প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

এম এস স্বামীনাথন শতবার্ষিকী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

Posted On: 07 AUG 2025 11:22AM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ৭ আগস্ট, ২০২৫

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ নতুন দিল্লিতে আইসিএআর পুসা-তে এম.এস. স্বামীনাথন শতবার্ষিকী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। তিনি অধ্যাপক এম.এস. স্বামীনাথনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁকে একজন দূরদর্শী হিসেবে বর্ণনা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর অবদান যেকোনো যুগকে ছাড়িয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন যে অধ্যাপক স্বামীনাথন এমন এক বিজ্ঞানী যিনি বিজ্ঞানকে জনসেবায় রূপ দিয়েছেন। শ্রী মোদী উল্লেখ করেন যে অধ্যাপক স্বামীনাথন দেশবাসীর জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সারা জীবন ধরে কাজ করে গেছেন। অধ্যাপক স্বামীনাথন এমন একটি চেতনা জাগ্রত করেছেন যা আগামী শতাব্দী ধরে ভারতের নীতি এবং অগ্রাধিকারেরর ক্ষেত্রকে প্রভাবিত করবে। শ্রী মোদী স্বামীনাথনের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সকলকে শুভেচ্ছা জানান।

জাতীয় তাঁত দিবস প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত দশ বছরে তাঁত ক্ষেত্র দেশজুড়ে এক নতুন স্বীকৃতি এবং শক্তি অর্জন করেছে। তাঁত ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সকলকে তিনি জাতীয় তাঁত দিবসে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

ডঃ এম. এস. স্বামীনাথনের সাথে তাঁর বহু বছরের সান্নিধ্যের কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, গুজরাটের এক সময় খরা এবং ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কৃষিক্ষেত্রে বিরাট চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়েছিল। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি মাটির স্বাস্থ্য কার্ড চালু করেছিলেন। এটি নিয়ে অধ্যাপক স্বামীনাথন প্রভূত আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং তা নিয়ে নানারকম পরামর্শও দেন যা পরবর্তীকালে এর সাফল্যে বিরাট প্রভাব ফেলে। শ্রী মোদী প্রায় ২০ বছর আগে তামিলনাড়ুতে অধ্যাপক স্বামীনাথনের গবেষণা ফাউন্ডেশন কেন্দ্র পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন যে ২০১৭ সালে অধ্যাপক স্বামীনাথনের বই 'দ্য কোয়েস্ট ফর আ ওয়ার্ল্ড উইদাউট হাঙ্গার' প্রকাশের সুযোগ তাঁর হয়েছিল। ২০১৮ সালে বারাণসীতে আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক কেন্দ্রের উদ্বোধনের সময় অধ্যাপক স্বামীনাথন গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে অধ্যাপক স্বামীনাথনের সাথে প্রতিবারই তাঁর আলাপ এক শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা। তিনি অধ্যাপক স্বামীনাথনের একবারের কথা স্মরণ করে বলেন, "বিজ্ঞান কেবল আবিষ্কার নয়, বরং জনসেবা," এবং অধ্যাপক স্বামীনাথন তাঁর কাজের মধ্য দিয়ে তা প্রমাণ করেছেন। শ্রী মোদী জোর দিয়ে বলেন যে অধ্যাপক স্বামীনাথন কেবল গবেষণাই করেননি, বরং কৃষকদের কৃষি পদ্ধতির রূপান্তরেও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। অধ্যাপক স্বামীনাথনের দৃষ্টিভঙ্গি এবং কাজ ভারতের কৃষিক্ষেত্র জুড়ে বিদ্যমান। তাঁকে ভারতমাতার একজন প্রকৃত রত্ন হিসেবে বর্ণনা করে শ্রী মোদী তাঁর সরকারের আমলে অধ্যাপক স্বামীনাথনকে ভারতরত্ন প্রদান করায় নিজেকে সৌভাগ্যবান বলে অভিহিত করেছেন।

ডঃ এম. এস. স্বামীনাথন ভারতকে খাদ্য উৎপাদনে স্বনির্ভরতার অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং সবুজ বিপ্লবের বাইরেও তাঁর অবদান ছড়িয়ে রয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন যে অধ্যাপক স্বামীনাথন ক্রমাগতভাবে কৃষকদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান রাসায়নিক ব্যবহার এবং এক ফষলী চাষের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন করেছিলেন। শ্রী মোদী উল্লেখ করেন যে অধ্যাপক স্বামীনাথন শস্য উৎপাদন বৃদ্ধির কাজের পাশাপাশি পরিবেশ এবং দেশের বিষয় নানা বিষয় নিয়েও উদ্বিগ্ন ছিলেন। উভয় উদ্দেশ্যের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং উদীয়মান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অধ্যাপক স্বামীনাথন সবুজ বিপ্লবের প্রবর্তন করেন। শ্রী মোদী আরও বলেন যে অধ্যাপক স্বামীনাথন গ্রামীণ সম্প্রদায় এবং কৃষকদের ক্ষমতায়নের জন্য জৈব-গ্রামের ধারণাও গড়ে তুলেছিলেন। সেইসঙ্গে, কমিউনিটি বীজ ব্যাংকের মতো উদ্ভাবনী ধারণারও প্রচার করেছিলেন।

ডঃ এম. এস. স্বামীনাথন বিশ্বাস করতেন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পুষ্টিগত চ্যালেঞ্জের সমাধান ফসলের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে এবং সেগুলি সম্পর্কে আমরা অবহিত নই। কৃষিতে খরা সহনশীলতা এবং লবণ সহনশীলতার উপর অধ্যাপক স্বামীনাথনের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি উল্লেখ করেন যে অধ্যাপক স্বামীনাথন এমন এক সময়ে বাজরা বা শ্রীঅন্ন-র উপর কাজ করেছিলেন যখন এগুলো সকলের কাছে রীতিমত উপেক্ষিত ছিল। শ্রী মোদী স্মরণ করিয়ে দেন যে বহু বছর আগে, অধ্যাপক স্বামীনাথন ম্যানগ্রোভের জিনগত গুণাবলী ধানে স্থানান্তর করার পরামর্শ দিয়েছিলেন, যা ফসলকে আরও জলবায়ু-সহায়ক করে তুলতে সাহায্য করবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে আজ, জলবায়ু অভিযোজন বিশ্বব্যাপী অগ্রাধিকারে পরিণত হওয়ার সাথে সাথে, এটি স্পষ্ট যে অধ্যাপক স্বামীনাথনের চিন্তাভাবনা কতটা দূরদর্শী ছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জীববৈচিত্র্য বিশ্বব্যাপী আলোচনার বিষয় এবং এর সংরক্ষণের সরকারি তরফে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন যে স্থানীয় সম্পদ ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের জন্য নতুন জীবিকার সুযোগ গড়ে তোলা সম্ভব। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডঃ স্বামীনাথনের তাঁর ধারণাগুলির বাস্তব রূপায়ণ ঘটিয়েছেন এবং এক্ষেত্রে তিনি অনন্য কৃতিত্বের অধিকারী। তিনি তাঁর গবেষণা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে নতুন নতুন আবিষ্কারের সুফল কৃষকদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। ছোট চাষী থেকে শুরু করে জেলে এবং উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্তরা ডঃ স্বামীনাথনের কাজে দারুণভাবে উপকৃত।

অধ্যাপক স্বামীনাথনের পরম্পরাকে সম্মান জানাতে খাদ্য ও শান্তির লক্ষ্যে চালু হওয়া এম.এস. স্বামীনাথন পুরস্কার নিয়ে গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি খাদ্য নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে, উন্নয়নশীল দেশগুলির এমন ব্যক্তিদের এই আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রদান করা হবে বলে জানান। শ্রী মোদী বলেন যে খাদ্য ও শান্তির মধ্যে সম্পর্ক কেবল দার্শনিক নয়, গভীরভাবে বাস্তবসম্মতও বটে। উপনিষদের একটি শ্লোক উদ্ধৃত করে শ্রী মোদী খাদ্যের পবিত্রতার উপর জোর দেন। তিনি বলেন যে খাদ্যই জীবন, এটিকে কোনভাবেই অসম্মান বা অবহেলা করা উচিত নয়। খাদ্যের যেকোনো সংকট জীবনে সঙ্কট বয়ে নিয়ে আসতে পারে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বিপন্ন করতে পারে বলে তিনি সকলকে সতর্ক করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতে বিশ্বব্যাপী অস্থিরতা অনিবার্য হয়ে দেখা দিতে পারে। শ্রী মোদী আজকের বিশ্বে খাদ্য ও শান্তির জন্য এম.এস. স্বামীনাথন পুরস্কারের গুরুত্বের উপর জোর দেন। প্রধানমন্ত্রী এই পুরস্কারের প্রথম প্রাপক নাইজেরিয়ার অধ্যাপক অ্যাডেনলেকে অভিনন্দন জানান এবং তাঁকে একজন প্রতিভাবান বিজ্ঞানী হিসেবে বর্ণনা করেন।

ভারতের কৃষিক্ষেত্রের বর্তমান সমৃদ্ধি দেখে ডঃ এম. এস. স্বামীনাথন যেখানেই থাকুন না কেন, অবশ্যই গর্বিত বোধ করবেন বলে শ্রী মোদী উল্লেখ করেন। তিনি বলেন যে ভারত আজ দুধ, ডাল এবং পাট উৎপাদনে প্রথম স্থানে রয়েছে। চাল, গম, তুলা, ফল এবং শাকসবজি উৎপাদনে ভারতের স্থান বিশ্বে দ্বিতীয়। ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মাছ উৎপাদনকারী। গত বছর ভারত সর্বোচ্চ খাদ্যশস্য উৎপাদন করেছে। তৈলবীজের উৎপাদনেও দেশ রেকর্ড স্থাপন করছে। সয়াবিন, সর্ষে এবং চীনাবাদাম উৎপাদন রেকর্ড সংখ্যায় পৌঁছেছে।

কৃষকদের কল্যাণ দেশের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার - এ কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে ভারত তার কৃষক, পশুপালক এবং জেলেদের স্বার্থরক্ষায় কখনও আপস করবে না। তিনি কৃষকদের আয় বৃদ্ধি, কৃষি ব্যয় হ্রাস এবং রাজস্বের নতুন ক্ষেত্র তৈরিতে সরকারের নিরন্তর চেষ্টার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সর্বদা কৃষকদের শক্তিকে জাতীয় অগ্রগতির ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করে এসেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে প্রণীত নীতিসমূহ কৃষকদের মধ্যে আস্থার বোধ জাগ্রত করেছে। প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি ক্ষুদ্র কৃষকদের আর্থিক সহায়তা দিয়ে তাঁদের ক্ষমতায়ন ঘটিয়েছে। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা কৃষকদের কৃষি ঝুঁকির ক্ষেত্রে সুরক্ষা দিয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঞ্চাই যোজনার মাধ্যমে সেচের চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা করা হয়েছে। শ্রী মোদী জোর দিয়ে বলেন যে ১০,০০০ কৃষক উৎপাদক সংস্থা (এফপিও) তৈরিতে ক্ষুদ্র কৃষকদের সম্মিলিত শক্তিকে শক্তিশালী করা হয়েছে। সমবায় এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে আর্থিক সহায়তা গ্রামীণ অর্থনীতিতে নতুন গতি সঞ্চার করেছে। ই-ন্যাম প্ল্যাটফর্মের কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, কৃষকদের পক্ষে উৎপাদিত পণ্য বিক্রি অনেক হয়ে গেছে। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্পদ যোজনা নতুন খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট এবং সংরক্ষণাগারের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করেছে। সম্প্রতি অনুমোদিত প্রধানমন্ত্রী ধন ধান্য যোজনার লক্ষ্য হল কৃষিতে পিছিয়ে থাকা ১০০টি জেলাকে উন্নত করা। এজন্য এইসব জেলাগুলিতে সুযোগ-সুবিধা এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করে সরকার কৃষিতে নতুন আস্থা গড়ে তুলেছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।

একবিংশ শতাব্দীর ভারতকে একটি উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতির লক্ষ্যে সমাজের প্রতিটি পেশার মানুষকে এই লক্ষ্যপথে যুক্ত করতে হবে বলে শ্রী মোদী মন্তব্য করেন। ডঃ এম. এস. স্বামীনাথনের পথ ভারতীয় বিজ্ঞানীদের কাছে আরও একটি ইতিহাস তৈরির সুযোগ এনে দিয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যেমন জরুরি, বর্তমানে পুষ্টি সুরক্ষার ক্ষেত্রেও যত্নশীল হওয়ার ব্যাপারে শ্রী মোদী জোর দেন। জনস্বাস্থ্যের দিকে তাকিয়ে কৃষিতে রাসায়নিকের ব্যবহার হ্রাস করে জৈব-সুরক্ষিত এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ ফসলের পরিসরে গড়ে তুলতে আহ্বান জানিয়েছেন শ্রী মোদী।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যে সমস্ত চ্যালেঞ্জগুলি দেখা দিয়েছে তার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী  জলবায়ু-সহায়ক ফসলের উদ্ভাবনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি খরা, বন্যা এবং তাপমাত্রা সহনশীল ফসল উৎপাদনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। শ্রী মোদী সাশ্রয়ী মূল্যের মাটি পরীক্ষার সরঞ্জাম এবং কার্যকর পুষ্টি ব্যবস্থাপনা কৌশল গড়ে তোলার ওপরও জোর দেন।

সৌরশক্তিচালিত ক্ষুদ্র সেচের উদ্যোগকে আরও বেশি করে গড়ে তুলতে ড্রিপ সিস্টেম এবং উদ্ভাবনী সেচ ব্যবস্থাকে আরও ব্যাপক এবং কার্যকর করতে হবে। কৃষি ব্যবস্থায় স্যাটেলাইট ডেটা, এআই এবং মেশিন লার্নিং-এর ব্যবহারে গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন যে ফলনের পূর্বাভাস দিতে পারে এমন ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর জোর দেন। কৃষি-প্রযুক্তি স্টার্টআপ-এর প্রসারের ওপর গুরুত্ব দেন তিনি। কৃষিক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় যুব সম্প্রদায়কে উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।

ভারতের কৃষক সম্প্রদায়ের প্রথাগত জ্ঞান আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে সমন্বয় ঘটানো দরকার বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। শস্য বৈচিত্র্য নিয়ে কৃষকদেরকে সচেতন করে দরকার বলেও তিনি জানান। বিশেষজ্ঞরা এক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারেন।

২০২৪ সালের ১১ আগস্ট পুসা ক্যাম্পাসে তাঁর সফরের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। এখানে কৃষি প্রযুক্তিকে পরীক্ষাগার থেকে জমিতে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। শ্রী মোদী ২০২৫ সালের মে এবং জুন মাসে "বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান" চালু হওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, প্রথমবারের মতো ৭০০ টিরও বেশি জেলায় ২,২০০ টিরও বেশি বিজ্ঞানীর দল অংশগ্রহণ করেছিলেন। ৬০,০০০ টিরও বেশি কর্মসূচি পরিচালিত হয়েছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে এইসব প্রয়াসের মাধ্যমে প্রায় ১.২৫ কোটি কৃষকের সাথে বিজ্ঞানীদের সরাসরি সংযোগ তৈরি হয়েছিল। কৃষকদের সঙ্গে বৈজ্ঞানিকদের যোগাযোগ সম্প্রসারণের উদ্যোগের প্রশংসা করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডঃ এম. এস. স্বামীনাথন আমাদের শিখিয়েছেন যে কৃষি কেবল ফসল নয়, এটি জীবনের অঙ্গ। কৃষিক্ষেত্রের সাথে যুক্ত প্রতিটি ব্যক্তির মর্যাদা রক্ষা করতে হবে, প্রতিটি সম্প্রদায়ের সমৃদ্ধি এবং প্রকৃতির সুরক্ষা সরকারের কৃষি নীতির ভিত্তি। বিজ্ঞান এবং সমাজকে একটি সাধারণ সূত্রের মাধ্যমে সংযুক্ত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে ক্ষুদ্র কৃষকদের স্বার্থকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। তিনি খেতে কর্মরত মহিলাদের ক্ষমতায়নের গুরুত্বের উপর জোর দেন। ভাষণ শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে ডঃ স্বামীনাথনের অনুপ্রেরণা সকলকে পথ দেখিয়ে চলেছে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী শিবরাজ সিং চৌহান; নীতি আয়োগের সদস্য ডঃ রমেশ চাঁদ; এম.এস. স্বামীনাথন রিসার্চ ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন শ্রীমতী সৌম্য স্বামীনাথন এবং অন্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।


SC/AB/DM/


(Release ID: 2153642)