প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘‘মন কি বাত’’ (১২২ তম পর্ব) অনুষ্ঠানের বাংলা অনুবাদ
Posted On:
25 MAY 2025 11:38AM by PIB Kolkata
আমার প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার। আজ সমগ্র দেশ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ, আক্রোশে পূর্ণ, সঙ্কল্পবদ্ধ। আজ প্রত্যেক ভারতীয়র এটাই সঙ্কল্প, সন্ত্রাসবাদকে আমাদের শেষ করতেই হবে। বন্ধুরা, অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন আমাদের সৈন্যবাহিনী যে পরাক্রম দেখিয়েছে, তাতে তাঁরা প্রত্যেক হিন্দুস্থানীর মাথা উঁচু করেছে। যে নিপুণতার সঙ্গে, যে নির্ভুলতার সঙ্গে আমাদের সৈন্যদল সীমান্ত পার করে সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলো ধ্বংস করেছে, সেটা অভূতপূর্ব। অপারেশন সিঁদুর দুনিয়া জুড়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইকে নতুন বিশ্বাস আর উৎসাহ যুগিয়েছে। বন্ধুরা, অপারেশন সিঁদুর কেবল সৈন্যবাহিনীর একটা অভিযান নয়, এটা আমাদের সঙ্কল্প, সাহস আর পাল্টাতে থাকা ভারতের ছবি আর এই ছবি গোটা দেশকে দেশভক্তির আবেগে পূর্ণ করেছে, ত্রিবর্ণ পতাকায় রঙের সঞ্চার করেছে। আপনারা দেখেছেন হয়ত, দেশের অনেক শহরে, গ্রামে, ছোট-ছোট নগরে, তেরঙ্গা-যাত্রা বের করা হয়েছে। হাতে ত্রিবর্ণ পতাকা নিয়ে হাজার-হাজার মানুষ দেশের সৈন্যদের বন্দনা করতে ও তাঁদের অভিনন্দন জানাতে বেরিয়ে পড়েছে। কত শহরে সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ার হওয়ার জন্য তরুণরা বিরাট সংখ্যায় একজোট হয়েছে, আর আমরা দেখেছি, চণ্ডীগড়ের ভিডিও তো বেশ ভাইরাল হয়েছে। সমাজমাধ্যমে কবিতা লেখা হচ্ছিল, সঙ্কল্প-গান গাওয়া হচ্ছিল। ছোট-ছোট বাচ্চারা ছবি আঁকছিল যার মধ্যে লুকিয়ে ছিল গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। এই তিন দিন আগে আমি বিকানীর গিয়েছিলাম। ওখানে বাচ্চারা এমনই একটা ছবি উপহার দেয় আমাকে। অপারেশন সিঁদুর দেশের মানুষজনকে এতটাই প্রভাবিত করেছে যে বহু পরিবার এটাকে নিজেদের জীবনের অঙ্গ বানিয়ে নিয়েছে। বিহারের কাটিহারে, উত্তরপ্রদেশের কুশীনগরে, আরও অনেক শহরে, ওই সময়ে জন্মানো বাচ্চাদের নাম রাখা হয় ‘সিদুঁর’।
বন্ধুরা, আমাদের জওয়ানরা সন্ত্রাসবাদের ঘাঁটি ধ্বংস করেছে, এটা তাঁদের অদম্য সাহসের পরিচয় আর এতে যুক্ত ছিল ভারতে নির্মিত অস্ত্র, উপকরণ আর প্রযুক্তির শক্তি। তাতে আত্মনির্ভর ভারতের সঙ্কল্পও মিশে ছিল। আমাদের ইঞ্জিনীয়ার, আমাদের প্রযুক্তিবিদ, সবার ঘাম-রক্ত মিশে ছিল এই বিজয়ে। এই অভিযানের পরে গোটা দেশে ‘ভোকাল ফর লোকাল’ ঘিরে এক নতুন উৎসাহ পরিলক্ষিত হচ্ছে। অনেক কথা ছুঁয়ে যাচ্ছে মনকে। এক জায়গায় মা-বাবা বলেছেন, ‘এবার থেকে আমরা নিজেদের সন্তানদের জন্য কেবল ভারতে বানানো খেলনাই কিনব। দেশভক্তি শুরু হবে শৈশব থেকে।’ কিছু পরিবার শপথ নিয়েছেন, ‘আমরা আমাদের আগামী ছুটিগুলো দেশের কোনও সুন্দর জায়গাতেই কাটাবো।’ বেশ কিছু তরুণ ‘ওয়েড ইন ইণ্ডিয়া’র শপথ নিয়েছেন, তাঁরা দেশের মধ্যেই বিবাহ করবেন। কেউ এমনও বলেছেন, ‘এবার থেকে যে উপহারই দেব, তা কোনও ভারতীয় শিল্পীর হাতে নির্মিত হবে।’
বন্ধুরা, এটাই তো হলো ভারতের আসল শক্তি - "জনমনের সংযোগ, জন অংশীদারিত্ব"। আমি আপনাদের সবার কাছে আবেদন জানাই, আসুন, এই উপলক্ষে আমরা একটা শপথ নিই। আমরা আমাদের জীবনে যেখানেই সম্ভব হবে, দেশে প্রস্তুত দ্রব্যকে অগ্রাধিকার দেব। এটা শুধু আর্থিক আত্মনির্ভরতার ব্যাপার নয়, এটি রাষ্ট্র নির্মাণে অংশগ্রহণের বিষয়। আমাদের একটা পদক্ষেপ ভারতের প্রগতিতে বিরাট বড় অবদান হতে পারে।
বন্ধুরা, বাসে চড়ে কোথাও যাতায়াত করা নেহাতই সামান্য বিষয়, কিন্তু আমি আপনাদের এমন একটা গ্রামের কথা বলতে চাই যেখানে প্রথমবারের জন্য বাস পৌঁছেছে। এই দিনটার জন্য সেখানকার মানুষ অনেক বছর ধরে অপেক্ষা করছিলেন। আর যখন গ্রামে প্রথমবার বাস পৌঁছলো তখন তারা ঢাকঢোল বাজিয়ে তার অভ্যর্থনা করেছেন। বাস দেখে মানুষের আনন্দের সীমা ছিল না। গ্রামে পাকা রাস্তা ছিল, মানুষের প্রয়োজন ছিল, কিন্তু এর আগে কখনো ওখানে বাস চলাচল করতে পারেনি। কেন? কারণ এই গ্রাম মাওবাদী হিংসার কবলে ছিল। এই জায়গাটি মহারাষ্ট্রের গড়চিরোলি জেলায়, আর এই গ্রামের নাম কাটেঝড়ি। কাটেঝড়িতে আগত এই পরিবর্তন আশেপাশের সমগ্র অঞ্চলে অনুভূত হচ্ছে। এখন সেখানকার পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হচ্ছে। মাওবাদের বিরুদ্ধে সামগ্রিক লড়াইয়ে এখন এই ধরনের অঞ্চল পর্যন্ত প্রাথমিক সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে যাচ্ছে। গ্রামবাসীদের মতে বাস ব্যাবস্থা শুরু হওয়ার কারণে ওদের জীবনযাত্রা আরো সহজ হয়ে উঠবে।
বন্ধুরা, মন কি বাতে আমরা ছত্তিশগড়ে আয়োজিত বস্তার অলিম্পিক ও মাওবাদ প্রভাবিত অঞ্চলে সায়েন্স ল্যাব প্রসঙ্গে আলোচনা করেছি। এখানকার ছোটদের মধ্যে সায়েন্সের প্যাশন রয়েছে। তারা স্পোর্টসেও অসাধারণ সাফল্যের নজির রাখছে। এ ধরনের প্রয়াসগুলি থেকে বোঝা যায় যে এই অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষেরা কতটা সাহসী। এই মানুষেরা সমস্ত প্রতিবন্ধকতার মাঝেও নিজেদের জীবনকে উন্নততর করার রাস্তা বেছে নিয়েছেন। আমি এটা জেনেও খুবই আনন্দিত হয়েছি যে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় দান্তেওয়াড়া জেলার ফলাফল অত্যন্ত চমকপ্রদ হয়েছে। প্রায় ৯৫ পার্সেন্ট রেজাল্ট এর সঙ্গে এই জেলা দশম শ্রেণীর ফলাফলে শীর্ষে রয়েছে। পাশাপাশি দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় এই জেলা ছত্তিশগড়ে ষষ্ঠ স্থান দখল করেছে। একবার ভাবুন! যে দান্তেওয়াড়ায় একসময় মাওবাদ চরমভাবে বিদ্যমান ছিল সেখানে আজ শিক্ষার নিশান উড়ছে। এমন পরিবর্তন আমাদের সবাইকে গর্বে ভরিয়ে তোলে।
আমার প্রিয় দেশবাসী, এবারে আমি সিংহদের নিয়ে একটা বড় সুসংবাদ আপনাদের দিতে চাই। কেবল গত পাঁচ বছরে গুজরাটের গিরে সিংহদের সংখ্যা ৬৭৪ থেকে বেড়ে ৮৯১ হয়েছে।
৬৭৪ থেকে ৮৯১ । “Lion census” এর পরে প্রকাশ্যে আসা এই সিংহের সংখ্যা খুবই উৎসাহব্যঞ্জক। বন্ধুরা, আপনাদের মধ্যে অনেকেই এটা জানতে ইচ্ছুক যে, আদতে এই পশুদের গণনা হয় কিভাবে? এই অনুশীলন খুবই চ্যালেঞ্জিং। আপনারা এটা জেনে অবাক হবেন যে lion census ১১টি জেলায় ৩৫ হাজার বর্গকিলোমটার জুড়ে করা হয়েছিল। census এর জন্য বিভিন্ন টিম রাউন্ড the clock অর্থাৎ ২৪ঘন্টা এই জায়গাগুলির নজরদারি করেছিল। এই পুরো অভিযানে ভেরিফিকেশন এবং ক্রস ভেরিফিকেশন দুটোই করা হয়েছিল। এরফলে নিখুঁত ভাবে সিংহদের গণনা করার কাজ সম্পূর্ণ করা গেছে।
বন্ধুরা, এশিয়াটিক সিংহের সংখ্যায় বৃদ্ধি এটাই প্রমাণ করে যে, যখন সমাজে ownership এর ভাবনা মজবুত হয়, তখন কিরকম চমৎকার ফলাফল পাওয়া যায়। কিছু দশক আগেও গির-এ অবস্থা চ্যালেঞ্জিং ছিল। কিন্তু ওখানকার মানুষেরা মিলে পরিবর্তন আনার জন্য সচেষ্ট হন। ওখানে লেটেস্ট টেকনোলজির সঙ্গে গ্লোবাল বেস্ট প্র্যাকটিসেস গুলিকেও আপন করে নেওয়া হয়। এই সময়েই গুজরাট প্রথম এমন একটি রাজ্যে পরিণত হয়, যেখানে বিপুল সংখ্যায় মহিলা ফরেস্ট অফিসার নিয়োগ করা হয়। আজকে আমরা যে ফলাফল দেখছি, তাতে এদের সকলের অবদান আছে। wild life protection এর জন্য আমাদের এভাবেই সর্বদা সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।
আমার প্রিয় দেশবাসী, দু-তিন দিন আগেই, আমি প্রথম rising নর্থ ইস্ট সামিটে গেছিলাম। এর আগে আমরা নর্থ ইস্ট এর শক্তিকে উৎসর্গ করে 'অষ্টলক্ষী মহোৎসব' পালন করেছিলাম। নর্থ ইস্ট-এর ব্যাপারই আলাদা, ওখানকার সামর্থ্য, ওখানকার প্রতিভা, সত্যিই অদ্ভুত। আমি ক্রাফটেড ফাইবার নিয়ে একটি আকর্ষণীয় কাহিনী জেনেছি। ক্র্যাফটেড ফাইবারস শুধু একটি ব্র্যান্ড নয়, সিকিম এর পরম্পরা, সূচি-শিল্পকলা আর বর্তমান ফ্যাশনের ভাবনা, এই তিনের মেলবন্ধন। এর সূচনা করেছিলেন Dr. Chewang Norbu Bhutia। পেশায় উনি veterinary doctor, আর মনে প্রাণে সিকিমের সংস্কৃতির প্রকৃত ব্র্যান্ড ambassador। উনি ভাবলেন সূচিশিল্পকে এক নতুন মাত্রা দেওয়া যাক।আর এই ভাবনা থেকেই জন্ম নেয় crafted fibres। উনি ঐতিহ্যগত ফ্যাশনকে মডার্ন ফ্যাশনের সঙ্গে জুড়ে, তৈরি করেন একটি সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ। এখন এখানে শুধু কাপড় বোনা হয়না, জী
বন রচনা করা হয়ে থাকে। ওঁরা স্থানীয় মানুষদের স্কিল ট্রেনিং দিয়ে, ওদের আত্মনির্ভর করে তোলেন। গ্রামীণ তাঁতশিল্পী, পশুপালক এবং সেলফ হেল্প গ্রুপ এদের একত্রিত করে dr bhutia রোজগারের নতুন পথ তৈরি করেছেন।
আজ স্থানীয় মহিলা এবং কারিগররা তাঁদের দক্ষতার দৌলতে ভালো আয় করছেন। Crafted fibre- এর শাল, স্টোল, গ্লাভস, মোজা সবই লোকাল হ্যান্ডলুম দিয়ে তৈরি। এগুলিতে ব্যবহৃত উল, সিকিমের খরগোশ এবং ভেড়া থেকে আসে। রঙগুলিও সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক। কোনও রাসায়নিক নেই, কেবল প্রকৃতির রঙ। ডঃ ভুটিয়া সিকিমের ঐতিহ্যবাহী বয়নশিল্প ও সংস্কৃতিকে এক নতুন পরিচয় দিয়েছেন। ডঃ ভুটিয়ার কাজ আমাদের শেখায় যে যখন ঐতিহ্যকে আবেগের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া হয়, তখন তা বিশ্বকে কতটা আকৃষ্ট করতে পারে।
আমার প্রিয় দেশবাসী, আজ আমি আপনাদের এমন একজন অসাধারণ ব্যক্তির কথা বলতে চাই যিনি একজন শিল্পী এবং একই সঙ্গে একজন জীবন্ত অনুপ্রেরণা। তাঁর নাম জীবন জোশী, বয়স ৬৫ বছর। এবার কল্পনা করুন, যার নামের মধ্যেই জীবন আছে, সেই ব্যক্তি কতটা প্রাণবন্ত হবেন। জীবনজী উত্তরাখণ্ডের হলদওয়ানিতে থাকেন। ছোটবেলায় পোলিও তাঁর পায়ের শক্তি কেড়ে নিয়েছিল, কিন্তু তাঁর সাহসকে কেড়ে নিতে পারেনি। তাঁর হাঁটার গতি হয়তো কিছুটা মন্থর হয়েছে, কিন্তু তাঁর মন কল্পনায় ভর করে উড়ান দিয়েছে। এই উড়ানে, জীবনজী বাগেট নামে একটি অনন্য শিল্পের জন্ম দিয়েছেন, যেখানে তিনি পাইন গাছের শুকনো ছাল থেকে সুন্দর শিল্পকর্ম তৈরি করেন। যে ছালকে মানুষ সাধারণত অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করে, জীবনজীর হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই তা সম্পদে পরিণত হয়। তাঁর প্রতিটি সৃষ্টিতে উত্তরাখণ্ডের মাটির সুবাস আছে। কখনও পাহাড়ের লোকজ বাদ্যযন্ত্র, আবার কখনও মনে হয় যেন পাহাড়ের আত্মা সেই কাঠের মধ্যে মিশে রয়েছে। জীবনজীর কাজ কেবল একটি শিল্পকর্ম নয়, একটি সাধনাও। তিনি তাঁর পুরো জীবন এই শিল্পের জন্য উৎসর্গ করেছেন। জীবন যোশীর মতো শিল্পীরা আমাদের মনে করিয়ে দেন যে পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, যদি সঙ্কল্প দৃঢ় হয় তবে কিছুই অসম্ভব নয়। তাঁর নাম জীবন এবং তিনি সত্যিই দেখিয়েছেন জীবনযাপনের প্রকৃত অর্থ কী।
আমার প্রিয় দেশবাসী, আজ অনেক মহিলা আছেন যাঁরা কৃষিকাজের পাশাপাশি আকাশের উচ্চতা স্পর্শ করার মতো কাজ করছেন। হ্যাঁ, আপনার ঠিকই শুনেছেন, গ্রামের মহিলারা এখন ড্রোন দিদি হয়ে ড্রোন উড়িয়ে কৃষিতে এক নতুন বিপ্লব নিয়ে আসছেন ।
বন্ধুরা, তেলঙ্গানার সাঙ্গারেড্ডি জেলায়, যে মহিলারা কিছুদিন আগে পর্যন্ত অন্যের উপর নির্ভরশীল ছিলেন, আজ সেই মহিলারাই ড্রোনের সাহায্যে ৫০ একর জমিতে ওষুধ স্প্রে করার কাজ সম্পন্ন করছেন। সকালে ৩ ঘন্টা, সন্ধ্যায় ২ ঘন্টা, এবং কাজ শেষ। সূর্যের প্রখর তাপ নেই, বিষাক্ত রাসায়নিকের কোনও আশঙ্কা নেই। বন্ধুরা, গ্রামবাসীরাও এই পরিবর্তনকে আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেছে। এখন এই মহিলারা ড্রোন অপারেটর নন বরং স্কাই ওয়ারিয়র হিসেবে পরিচিত। এই মহিলারা আমাদের বুঝিয়েছেন যে পরিবর্তন তখনই আসে, যখন প্রযুক্তি এবং সংকল্পের এমন মিশেল ঘটে ।
আমার প্রিয় দেশবাসী,
'আন্তর্জাতিক যোগ দিবস'- উদযাপিত হতে এখন আর এক মাসেরও কম সময় বাকি। এই সুযোগ আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, আপনারা যদি এখনও যোগাভ্যাস থেকে দূরে থেকে থাকেন, তবে এখনই যোগের সঙ্গে যুক্ত হোন। যোগ আপনার জীবনযাপন-এর ধারাটাই পাল্টে দেবে।
বন্ধুরা, ২১শে জুন ২০১৫ সালে 'যোগ দিবস' আরম্ভ হওয়ার পর থেকেই এর প্রতি মানুষের আকর্ষণ ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। এবছরও 'যোগ দিবস' নিয়ে সারা বিশ্বের মানুষের মধ্যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের প্রস্তুতির কর্মসূচী ভাগ করে নিচ্ছে। গত বছরের ছবিগুলো আমাদের ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করেছে।
আমরা দেখেছি, বিভিন্ন দেশে মানুষ কোনো বছর ‘যোগ chain’ এবং ‘যোগ ring’ তৈরি করেছিলেন। এমন অনেক ছবি এসেছে যেখানে একসঙ্গে চার প্রজন্ম মিলে যোগাভ্যাস করছে। অনেক মানুষ তাদের শহরের iconic স্থানগুলিকে যোগাভ্যাসের জন্য বেছে নিয়েছেন। আপনারাও এবারের যোগ দিবস কিছু অভিনব উপায়ে উদযাপন করার কথা ভাবতে পারেন।
বন্ধুরা, অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার ‘YogAndhra’ অভিযান শুরু করেছে। এর উদ্দেশ্য হলো সমগ্র রাজ্যে যোগের সংস্কৃতির প্রসার ঘটানো। এই অভিযানের আওতায় ১০ লাখ যোগ অনুশীলনকারীর একটি পুল গঠন করা হচ্ছে।
এই বছর আমি vishakapatnam -এ ‘যোগ দিবস’ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবো। আমার এটা জেনে ভালো লাগছে যে এবারও আমাদের তরুণ যুব বন্ধুরা দেশের ঐতিহ্যের সঙ্গে যুক্ত iconic স্থানগুলোতে যোগাভ্যাস করবে। অনেক তরুণ রেকর্ড গড়ার ও ‘যোগ chain’-এর অংশ হওয়ার সংকল্প নিয়েছে।
আমাদের corporate সংস্থাগুলিও এতে পিছিয়ে নেই। কিছু প্রতিষ্ঠান অফিসের মধ্যেই যোগ অনুশীলনের জন্য আলাদা স্থান নির্ধারণ করেছে। কিছু start - up তাদের অফিসে ‘যোগ আওয়ার্স’ অর্থাৎ যোগাভ্যাস করার সময় নির্ধারণ করেছে। এমনও অনেক মানুষ রয়েছেন যারা গ্রামাঞ্চলে গিয়ে যোগ শেখানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন স্বাস্থ্য ও ফিটনেস নিয়ে মানুষের এই সচেতনতা আমাকে অত্যন্ত আনন্দ দেয়।
বন্ধুরা, 'যোগ দিবস'-এর পাশাপাশি 'আয়ুর্বেদ' ক্ষেত্রেও এমন কিছু ঘটেছে, যা জানলে আপনাদের খুব আনন্দ হবে। ঠিক গতকাল, অর্থাৎ ২৪ মে, WHO-এর Director General এবং আমার বন্ধু তুলসী ভাইয়ের উপস্থিতিতে একটি MoU স্বাক্ষরিত হয়েছে।
এই চুক্তি অনুযায়ী International Classification of Health Interventions-এর আওতায় একটি dedicated traditional medicine module নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে।
এই উদ্যোগের ফলে, আয়ুর্বেদকে আরও বৈজ্ঞানিক উপায়ে বিশ্বের বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।
বন্ধুরা, আপনারা স্কুলে black board তো নিশ্চয়ই দেখেছেন, কিন্তু এখন কিছু কিছু স্কুলে 'sugar board' ও লাগানো হচ্ছে - Black Board নয়, Sugar Board! CBSE-এর এই অনন্য উদ্যোগের লক্ষ্য হল শিশুদের তাদের Sugar intake সম্পর্কে সচেতন করা। কতটা চিনি খাওয়া উচিত এবং কতটা চিনি খাওয়া হচ্ছে- তা জেনে শিশুরা নিজেরাই healthy বিকল্পগুলি বেছে নিতে শুরু করেছে। এটি একটি অনন্য প্রচেষ্টা এবং এর প্রভাবও খুবই Positive হবে। শৈশব থেকেই স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার অভ্যাস গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এটি খুবই প্রয়োজনীয় প্রমাণিত হতে পারে। অনেক অভিভাবক এই প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন এবং আমি বিশ্বাস করি - অফিস, ক্যান্টিন এবং প্রতিষ্ঠানগুলিতেও এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া উচিত, সর্বোপরি, যদি স্বাস্থ্য ভালো থাকে তবে সব ভালো হবে। Fit India হল Strong India র ভিত্তি।
আমার প্রিয় দেশবাসী, স্বচ্ছ ভারতের কথা হবে আর 'মন কি বাতের' শ্রোতারা পিছিয়ে থাকবে তা কি করে হয়। আমার পূর্ণ বিশ্বাস যে আপনারা সকলেই নিজ নিজ স্তরে এই অভিযানটি কে শক্তিশালী করে তুলছেন। কিন্তু আজ আমি আপনাদের এমনই একটি ঘটনার কথা বলতে চাই যেখানে স্বচ্ছতার সংকল্প পাহাড়ের মত চ্যালেঞ্জও জয় করেছে। আপনি ভাবুন, একজন ব্যক্তি একটি বরফে মোড়া পাহাড়ে উঠছেন, যেখানে শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে, প্রতিটি পদক্ষেপে জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে কিন্ত তবুও সেই ব্যক্তি জায়গাটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে বদ্ধপরিকর। এই রকমই কিছু অসাধ্য সাধন করেছেন আমাদের ITBP দলের সদস্যরা। এই দলটি, মাকালু শৃঙ্গের মত বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন পর্বত শৃঙ্গ আরোহণ করতে গিয়েছিল। কিন্তু বন্ধুরা, তাঁরা কেবল শৃঙ্গেই আরোহণ করেনি, তাঁদের লক্ষ্যে আরও একটি মিশন যোগ করেন - তা হল ' স্বচ্ছতা'। তাঁরা চূড়ার কাছে যে আবর্জনা পড়েছিল, সেগুলি পরিষ্কার করার উদ্যোগ নেন। একবার কল্পনা করুন, তাঁদের দলের সদস্যরা ১৫০ কিলোগ্রামেরও বেশি non-biodegradable waste নামিয়ে এনেছেন। এত উচ্চতায় পরিষ্কার করা কোন সহজ কাজ নয়। কিন্তু এই কাজটি এটাই প্রমাণ করে যে, যেখানে দৃঢ় সংকল্প থাকে, সেখানে লক্ষ্যের পথটি নিজে থেকেই তৈরি হয়।
বন্ধুরা, এর সঙ্গে সম্পর্কিত আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল - Paper waste এবং recycling। আমাদের বাড়ি এবং অফিসে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে paper waste তৈরি হয়। হয়তো, আমরা এটাকে স্বাভাবিক বলে মনে করি, কিন্তু আপনি জেনে অবাক হবেন যে দেশের landfill waste এর প্রায় এক-চতুর্থাংশ কাগজ দিয়ে তৈরি। আজ সময় এসেছে যে, প্রতিটি মানুষের এই বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করার । আমি জেনে খুশি যে ভারতের অনেক Start up এই sector এ দুর্দান্ত কাজ করছে। বিশাখাপত্তনম, গুরুগ্রামের মতো অনেক শহরে, বহু Start up, paper recycling এ innovative পদ্ধতি কাজে লাগাচ্ছে। কেউ recycling paper থেকে packaging Board তৈরি করছেন, কেউ Digital পদ্ধতির মাধ্যমে news paper recycling টা সহজ করে তুলছে। জালনার মতো শহরে কিছু start ups 100% recycled material দিয়ে packaging roll এবং paper core তৈরি করছে।
আপনারা এটা জেনে উৎসাহিত হবেন যে এক টন কাগজের recycling-এর ফলে সতেরোটা গাছ কাটার হাত থেকে বেঁচে যায়,আর কয়েক হাজার লিটার জলের অপচয় কমে। এবার ভাবুন, যখন পর্বতারোহীরা এত কঠিন পরিস্থিতিতে আবর্জনা ফিরিয়ে আনতে পারে তখন আমাদেরও আমাদের ঘর ও দপ্তরে কাগজ আলাদা করে recycling এ অংশগ্রহণ করা উচিত। যখন দেশের প্রত্যেক নাগরিক এটা ভাববে দেশের জন্য আমি আরো ভালো কি করতে পারি তখনই সকলে মিলে একটা বড় পরিবর্তন আমরা আনতে পারব।
বন্ধুরা বিগত দিনগুলোয় খেল ইন্ডিয়া গেমস খুব জনপ্রিয় হয়েছে। খেলো ইন্ডিয়ার সময় বিহারের পাঁচটি শহর এর আয়োজনে ছিল। সেখানে আলাদা আলাদা category-র ম্যাচ হয়ে ছিলো। সারা ভারত থেকে সেখানে পৌঁছানো athletes এর সংখ্যা ছিল ৫ হাজারেরও বেশি। এই athletes-রা বিহারের sporting spirit এর, বিহারের মানুষের আত্মীয়তার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
বন্ধুরা বিহারের ভূমি অত্যন্ত বিশেষ। এই আয়োজনে সেখানে অনেক অভিনব বিষয় হয়েছে। khelo India youth games-এর এটা প্রথম আয়োজন ছিল যেটা Olympic Channel এর মধ্যে দিয়ে সারা দুনিয়ার কাছে পৌঁছয়। সারা বিশ্বের মানুষ আমাদের তরুণ খেলোয়াড়দের প্রতিভা দেখেছে এবং তাদের প্রশংসা করেছে। আমি সকল পদকজয়ীদের বিশেষ করে top তিন winners মহারাষ্ট্র হরিয়ানা এবং রাজস্থানকে অভিনন্দন জানাই।
বন্ধুরা এবার খেলো ইন্ডিয়াতে মোট ২৬ টি রেকর্ড তৈরি হয়েছে। Weight Lifting প্রতিযোগিতায় মহারাষ্ট্রের অস্মিতা ধোনে, ওড়িশার হর্ষবর্ধন শাহু এবং উত্তরপ্রদেশের তুষার চৌধুরীর অসাধারণ প্রদর্শন সকলের মন কেড়ে নিয়েছিলো। সেখানে মহারাষ্ট্রের সাইরাজ পরদেশী তো তিনটি record তৈরি করে ফেলেছেন। Athletics এ উত্তরপ্রদেশের কাদির খান, শেখ জিশান আর রাজস্থানের হংসরাজ খুব সুন্দর পারফর্ম করেছেন।
এবার বিহারও 36টা পদক জিতেছে। বন্ধুরা, যে খেলে, সেই বিকশিত হয়। Young sporting talent-দের জন্য tournament ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এই ধরনের খেলার আয়োজন ভারতের খেলাধুলোর ভবিষ্যৎকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।
আমার প্রিয় দেশবাসী, ২০শে মে “World Bee Day”, উদযাপিত হল, মানে এমন একটি দিন যা আমাদের মনে করিয়ে দেয় মধু শুধু মিষ্টতা নয়, বরং সুস্বাস্থ্য, আর্থিক স্বনির্ভরতা, ও আত্মনির্ভরতার দৃষ্টান্ত। বিগত ১১ বছরে, মৌমাছি পালনে ভারতে একটি sweet revolution হয়েছে। আজ থেকে ১০-১১ বছর আগে ভারতে বছরে প্রায় ৭০-৭৫ হাজার মেট্রিক টন মধু উৎপাদিত হত। আজ সেটা বেড়ে বছরে প্রায় সওয়া লাখ মেট্রিক টনের কাছাকাছি পৌঁছেছে। অর্থাৎ মধু উৎপাদন প্রায় 60% বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা honey production ও export-এ পৃথিবীর অগ্রণী দেশগুলির মধ্যে চলে এসেছি। বন্ধুরা, এই positive impact- এর ক্ষেত্রে ‘রাষ্ট্রীয় মধুমক্ষী পালন’ এবং ‘মধু মিশন’-এর বড় ভূমিকা রয়েছে। এই প্রকল্পের মধ্যে মৌমাছি পালনের সঙ্গে যুক্ত মৌলিদের training দেওয়া হয়েছে, সামগ্রী দেওয়া হয়েছে এবং ওঁদের বাজার অব্দি সোজা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বন্ধুরা, এই বদল কেবল সংখ্যায় প্রকাশ পায় না, এই বদল গ্রামের মাটিতেও স্পষ্ট দেখা যায়। ছত্তিশগড়ের কোরিয়া জেলার একটি উদাহরণ রয়েছে, এখানকার জনজাতি মৌলীরা ‘সোন হানি’ বলে একটি বিশুদ্ধ, জৈব মধুর brand সৃষ্টি করেছেন। আজ এই মধু GeM সমেত আরও বহু Online Portal-এ বিক্রি হচ্ছে, অর্থাৎ গ্রামের পরিশ্রম এখন global হতে শুরু করেছে। ঠিক এ ভাবেই উত্তর প্রদেশ, গুজরাট, জম্মু-কাশ্মীর, পশ্চিমবঙ্গ ও অরুণাচল প্রদেশের হাজারো মহিলা আর যুবা এখন মধু ব্যবসায় উৎসাহী হয়ে উঠেছেন। বন্ধুরা, এখন শুধু মধুর পরিমাণ নয়, তার বিশুদ্ধতা নিয়েও কাজ হচ্ছে। কিছু start-up এখন AI আর Digital Technology ব্যবহার করে মধুর গুণমানের প্রমাণ দিচ্ছে। আপনারা পরের বার যখন মধু কিনবেন তখন এই মধু ব্যাবসায়ীদের তৈরী মধু অবশ্যই চেখে দেখবেন। চেষ্টা করবেন কোনও স্থানীয় মৌলি, কোনও মহিলা ব্যাবসায়ীর থেকেও মধু কেনার। কারণ ওই প্রতিটি ফোঁটায় কেবল স্বাদ নয়, ভারতের পরিশ্রম আর আকাঙ্ক্ষা মিশে থাকে। মধুর এই মিষ্টত্বে আসলে আত্মনির্ভর ভারতের স্বাদ মিশে থাকে।
বন্ধুরা, যখন আমরা মধু উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত দেশগুলির প্রচেষ্টা সম্পর্কে কথা বলছি, তখন আমি আপনাদের আরও এক প্রচেষ্টা সম্পর্কে জানাতে চাই। তা আমাদের মনে করায় যে মৌমাছির সুরক্ষা শুধু পরিবেশেরই নয়, আমাদের কৃষি ও আগামী প্রজন্মেরও দায়িত্ব। এই উদাহরণ পুনে শহরের, যেখানে এক হাউসিং সোসাইটিতে মৌমাছির চাক কেটে ফেলা হয়- হয়তো সুরক্ষা বা ভয়ের কারণে। কিন্তু এই ঘটনা কোন একজনকে কিছু ভাবতে বাধ্য করেছিল। অমিত নামের এক যুবক ঠিক করলেন যে মৌমাছিদের সরানো নয় তাদের বাঁচাতে হবে। তিনি নিজে শিখলেন, মৌমাছিদের সম্পর্কে খোঁজখবর নিলেন এবং অন্যান্যদেরও এই কাজে যুক্ত করতে শুরু করলেন। ধীরে ধীরে তিনি একটি টিম তৈরি করলেন যার নাম দিলেন “বি ফ্রেন্ডস” অর্থাৎ মৌমাছি বন্ধু। এখন এই “বি ফ্রেন্ডস” বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করে মৌমাছির চাক এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাবার কাজ করছে, যাতে মানুষের বিপদও না হয় আর মৌমাছিরাও বেঁচে থাকে। অমিতজির এই প্রচেষ্টার ফলাফলও খুব চমকপ্রদ হয়েছে। মৌমাছির বসতি জীবিত থাকছে। মধু উৎপাদন বাড়ছে ও তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ, মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই প্রচেষ্টা আমাদের শিক্ষা দেয় যে, যখন আমরা প্রকৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করব, তখন তার লাভ সবাই পাব।
আমার প্রিয় দেশবাসী, 'মন কি বাত'-এর এই পর্ব আজ এই পর্যন্ত। আপনারা এভাবেই দেশের মানুষের অভিজ্ঞতা, সমাজের জন্য তাদের প্রচেষ্টা সম্পর্কে আমাকে জানাতে থাকুন। 'মন কি বাত'-এর পরের পর্বে আমাদের আবার দেখা হবে, অন্যান্য নতুন বিষয় ও দেশবাসীর নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনা হবে। আমি আপনাদের বার্তার অপেক্ষায় রইলাম।
আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, নমস্কার।
(Release ID: 2131079)
Read this release in:
Odia
,
Assamese
,
Nepali
,
Telugu
,
Manipuri
,
English
,
Urdu
,
Marathi
,
Hindi
,
Punjabi
,
Gujarati
,
Tamil
,
Kannada
,
Malayalam