প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
জম্মু ও কাশ্মীরে সোনমার্গ টানেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ
Posted On:
13 JAN 2025 4:27PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫
লেফটেন্যান্ট গভর্নর শ্রী মনোজ সিনহা, জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ওমর আব্দুল্লাহ, মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী শ্রী নীতিন গডকড়ী, শ্রী জিতেন্দ্র সিং, অজয় টামটা, উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুরেন্দ্র কুমার চৌধুরী, বিরোধী দলনেতা সুনীল শর্মা, সকল সংসদ সদস্য, বিধায়ক এবং জম্মু-কাশ্মীরের আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা।
আমি প্রথমেই দেশের উন্নতির জন্য, জম্মু-কাশ্মীরের উন্নতির জন্য, যেসব শ্রমিক ভাই কঠিনতম পরিস্থিতিতেও কাজ করেছেন, এমনকি নিজেদের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে কাজ করেছেন, তাদের ধন্যবাদ জানাই। আমাদের সাতজন শ্রমিক বন্ধু তাঁদের প্রাণ হারিয়েছেন, কিন্তু আমরা আমাদের সংকল্প থেকে পিছিয়ে আসিনি, আমার শ্রমিক বন্ধুরা পিছিয়ে আসেননি, কেউই বলেননি যে আমরা ঘরে ফিরে যাব। আমার এই শ্রমিক বন্ধুরা প্রতিটি প্রতিবন্ধকতাকে অতিক্রম করে এই কাজ সম্পূর্ণ করেছেন। আর যে সাতজন বন্ধুকে আমরা হারিয়েছি, আজ আমি সবার আগে তাঁদেরকে স্মরণ করছি।
বন্ধুগণ,
এই ঋতু, এই বরফ, এই বরফের সাদা চাদরে মোড়া মনোমুগ্ধকর পাহাড়গুলো হৃদয়কে আনন্দিত করে তোলে। দুদিন আগে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় এখানকার কিছু ছবি শেয়ার করেছিলেন। সেই ছবিগুলো দেখার পর আপনাদের মাঝে আসার আগ্রহ আমার আরও বেড়ে গিয়েছিল। এবং এইমাত্র মুখ্যমন্ত্রী বললেন যে আমার আপনাদের সবার সঙ্গে কত দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। আর এখানে আসলেই বহু বছর আগের দিনগুলো মনে পড়তে শুরু করে। যখন আমি ভারতীয় জনতা পার্টির সাংগঠনিক কর্মী হিসেবে কাজ করতাম, তখন আমি প্রায়ই এখানে আসতাম। এই অঞ্চলে আমি অনেক সময় কাটিয়েছি—সোনমার্গ হোক, গুলমার্গ হোক, গান্দেরবল হোক, বারামুলা হোক—সব জায়গায় আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা, বহু কিলোমিটার পদযাত্রা করেছি। তখন তুষারপাত অনেক বেশি হতো, কিন্তু জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের উষ্ণতা এমন ছিল যে ঠাণ্ডার অনুভূতি হতো না।
বন্ধুগণ,
আজকের দিনটি অত্যন্ত বিশেষ দিন। আজ সারা দেশে উৎসবের আবহ বিরাজ করছে। আজ থেকেই প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ শুরু হয়েছে, যেখানে কোটি কোটি মানুষ পবিত্র স্নানের জন্য সমবেত হয়েছেন। আজ পাঞ্জাবসহ সমগ্র উত্তর ভারত লোহরির উচ্ছ্বাসে মুখরিত। এই সময়ই উত্তরায়ণ, মকর সংক্রান্তি, পোঙ্গলসহ নানা উৎসব পালিত হয়। আমি সমগ্র দেশবাসীসহ সারা বিশ্বে এই উৎসব উদযাপনকারী সকলের মঙ্গল কামনা করছি। বছরের এই সময়টিতে উপত্যকায় ‘চিল্লাই কালাঁ’ হয়। আপনারা সাহসের সঙ্গে এই ৪০ দিনকে অতিক্রম করেন। আর এর একটি দিক হলো, এই ঋতু সোনমার্গের মতো পর্যটনকেন্দ্রগুলির জন্য নতুন সুযোগ বয়ে আনে। দেশের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকরা এখানে আসছেন। কাশ্মীর উপত্যকায় এসে তারা আপনাদের আন্তরিক আতিথেয়তা উপভোগ করছেন।
বন্ধুগণ,
আজ আমি আপনাদের একজন সেবক হিসেবে এক বিশাল উপহার নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। কয়েকদিন আগে আমি, জম্মুতে এবং যেমন মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করলেন, মাত্র ১৫ দিন আগে আপনাদের বহু পুরনো দাবি পূরণের লক্ষ্যে রেল বিভাগের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার সুযোগ পেয়েছিলাম। আজ আমি সোনমার্গ টানেল আপনাদের হাতে তুলে দেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। জম্মু–কাশ্মীর ও লাদাখের এক অত্যন্ত পুরনো দাবি আজ পূরণ হলো। আর আপনারা নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন—এই মোদী, যদি প্রতিশ্রুতি দেয়, তবে তা পূরণ করে। প্রতিটি কাজের একটি সময় থাকে এবং সঠিক সময়ে সঠিক কাজও হয়।
বন্ধুগণ,
যখন আমি সোনমার্গ টানেলের কথা বলছিলাম, তখন এটিও বলতে চাই যে এর মাধ্যমে শুধু সোনমার্গ নয়, কারগিল ও লে এর মানুষের জীবনও অনেক সহজ হয়ে যাবে। শীতকালে তুষারপাত বা বর্ষার সময় ভূমিধ্বসের কারণে যে পথ বন্ধ হয়ে যেত, সেই সমস্যাও অনেকাংশে কমে যাবে। যখন রাস্তা বন্ধ হতো তখন এখান থেকে বড় হাসপাতালে যাতায়াত করা কঠিন হয়ে যেত। জরুরি সামগ্রী পৌঁছাতেও অসুবিধা হতো। এখন সোনমার্গ টানেল নির্মাণের ফলে এই সমস্যাগুলি অনেকটাই দূর হবে।
বন্ধুগণ,
কেন্দ্রে আমাদের সরকার গঠনের পরই, সোনমার্গ টানেলের প্রকৃত নির্মাণকাজ ২০১৫ সালে শুরু হয়েছিল, এবং মুখ্যমন্ত্রী খুব সুন্দরভাবে সেই সময়কালটির বর্ণনাও করেছেন। আমি আনন্দিত যে আমাদের সরকারের আমলেই এই সুড়ঙ্গটির কাজ সম্পূর্ণ হলো। আর আমার সবসময় একটি মন্ত্র আছে—আমরা যা শুরু করি, তা সম্পন্নও আমরা নিজেরাই করি। "চলছে, পরে হবে, কবে হবে, কে জানে" – সেই দিনগুলো এখন অতীত।
বন্ধুগণ,
এই সুড়ঙ্গটি এই শীতকালে সোনমার্গের যোগাযোগ নিশ্চিত করবে। এর মাধ্যমে শুধু সোনমার্গ নয়, পুরো অঞ্চলের পর্যটনই নতুন গতি পাবে। আগামী দিনে জম্মু–কাশ্মীরে বহু সড়ক ও রেল যোগাযোগ প্রকল্প সম্পূর্ণ হতে চলেছে। আরও একটি বড় যোগাযোগ প্রকল্প বর্তমানে নির্মাণাধীন। শীঘ্রই কাশ্মীর উপত্যকা রেল যোগাযোগের সঙ্গেও যুক্ত হতে চলেছে। আমি লক্ষ্য করেছি যে এখানকার মানুষও এই প্রসঙ্গে অত্যন্ত আনন্দিত। নতুন নতুন রাস্তা তৈরি হচ্ছে, রেল কাশ্মীরে আসছে, হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে, কলেজ তৈরি হচ্ছে—এটাই নতুন জম্মু–কাশ্মীর। আমি আপনাদের সবাইকে এই টানেলের জন্য এবং পাশাপাশি উন্নয়নের এই নতুন পর্যায়ের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।
বন্ধুগণ,
আজ ভারত দ্রুত গতিতে অগ্রসর হচ্ছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটি উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার কাজে দেশের প্রতিটি নাগরিক নিয়োজিত। এটা তখনই সম্ভব, যখন আমাদের দেশের কোনো অঞ্চল, কোনো পরিবার উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথ থেকে পিছিয়ে থাকবে না। এজন্যই আমাদের সরকার সবকা সাথ, সবকা বিকাশ–এর ভাবনায় সম্পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে দিনরাত কাজ করে চলেছে। গত ১০ বছরে জম্মু–কাশ্মীরসহ সমগ্র দেশের ৪ কোটিরও বেশি দরিদ্র মানুষ পাকা বাড়ি পেয়েছেন। আগামী দিনে আরও ৩ কোটি নতুন বাড়ি গরিবদের জন্য উপলব্ধ হবে। আজ ভারতের কোটি কোটি মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসা পাচ্ছেন, যার থেকে জম্মু–কাশ্মীরের সাধারণ মানুষও ব্যাপকভাবে উপকৃত হচ্ছেন। নতুন আইআইটি, নতুন আইআইএম, নতুন এইমস, নতুন মেডিকেল কলেজ, নার্সিং কলেজ, পলিটেকনিক কলেজ—এসব প্রতিষ্ঠান সারা দেশেই তরুণ-তরুণীদের শিক্ষার জন্য ধারাবাহিকভাবে নির্মিত হচ্ছে। জম্মু–কাশ্মীরেও গত ১০ বছরে বহু বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। এর থেকে সর্বাধিক লাভবান হচ্ছে আমাদের সন্তান–সন্ততি, আমাদের তরুণ প্রজন্ম।
বন্ধুগণ,
আজ জম্মু–কাশ্মীর থেকে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত কত চমকপ্রদ রাস্তা, কত সুড়ঙ্গ, কত সেতু নির্মাণ হয়েছে, আপনারা প্রত্যক্ষ করছেন। আমাদের জম্মু–কাশ্মীর আজ সুড়ঙ্গের, উঁচু উঁচু সেতুর, রোপওয়ের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। এখানেই নির্মিত হয়েছে বিশ্বের সর্বোচ্চ সুড়ঙ্গ। বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতু, কেবল সেতুও এখানে নির্মিত হচ্ছে। এখানেই নির্মিত হয়েছে বিশ্বের সর্বোচ্চ রেললাইন। আমাদের চেনাব সেতুর প্রকৌশল দেখে সমগ্র বিশ্ব বিস্মিত। মাত্র গত সপ্তাহেই এই সেতুতে যাত্রীবাহী রেলের পরীক্ষামূলক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কাশ্মীরের রেল সংযোগ বাড়ানোর জন্য কেবল ব্রিজ, জোজিলা, চেনানি–নাশরি এবং সোনমার্গ টানেল প্রকল্প, উধমপুর–শ্রীনগর–বারামুলা রেল সংযোগ প্রকল্প, শংকরাচার্য মন্দির, শিব খোরি ও বালতাল–অমরনাথ রোপওয়ে প্রকল্প, কাটরা থেকে দিল্লি এক্সপ্রেসওয়ের কাজ চলছে। আজ জম্মু–কাশ্মীরে সড়ক যোগাযোগ সম্পর্কিত ৪২ হাজার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের প্রকল্পের কাজ চলছে। চারটি জাতীয় মহাসড়ক প্রকল্প এবং দুটি রিং রোড প্রকল্প দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে। এখানে সোনমার্গের মতো আরও ১৪টিরও বেশি সুড়ঙ্গের কাজ চলছে। এই সমস্ত প্রকল্প জম্মু–কাশ্মীরকে দেশের অন্যতম সংযুক্ত রাজ্যে পরিণত করতে চলেছে।
বন্ধুগণ,
উন্নত ভারতের যাত্রায় আমাদের পর্যটন শিল্প বিশাল অবদান রাখছে। উন্নত যোগাযোগের কারণে পর্যটকরা জম্মু–কাশ্মীরের সেই অঞ্চলগুলোতেও যেতে পারবেন, যেগুলো এতদিন প্রায় অদৃশ্য ছিল। গত দশ বছরে জম্মু–কাশ্মীরে যে শান্তি ও উন্নয়নের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, তার সুফল আমরা ইতিমধ্যে পর্যটন শিল্পে দেখতে পাচ্ছি। ২০২৪ সালে জম্মু–কাশ্মীরে এসেছেন ২ কোটিরও বেশি পর্যটক। এখানে সোনমার্গেও গত ১০ বছরে পর্যটকের সংখ্যা ৬ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হচ্ছেন, সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছেন—হোটেলের মালিক, হোমস্টের মালিক, ধাবার মালিক, কাপড়ের দোকানদার, ট্যাক্সি চালক—সবাই এর থেকে লাভবান হচ্ছেন।
বন্ধুগণ,
আজ একবিংশ শতাব্দীর জম্মু–কাশ্মীর লিখছে উন্নয়নের এক নতুন কাহিনী। অতীতের কঠিন দিনগুলো পিছনে ফেলে আমাদের কাশ্মীর আজ পৃথিবীর স্বর্গ হিসেবে নিজের পরিচয় পুনরায় ফিরে পেয়েছে। আজ মানুষ রাতেও আইসক্রিম খেতে লাল চকে যাচ্ছে, আর সেখানে রাতেও ভিড় হচ্ছে। আর কাশ্মীরের আমার শিল্পী বন্ধুরা পোলো ভিউ মার্কেটকে নতুন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে পরিণত করেছেন। আমি সামাজিক মাধ্যমে দেখেছি, এখানকার সংগীতশিল্পী, শিল্পী, গায়কেরা সেখানে কত পরিবেশনা করছেন। আজ শ্রীনগরের মানুষ নিজের ছেলে–মেয়েদের নিয়ে সিনেমা হলে সিনেমা দেখতে যাচ্ছে, স্বচ্ছন্দে বাজার করছে। কোনো সরকার একা এত বড় পরিবর্তন আনতে পারে না। জম্মু–কাশ্মীরের পরিবর্তনের এক বড় কৃতিত্ব এখানকার সাধারণ মানুষের। আপনারাই গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করেছেন, নিজেদের ভবিষ্যৎকে শক্তিশালী করেছেন।
বন্ধুগণ,
আজ আমি স্পষ্টভাবে দেখতে পাচ্ছি, জম্মু-কাশ্মীরের যুবসমাজের সামনে এক উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ উন্মোচিত হয়েছে। খেলাধুলার ক্ষেত্রেই দেখুন, কত সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। মাত্র কয়েক মাস আগে শ্রীনগরে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যে-ই সেই ছবিগুলো দেখেছিল, তার হৃদয় আনন্দে ভরে উঠেছিল। আমার মনে আছে, সেই ম্যারাথনে মুখ্যমন্ত্রীও অংশ নিয়েছিলেন। তার ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল এবং আমি নিজেও মুখ্যমন্ত্রীকে বিশেষভাবে অভিনন্দন জানিয়েছিলাম, যখন দিল্লিতে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল। সেই সাক্ষাতে তাঁর উৎসাহ ও উদ্দীপনা আমি প্রত্যক্ষ করেছিলাম, এবং এই ম্যারাথন সম্পর্কে তিনি আমাকে বিশদভাবে বলেছিলেন।
বন্ধুগণ,
সত্যিই এটি নতুন জম্মু-কাশ্মীর। সম্প্রতি প্রায় চল্লিশ বছর পর কাশ্মীরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট লীগ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে আমরা ডাল লেকের চারপাশে গাড়ি রেসিং-এর মনোরম দৃশ্যও দেখেছি। এক অর্থে আমাদের গুলমার্গ ভারতের শীতকালীন খেলাধুলার রাজধানী হয়ে উঠেছে। গুলমার্গে চারটি ‘খেলো ইন্ডিয়া উইন্টার গেমস’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী মাস থেকে পঞ্চম খেলো ইন্ডিয়া উইন্টার গেমসও শুরু হবে। শুধু গত ২ বছরেই সারা দেশ থেকে প্রায় আড়াই হাজার খেলোয়াড় বিভিন্ন প্রতিযোগিতার জন্য জম্মু-কাশ্মীরে এসেছেন। জম্মু-কাশ্মীরে নব্বইটিরও বেশি খেলো ইন্ডিয়া সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছে, যেখানে প্রায় চার হাজার যুবক-যুবতী প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
বন্ধুগণ,
আজ জম্মু-কাশ্মীরের তরুণ-তরুণীদের জন্য চারিদিকে নতুন নতুন সুযোগ তৈরি হচ্ছে। জম্মু ও অবন্তীপোরায় এইমসের কাজ দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে। অর্থাৎ এখন দেশের অন্য প্রান্তে চিকিৎসার জন্য যেতে হবে না। জম্মুতে আইআইটি-আইআইএম এবং কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো উৎকৃষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলিতে পড়াশোনা চলছে। আমাদের বিশ্বকর্মা বন্ধুরা জম্মু-কাশ্মীরের হস্তশিল্প ও শিল্পকলা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তারা পিএম বিশ্বকর্মা এবং জম্মু-কাশ্মীর সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প থেকে সহায়তা পাচ্ছেন। এখানে নতুন শিল্প আনার জন্য আমাদের অবিরাম প্রচেষ্টা চলছে। বিভিন্ন শিল্প সংস্থা এখানে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চলেছে, যার ফলে হাজার হাজার যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান হবে। জম্মু-কাশ্মীর ব্যাংকও এখন খুব ভালো কাজ শুরু করেছে। গত ৪ বছরে জম্মু-কাশ্মীর ব্যাংকের ব্যবসা ১ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে। অর্থাৎ ব্যাংকের ব্যবসা যেমন বেড়েছে, তেমনি ঋণ দেওয়ার ক্ষমতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এর দ্বারা এখানে যুবক-যুবতী, কৃষক, দোকানদার-ব্যবসায়ী সকলে উপকৃত হচ্ছেন।
বন্ধুগণ,
বিকশিত ভারতের স্বপ্ন তখনই পূরণ হবে, যখন এর শিখরে অগ্রগতির মুক্তো গাঁথা হবে। কাশ্মীর দেশের মুকুট, ভারতের তাজ। তাই আমি চাই এই তাজ আরও সুন্দর হোক, আরও সমৃদ্ধ হোক। আর আমি আনন্দিত যে এই কাজে আমি জম্মু-কাশ্মীরের যুবক-যুবতী, প্রবীণ, পুত্র-কন্যাদের অবিরাম সহযোগিতা পাচ্ছি। আপনারা আপনাদের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে, জম্মু-কাশ্মীরের উন্নতির জন্য, ভারতের উন্নতির জন্য কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আমি আপনাদের আবারও আশ্বস্ত করছি, মোদী আপনাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলবে, আপনাদের স্বপ্নপূরণের পথে আসা প্রতিটি বাধা দূর করবে।
বন্ধুগণ,
আজকের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের জন্য জম্মু-কাশ্মীরের প্রতিটি পরিবারকে আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। আমাদের সহকর্মী নীতিনবাবু, মনোজ সিনহা এবং মুখ্যমন্ত্রী বিস্তারিতভাবে বলেছেন, কী দ্রুত গতিতে অগ্রগতি হচ্ছে, কী দ্রুত গতিতে উন্নয়ন হচ্ছে এবং কী নতুন নতুন প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে চলেছে। তাই আমি পুনরাবৃত্তি করব না। আমি শুধু এটুকুই বলব, এখন আর দূরত্ব রইল না। এখন আমরা একসঙ্গে স্বপ্ন উপভোগ করব, সংকল্প গ্রহণ করব এবং সফলতাও অর্জন করব। আপনাদের সবাইকে আমার আন্তরিক শুভকামনা।
অসংখ্য ধন্যবাদ।
SC/PK.
(Release ID: 2160355)
Read this release in:
Assamese
,
Telugu
,
English
,
Urdu
,
Marathi
,
Hindi
,
Manipuri
,
Punjabi
,
Gujarati
,
Odia
,
Tamil
,
Kannada
,
Malayalam