স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

দিল্লি বিধানসভায় ২ দিনের সর্বভারতীয় অধ্যক্ষ সম্মেলনের উদ্বোধন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহের

Posted On: 24 AUG 2025 5:46PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

 

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ আজ দিল্লি বিধানসভায় ২ দিনের সর্বভারতীয় অধ্যক্ষ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। কেন্দ্রীয় আইনসভার প্রথম নির্বাচিত ভারতীয় সভাপতি হিসেবে স্বাধীনতা সংগ্রামী বিঠলভাই প্যাটেলের দায়িত্ব গ্রহণের ১০০তম বার্ষিকী উপলক্ষে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। 

তাঁর ভাষণে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ বলেন, এই দিনে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী বিঠলভাই প্যাটেল কেন্দ্রীয় আইনসভায় প্রথম সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন, যা এক ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল। শ্রী শাহ  গোপালকৃষ্ণ গোখলে, লালা লাজপত রায় এবং দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস-এর মত বিশিষ্ট নেতাদের কথা উল্লেখ করেন। 

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের আইনসভায় পরম্পরার ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বিঠলভাই প্যাটেল, যা আজকের গণতন্ত্রকে মজবুত করেছে। তিনি দেশের বিধানসভাগুলিতে অধ্যক্ষদের মর্যাদা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন। বিধানসভা, লোকসভা এবং রাজ্যসভায় যাতে সরকার ও বিরোধীপক্ষের সদস্যরা বিতর্কে অংশ নিতে পারেন, তা সুনিশ্চিত করার ওপর জোর দেন শ্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, বিধানসভাগুলির মর্যাদা ক্ষুণ্ন হলে আমাদের মারাত্মক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। তিনি বলেন, বিধানসভাগুলির ভূমিকা এমনই হওয়া উচিত, যাতে তা দেশের স্বার্থে সাধারণ মানুষের বক্তব্য তুলে ধরার মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে। 

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইনসভায় অধ্যক্ষদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, তিনি একটি রাজনৈতির দলের থেকে নির্বাচিত হন। কিন্তু শপথ গ্রহণের পর তাঁকে নিরপেক্ষ আম্পায়ারের মত ভূমিকা পালন করতে হয়। তিনি বলেন, নিরপেক্ষতা এবং ন্যায় হল দুটি স্তম্ভ, যেগুলির ওপর অধ্যক্ষের মর্যাদা নির্ভর করে। 

শ্রী শাহ বলেন, ভারত ক্ষমতার পালাবদল বহু পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে, কিন্তু কোনও রক্তক্ষয় ছাড়া ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তর হয়েছে। রাজনৈতিক স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে বিধানসভাগুলিকে রাজ্য ও দেশের স্বার্থে কাজ করার ওপর জোর দেন তিনি। শ্রী শাহ বলেন, রাজনৈতিক স্বার্থের উর্ধ্বে দেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিলে, তবেই গণতন্ত্রের মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। 

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সংসদ এবং বিধানসভাগুলিতে অর্থপূর্ণ বিতর্ক না হলে, তবে এগুলি শুধুমাত্র নিষ্প্রাণ ভবন হয়ে থাকবে। অধ্যক্ষের নেতৃত্বেই সমস্ত সদস্যরা তাঁদের মতামত, আবেদন ও অনুভূতি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সভায় যখন আলোচনার পথ বন্ধ হয়ে যায়, তখন দেশের উন্নয়নে এর অবদান তাৎপর্যপূর্ণভাবে সীমিত হয়ে পড়ে। 

অনুষ্ঠানে দিল্লি বিধানসভার অধ্যক্ষ শ্রী বিজেন্দ্র গুপ্ত, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী শ্রী কিরেন রিজিজু, দিল্লির উপরাজ্যপাল শ্রী বিনয় কুমার সাক্সেনা এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী রেখা গুপ্তা সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অধ্যক্ষ এবং উপাধ্যক্ষরা। দিল্লি বিধানসভায় বিঠলভাই প্যাটেলের ওপর আয়োজিত একটি প্রদর্শনীও ঘুরে দেখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। 

 

SC/MP/AS


(Release ID: 2160415)