প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
পরাক্রম দিবসে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ
प्रविष्टि तिथि:
23 JAN 2025 2:25PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, সকলকে পরাক্রম দিবসের শুভেচ্ছা !
আজ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তী। এই পবিত্র দিনে সমগ্র দেশ তাঁকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে। আমি নেতাজিকে শ্রদ্ধাভরে নতশিরে প্রণাম জানাই। এই বছরের পরাক্রম দিবসের মহোৎসব নেতাজির জন্মভূমিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ জন্য আমি ওড়িশার জনগণকে এবং ওড়িশার সরকারকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। কটকে নেতাজির জীবন সম্পর্কিত এক বিশাল প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয়েছে। এই প্রদর্শনীতে নেতাজির জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত বহু ঐতিহ্য একসঙ্গে সযত্নে সংরক্ষিত হয়েছে। অনেক শিল্পী ক্যানভাসে নেতাজির জীবনের নানা ঘটনাচিত্র এঁকেছেন। এর পাশাপাশি নেতাজিকে কেন্দ্র করে রচিত বহু গ্রন্থও একত্র করা হয়েছে। নেতাজির জীবনযাত্রার এই সব ঐতিহ্য আমার যুবা ভারত, মাই ভারতকে এক নতুন শক্তি প্রদান করবে।
সাথীরা,
আজ যখন আমাদের দেশ বিকশিত ভারতের সংকল্প পূরণে নিবেদিত, তখন নেতাজির জীবন থেকে আমরা ক্রমাগত প্রেরণা পাই। নেতাজির জীবনের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য ছিল— আজাদ হিন্দ। তাঁর অটল সংকল্প পূরণের জন্য তিনি তাঁর প্রতিটি সিদ্ধান্তকে একটিমাত্র মানদণ্ডে বিচার করতেন— আজাদ হিন্দ। নেতাজি এক সমৃদ্ধ পরিবারে জন্মেছিলেন, তিনি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। চাইলে তিনি ব্রিটিশ শাসনে একজন বরিষ্ঠ কর্মকর্তা হয়ে স্বচ্ছন্দ জীবনযাপন করতে পারতেন, কিন্তু তিনি স্বাধীনতার জন্য কষ্টকে বেছে নিলেন, প্রতিবন্ধকতাকে গ্রহণ করলেন, দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়ালেন। নেতাজী কখনও আরামদায়ক জীবনযাত্রার শৃঙ্খলে আবদ্ধ হননি। একইভাবে আজ আমাদেরও বিকশিত ভারত গঠনের জন্য নিজেদের আরামদায়ক জীবনযাত্রা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমাদের নিজেদের বিশ্বসেরা করে তুলতে হবে, উৎকর্ষকে বেছে নিতে হবে, দক্ষতার উপর মনোযোগ দিতে হবে।
সাথীরা,
দেশের স্বাধীনতার জন্য নেতাজি আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করেছিলেন। দেশের প্রতিটি অঞ্চল, প্রতিটি সমাজের বীর ও বীরাঙ্গনা এতে যুক্ত হয়েছিলেন। তাঁদের ভাষা ভিন্ন ছিল, কিন্তু অনুভূতি ছিল এক— দেশের স্বাধীনতা। এই ঐক্য আজ বিকশিত ভারতের জন্যও এক বিশাল শিক্ষা। তখন স্বরাজের জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হয়েছিল, আজ বিকশিত ভারতের জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আজ দেশ ও বিশ্বজুড়ে ভারতের অগ্রগতির জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। গোটা পৃথিবী ভারতের দিকে তাকিয়ে আছে— কীভাবে আমরা একবিংশ শতককে ভারতের শতক বানাই। এমন এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমাদের নেতাজি সুভাষের প্রেরণায় ভারতের ঐক্যের উপর জোর দিতে হবে। আমাদের তাঁদের থেকেও সতর্ক থাকতে হবে, যারা দেশকে দুর্বল করতে চায়, যারা দেশের ঐক্যকে ভাঙতে চায়।
সাথীরা,
নেতাজি সুভাষ ভারতের ঐতিহ্য নিয়ে গর্ব অনুভব করতেন। তিনি প্রায়ই ভারতের সমৃদ্ধ গণতান্ত্রিক ইতিহাসের আলোচনা করতেন এবং সেখান থেকে প্রেরণা গ্রহণের পক্ষে ছিলেন। আজ ভারত দাসত্বের মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসছে। নিজস্ব ঐতিহ্যের প্রতি গর্ববোধ করে উন্নতির পথে এগিয়ে চলেছে। আমার সৌভাগ্য আজাদ হিন্দ সরকারের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে লালকেল্লায় তেরঙ্গা উত্তোলনের সুযোগ পেয়েছিলাম। সেই ঐতিহাসিক মুহূর্ত কোনোদিনও ভুলতে পারব না। আমাদের সরকার ২০১৯ সালে দিল্লির লালকেল্লায় নেতাজিকে উৎসর্গ করে একটি জাদুঘরের নির্মাণ করেছে। সেই বছরই সুভাষচন্দ্র বসু দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পুরস্কার চালু করা হয়। ২০২১ সালে সরকার সিদ্ধান্ত নেয় যে নেতাজির জন্মজয়ন্তীকে এখন থেকে পরাক্রম দিবস হিসেবে পালন করা হবে। ইন্ডিয়া গেটের কাছে নেতাজির বিশাল মূর্তি স্থাপন, আন্দামানে এক দ্বীপের নাম নেতাজির নামে রাখা, প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে আইএনএর সেনানীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন— এগুলোই নেতাজির প্রতি আমাদের কর্মাঞ্জলি।
সাথীরা,
গত ১০ বছরে দেশ এটাও দেখিয়েছে যে দ্রুত উন্নয়ন সাধারণ মানুষের জীবনকে সহজ করে তোলে এবং সামরিক শক্তিকেও বৃদ্ধি করে। গত দশকে ২৫ কোটি ভারতীয়কে দারিদ্র্য থেকে মুক্ত করা হয়েছে— এটি এক বিরাট সাফল্য। আজ গ্রাম হোক বা শহর, সর্বত্র আধুনিক পরিকাঠামোর নির্মাণ হচ্ছে, একই সঙ্গে ভারতের সেনাবাহিনীর শক্তিতেও বৃদ্ধি ঘটেছে। আজ বিশ্বমঞ্চে ভারতের ভূমিকা বৃদ্ধি পাচ্ছে, ভারতের কণ্ঠস্বর আরও জোরালো হচ্ছে। সে দিন আর দূরে নয় যখন ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি হবে। আমাদের নেতাজির প্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে বিকশিত ভারতের জন্য অবিরাম কাজ করে যেতে হবে।
একবার আবার আপনাদের সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।
ধন্যবাদ!
SC/PK..
(रिलीज़ आईडी: 2160353)
आगंतुक पटल : 8
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें:
English
,
Urdu
,
हिन्दी
,
Marathi
,
Manipuri
,
Assamese
,
Punjabi
,
Gujarati
,
Odia
,
Tamil
,
Telugu
,
Kannada
,
Malayalam