শিল্পওবাণিজ্যমন্ত্রক
জেম – এর অষ্টম স্থাপনা দিবস উদযাপন
Posted On:
19 MAY 2025 5:00PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ১৯ মে, ২০২৫
ভারতের জাতীয় সরকারী ক্রয় পোর্টাল, সরকারি ই-মার্কেট প্লেস (জেম) তাদের অষ্টম স্থাপনা দিবস উদযাপনের মধ্যে দিয়ে ডিজিটাল পরিচালন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক বৃদ্ধির রূপান্তরমূলক প্রভাবের ক্ষেত্রে তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করল।
সাংবাদিক সম্মেলনে জেম – এর সিইও শ্রী মিহির কুমার জানান, সরলীকরণের ক্ষেত্রে উদ্ভাবন এবং রূপান্তরের ক্ষমতায়নে তা সুদূরপ্রসারী ভূমিকা পালন করছে। অন্তর্ভুক্তিকরণের সঙ্গে যখন উদ্ভাবন যুক্ত হয়, তখন তা প্রত্যেক ভারতীয়র জন্য সম্ভাবনার সুযোগ করে দেয়। এমএসই এবং স্টার্টআপ থেকে শুরু করে তন্তুবায় এবং মহিলা পরিচালিত উদ্যোগ সমস্ত ক্ষেত্রই আমাদের সঙ্গে যুক্ত। ফলে, কেবলমাত্র সংগ্রহ করাই নয়, সকলের জন্য আরও বেশি সুগম, সক্ষম ও ন্যায়সঙ্গত বাজার গড়ে তোলাই এর উদ্দেশ্য।
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে জেম প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীর সংখ্যা তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ১.৬৪ লক্ষেরও বেশি প্রাথমিক ক্রেতা থেকে শুরু করে সক্রিয় বিক্রেতার সংখ্যা ৪ লক্ষ ২০ হাজারে পৌঁছেছে। এই প্ল্যাটফর্ম মারফৎ ১০ হাজারেরও বেশি পণ্য এবং ৩৩০টিরও বেশি পরিষেবা পাওয়া যায়। বিশ্ব ব্যাঙ্ক এবং অর্থনৈতিক সমীক্ষার নিরপেক্ষ মূল্যায়নে জেম – এর গুরুত্বকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। দেখা গেছে যে, সরকারি ক্রয়ে গড়ে ১০ শতাংশ খরচ এতে সাশ্রয় করা যাচ্ছে।
শ্রী কুমার জানান, ১০ লক্ষ অণু ও ক্ষুদ্র উদ্যোগ বা এমএসই, ১.৩ লক্ষ কারিগর ও তন্তুবায়, ১.৮৪ লক্ষ মহিলা উদ্যোগপতি এবং ৩১ হাজার স্টার্টআপ বর্তমানে জেম পরিমণ্ডলের সঙ্গে যুক্ত।
জেম মারফৎ সামগ্রিক লেনদেনের ক্ষেত্রে প্রায় ৯৭ শতাংশরই কোনও খরচ লাগে না। এছাড়াও, খরচের ক্ষেত্রেও ৩৩ শতাংশ থেকে ৯৬ শতাংশ সাশ্রয় হয়। ১০ কোটি টাকারও বেশি অর্ডারের ক্ষেত্রে আগে যেখানে খরচ হ’ত ৭২.৫ লক্ষ টাকা, এখন তা ৩ লক্ষ টাকায় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বিক্রেতাদের যাঁদের বার্ষিক আয় ১ কোটি টাকার কম, তাঁদের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ ৬০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। নির্বাচিত কিছু গোষ্ঠীর জন্য তাতে সম্পূর্ণভাবে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় অগ্রাধিকার ক্ষেত্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে জেম – এর ভূমিকা সুবিদিত। আকাশ মিসাইল ব্যবস্থাপনার জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা মূল্যের সামগ্রি ও ৫ হাজার ৮৫ কোটি টাকার টিকা সংগ্রহ জেম – এর মাধ্যমে হয়েছে। এছাড়াও, এই মঞ্চ জটিল পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রেও অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। যেমন – এইমস্ - এর জন্য ড্রোন মারফৎ পরিষেবা প্রদান উল্লেখযোগ্য।
৩৬টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জেম – এর ব্যবহারকে বাধ্যতামূলক করেছে। আসাম, কেরল, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ ও দিল্লিতে সফল আইএফএমএস ব্যবস্থা গৃহীত হওয়ায় গুজরাট, কর্ণাটক ও উত্তর প্রদেশের জন্য আগামী দিনে এর প্রসারের ক্ষেত্র তৈরি করে দিয়েছে।
জেম – এর সফল যাত্রা পথে সকল অংশীদারদের অভিনন্দন জানিয়ে শ্রী মিহির কুমার বলেন, জেম আগামী দিনে সাফল্যের নতুন শিখর স্পর্শ করবে এবং ভারতকে প্রকৃত আত্মনির্ভর করে তুলতে সদর্থক অবদান বজায় রাখবে।
SC/AB/SB
(Release ID: 2129822)