প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘‘মন কি বাত’’ (১২৬ তম পর্ব) অনুষ্ঠানের বাংলা অনুবাদ

Posted On: 28 SEP 2025 11:48AM by PIB Kolkata

আমার প্রিয় দেশবাসী, মন কি বাতে আপনাদের সবার সঙ্গে যুক্ত হওয়া, আপনাদের কাছে শেখা, দেশের মানুষের সাফল্যের সম্পর্কে জানা, আমার সত্যিই খুব ভালো লাগে। অন্যান্যদের সঙ্গে নিজের কথা ভাগ করে নিতে-নিতে, নিজের মনের কথা বলতে-বলতে, আমাদের খেয়ালই নেই যে এই অনুষ্ঠান ১২৫ পর্ব সম্পূর্ণ করে ফেলেছে। আজ এই অনুষ্ঠানের ১২৬তম পর্ব এবং আজকের দিনের সঙ্গে কিছু বিশেষ ব্যাপার জুড়ে রয়েছে। আজ ভারতের দু’জন মহান ব্যক্তিত্বের জন্মজয়ন্তী। আমি বলছি শহীদ ভগৎ সিং এবং লতা দিদির কথা।

বন্ধুরা, অমর শহীদ ভগৎ সিং প্রত্যেক ভারতবাসী বিশেষ করে দেশের তরুণদের জন্য প্রেরণার উৎস। তাঁর চরিত্রের প্রতিটি দিক ভরা ছিল নির্ভীকতায়। দেশের জন্য ফাঁসির দড়ি পরার আগে ভগৎ সিং ইংরেজদের একটি চিঠিও লেখেন। উনি বলেন, আমি চাই যে আমি এবং আমার বন্ধুদের সঙ্গে আপনারা যুদ্ধবন্দীদের মত ব্যববহার করুন। এই কারণে ফাঁসিতে নয়, আমাদের গুলি করে হত্যা করা হোক। এটা তাঁর অদম্য সাহসের নিদর্শন। ভগৎ সিংজী মানুষের কষ্টের প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল ছিলেন এবং তাদের সাহায্য করার ক্ষেত্রে সর্বাগ্রে থাকতেন । আমি শহীদ ভগৎ সিংজীকে সম্মানের সঙ্গে শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।

 

 

বন্ধুরা, আজ লতা মঙ্গেশকরেরও জন্মজয়ন্তী। ভারতীয় সংস্কৃতি এবং সঙ্গীতে আগ্রহী যে কোনও মানুষ তাঁর গান শুনে অভিভূত না হয়ে থাকতে পারেন না। তাঁর গানে সেই সবকিছু রয়েছে যা মানবিক সংবেদনকে নাড়িয়ে দিতে পারে। তিনি দেশভক্তির যেসব গান গেয়েছেন, সেই সব গান মানুষকে খুব অনুপ্রাণিত করেছে। ভারতের সংস্কৃতির সঙ্গেও তাঁর গভীর যোগ ছিল। আমি লতাদিদির জন্য আমার হৃদয়ের শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। বন্ধুরা, লতাদিদি যেসব মহান ব্যক্তির দ্বারা অনুপ্রাণিত ছিলেন তাঁদের মধ্যে বীর সাভারকরও একজন, যাঁকে তিনি ‘তাত্যা’ বলে সম্বোধন করতেন। বীর সাভারকরের লেখা অনেক গানে তিনি নিজের কণ্ঠ দিয়েছেন। লতা দিদির সঙ্গে আমার স্নেহের যে বন্ধন ছিল তা অটুট থেকেছে সবসময়। একবারও না-ভুলে প্রতি বছর আমাকে তিনি রাখী পাঠাতেন। আমার মনে আছে, মারাঠী সুগম সঙ্গীতের মহান ব্যক্তিত্ব সুধীর ফড়কেজী সবার আগে আমাকে লতাদিদির সঙ্গে পরিচয় করান আর আমি লতা দিদিকে বলেছিলাম যে আপনার গাওয়া এবং সুধীরজীর সুরারোপিত গান ‘জ্যোতি কলশ ছল্‌কে’ আমার খুব পছন্দের।

বন্ধুরা, আমার সঙ্গে আপনারাও এই গান উপভোগ করুন।

(অডিও)

আমার প্রিয় দেশবাসী, নবরাত্রির এই সময়ে আমরা শক্তির আরাধনা করি। আমরা নারী-শক্তির উৎসব উদযাপন করি। ব্যবসা থেকে শুরু করে খেলাধুলো অবধি এবং শিক্ষা থেকে শুরু করে বিজ্ঞান অবধি আপনি যে কোনও ক্ষেত্রকে বেছে নিন – দেশের কন্যারা সর্বত্র ওড়াচ্ছেন নিজেদের পতাকা। আজ তাঁরা এমন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করছেন যার কল্পনা করাও কঠিন। যদি আমি আপনাকে এই প্রশ্ন করি যে আপনি কি সমুদ্রে টানা আট মাস থাকতে পারবেন! আপনি কি সমুদ্রে পালতোলা নৌকো অর্থাৎ বাতাসে চলা নৌকোয় চড়ে পঞ্চাশ হাজার কিলোমিটার যাত্রা করতে পারবেন, আর সেটাও তখন, যখন, সমুদ্রের আবহাওয়া বেসামাল হতে পারে যে কোনও সময়। এমন কিছু করার আগে আপনি হাজার বার ভাববেন, কিন্তু ভারতীয় নৌবাহিনীর দু’জন সাহসী অফিসার সামুদ্র পরিক্রমার সময় এটা করে দেখিয়েছেন । তাঁরা দেখিয়েছেন যে সাহস আর দৃঢ় সঙ্কল্প বলতে কী বোঝায়।

   

আজকে আমি মন কি বাতে শ্রোতাদের সঙ্গে দুজন দুঃসাহসি অফিসারের সাক্ষাৎ করাতে চাই। একজন হচ্ছেন লেফটেন্যান্ট কমান্ডার দিলনা এবং দ্বিতীয় জন লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রূপা। এই দুজন অফিসার আমার সঙ্গে ফোন লাইনে আছেন।

 প্রধানমন্ত্রী- হ্যালো। 

Lt cmnd দিলনা - হ্যালো স্যার।  

প্রধানমন্ত্রী- নমস্কার।

Lt cmnd দিলনা- নমস্কার স্যার।

প্রধানমন্ত্রী- তাহলে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার দিলনা এবং লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রুপা আপনারা দুজনই একসঙ্গে আছেন?

দিলনা এবং রুপা - হ্যা স্যার আমরা দুজনই আছি। 

প্রধানমন্ত্রী- আপনাদের দুজনকে নমস্কারম এবং বনাক্কাম।

দিলনা - বনাক্কাম স্যার।

রূপা - নমস্কারম স্যার।

প্রধানমন্ত্রী- সর্বপ্রথম দেশবাসী আপনাদের সম্পর্কে জানতে চায়। আপনারা একটু বলবেন।

দিলনা - স্যার, আমি লেফটেন্যান্ট কমান্ডার দিলনা। আমি ভারতীয় নৌসেনার লজিস্টিকস্ ক্যাডার। আমি ২০১৪ সালে নৌ সেনাতে কমিশনড প্রাপ্ত হই। আমি কেরলের কোঝিকড়ের অধিবাসী। আমার বাবা আর্মিতে ছিলেন, আমার মা একজন গৃহবধূ । আমার স্বামী ভারতীয় নৌসেনার আধিকারিক আর আমার বোন এনসিসিতে চাকরি করে।

রুপা- জয় হিন্দ স্যার, আমি লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রূপা। আমি ২০১৭ সালে নৌ সেনার ন্যাভাল আরম্যামেন্ট ইন্সপেকশন ক্যাডারে যোগদান করি। আমার বাবা তামিলনাড়ুর এবং মা পন্ডিচেরি নিবাসী।

আমার বাবা বায়ু সেনাতে ছিলেন স্যার এবং আমি ওনার কাছ থেকেই সেনাতে যোগদানে উৎসাহিত হই। আমার মা ছিলেন গৃহবধূ।

প্রধানমন্ত্রী- দিলনা এবং রুপা, সমুদ্র অভিযান নিয়ে, আপনাদের অভিজ্ঞতার কথা আমি জানতে চাই, দেশবাসীও শুনতে উৎসুক। আমার দৃঢ় বিশ্বাস এটা খুব একটা সহজ কাজ নয়। আপনাদের হয়তো অনেক কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয়েছে। 

দিলনা- হ্যাঁ স্যার, আমি আপনাকে একটা বিষয় বলতে চাই যে লাইফে আমাদের একবারই এমন সুযোগ আসে যা আমাদের জীবনটাই বদলে দেয়। আমাদের জন্য circumnavigation এমনই একটা সুযোগ যা ভারতীয় নৌসেনা এবং ভারত সরকার আমাদের দিয়েছে। এই অভিযানে আমরা প্রায় ৪৭ হাজার ৫০০ কিলোমিটার সফর করেছি স্যার। আমার ২০২৪ এর ২রা অক্টোবর গোয়া থেকে যাত্রা শুরু করেছিলাম আর ২৯ শে মে 2025 এ ফিরে এসেছি। এই অভিযান সম্পূর্ণ করতে আমাদের ২৩৮ দিন লেগেছে আর এই ২৩৮ দিন boat e কেবলমাত্র আমরা দুজনই ছিলাম স্যার।

প্রধানমন্ত্রী- হুমম, হুমম।

দিলনা- এই অভিযানের জন্য আমরা তিন বছর ধরে প্রস্তুতি নিয়েছি স্যার। নেভিগেশন থেকে কমিউনিকেশন, এমার্জেন্সি যন্ত্রপাতি কিভাবে চালাতে হবে, ডাইভিং কিভাবে করে। বোটে যে কোনো ধরনের এমার্জেন্সি হলে, মেডিকেল ইমারজেন্সি হলে কিভাবে মোকাবিলা করতে হবে, এইসব বিষয়ে ভারতীয় নৌসেনা আমাদের ট্রেনিং দিয়েছে স্যার।

এই অভিযানের সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্তের কথা আমি আপনাকে বলতে চাই। আমরা পয়েন্ট নেমো তে ভারতীয় জাতীয় পতাকা উড়িয়েছি স্যার। স্যার, পয়েন্ট নেমো পৃথিবীর রিমোটেস্ট লোকেশন স্যার। এর সবথেকে নিকটবর্তী ক্ষেত্র যেখানে মানুষ আছে সেটা হল ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন। Boat এ করে ওখানে পৌঁছানো আমরা প্রথম ভারতীয়, প্রথম এশিয়াবাসী এবং পৃথিবীর প্রথম মানুষ হিসেবে স্বীকৃত স্যার। এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয় স্যার।

প্রধানমন্ত্রী - বাহ! আপনাদের অনেক অনেক অভিনন্দন।

দিলনা- থ্যাঙ্ক ইউ স্যার।

প্রধানমন্ত্রী- আপনার সহযাত্রীও কিছু বলতে চান?

রুপা- স্যার, আমি এটাই বলতে চাই যে Sail Boat এ এই পৃথিবীর Circum Navigation যাঁরা করেছেন তাঁদের সংখ্যা যাঁরা মাউন্ট এভারেস্টে পৌঁছেছেন তাঁদের থেকে অনেক কম আর বিশেষত sail boat এ যাঁরা একলা Circum Navigation করেন তাঁদের সংখ্যা যাঁরা মহাকাশে গেছেন তাঁদের সংখ্যা থেকেও অনেক কম।

প্রধানমন্ত্রী- আচ্ছা, এত দুর্গম যাত্রার জন্য প্রচুর টিম ওয়ার্ক দরকার আর ওখানে তো আপনাদের টিমে আপনারা দুজনই ছিলেন। আপনারা সবকিছু কিভাবে ম্যানেজ করলেন?

রুপা- স্যার এই অভিযানের জন্য আমাদের দুজনকে একসঙ্গে প্রচুর পরিশ্রম করতে হতো। লেফটেন্যান্ট কমান্ডার দিলনা যেমন বললেন এই অভিযান সফল করার জন্য আমরা বোটে কেবল দুজন ছিলাম। আমরাই বোট মেরামত করতাম, আমরাই ছিলাম ইঞ্জিন মেকানিক। একই সঙ্গে আমাদের Sail maker, মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট, কুক, ক্লিনার, ড্রাইভার, নেভিগেটরের কাজও করতে হতো। আর এই সফলতার পেছনে ভারতীয় নৌসেনার একটা বড় অবদান ছিল। তাঁরা আমাদের সব রকম প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। আসলে স্যার, আমরা দুজন চার বছর যাবৎ একসঙ্গে Sail করছি। সেই কারণে একে অপরের শক্তি ও দুর্বলতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। তাই আমি সবাইকে বলি যে আমাদের বোটে একটা ইকুয়েপমেন্ট যা কখনো বিকল হয়নি সেটা হল আমাদের দুজনের টিম ওয়ার্ক।

প্রধানমন্ত্রী- আচ্ছা যখন আবহাওয়া খারাপ হতো তখন কী করতেন? কারণ সমুদ্রে আবহাওয়ার তো কোন স্থিরতা নেই। আপনারা কিভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতেন।

রুপা- স্যার আমাদের অভিযানে অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতি ছিল। আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছে। বিশেষ করে Southern Ocean এ আবহাওয়া সব সময় খুব খারাপ থাকে। আমাদের তিনটি ঝড়ের সম্মুখীন হতে হয়েছে। আমাদের বোট মাত্র 17 মিটার লম্বা এবং পাঁচ মিটার চওড়া। কখনো কখনো এমন ঢেউ আসত যেটা তিনতলা বাড়ি থেকেও উঁচু। এই অভিযানে আমাদের খুব গরম আবার খুব ঠান্ডার মধ্যেও কাটাতে হয়েছে। স্যার, আমরা যখন আন্টার্টিকা তে Sail করছিলাম তখন এক ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা এবং ৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা হাওয়ার বেগ কে আমাদের একসঙ্গে মোকাবিলা করতে হয়েছিল।

এছাড়া ঠান্ডা থেকে বাঁচতে আমরা ছয় থেকে সাতটি layer এর পোশাক পড়তাম এবং পুরো southern ocean ওইরকম ৭ টি লেয়ারের পোশাক ব্যবহার করেছি স্যার, এবং কখনও কখনও gas stove এ আমাদের হাত সেঁকে নিতে হয়েছে। কখনও কখনও এমন পরিস্থিতি হতো যখন একদম হাওয়া থাকত না। তখন পাল পুরো নামিয়ে আমাদের ভেসে থাকতে হত। আর এরকম পরিস্থিতিতে তখন আমাদের প্রকৃত ধৈর্য্যের পরীক্ষা চলত।

প্রধানমন্ত্রী- আমাদের দেশের মেয়েরা এত কষ্টের সম্মুখীন হয়ে অসাধ্য সাধন করছে জেনে মানুষ নিশ্চই অবাক হবে। এই পরিক্রমার সময় আপনারা তো বিভিন্ন দেশে থেকেছেন, সেখানে কিরকম অভিজ্ঞতা হয়েছে? যখন লোকেরা ভারতের দুই কন্যাকে দেখত তখন নিশ্চয়ই সেখানকার মানুষের মনে অনেক প্রশ্ন জমা হয়েছে? 

Lt. Commander Dilna- হ্যাঁ স্যার। আমাদের এরকম অনেক ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে স্যার। স্যার, আমরা আট মাসে চারটি জায়গায় থেমেছিলাম । Australia, New Zealand, Port Stanley এবং South Africa স্যার । 

প্রধানমন্ত্রী- প্রত্যেক জায়েগাতে গড়ে কত সময় থামতে হয়েছিল?

Lt. Commander Dilna- স্যার আমরা এক জায়েগায় চোদ্দো দিন থেমেছিলাম। 

প্রধানমন্ত্রী- এক জায়েগায় চোদ্দো দিন?

Lt. Commander Dilna- সঠিক স্যার। এবং স্যার আমরা দুনিয়ার প্রতিটি কোণায় ভারতীয়দের দেখতে পেয়েছি স্যার। ওঁরাও প্রচণ্ড সক্রিয় এবং খুবই আত্মবিশ্বাস এর সঙ্গে ভারতের নাম উজ্জ্বল করছেন। এবং আমাদের এমন মনে হয়েছে যে আমাদের যে success স্যার, তাঁকে তারা নিজেদের success মনে করছেন এবং সব জায়গায়তেই আমাদের নানান রকম অভিজ্ঞতা লাভ করেছি। যেমন Australia তে western Australian Parliament এর speaker আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন এবং উনি আমাদের খুবই অনুপ্রাণিত করেছেন স্যার। এবং সবসময়ই এই বিষয় গুলোতে আমরা গর্বিত হয়েছি। যখন New Zealand এ গিয়েছিলাম, তখন মাওরি অধিবাসীরা আমাদের স্বাগত জানিয়েছিলেন এবং ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি অসম্ভব সম্মান প্রদর্শন করেছেন স্যার। এবং স্যার এটা খুব ই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে Port Stanley, South America’র কাছাকাছি একটা প্রত্যন্ত দ্বীপ স্যার। সেখানকার মোট জনসংখ্যা সাড়ে তিন হাজার স্যার। কিন্তু ওখানে স্যার আমরা এক mini India কে প্রত্যক্ষ করেছি। এবং ওখানে পঁয়তাল্লিশ জন ভারতীয় বসবাস করেন। ওরা আমাদের নিজেদের লোক বলে মনে করেছিলেন এবং আমরাও তাদের ঘরের মানুষ হয়ে গিয়েছিলাম স্যার।

প্রধানমন্ত্রী- আচ্ছা, দেশের সেইসমস্ত কন্যা যারা আপনাদের মতোই ব্যতিক্রমী কাজ করতে চায়, তাদের জন্য আপনারা কী বার্তা দিতে চান? 

Lt. Commander Rupa- স্যার, আমি Lt. Commander Rupa বলছি। আমি আপনার মাধ্যমে সকলকে এই কথা বলতে চাই যদি কেউ নিজের মন প্রাণ দিয়ে পরিশ্রম করে তাহলে এই দুনিয়ায় কোনও কিছুই অসম্ভব নয়। আপনি যেখানেই থাকুন না কেন, যেখানেই জন্মগ্রহন করুন না কেন, তাতে কিছু যায় আসে না। স্যার আমাদের দুজনের বাসনা, ভারতের যুব সমাজ এবং মহিলারা বড় বড় স্বপ্ন দেখুক এবং ভবিষ্যতে সমস্ত বালিকা বা মহিলা রা defence এ, sports এ, adventure এ যুক্ত হয়ে দেশের নাম উজ্জ্বল করুক। 

প্রধানমন্ত্রী- Dilna এবং Rupa, আপনাদের কথা শুনে সত্যই আমার অত্যন্ত রোমাঞ্চ অনুভব হচ্ছে যে আপনারা কী বিপুল সাহস প্রদর্শন করেছেন! আপনাদের দুজনকে আমার তরফ থেকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনাদের কঠোর পরিশ্রম, আপনাদের সাফল্য , আপনাদের achievement- দেশের যুবক যুবতীদের নিশ্চিত ভাবে অনুপ্রাণিত করবে। এইভাবেই আপনারা ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকা কে উড্ডীয়মান রাখুন। ভবিষ্যতে আপনাদের সকল কাজের জন্য আমার আন্তরিক শুভকামনা রইল।

Lt. Commander Dilna- Thank You Sir. 

প্রধানমন্ত্রী- অনেক অনেক ধন্যবাদ। বড়াক্কম! নমস্কারম!

Lt. Commander Rupa- নমস্কার স্যার।

বন্ধুরা, আমাদের উৎসবগুলি ভারতের সংস্কৃতিকে জীবন্ত রাখে। ছটপুজো এমনই একটি পার্বণ যা দীপাবলির পর অনুষ্ঠিত হয়। সূর্য দেবতার উদ্দেশ্যে নিবেদিত এই উৎসবটির বিশেষ মাহাত্ম্য আছে। এই উৎসবের মধ্যে দিয়ে অস্তগামী সূর্যদেবতার প্রতি অর্ঘ্য নিবেদন করা হয় এবং তাঁর আরাধনা করা হয়। দেশের বিভিন্ন স্থানেই শুধু এই ছট উৎসব আজ সীমাবদ্ধ নেই, আজ বিশ্বের সর্বত্রই এই ছট উৎসব জায়গা করে নিয়েছে। আজকে এই উৎসব “Global Festival” এর রূপ নিচ্ছে।

বন্ধুরা, আমি আপনাদের এটা জানাতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত যে ভারত সরকার এই ছট পুজোর বিষয়ে একটি বড় প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। ভারত সরকার চেষ্টা করছে এই ছট উৎসবকে UNESCO’র Intangible Cultural Heritage List এর অন্তর্ভুক্ত করতে। এই ছট পূজা যখন UNESCO’ র তালিকাভুক্ত হবে তখন এই উৎসবের মহিমা, মাহাত্ম্য বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তের মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে। 

বন্ধুরা, কিছুদিন আগেই ভারত সরকারের এরকম প্রচেষ্টার ফলে কলকাতার দুর্গা পুজোও UNESCO’ র এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এইভাবে আমরা আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যগুলিকে সারা বিশ্বের মানুষের কাছে তুলে ধরতে পারি তাহলে বিশ্বও এই উৎসবগুলি সম্পর্কে জানতে, বুঝতে পারবে এবং অংশগ্রহণের জন্য এগিয়ে আসবে। 

বন্ধুরা, দোসরা অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তী । গান্ধীজী সবসময় স্বদেশীকে আপন করার প্রতি গুরুত্ব দিতেন এবং এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ ছিল খাদি। দুর্ভাগ্যবশত, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে খাদির গৌরব কিছুটা ম্লান হয়েছিল, কিন্তু গত এগারো বছরে খাদির প্রতি দেশের মানুষের আগ্রহ উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত কিছু বছরে খাদি বস্ত্র বিক্রয় বিপুল বৃদ্ধি পেয়েছে। আমি সকলকে অনুরোধ জানাব দোসরা অক্টোবর কিছু না কিছু খাদি পণ্য ক্রয় করতে এবং গর্বের সঙ্গে উচ্চারণ করুন যে এগুলো স্বদেশী পণ্য। হ্যাশট্যাগ (#) VOCALFORLOCAL দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে তা শেয়ার করুন।

বন্ধুরা , খাদির মতোই আমাদের তাঁত এবং হস্তশিল্প ক্ষেত্রেও বেশ কিছু পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। আজ আমাদের দেশে এমন বেশ কিছু উদাহরণ আমাদের সামনে আসছে যা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে যদি ঐতিহ্য এবং উদ্ভাবনকে একসঙ্গে যুক্ত করা যায় তাহলে অদ্ভুত ফল পাওয়া যেতে পারে। তামিলনাড়ুর ইয়াজ ন্যাচারালস এমনই একটি উদাহরণ যেখানে অশোক জগদিশানজি এবং প্রেম সেলভারাজজি করপোরেট চাকরি ছেড়ে দিয়ে এক নতুন উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তাঁরা ঘাস ও কলার তন্তু থেকে যোগা ম্যাট তৈরি করেন, কাপড়ে রং করার জন্য ভেষজ রঙের ব্যবহার করেন এবং দুশো পরিবারকে প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের উপার্জনের ব্যবস্থা করেন। 

 

ঝাড়খণ্ডের আশিস সত্যব্রত সাহুজি জোহারগ্রাম ব্র্যান্ডের মাধ্যমে আদিবাসী বয়নশৈলী এবং পোষাককে গ্লোবাল র‍্যাম্প পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছে। তাঁর প্রচেষ্টায় আজ ঝাড়খণ্ডের এই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কথা অন্য দেশের মানুষও জানতে পেরেছে। 

 

 

বিহারের মধুবনী জেলার সুইটি কুমারীজিও এমনই একটি সংকল্পের সৃজন শুরু করতে পেরেছেন। মিথিলা পেইন্টিংকে তিনি মহিলাদের জীবিকা অর্জনের উপায়ে রূপান্তরিত করেছেন। আজ পাঁচশোরও বেশি গ্রামীণ মহিলা তাঁর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন এবং আত্মনির্ভরতার পথ খুঁজে পেয়েছেন। নিজেদের পরম্পরার মধ্যেই অর্থ উপার্জনের যে কতরকম পন্থা লুকিয়ে আছে সাফল্যের এই সব কাহিনি থেকে আমরা তা শিখতে পারি। যদি লক্ষ্য স্থির থাকে তাহলে সাফল্যও আমাদের নাগালের বাইরে থাকতে পারে না। 

 

 

আমার প্রিয় দেশবাসীগণ, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আমরা বিজয়া দশমী পালন করব। এবারের বিজয়া দশমী একটি অন্য কারণে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই দিন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ স্থাপনের শতবর্ষ পূর্ণ হচ্ছে। এক শতাব্দীর এই যাত্রা যতটা অদ্ভুত এবং অভূতপূর্ব ততটাই প্রেরণামূলক। আজ থেকে একশ বছর আগে যখন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ স্থাপিত হয়েছিল সে সময় আমাদের দেশ কয়েক শতকের পরাধীনতার বন্ধনে আবব্ধ ছিল। দীর্ঘদিনের এই পরাধীনতা আমাদের আত্মমর্যাদা ও আত্মবিশ্বাসের ওপরে গভীর আঘাত হেনেছিল। বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতা তখন আত্মপরিচয়ের সংকটের মুখোমুখি। দেশবাসী তখন এক হীনমন্যতার শিকার হতে শুরু করেছিল। এই জন্যে দেশের স্বাধীনতার সঙ্গে সঙ্গে তাকে মতাদর্শগত পরাধীনতা থেকে মুক্ত করাও জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

 

 

এই সময় পরম পূজনীয় ডঃ হেডগেওয়ারজি এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করতে শুরু করেন এবং ১৯২৫ সালের বিজয়া দশমীর পুণ্য দিনে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠা করেন। ডক্টর সাহেব চলে যাওয়ার পর পরম পূজনীয় গুরুজি দেশসেবার এই মহাযজ্ঞকে এগিয়ে নিয়ে যান। তিনি বলতেন, 'রাষ্ট্রায় স্বাহা, ইদং রাষ্ট্রায় ইদং ন মম' অর্থাৎ এ আমার নয়, এ হল রাষ্ট্রের। এর মধ্যে স্বার্থের ঊর্ধে উঠে রাষ্ট্রের জন্য সমর্পণের প্রেরণা নিহিত আছে। গুরুজি গোলওয়ালকরজির এই উচ্চারণ লক্ষ লক্ষ স্বয়ংসেবককে ত্যাগ ও সেবার পথ দেখিয়েছিল। ত্যাগ এবং সেবার ভাবনা ও অনুশাসনের এই শিক্ষা সঙ্ঘের আসল শক্তি। আজ আর এস এস শতবর্ষ ধরে ক্লান্ত না হয়ে, থেমে না গিয়ে দেশসেবার কাজে যুক্ত রয়েছে। এই জন্যেই আমরা দেখতে পাই দেশে যখন কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে, আর এস এস এর স্বয়ংসেবকরা সেখানে সবচেয়ে আগে পৌঁছে যান। লক্ষ লক্ষ স্বয়ংসেবকের জীবনের প্রতিটি কাজ, প্রতিটি প্রয়াসে রাষ্ট্রই প্রথম, নেশন ফার্স্টের এই ভাবনাই সবার ওপরে থাকে। আমি রাষ্ট্রসেবার এই মহাযজ্ঞে নিজেকে সমর্পণকারী প্রত্যেক স্বয়ংসেবককে শুভ কামনা জানাই। 

আমার প্রিয় দেশবাসী, আগামী ৭ই অক্টোবর মহর্ষি বাল্মীকি জয়ন্তী। আমরা সবাই জানি, মহর্ষি বাল্মীকি ভারতীয় সংস্কৃতির এক বিরাট আধার ছিলেন। এই মহর্ষি বাল্মীকিই আমাদের ভগবান রামের অবতারগাথার সঙ্গে এতটা বিশদে পরিচয় করিয়েছেন। মানবসমাজকে তিনি রামায়ণের মতো এক আশ্চর্য গ্রন্থ দিয়েছেন।

বন্ধুগণ, রামায়ণের এই ব্যাপক প্রভাবের মূলে রয়েছে এই মহাগ্রন্থে ভগবান রামচন্দ্রের আদর্শ এবং মূল্যবোধের অন্তর্নিহিত সম্পদ। ভগবান রাম, সেবা, সমদৃষ্টি এবং করুণা দিয়ে সকলকে আপন করে নিয়েছিলেন। তাই আমরা দেখতে পাই মহর্ষি বাল্মিকীর রামায়ণের রাম, মাতা শবরী এবং নিষাদরাজকে নিয়েই পরিপূর্ণতা পান। এইজন্যেই বন্ধুরা, অযোধ্যায় যখন রাম মন্দিরের প্রতিষ্ঠা হয়, একইসঙ্গে নিষাদরাজ এবং মহর্ষি বাল্মিকীর মন্দিরও তৈরি করা হয়। আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ, আপনারাও যখন অযোধ্যায় রামলালার মন্দির দর্শন করতে যাবেন, মহর্ষি বাল্মিকী ও নিষাদরাজের মন্দিরও অবশ্যই দর্শন করবেন।

 

 

আমার প্রিয় দেশবাসী, শিল্প, সাহিত্য এবং সংস্কৃতির সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল যে তা কোনো একটি বিশেষ সীমানার মধ্যে আবদ্ধ থাকেনা। তার সৌরভ সব সীমা অতিক্রম করে মানুষের মনকে স্পর্শ করে। সম্প্রতি প্যারিসের একটি কালচারার ইন্সটিটিউট 'সৌন্তখ মন্ডপা' ৫০ বছর পূর্ণ করেছে। ভারতীয় নৃত্যশৈলীর জনপ্রিয়তা বাড়াতে এই কেন্দ্রটি বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। এর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মিলেনা সালবিনি। কয়েকবছর আগে তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে। আমি 'সৌন্তখ মন্ডপা'র সঙ্গে যুক্ত সকলকে অনেক ধন্যবাদ জানাই এবং তাঁদের ভবিষ্যত প্রয়াসগুলির জন্যেও রইল আমার শুভকামনা।

বন্ধুরা, এখন আমি আপনাদের দুটি ছোট ছোট অডিও ক্লিপ শোনাচ্ছি, মন দিয়ে শুনবেন --

এবার দ্বিতীয় অডিও ক্লিপটি শুনুন -

 

 

বন্ধুরা, সারা দুনিয়ার বিভিন্ন দেশ কীভাবে ভূপেন হাজারিকাজির গানের সঙ্গে নিজেদের সংযোগ খুঁজে পায়, এই কন্ঠস্বরই তার সাক্ষী। আসলে শ্রীলঙ্কায় একটি অত্যন্ত প্রশংসনীয় প্রয়াস হয়েছে। শ্রীলংকার শিল্পীরা ভূপেন হাজারিকাজির বিখ্যাত গান "মানুহে মানুহর বাবে" সিংহলি ও তামিলে অনুবাদ করেছেন। আমি আপনাদের সেটির অডিওই শুনিয়েছি। কিছুদিন আগে অসমে তার জন্ম শতবর্ষ উদযাপনে শামিল হওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। এটি বাস্তবিকই অত্যন্ত স্মরণীয় অনুষ্ঠান ছিল।  

বন্ধুরা, অসমে, যেখানে আজ ভূপেন হাজারিকাজির জন্মশতবর্ষ পালিত হচ্ছে, সেখানেই কিছুদিন আগে এক দুঃখজনক মুহূর্তও এসেছিল। জুবিন গর্গজির অকালপ্রয়াণ মানুষকে শোকার্ত করেছে। 

জুবিন গর্গ একজন খ্যাতনামা গায়ক ছিলেন যিনি দেশজুড়ে নিজের পরিচয় তৈরি করেছিলেন। অসমের সংস্কৃতির সঙ্গে তাঁর নিবিড় যোগ ছিল। জুবিন গর্গ আমাদের স্মৃতিতে সর্বদা জীবিত থাকবেন এবং তাঁর সঙ্গীত আগামী প্রজন্মকে মন্ত্রমুগ্ধ করবে।

জুবিন ছিলেন অসমীয়া সংস্কৃতির উজ্জ্বলতম রত্ন, কোহিনুর। তাঁর নশ্বর দেহ আমাদের মধ্য থেকে বিদায় নিলেও আমাদের হৃদয়ে তিনি চিরদিন থাকবেন।

বন্ধুরা, কিছুদিন আগে আমাদের দেশের একজন মহান বিচারক ও চিন্তক এস এল ভৈরপ্পাজিকেও আমরা হারিয়েছি। ভৈরপ্পাজির সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল এবং আমাদের মধ্যে বেশ কয়েকবার পৃথক পৃথক বিষয়ে গভীর আলোচনাও হয়। তাঁর রচনা নবীন প্রজন্মের বিচার বিবেচনাকে দিশা দেখাতে থাকবে। কন্নড় ভাষায় লেখা তাঁর অনেকগুলি রচনার অনুবাদও পাওয়া যায়। তিনি আমাকে বলেছিলেন যে নিজেদের শিকড় ও সংস্কৃতি নিয়ে গর্ব করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি এস এল ভৈরপ্পাজির প্রতি আমার আবেগপূর্ণ শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করছি এবং তরুণদের তাঁর রচনা পড়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

আমার প্রিয় দেশবাসী, আগামী দিনগুলোতে একের পর এক উৎসব ও খুশি আসতে চলেছে। প্রতিটি উৎসবেই আমরা বেশি করে কেনাকাটা করি। আর এবার তো "জিএসটি বচত উৎসব"ও চলছে!

বন্ধুরা একটা সংকল্প গ্রহণ করে আপনারা আপনাদের উৎসবকে আরো বিশেষ করে তুলতে পারেন। যদি আমরা স্থিরসিদ্ধান্ত নিই যে এবার উৎসব আমরা কেবলমাত্র স্বদেশী দ্রব্যেই উদযাপন করব, তাহলে দেখবেন আমাদের উৎসবের রোশনাই অনেকগুণ বেড়ে যাবে। "ভোকাল ফর লোকাল"কে কেনাকাটার মন্ত্র করে তুলুন। সিদ্ধান্ত নিন বরাবরের জন্য - যা দেশে তৈরি হয়েছে, তাই কিনব। দেশের মানুষ যা প্রস্তুত করেছেন সেটাই ঘরে আনব। যে জিনিসে কোনো দেশবাসীর পরিশ্রম জড়িয়ে আছে সেই জিনিসই ব্যবহার করব। যখন আমরা এমনটা করি তখন আমরা শুধু জিনিস কিনি না, আমরা কোন পরিবারের আশা-আকাঙ্ক্ষাকেও ঘরে আনি। কোনো কারিগরের পরিশ্রমকে সম্মান জানাই। কোনো তরুণ উদ্যমীর স্বপ্নকে ডানা মেলার সুযোগ করে দিই। 

বন্ধুরা, উৎসবের সময় আমরা সবাই আমাদের ঘরদোর পরিষ্কার করি, কিন্তু স্বচ্ছতা শুধুমাত্র যেন ঘরের চার দেওয়ালে সীমিত না থাকে। গলি, পাড়া, বাজার, গ্রাম, প্রতিটি জায়গায় পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা যেন আমাদের দায়িত্ব হয়ে ওঠে। 

বন্ধুরা, আমাদের এখানে এই পুরো সময়টা উৎসবের সময় আর দীপাবলী তো একধরনের মহোৎসব হয়ে ওঠে। আমি আপনাদের সবাইকে আসন্ন দীপাবলীর অনেক অনেক শুভকামনা জানাই, কিন্তু একই সঙ্গে পুনরাবৃত্তি করে বলি, আমাদের আত্মনির্ভর হতে হবে। দেশকে আত্মনির্ভর করে গড়ে তুলতেই হবে এবং সেই পথে স্বদেশী মাধ্যমেই আমাদের অগ্রসর হতে হবে। 

বন্ধুরা, মন কি বাত এবার এই পর্যন্তই। আগামী মাসে আবার নতুন কাহিনী আর প্রেরণাকে সঙ্গে নিয়ে কথা হবে। ততক্ষণ পর্যন্ত আপনাদের সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ।


(Release ID: 2172376) Visitor Counter : 26