প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে প্রায় ২২,৮০০ কোটি টাকা মূল্যের মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন

Posted On: 10 AUG 2025 3:31PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ১০ অগাস্ট, ২০২৫

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে প্রায় ৭,১৬০ কোটি টাকা মূল্যের ব্যাঙ্গালোর মেট্রোর ইয়েলো লাইনের উদ্বোধন করেছেন এবং ১৫,৬১০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের ব্যাঙ্গালোর মেট্রো তৃতীয় পর্যায়ের প্রকল্পের শিলান্যাস করেছেন। তিনি বেঙ্গালুরুর কেএসআর রেল স্টেশন থেকে ৩টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রার সূচনাও করেন। অনুষ্ঠানে সমাবেশে ভাষণে তিনি বলেন, কর্ণাটকে পা রাখলে তাঁর একাত্মতা বোধ হয়। কর্ণাটকের সমৃদ্ধ সংস্কৃতির উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানকার মানুষের ভালোবাসা, কন্নড় ভাষার মিষ্টতা তাঁর হৃদয় ছুঁয়ে যায়। শ্রী মোদী তাঁর ভাষণ শুরু করেন বেঙ্গালুরুর অধিষ্ঠাত্রী দেবী আন্নাম্মা থাই'র চরণে প্রণাম জানিয়ে। কয়েক শতাব্দী আগের কথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি, যখন বেঙ্গালুরু শহরের শিলান্যাস করেছিলেন নন্দপ্রভূ কেম্পেগৌড়া। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেম্পেগৌড়া এমন একটি শহরের কথা ভেবেছিলেন, যার শিকড় থাকবে ঐতিহ্যে, পাশাপাশি সমৃদ্ধির নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বেঙ্গালুরু সবসময়েই সেই ভাবনা অনুসারে চলেছে এবং সেটাকেই ধরে রেখেছে এবং আজ বেঙ্গালুরু সেই স্বপ্নকে পূরণ করছে”।

শ্রী মোদী বলেন, “আজ বেঙ্গালুরু এমন একটি শহর হয়ে উঠেছে, যা নতুন ভারতের উত্থানের প্রতীক”। তিনি এই শহরকে দার্শনিক প্রজ্ঞার আত্মা এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতার প্রতীক হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, বেঙ্গালুরু হল এমন একটি শহর যা গর্বের সঙ্গে ভারতকে বিশ্ব আইটি মানচিত্রে স্থান করে দিয়েছে। বেঙ্গালুরুর এই সাফল্য এখানকার মানুষের কঠিন পরিশ্রম এবং প্রতিভার ফল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একবিংশ শতাব্দীতে নগর পরিকল্পনা এবং পরিকাঠামো আমাদের শহরগুলির জন্য অত্যন্ত জরুরি”। তিনি বলেন, বেঙ্গালুরুর মতো শহরগুলিকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারত সরকার বেঙ্গালুরুর জন্য কয়েক হাজার কোটি টাকা মূল্যের প্রকল্পের সূচনা করেছে এবং আজ সেই অভিযান নতুন গতি পাচ্ছে। শ্রী মোদী ব্যাঙ্গালোর মেট্রোর ইয়েলো লাইনের উদ্বোধন করেন এবং মেট্রোর তৃতীয় পর্যায়ের কাজের শিলান্যাস করেন। তিনি দেশের বিভিন্ন জায়গার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনকারী তিনটি নতুন বন্দে ভারত ট্রেনের যাত্রার সূচনা করেন। তিনি আরও বলেন, বেঙ্গালুরু এবং বেলাগাভীর মধ্যে বন্দে ভারত পরিষেবার সূচনা বেলাগাভীর বাণিজ্য এবং পর্যটন বৃদ্ধি করবে। এছাড়া নাগপুর এবং পুনে ও শ্রীমাতা বৈষ্ণোদেবী কাটরা ও অমৃতসরের মধ্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনেরও সূচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই পরিষেবাগুলি লক্ষ লক্ষ ভক্তের উপকার করবে এবং পর্যটনের প্রসার ঘটাবে। কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুর মানুষ এবং দেশের সকল নাগরিককে তিনি অভিনন্দন জানান এই প্রকল্পগুলি ও নতুন বন্দে ভারত ট্রেনের জন্য।

অপারেশন সিঁদুরের পরে এটাই তাঁর প্রথম বেঙ্গালুরু সফর জানিয়ে শ্রী মোদী অপারেশন সিঁদুরে ভারতীয় বাহিনীর সাফল্যের কথা তুলে ধরেন, যে অভিযানে ভারতীয় বাহিনী নিজ ক্ষমতাবলে সীমান্তপারের জঙ্গী ঘাঁটিগুলিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। জঙ্গীদের রক্ষা করতে গিয়ে পাকিস্তানকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভারতের ক্ষমতার কাছে নতজানু হতে হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সমগ্র বিশ্ব নতুন ভারতের নতুন চেহারার সাক্ষী থেকেছে”। অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য প্রযুক্তির শক্তি এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে মেক ইন ইন্ডিয়া-র সাফল্যের জন্যই সম্ভব হয়েছে বলে তিনি জানান। প্রধানমন্ত্রী এই সাফল্যে বেঙ্গালুরু এবং কর্ণাটকের যুবাদের উল্লেখযোগ্য অবদানের কথা স্বীকার করেন এবং এই সাফল্যে তাঁদের ভূমিকার জন্য অভিনন্দন জানান।

 বিশ্বের অন্যান্য প্রধান শহরগুলির পাশাপাশি বেঙ্গালুরুও এখন স্বীকৃতি পাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রতিযোগিতা করলেই হবে না, নেতৃত্ব দিতে হবে। তিনি বলেন, সমৃদ্ধি তখনই আসবে যখন আমাদের শহরগুলি হয়ে উঠবে স্মার্ট, দ্রুত এবং দক্ষ। আধুনিক পরিকাঠামো প্রকল্পগুলি সম্পূর্ণ করার উপর প্রধানত সরকারের জোর দেওয়ার বিষয়টির উল্লেখ করেন তিনি। শ্রী মোদী আরভি রোড থেকে বোম্মাসান্দ্রা- যা বেঙ্গালুরুর গুরুত্বপূর্ণ জায়গা, সেখানে বেঙ্গালুরু মেট্রো লাইনের সূচনার কথা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, বাসবানাগুড়ি এবং ইলেক্ট্রনিক সিটির মধ্যে যাতায়াতের সময় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে এবং এতে লক্ষ লক্ষ মানুষের যাতায়াতের সুবিধা হবে।

ইয়েলো লাইনের উদ্বোধনের পাশাপাশি বেঙ্গালুরু মেট্রোর তৃতীয় পর্যায়ের অর্থাৎ অরেঞ্জ লাইনের শিলান্যাস করার ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, কাজ সম্পূর্ণ হলে অরেঞ্জ লাইন, ইয়েলো লাইনের সঙ্গে মিলে ২৫ লক্ষ যাত্রীর দৈনিক যাতায়াতের সুযোগ করে দেবে। তিনি বলেন, এতে বেঙ্গালুরুর পরিবহণ ব্যবস্থা জোরদার হবে এবং নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে। শ্রী মোদী আরও বলেন, বেঙ্গালুরু মেট্রো দেশে গণ পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য নতুন মডেল হয়ে উঠেছে। ইনফোসিস ফাউন্ডেশন, বায়োকন এবং ডেলটা ইলেক্ট্রনিক্সের মতো কোম্পানীগুলি গুরুত্বপূর্ণ মেট্রো স্টেশনগুলির জন্য আংশিক তহবিল যুগিয়েছে বলে তিনি জানান। অনুপ্রেরণার একটি উৎস হিসেবে সিএসআর-এর উদ্ভাবনী ব্যবহারের প্রশংসা করেন তিনি এবং কর্পোরেট ক্ষেত্রকে তাদের অবদানের জন্য অভিনন্দন জানান।

শ্রী মোদী বলেন, “ভারত বর্তমানে বিশ্বে দ্রুততম গতির প্রধান অর্থনীতি। গত ১১ বছরে ভারতের অর্থনীতি দশম স্থান থেকে সারা বিশ্বে শীর্ষ পঞ্চমে পৌঁছেছে এবং শীর্ষ তিনটি দেশের মধ্যে স্থান করে নিতে দ্রুত এগোচ্ছে”। তিনি এই গতির জন্য কৃতিত্ব দেন “রিফর্ম, পারফর্ম অ্যান্ড ট্রান্সফর্ম” নীতিকে, যা চালিত হচ্ছে স্পষ্ট উদ্দেশ্য এবং সৎ প্রয়াসে। পরিকাঠামো উন্নতির উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, যে ২০১৪-য় মেট্রো পরিষেবা সীমিত ছিল মাত্র ৫টি শহরে। আজ মেট্রো নেটওয়ার্ক ২৪টি শহরে ১ হাজারের বেশি কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত, যা ভারতকে সারা বিশ্বের মধ্যে করে তুলেছে তৃতীয় বৃহত্তম মেট্রো নেটওয়ার্কের দেশ। শ্রী মোদী এও বলেন, ২০১৪-র আগে মাত্র ২০ হাজার কিলোমিটার রেল পথে বৈদ্যুতিকীকরণ করা হয়েছিল। গত ১১ বছরেই শুধু ৪০ হাজার কিলোমিটারের বেশি রেল পথ বৈদ্যুতিনীকরণ করা হয়েছে, যা সুস্থায়ী পরিবহণ উন্নয়নে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

ভারতের সাফল্য শুধুমাত্র মাটিতেই এগোচ্ছে তাই নয়, আকাশেও বেড়ে চলেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৪-য় ভারতে মাত্র ৭৪টি বিমান বন্দর ছিল এবং আজ সেই সংখ্যা বেড়ে ১৬০-এর বেশি হয়ে গেছে। তিনি জলপথ পরিকাঠামোয় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির দিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন, বলেন, ২০১৪-য় মাত্র ৩টি জাতীয় জলপথ কার্যকর ছিল। এই সংখ্যা এখন বেড়ে হয়েছে ৩০।

স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করতে শ্রী মোদী বলেন, ২০১৪ পর্যন্ত দেশে মাত্র ৭টি এআইআইএমএস এবং ৩৮৭টি মেডিকেল কলেজ ছিল, সেখানে আজ ২২টি এআইআইএমএস এবং ৭০৪টি মেডিকেল কলেজ মানুষের সেবা করছে। প্রধানমন্ত্রী জানান, গত ১১ বছরে ১ লক্ষের বেশি নতুন মেডিকল আসন সারা দেশে যুক্ত হয়েছে। তিনি বলেন, এই বৃদ্ধির ফলে মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে মেয়েরাই বেশি উপকৃত হচ্ছে। শ্রী মোদী আরও জানান, গত ১১ বছরে আইআইটি-র সংখ্যা ১৬ থেকে বেড়ে হয়েছে ২৩, আইআইআইটি ৯ থেকে বেড়ে হয়েছে ২৫ এবং আইআইএম ১৩ থেকে বেড়ে হয়েছে ২১। তিনি জানান, বর্তমানে ছাত্র ছাত্রীরা উচ্চ শিক্ষার জন্য আরও বেশি সুযোগ পাচ্ছে। 

বর্তমানে দেশ এগোচ্ছে দ্রুত গতিতে। দরিদ্র এবং প্রান্তিক মানুষের জীবন ওই একই গতিতে রূপান্তরিত হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ৪ কোটির বেশি পাকা বাড়ি দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, সরকার আরও ৩ কোটি বাড়ি তৈরি করার লক্ষ্য নিয়েছে। শ্রী মোদী বলেন, মাত্র ১১ বছরে ১২ কোটির বেশি শৌচাগার নির্মিত হয়েছে দেশজুড়ে। তিনি জানান, এই উদ্যোগ কোটি কোটি মা ও বোনেদের মর্যাদা, পরিচ্ছন্নতা এবং সুরক্ষা দিয়েছে।

শ্রী মোদী বলেন, “দেশে উন্নয়নের দ্রুত গতি ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির দ্বারা প্রধানত চালিত। ২০১৪-র আগে ভারতের মোট রপ্তানি মাত্র ৪৬৮ বিলিয়ন ডলারে যেখানে পৌঁছেছিল সেখানে এই অঙ্ক এখন পৌঁছেছে ৮২৪ বিলিয়ন ডলারে”। প্রধানমন্ত্রী জানান, আগে ভারত সাধারণত মোবাইল ফোন আমদানি করতো। কিন্তু এখন দেশ বিশ্বের মধ্যে মোবাইল রপ্তানিতে প্রথম ৫টি দেশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। তিনি জানান, এই রূপান্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বেঙ্গালুরু। শ্রী মোদী আরও বলেন, ২০১৪-র আগে ভারতের ইলেক্ট্রনিক্স দ্রব্য রপ্তানির পরিমাণ ছিল আনুমানিক ৬ বিলিয়ন ডলার, যা এখন পৌঁছেছে প্রায় ৩৮ বিলিয়ন ডলারে।

১১ বছর আগে ভারতের গাড়ির যন্ত্রাংশ রপ্তানির পরিমাণ ছিল মোটামুটি ১৬ বিলিয়ন ডলার, সেখানে আজ ওই সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে ভারত হয়ে উঠেছে চতুর্থ বৃহত্তম গাড়ির যন্ত্রাংশ রপ্তানিকারক দেশ। তিনি জানান, এইসব সাফল্য আত্মনির্ভর ভারতের সংকল্পকে জোরদার করেছে এবং সবাই একসঙ্গে মিলে দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে ও উন্নত ভারত হিসেবে গড়ে তুলবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি।

শ্রী মোদী জানান, “বিকশিত ভারতের লক্ষ্যে যাত্রা ডিজিটাল ইন্ডিয়ার সঙ্গে হাত হাত মিলিয়ে এগোবে”। ইন্ডিয়া এআই মিশনের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে ভারত বিশ্বে এআই নেতৃত্বের লক্ষ্যে অগ্রসর হচ্ছে। তিনি আরও জানান, সেমিকনডাকটর মিশনও গতি পাচ্ছে এবং ভারত শীঘ্রই নিজস্ব মেড ইন ইন্ডিয়া চিপ হাতে পাবে। প্রধানমন্ত্রী জানান, ভারত কম খরচে উচ্চদরের প্রযুক্তির ক্ষেত্রে উদাহরণ হয়ে উঠেছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ভারত ভবিষ্যতের প্রযুক্তির সর্ব ক্ষেত্রে এগিয়ে চলেছে এবং এই এগিয়ে চলার ক্ষেত্রে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্টটি হল দরিদ্র মানুষের ক্ষমতায়ন। দেশে প্রত্যেকটি গ্রামে বর্তমানে ডিজিটাইজেশন পৌঁছে গেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউপিআই-এর মাধ্যমে বিশ্বে লেনদেনের ৫০ শতাংশই হয় ভারতে। তিনি বলেন, সরকার এবং নাগরিকদের মধ্যে পার্থক্যটুকু ঘোচাতে সেতুর কাজ করছে এই প্রযুক্তি। বর্তমানে ২২০০-র বেশি সরকারি পরিষেবা পাওয়া যায় মোবাইল প্ল্যাটফর্মে। তিনি আরও জানান, উমঙ্গ অ্যাপের সাহায্যে নাগরিকরা বাড়ির থেকেই সরকারি কাজ সম্পূর্ণ করতে পারে। পাশাপাশি ডিজি লকারের মতো বিষয় নিয়ে সরকারি শংসাপত্র পাওয়ার ঝঞ্ঝাট দূর হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী জানান, ভারত এখন এআই চালিত হুমকি চিহ্নিত করার সক্ষম প্রযুক্তিতে লগ্নি করছে। তিনি জানান, লক্ষ্য হল সমাজে যাতে শেষ মানুষ পর্যন্ত ডিজিটাল বিপ্লবের সুবিধা পৌঁছতে পারে। বেঙ্গালুরু সক্রিয়ভাবে এই জাতীয় প্রয়াসে অবদান রাখছে বলে স্বীকার করেন তিনি। 

প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন, “আমাদের এর পরের বড় অগ্রাধিকার হওয়া উচিত প্রযুক্তিতে আত্মনির্ভর হয়ে ওঠা”। ভারতের প্রযুক্তি কোম্পানীগুলি সারা বিশ্বে ছাপ রাখছে। সারা বিশ্বের জন্য নতুন নতুন সফটওয়্যার এবং পণ্য তৈরি করছে। তিনি বলেন, এখন সময় হয়েছে ভারতের নিজের চাহিদাকে আরও জোরালোভাবে অগ্রাধিকার দেওয়া এবং নতুন নতুন পণ্য উৎপাদনে গতি আনা। বিশেষ করে যেখানে প্রত্যেকটি ডোমেনে সফটওয়্যার এবং অ্যাপস ব্যবহার করা হচ্ছে। শ্রী মোদী জানান, ভারতের জন্য প্রয়োজন এই ক্ষেত্রে নতুন উচ্চতায় পৌঁছানো। উদীয়মান ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য একমুখী প্রয়াসের আহ্বান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেক ইন ইন্ডিয়া এবং উৎপাদন ক্ষেত্রে বেঙ্গালুরু ও কর্ণাটকের উপস্থিতিতে জোর দেওয়ার প্রয়োজন আছে। প্রধানমন্ত্রী জানান, ভারতের পণ্য হওয়া উচিত ত্রুটি শূন্য অর্থাৎ যার গুণমানে কোনো ঘাটতি নেই এবং পরিবেশের উপর যার কোনো নেতিবাচক প্রভাব নেই। তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, কর্ণাটকের প্রতিভা আত্মনির্ভর ভারতের দর্শনকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

শ্রী মোদী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারই হোক বা রাজ্য সরকার সকলেরই লক্ষ্য মানুষের সেবা করা। নাগরিকদের জীবনে উন্নতি ঘটাতে সমন্বিত প্রয়াসের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন তিনি। তিনি বলেন, এই লক্ষ্যে প্রধান দায়িত্ব হল, নতুন সংস্কার রূপায়ণ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত দশকে কেন্দ্রীয় সরকার নিয়মিতভাবে সংস্কার করে আসছে। উদাহরণ স্বরূপ তিনি জনবিশ্বাস বিলের কথা বলেন, যা আইনকে নিরপরাধিক করেছে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন, জনবিশ্বাস ২.০-ও পেশ করা হচ্ছে। তিনি রাজ্য সরকারগুলিকে উৎসাহিত করেন এই ধরনের আইনের সংস্থানকে চিহ্নিত করে তা বাদ দেওয়ার জন্য। শ্রী মোদী বলেন, মিশন কর্মযোগী উদ্যোগের লক্ষ্য সরকারি কর্মীদের দক্ষতা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেওয়া। প্রত্যাশামূলক জেলা কর্মসূচি এবং প্রত্যাশামূলক ব্লক অনুষ্ঠানের উপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী রাজ্যগুলিকে একইরকম অঞ্চল যেখানে বিশেষ নজর দেওয়া দরকার সেগুলি চিহ্নিত করার আবেদন জানান। সব শেষে তিনি বলেন, রাজ্যস্তরে প্রতিনিয়ত সংস্কার চালু রাখতে হবে। তাঁর বিশ্বাস যৌথ উদ্যোগ কর্ণাটককে উন্নয়নের নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে এবং তিনি স্পষ্ট করে জানান, একসঙ্গে আমরা বিকশিত ভারতের লক্ষ্য পূরণ করবো। 

কর্ণাটকের রাজ্যপাল শ্রী থেওরচাঁদ গেহলট, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী সিদ্দারামাইয়া, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী মনোহর লাল, শ্রী এইচডি কুমারস্বামী, শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, শ্রী ভি সোমান্না, সুশ্রী শোভা করন্দলাজে এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

 


SC/AP/SKD


(Release ID: 2154981) Visitor Counter : 6