প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

গুজরাটের ভুজে ৫৩,৪০০ কোটি টাকারও বেশি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর

प्रविष्टि तिथि: 26 MAY 2025 7:22PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি ২৬ মে ২০২৫ 


প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ গুজরাটের ভুজে ৫৩,৪০০ কোটি টাকারও বেশি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন করেছেন। সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী কচ্ছের জনসাধারণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা, বিপ্লবী ও শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। কচ্ছের ছেলে-মেয়েদের সহিষ্ণুতা ও অবদানের প্রতিও শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। 
আশাপুরা মাতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কচ্ছের পবিত্র ভূমিতে তাঁর স্বর্গীয় আবির্ভাবের কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। কচ্ছের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই জেলায় তিনি প্রায়শই সফর করতেন এবং তাঁর জীবনের দিশা নির্দেশ গড়ে দিতেও এখানকার অবদান রয়েছে। বর্তমানে বসবাস পরিস্থিতি অনেক উন্নতি হলেও অতীতে তা সুগম ছিল না। নর্মদার জল কচ্ছ এলাকায় পৌঁছোনোকে আশীর্বাদ বলে উল্লেখ করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগেও  জেলা অফিসে নানা কাজকর্মের সূত্রে প্রায়শই তাঁকে কচ্ছ আসতে হতো। এই এলাকায় থেকে তাঁর অভিজ্ঞতা সঞ্চয় পরবর্তীকালে এখানকার উন্নয়নের জন্য গৃহীত কর্মসূচিতে প্রকৃত দিশা দেখিয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। 
সাফল্যের ক্ষেত্রে ইচ্ছাশক্তি এবং নিরন্তর প্রয়াস যে কতখানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে, কচ্ছ তার এক নিদর্শন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক সময় ভয়াবহ ভূমিকম্প এই এলাকার ভবিষ্যৎ নিয়ে সকলের সংশয়ের উদ্রেক করেছিল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কচ্ছের প্রতি তাঁর অবিচল বিশ্বাসই ছিল যে, ছাই থেকে তা আবার মাথা তুলে দাঁড়াবে এবং এখানকার মানুষ তা করে দেখিয়েছেন। তিনি বলেন, কচ্ছ আজ এক শিল্প, বাণিজ্য ও পর্যটনের প্রধান হাব হিসেবে পরিচিত। আগামীদিনে এই এলাকার গুরুত্ব আরও প্রসার লাভ করবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী কচ্ছের দ্রুত উন্নয়ন এবং অগ্রগতিতে আনন্দ প্রকাশ করেন। তাঁর এই সফরকালে ৫০ হাজার কোটি টাকারও বেশি এমন নানা প্রকল্পের উদ্বোধন ও সূচনা হয়েছে, যা পরিকাঠামো এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এইসব উদ্যোগ সুনীল অর্থনীতিতে ভারতকে নেতৃত্ব দিতে এবং পরিবেশবান্ধব শক্তি ক্ষেত্রের বিশ্বস্থল হিসেবে ভারতকে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। এইসব রূপান্তরমূলক উদ্যোগের জন্য কচ্ছের জনসাধারণকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। 
গ্রীন হাইড্রোজেনকে ভবিষ্যতের জ্বালানী হিসেবে আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কচ্ছ পরিবেশবান্ধব শক্তি ক্ষেত্রে বিশ্বের বৃহত্তম হাব হয়ে উঠছে। তিনি বলেন, গাড়ি, বাস, রাস্তার আলো খুব শীঘ্রই গ্রীন হাইড্রোজেন নির্ভর হয়ে উঠবে। ভারতের শক্তি পরিমন্ডলে তা এক রূপান্তর নিয়ে আসছে বলে তিনি জানান। কচ্ছে নতুন গ্রীন হাইড্রোজেন কারখানার ভিত্তি প্রস্তরের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই কারখানা গড়ে তুলতে যাবতীয় প্রযুক্তি ভারতে তৈরি। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী এই এলাকায় পৃথিবীর বৃহত্তম একটি সৌরশক্তি প্রকল্প গড়ে তোলা হচ্ছে বলেও জানান। বিশ্ব শক্তি ক্ষেত্রে কচ্ছের খাবদা কমপ্লেক্স নিজের গুরুত্বকে তুলে ধরেছে বলেও তিনি জানান। 
নাগরিকদের বিদ্যুৎ খরচ সাশ্রয়ের পাশাপাশি পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ জোগানে সরকারি দায়বদ্ধতার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পিএম সূর্যঘর মুফত বিজলি যোজনা চালু হওয়ায় গুজরাটের লক্ষ লক্ষ পরিবার উপকৃত। তিনি উপকূলবর্তী এলাকার অর্থনৈতিক গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করে বলেন, অনেক দেশে আর্থিক শ্রীবৃদ্ধির মূল নির্ণায়ক হল সামুদ্রিক সমৃদ্ধি। প্রাচীন শহর ভোলা ভিরা এবং লোথাল-এর উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য উন্নয়নের ঐতিহ্য বহন করে চলেছে তারা। বন্দর কেন্দ্রিক উন্নয়নের স্বার্থে বন্দরকে ঘিরে শহরের বিকাশের পথকে এগিয়ে নিয়ে চলছে তাঁর সরকার। সামুদ্রিক খাবার, পর্যটন এবং বাণিজ্যকে ঘিরে নতুন উপকূলবর্তী পরিমন্ডল গড়ে তোলার কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ভারত। তিনি বলেন, বন্দরের আধুনিকীকরণে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ বিশেষ ফলপ্রদ হয়েছে। এই প্রথমবার দেশের প্রধান বন্দরগুলি একত্রে রেকর্ড সংখ্যক ১৫ কোটি টন বাৎসরিক পণ্য উঠানো-নামামোর কাজ করেছে। এক্ষেত্রে কান্দলা বন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে তিনি জানান। কচ্ছের বন্দরগুলি ভারতের সামগ্রিক বাণিজ্যের প্রায় এক তৃতীয়াংশ বহন করে। পরিকাঠামোগত ক্ষেত্রের ওপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কান্দলা এবং মুন্দ্রা বন্দরের দক্ষতা ও যোগাযোগ বিকাশের কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ।এই উপলক্ষে জাহাজ ভিত্তিক বিভিন্ন সুবিধাগত ব্যবস্থার উদ্বোধন হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, একটি নতুন জেটি এবং পণ্য মজুত ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। সামুদ্রিক ক্ষেত্রের বিকাশের জন্য এবছরের বাজেটে বিশেষ সংস্থান রাখা হয়েছে বলেও তিনি জানান। সেইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাহাজ নির্মাণকেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ভারত বড় আকারের পোত তৈরি করবে কেবলমাত্র অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতেই নয়, বিশ্ব চাহিদা পূরণেও তা ভূমিকা নেবে। এই সমস্ত উদ্যোগের ফলে সামুদ্রিক ক্ষেত্রে যুব সম্প্রদায়ের কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রসারলাভ করবে।
কচ্ছের ঐতিহ্যের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ঐতিহ্যই এই অঞ্চলে উন্নয়নের চালিকা শক্তি হয়ে উঠেছে। ভুজে বস্ত্র, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, লবণ উৎপাদন সহ নানা ক্ষেত্রে বিগত দু দশকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। সেইসঙ্গে কচ্ছের প্রথাগত শিল্প, এমব্রয়ডারি, ব্লক প্রিন্টিং, বন্ধনী ফেব্রিক, চর্মশিল্প প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। ভুজোদি গ্রামকে তাঁত শিল্পের এক জীবন্ত সংগ্রহালয় আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রথাগত অনন্য আজরাক ছাপাই বর্তমানে জিআই মর্যাদা পেয়েছে। যার অর্থ এই শিল্প কচ্ছের নামাঙ্কিত। কেন্দ্রীয় বাজেটে চর্মশিল্প এবং বস্ত্র শিল্প ক্ষেত্রে সহায়তার বিশেষ সংস্থান রাখা হয়েছে- জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার এইসব শিল্পের প্রসারে দায়বদ্ধ। 
কচ্ছের জনসাধারণ কঠোর পরিশ্রমী আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একসময় গুজরাটে ভূ-গর্ভস্থ জলস্তর গভীরভাবে হ্রাস পায়, ফলে রাজ্যের মানুষ গভীর সংকটে পড়েন। যদিও নর্মদা নদীর সৌজন্যে এবং সরকারের প্রয়াসের পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটেছে। কৃষিপণ্যের ক্ষেত্রে আম, খেজুর, ড্রাগন ফ্রুট, ডালিম প্রভৃতি ফল বিশ্ব বাজারে পৌঁছোচ্ছে। তিনি বলেন, সুযোগের অভাবে কচ্ছ একসময় পরিযায়ী সমস্যাদীর্ণ ছিল। কিন্তু, পরিস্থিতির পরিবর্তন হওয়ায় স্থানীয় যুবকরা নিজেদের এলাকাতেই কাজ পাচ্ছেন।
শ্রী মোদী বলেন, যুব সম্প্রদায়ের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সরকারের অগ্রাধিকারে পর্যটনকে বৃহৎ কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। কচ্ছের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দরুণ পর্যটন ক্ষেত্রে বিশেষভাবে প্রসারলাভ করেছে। স্মৃতি ভ্যান স্মারককে ইউনেসকো বিশ্বের সবথেকে সুন্দর সংগ্রহালয়ের মর্যাদা দিয়েছে। দরদো গ্রাম বিশ্বের শ্রেষ্ঠ পর্যটন গ্রামের আন্তর্জাতিক শিরোপা পাওয়ায় পর্যটকদের ভিড়ও বাড়ছে। তিনি বলেন, আমেদাবাদ এবং ভুজ-এর মধ্যে নমো ভারত র‍্যাপিড রেল এলাকায় আরও পর্যটন প্রসারে কাজ লাগবে।  
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৬ মে দিনটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য। কারণ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ২০১৪ সালের এই দিনেই তিনি শপথ গ্রহন করেছিলেন। ২০১৪ সালে ভারত বিশ্ব অর্থনীতিতে যেখানে ১১ তম স্থানে ছিল। বর্তমানে তা চতুর্থ বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হিসেবে উঠে এসেছে। পর্যটনের সঙ্গে জনসম্পর্ক গড়ে তোলায় ভারতের বিশ্বাসের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে অবস্থান পাকিস্তানের। তারা পর্যটনে প্রসারের পরিবর্তে সন্ত্রাসে মদত দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস এখন বিশ্বের কাছে এক ভয়াবহ হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। ভারত সন্ত্রাসের ক্ষেত্রে কোনোরকম সহিষ্ণুতা না দেখানোর নীতি গ্রহন করেছে বলেও তিনি জানান। অপারেশন সিঁদুরের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের কঠোর অবস্থান এতে প্রকাশ পায়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ভারতীয় জনসাধারণের কোনোরকম ক্ষতি করার চেষ্টা করা হলে একই ভাষায় তার উপযুক্ত উত্তর দেওয়া হবে। ভারতকে কেউ চ্যালেঞ্জ করার সাহস দেখালে তাকে তার ফল ভুগতে হবে বলেও প্রধানমন্ত্রী জানান। 
প্রধানমন্ত্রী অপারেশন সিঁদুরকে মানবতা রক্ষা এবং সন্ত্রাস নির্মূলের সংকল্প বলেও আখ্যা দেন। ২২ এপ্রিল বিহারে জনসভায় তাঁর ভাষণে প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী এবং তাদের পরিকাঠামোকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়ার শপথ নিয়েছিলেন। পহেলগাঁও আক্রমণের ১৫ দিন পরেও সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে পাকিস্তান কোনোরকম ব্যবস্থা না নেওয়ায় এর যোগ্য জবাব দিতে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীকে নিজেদের পছন্দমতো ব্যবস্থা নেওয়ার পূর্ণ অধিকার দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ভারত মূলত সন্ত্রাসবাদী সদর কার্যালয়গুলিকে লক্ষ্য করে আক্রমণ হানে। এতে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর দক্ষতা এবং শৃঙ্খলার দিক ফুটে ওঠে। তিনি বলেন, ভারত বিশ্বের কাছে প্রমাণ করতে পেরেছে সন্ত্রাবাদী ঘাঁটিগুলিতে নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হেনে গুঁড়িয়ে দিতে তারা সক্ষম। ভারতের আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পাকিস্তান ভারতের নিরীহ নাগরিকদের ওপর আক্রমণের চেষ্টা করে। এতে ভারত দ্বিগুণ শক্তিতে পাল্টা প্রত্যুত্তর দিয়ে তাদের সামরিক ঘাঁটিগুলির ওপর নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত করে। পাকিস্তানের সেনাঘাঁটি এবং সামরিক ক্ষেত্রগুলিকে ধ্বংস করে দিয়ে ভারত বিশ্বকে হতবাক করে দিয়েছে। এক্ষেত্রে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর পেশাদারিত্ব, সাহসীকতা এবং নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হানার ক্ষমতার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
১৯৭১-এর ঐতিহাসিক যুদ্ধের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের সেনা সেইসময় ভুজের বিমানঘাঁটিতে আঘাত হেনেছিল। ভুজের মহিলাদের অপরিসীম সাহসীকতার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই কঠিন পরিস্থিতির মাঝেও ভুজের মহিলারা ৭২ ঘন্টার মধ্যে বিমানঘাঁটি পুনর্নির্মাণ করেছিলেন। ফলে, সেখান থেকে যুদ্ধবিমান ওঠা-নামার কাজ দ্রুত সম্ভব করে তোলা হয়েছিল। এই সমস্ত সাহসী নারীদের সঙ্গে অতীতে তাঁর সাক্ষাতের সুযোগ হয়েছিল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁদের সহিষ্ণুতা ও অবদানের প্রশংসা করেন। 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস এবং তার প্রশয়দাতাদের বিরুদ্ধেই ভারতের লড়াই। তিনি বলেন, কোনো দেশের মানুযের সঙ্গে ভারতের শত্রুতা নেই। শত্রুতা হল সেইসব শক্তির সঙ্গে, যারা সন্ত্রাসবাদে মদত দিচ্ছে। কচ্ছ থেকে পাকিস্তানী নাগরিকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী সেখানকার বাস্তব পরিস্থিতি চিনে নেওয়ার আহ্বান জানান। সন্ত্রাসবাদীদের প্রতি সেখানকার সরকার এবং সামরিক শক্তির সক্রিয় মদতকে রাজস্ব আদায়ের পথ করা হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, পাকিস্তানের জনসাধারণকে ভেবে দেখতে হবে, এই পথ তাদের প্রকৃত স্বার্থ পূরণ করছে কিনা। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে এই মদত পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের জীবনকে ঝুঁকির সামনে দাঁড় করাচ্ছে এবে সেখানকার শিশুদের ভবিষ্যতকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানকে যদি সন্ত্রাসবাদের কলুষমুক্ত হতে হয়, তাহলে তাদেরকে নিজেদের অবস্থান ঠিক করতে হবে এবং সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের পথে এগোতে হবে।
ভারতের স্পষ্ট লক্ষ্যের প্রতি জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন, শান্তি এবং সমৃদ্ধির পথকেই ভারত বেছে নিয়েছে। তিনি বলেন, কচ্ছের ভাবাবেগ ভারতের যাত্রাপথে উন্নত দেশ হয়ে ওঠার অনুপ্রেরণা জোগাবে।  কুচ্চি নববর্ষে আসন্ন আষেঢ়ী বীজ উপলক্ষে কচ্ছের জনসাধারণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁদের অগ্রগতি এবং উন্নয়নে পুণরায় অভিবাদন ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণ শেষ করেন।
গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্রভাই প্যাটেল, কেন্দ্রীয় শক্তি, আবাসন এবং নগর বিষয়ক মন্ত্রী শ্রী মনোহর লাল অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

 

SC/AB/CS…


(रिलीज़ आईडी: 2131695) आगंतुक पटल : 10
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें: English , Urdu , Marathi , हिन्दी , Manipuri , Assamese , Punjabi , Gujarati , Odia , Tamil , Telugu , Kannada , Malayalam