রাষ্ট্রপতিরসচিবালয়
দেরাদুনে অবস্থিত - রাষ্ট্রপতি নিকেতন - ২৪ জুন থেকে জনসাধারণের দর্শনের জন্য উন্মুক্ত হবে
Posted On:
24 MAY 2025 5:03PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২৪ মে, ২০২৫
উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে অবস্থিত রাষ্ট্রপতি নিকেতন, ২৪ জুন, ২০২৫ থেকে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হবে। ১৮৬ বছর বয়সী ২১ একর জমির এই সম্পত্তির উদ্বোধন রাষ্ট্রপতি ভবনের ঐতিহ্য এবং রাষ্ট্রপতির সঙ্গে নাগরিকদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির জন্য নেওয়া উদ্যোগের অংশ। এই উদ্যোগের অধীনে, ২০২৩ সাল থেকে, ‘রাষ্ট্রপতি ভবন’, ‘রাষ্ট্রপতি নিলয়ম, হায়দ্রাবাদ’ এবং ‘রাষ্ট্রপতি নিবাস, মাশোব্রা’কে সপ্তাহে ছয় দিন জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে, রাষ্ট্রপতি ভবনের প্রাঙ্গণে বর্ধিত আসন ধারণক্ষমতা সহ একটি নতুন বিন্যাসে ‘চেঞ্জ অফ গার্ড’ অনুষ্ঠান শুরু হয়।
জনসাধারণের জন্য এস্টেট খোলার প্রস্তুতি পর্যালোচনা করতে ভারতের রাষ্ট্রপতি, শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মু ২০ জুন, ২০২৫ তারিখে ‘রাষ্ট্রপতি নিকেতন’ পরিদর্শন করবেন। এই উপলক্ষে তিনি ১৩২ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত রাষ্ট্রপতি উদ্যানের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
রাষ্ট্রপতি নিকেতন, যা আগে ‘রাষ্ট্রপতি আশিয়ানা’ নামে পরিচিত ছিল, রাষ্ট্রপতির দেহরক্ষীরা পিবিজি বা রাষ্ট্রপতির দেহরক্ষী দলের ঘোড়াদের প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার করত। এই ঐতিহ্যবাহী ভবনটি এখন একটি শিল্প সংগ্রহশালায় রূপান্তরিত এবং এর সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের নানা ঝলক তুলে ধরে। দর্শনার্থীরা রাষ্ট্রপতির দেহরক্ষীদের আস্তাবল এবং ঘোড়া দেখার সুযোগ পান। লিলি পুকুর, রকারি পুকুর, রোজ গার্ডেন এবং পারগোলাও দর্শনার্থীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।
রাষ্ট্রপতি নিকেতন ছাড়াও, পর্যটকরা রাজপুর রোডে ১৯ একর ঘন অরণ্যপথ, রাষ্ট্রপতি তপোবনও দেখতে যেতে পারেন। তপোবন প্রকৃতির এক নির্মল অনুভূতি প্রদান করে, যার মধ্যে রয়েছে স্থানীয় বৃক্ষরাজিতে সমৃদ্ধ ছায়াবৃত, আঁকাবাঁকা পথ, কাঠের সেতু, পাখি দেখার জন্য উঁচু মাচান এবং গভীর মনোনিবেশ ও ধ্যানের উপযোগী শান্ত স্থান। সুচিহ্নিত নির্দেশিত পথ, নানা মৌসুমী উদ্ভিদ এবং পরিবেশ-ব্যাখ্যামূলক বিভিন্ন উপাদানের মাধ্যমে দর্শনার্থীদের প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম করার লক্ষ্যে এটি তৈরি করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি উদ্যান, যা আগামী বছর জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হওয়ার কথা, এটিকে একটি উন্নত পরিবেশবান্ধব এবং বিনোদনমূলক স্থান হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে - যেখানে থিম্যাটিক বাগান, প্রজাপতি বাগান, একটি মনোরম হ্রদ, পাখি পালনের খামার এবং শিশুদের জন্য নিবেদিত একটি খেলার জায়গা থাকবে। পার্ক পরিকল্পনায় একটি স্পোর্টস জোন, হাঁটার ট্র্যাক, জগিং এবং সাইক্লিং ট্র্যাক, জল সংরক্ষণ ব্যবস্থা এবং ‘আউটডোর লার্নিং’ এর ব্যবস্থাও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। উদ্দেশ্য হল, একটি জীবন্ত শ্রেণীকক্ষ তৈরি করা যা পরিবেশগত সচেতনতা, সক্রিয় জীবনধারা এবং প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পরিবার-বান্ধব সম্পৃক্ততাকে উৎসাহিত করে।
SC/SB/NS….
(Release ID: 2130998)