে আমাদের সরকার পূর্ণ সংবেদনশীলতার সঙ্গে বিপথগামী যুবাদের মূল স্রোতে ফেরানোর কাজ করছে এবং আমি আজ প্রথম দেশবাসীকে এই কথা বলছি। দেশবাসী খুশি হবেন, দেশবাসী আমাকে আশীর্বাদ করবেন, যে মায়েরা তাঁদের সন্তান হারিয়েছেন, সেই সব মায়েরা আমার আশীর্বাদ করবেন, তাঁরা আমাদের দেশের শক্তিকে আশীর্বাদ করবেন এবং আজ দেশ তার ফল পাচ্ছে। ১১ বছর আগে ১২৫-টির বেশি জেলা মাওবাদী সন্ত্রাসের কবলে ছিল।
এবং বন্ধুগণ,
আজ এই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১১টি জেলায়। আপনারা জানেন, এর জন্য কতটা চেষ্টা করতে হয়েছে। এমনকি এই ১১টির মধ্যেও মাত্র ৩টি জেলা ঝুঁকিপূর্ণ রয়ে গেছে।
বন্ধুগণ,
গত এক দশকে কয়েক হাজার নকশালবাদী অস্ত্র নামিয়ে রেখেছে। আমি আপনাদের গত ৭৫ ঘন্টার হিসাব দিতে চাই, মাত্র ৭৫ ঘন্টা। আমি জানি এটা সংবাদ মাধ্যমের খাবার নয়। কিন্তু আমার জীবনে এটা বিরাট সন্তোষজনক যে এই ৭৫ ঘন্টায় ৩০৩ জন নকশালবাদী আত্মসমর্পণ করেছে। যারা একসময় হাতে তুলে নিয়েছিল থ্রি নট থ্রি, তারা আজ থ্রি নট থ্রি নামিয়ে রেখেছে এবং তারা সাধারণ নকশাল নয়, কারও কারও মাথার দাম এক কোটি, কারও ১৫ লক্ষ, কারও আবার ৫ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। বিশাল পরিমাণে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তারা ভারতের সংবিধানকে আলিঙ্গন করতে প্রস্তুত। যখন কোন সরকার পুরোপুরি সংবিধানের প্রতি নিষ্ঠাবান, তখন বিপথগামী একজন ব্যক্তিও ঠিক ফিরে আসে এবং সংবিধানকে মেনে নেয়। এখন তারা উন্নয়নের মূল স্রোতে ফিরে আসছে এবং এই সব মানুষ স্বীকার করছে যে তারা ভুল পথে গিয়েছিল। পাঁচটি দশক পার হয়ে গেছে, তাদের যৌবন চলে গেছে, কিন্তু যে পরিবর্তন আশা করেছিল তা এসেনি। এখন তারা এগিয়ে যাবে ভারতের সংবিধানকে বিশ্বাস রেখে।
বন্ধুগণ,
সাধারণত সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম হয়, ছত্তিশগড়ের বস্তারে এই হয়েছে, ওই হয়েছে, গোটা বাস উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, বেশ কয়েকজন জওয়ান নিহত হয়েছে, মাওবাদী সন্ত্রাসীদের শক্ত ঘাঁটি ছিল বস্তার এবং এখন আমি আপনাদের সেই বস্তারের উদাহরণ দিচ্ছি আদিবাসী যুবকরা বস্তার অলিম্পিকের আয়োজন করছে, কয়েক লক্ষ যুবক আসছে বস্তার অলিম্পিকে এবং তারা খেলাধূলায় শক্তি প্রদর্শন করছে, এটাই পরিবর্তন।
বন্ধুগণ,
এবারে মাওবাদী সন্ত্রাসমুক্ত এলাকাগুলিতে দেওয়ালি উদযাপন করা হবে জাঁকজমক সহকারে। ৫০-৫৫ বছর হল তারা দেওয়ালি দেখেনি। এবার তারা দেওয়ালি দেখবে। আমি নিশ্চিত বন্ধুরা, আমাদের কঠোর পরিশ্রম ফল দেবে এবং খুশির প্রদীপ জ্বলে উঠবে এবং আজ আমি দেশবাসী এবং এনডিটিভি দর্শকদের আশ্বস্ত করতে পারি যে সেই দিন আর দেরি নয়, যখন দেশ সম্পূর্ণভাবে নকশালবাদ এবং মাওবাদী সন্ত্রাস থেকে মুক্ত হবে এবং এটাও মোদীর গ্যারান্টি।
বন্ধুগণ,
উন্নত ভারতের দিকে আমাদের যাত্রা শুধুমাত্র বৃদ্ধির যাত্রা নয়, যেখানে উন্নয়ন এবং মর্যাদা হাতে হাত রেখে চলে, যখন নাগরিকদের মত এবং মর্যাদা থাকে, যখন উদ্ভাবনের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র দক্ষতা না হয়ে সহমর্মিতা হয়। আমরা এই আদর্শ নিয়ে এগোচ্ছি। এবং এনডিটিভি ওয়ার্ল্ড সামিটের মতো অনুষ্ঠানগুলি এই আদর্শগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বড় ভূমিকা নেয়। এনডিটিভি-কে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার জন্য আমাকে আমন্ত্রণ জানানোয়। আমি এই অনুষ্ঠানের সাফল্য কামনা করি। আমি আপনাদের দেওয়ালির শুভেচ্ছা জানাই। অসংখ্য ধন্যবাদ।
SSS/AP/AS
(रिलीज़ आईडी: 2180994)
आगंतुक पटल : 41
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें:
Odia
,
English
,
Urdu
,
हिन्दी
,
Marathi
,
Assamese
,
Manipuri
,
Punjabi
,
Gujarati
,
Telugu
,
Kannada
,
Malayalam