প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

ভারত-যুক্তরাজ্যের যৌথ বার্তা

Posted On: 09 OCT 2025 3:24PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ৯ অক্টোবর ২০২৫

 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে যুক্তরাজ্যের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্যার কিয়ার স্টারমার ২০২৫ সালের ৮–৯ অক্টোবর ভারত সফরে আসেন। প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের সঙ্গে উচ্চস্তরের এক প্রতিনিধিদলও ছিল। এই দলে ছিলেন ব্যবসা ও বাণিজ্য সচিব এবং বাণিজ্য সমিতির সভাপতি মহামান্য পিটার কাইল, স্কটল্যান্ডের সচিব মহামান্য ডগলাস আলেকজান্ডার, বিনিয়োগ মন্ত্রী মি. জেসন স্টকউড এবং ১২৫ জন সিইও, উদ্যোক্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।

এটি প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের ভারতের প্রথম সরকারি সফর। ২০২৫ এর ২৩–২৪ জুলাই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাজ্য সফরে ঐতিহাসিক ভারত–যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য চুক্তি (সি ই টি এ) স্বাক্ষর হয়। প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের বর্তমান সফর এই চুক্তির প্রেক্ষিতে উল্লেখযোগ্য।

প্রধানমন্ত্রী মোদী ও প্রধানমন্ত্রী স্টারমার ৯ অক্টোবর মুম্বাইয়ে গ্লোবাল ফিনটেক ফেস্ট-এ মূল ভাষণ প্রদান করেন। একই দিনে দুই নেতা সীমিত পরিসর এবং প্রতিনিধিদল-স্তরের বৈঠক করেন, যেখানে তাঁরা ভারত–যুক্তরাজ্য বিস্তৃত কৌশলগত অংশীদারিত্বের ক্রমবর্ধমান অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আন্তরজাতিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিয়মভিত্তিক ব্যবস্থার প্রতি তাঁদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তাঁরা পারস্পরিক আগ্রহের আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ও আলোচনা করেন।

বৃদ্ধি

দুই প্রধানমন্ত্রী ভারত–যুক্তরাজ্য শীর্ষ সম্মেলনের পার্শ্বে মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত সিইও ফোরামের বৈঠককে স্বাগত জানান। তাঁরা যত দ্রুত সম্ভব ভারত–যুক্তরাজ্য বিস্তৃত অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য চুক্তি (সি ই টি এ)-র সুফল বাস্তবায়িত করতে এর অনুমোদন সম্পন্ন করার আশা ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রীরা সি ই টি এ-র শাসনব্যবস্থা ও প্রয়োগে সহায়তা করতে যৌথ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য কমিটি (জেটকো)-র পুনর্গঠনকেও স্বাগত জানান।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উচ্চস্তরের ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদলের আসা নির্মাণ, পরিকাঠামো ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানি, উন্নত উৎপাদন, প্রতিরক্ষা, শিক্ষা, ক্রীড়া, সংস্কৃতি, আর্থিক ও পেশাগত পরিষেবা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, সাধারণ পণ্য এবং খাদ্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনাকে প্রতিফলিত করছে। নীতি আয়োগ ও সিটি অফ লন্ডন কর্পোরেশনের মধ্যে যুক্তরাজ্য–ভারত পরিকাঠামো অর্থায়ন সেতু (ইউ কে আই আই এফ বি) দুই দেশই সুস্থায়ী উন্নয়নের যৌথ আকাঙ্ক্ষার এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ।

দুই প্রধানমন্ত্রী বিমান চলাচল সংযোগ বৃদ্ধির ও সহযোগিতা সম্প্রসারণের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং ভারত–যুক্তরাজ্য বিমান পরিষেবা চুক্তির নবায়ন সহ অন্যান্য বিমান সম্পর্কিত বিষয়ে চলতে থাকা আলোচনাকে স্বাগত জানান। এটি মহাকাশ ও বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে আরও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার সুযোগ সৃষ্টি করবে।

প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন

ভারত ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীরা অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জাতীয় নিরাপত্তা জোরদার ও বৈশ্বিক উদ্ভাবনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে অগ্রগামী প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে তাঁদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। প্রযুক্তি নিরাপত্তা উদ্যোগ (টি এস আই)-এর ভিত্তিতে দুই নেতা টেলিকম, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এ আই ও স্বাস্থ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বাস্তব অগ্রগতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

নেতারা টি এস আই,এর অধীনে নিম্নলিখিত উদ্যোগগুলির প্রতিষ্ঠাকে স্বাগত জানান:

* £২৪০ লক্ষ যৌথ তহবিল সহ ভারত–যুক্তরাজ্য সংযোগ ও উদ্ভাবন কেন্দ্রের প্রথম ধাপ, যা ৬জি-এর জন্য এ আই ভিত্তিক সংযোগ, নন-টেরেস্ট্রিয়াল নেটওয়ার্ক (এন টি এন) ও টেলিকম সাইবার নিরাপত্তার উন্নয়নে নিবেদিত।

* ভারত–যুক্তরাজ্য যৌথ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কেন্দ্র, যা স্বাস্থ্য, জলবায়ু, অরথ প্রযুক্তি ও জীবপ্রকৌশলে দায়িত্বশীল ও বিশ্বস্ত এ আই ব্যবহার সম্ভব করবে।

* যুক্তরাজ্য–ভারত গুরুত্বপূর্ণ খনিজ প্রক্রিয়াকরণ ও সহযোগিতা গিল্ড, যা গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সরবরাহ শৃঙ্খলকে শক্তিশালী ও বৈচিত্র্যময় করবে এবং উভয় দেশে বিনিয়োগ ও প্রবৃদ্ধি বাড়াবে। তাঁরা যুক্তরাজ্য–ভারত গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সরবরাহ শৃঙ্খল পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের দ্বিতীয় পর্যার সূচনাও ঘোষণা করেন, যা খনিজ ক্ষেত্রে সম্প্রসারণ, প্রযুক্তির ঐক্যকরন ও আইআইটি–আইএসএম ধানবাদের নতুন স্যাটেলাইট ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে।

উভয় দেশ বায়োটেকনোলজি বা জীবপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা অগ্রসর করতে একমত হয়, যেখানে যুক্তরাজ্যের সেন্টার ফর প্রসেস ইনভেশন এবং ভারতের ব্রিক, এইচ আর আই, আই আই এস সি,  ও এন টি এবং ব্রিক- সি ডি এফ ডি'র মধ্যে একাধিক কৌশলগত চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এসব অংশীদারিত্ব জৈব-উৎপাদন, ৩ডি বায়োপ্রিন্টিং ও জিনোমিক্স ক্ষেত্রে রূপান্তরমূলক প্রভাব ফেলবে।

প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা

দুই নেতা ভারত ও যুক্তরাজ্যের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিনিময় সম্প্রসারণে একমত হন। যৌথ মহড়া, প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই সম্প্রসারণ ঘটবে। প্রধানমন্ত্রী মোদী যুক্তরাজ্যের ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপের ভারত সফর ও ভারতীয় নৌবাহিনীর সঙ্গে রয়্যাল নেভির "কঙ্কণ" মহড়াকে স্বাগত জানংকন"দুই দেশ ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দৃঢ় সামুদ্রিক নিরাপত্তা সহযোগিতায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যার মধ্যে ইন্দো–প্যাসিফিক ওশান ইনিশিয়েটিভ (আই পি ও আই)-এর অধীনে আঞ্চলিক সামুদ্রিক নিরাপত্তা উৎকর্ষ কেন্দ্র (আর এম এস সি এ) প্রতিষ্ঠা অন্তর্ভুক্ত।

দুই নেতা ভারতীয় বায়ুসেনার যোগ্য প্রশিক্ষকদের যুক্তরাজ্যের রয়্যাল এয়ার ফোর্স প্রশিক্ষণে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থায় অগ্রগতিকে স্বাগত জানান। তাঁরা ভারতীয় নৌবাহিনীর মঞ্চে সামুদ্রিক বৈদ্যুতিক প্রপালশন সিস্টেম বিকাশে সহযোগিতার জন্য ভারত–যুক্তরাজ্য আন্তঃসরকারি চুক্তি (আই জি এ) চূড়ান্ত করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন।

এছাড়া, দুই নেতা লাইটওয়েট মাল্টিরোল মিসাইল (এল এম এম) সিস্টেমের প্রাথমিক সরবরাহ সরকার-থেকে-সরকার পথে সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন, যা ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর ভাবনায় দীর্ঘস্থায়ী প্রতিরক্ষা সহযোগিতা গড়ে তুলবে।

দুই প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রপন্থার দৃঢ় নিন্দা করেন এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা ও সমন্বিত আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান জানান। তাঁরা জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সন্ত্রাস দমন, চরমপন্থা মোকাবিলা, অর্থায়ন রোধ, সীমান্তপারে সন্ত্রাসী চলাচল প্রতিরোধ, এবং তথ্য বিনিময়, বিচারিক সহযোগিতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি জোরদার করার বিষয়ে একমত হন। তাঁরা ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে জম্মু ও কাশ্মীরের পাহালগামে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলাকে কঠোর ভাষায় নিন্দা করেন।

জলবায়ু ও জ্বালানি

নেতারা নেট-জিরো লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহযোগিতার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন। তাঁরা ভারত–যুক্তরাজ্য জলবায়ু অর্থায়ন উদ্যোগ কে স্বাগত জানান, যা সবুজ প্রবৃদ্ধি ও নতুন অর্থায়নের সুযোগ উন্মোচন করবে।  যুক্তরাজ্য সরকার ও স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে দুই দেশ যৌথভাবে ক্লাইমেট টেক স্টার্টআপ ফান্ডে বিনিয়োগের ঘোষণা করে।

তাঁরা অফশোর উইন্ড টাস্কফোর্স গঠনের ঘোষণা করেন এবং গ্লোবাল ক্লিন পাওয়ার অ্যালায়েন্স (জি সি পি এ) এর মাধ্যমে যৌথভাবে কাজ করার অঙ্গীকার গ্রহণ করেন।

শিক্ষা, সংস্কৃতি ও জনগণের সংযোগ

নেতারা যুব, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাগত বিনিময়ের গুরুত্ব স্বীকার করেন, যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাঁরা প্রথম বার্ষিক মন্ত্রীস্তরীয় কৌশলগত শিক্ষা সংলাপ এবং ২০২৫ এর মে মাসে স্বাক্ষরিত সাংস্কৃতিক সহযোগিতা কর্মসূচি বাস্তবায়নের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

উভয় পক্ষ নয়টি শীর্ষস্থানীয় যুক্তরাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারতে শাখা খোলার অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। ইউনিভার্সিটি অফ সাউদ্যাম্পটন গুরগাঁও ক্যাম্পাসে তার প্রথম ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের স্বাগত জানিয়েছে। ইউজিসি ইতিমধ্যেই ইউনিভার্সিটি অফ লিভারপুল, ইউনিভার্সিটি অফ ইয়র্ক, ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাবারডিন ও ইউনিভার্সিটি অফ ব্রিস্টল এর জন্য লেটার অফ ইন্টেন্ট প্রদান করেছে। এছাড়া কুইন্স ইউনিভার্সিটি অফ বেলফাস্ট ও কভেন্ট্রি ইউনিভার্সিটি কে গিফট সিটিতে শাখা খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সফরের সময় ভারত সরকার ল্যাঙ্কাস্টার ইউনিভার্সিটির বেঙ্গালুরু ক্যাম্পাসের জন্য লেটার অফ ইন্টেন্ট প্রদান করে এবং ইউনিভার্সিটি অফ সারির গিফট সিটি ক্যাম্পাসের জন্য নীতিগত অনুমোদন প্রদান করে।

দুই প্রধানমন্ত্রী মাইগ্রেশন অ্যান্ড মোবিলিটি পার্টনারশিপ (এম এম পি) বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবেন বলে জানান। তাঁরা বেয়াইনি অনুপ্রবেশ রোধে সহযোগিতার অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

নেতারা যুক্তরাজ্যে ভারতীয় প্রবাসী সমাজকে দুই দেশের মধ্যে জীবন্ত সেতু হিসেবে অভিহিত করেন এবং দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সম্পর্ক দৃঢ় করার ক্ষেত্রে তাদের অবদানকে উচ্চ প্রশংসা করেন। তাঁরা যুক্তরাজ্য–ভারত সাংস্কৃতিক সহযোগিতা কর্মসূচীর মাধ্যমে সংস্কৃতি, শিল্প, পর্যটন ও খেলাধুলার ক্ষেত্রে দুই দেশের প্রতিভাকে একত্রিত করার সম্ভাবনার কথা বলেন।

আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতা

দুই প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার প্রতি তাঁদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তাঁরা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার সহ বহুপাক্ষিকতার সংস্কারকে এগিয়ে নিতে যৌথভাবে কাজ করার বিষয়ে একমত হন। যুক্তরাজ্য পুনরায় ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ প্রাপ্তির ন্যায্য দাবির প্রতি তার দীর্ঘস্থায়ী সমর্থন ব্যক্ত করে।

প্রধানমন্ত্রীরা উল্লেখ করেন যে কমনওয়েলথের ২৫০ কোটি মানুষের যৌথ মূল্যবোধই তার প্রকৃত শক্তি। তাঁরা জলবায়ু পরিবর্তন, সুস্থায়ী উন্নয়ন ও যুবশক্তির ক্ষেত্রে কমনওয়েলথ সংস্থা গুলির নতুন নেতৃত্বের সঙ্গে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার গ্রহণ করেন।

দুই প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ইউক্রেনে ন্যায়সংগত ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রয়াসকে সমর্থন জানান এবং এই লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানান।

তাঁরা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন, বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা, আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা এবং শান্তিভঙ্গ না করার আহ্বান জানান। তাঁরা গাজা সংক্রান্ত মার্কিন শান্তি পরিকল্পনাকে সমর্থন করেন এবং অবিলম্বে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, বন্দীদের মুক্তি ও মানবিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন। তাঁরা নিরাপদ ও সুরক্ষিত ইসরায়েলের পাশাপাশি, একটি কার্যকরী প্যালেস্তাইন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের দিকে একটি ন্যায্য ও স্থায়ী শান্তির জন্য তাঁদের যৌথ অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রী স্টারমার প্রধানমন্ত্রী মোদীর উষ্ণ আতিথেয়তা ও সৌজন্যের জন্য ধন্যবাদ জানান। এই সফর দুই দেশের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব, অভিন্ন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও পারস্পরিক আস্থার উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা ভারত–যুক্তরাজ্য বিস্তৃত কৌশলগত অংশীদারিত্বের দৃঢ় বিকাশ ও ইতিবাচক গতিপথকে পুনরায় নিশ্চিত করেছে।

 

****
SSS/RS


(Release ID: 2177599) Visitor Counter : 23