প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

যুগ্ম উদ্ভাবনা কনক্লেভে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

Posted On: 29 APR 2025 12:44PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫

 

নতুন দিল্লির ভারত মণ্ডপমে আজ যুগ্ম উদ্ভাবনা কনক্লেভে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। বিকশিত ভারতের লক্ষ্যে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ সংক্রান্ত এই আলোচনায় সরকারি আধিকারিক এবং শিক্ষা ও গবেষণা জগতের প্রতিনিধিদের উপযুক্ত সংখ্যায় প্রতিনিধিত্বে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। ভারতের উদ্ভাবনমূলক উদ্যোগকে এই সম্মেলন আরও জোরদার করবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশাবাদী। তিনি আইআইটি কানপুর এবং আইআইটি বম্বেতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, জৈব প্রযুক্তি ও স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণায় একাধিক কেন্দ্রের উদ্বোধনের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। গবেষণামূলক কর্মকাণ্ডের প্রসারে জাতীয় গবেষণা ফাউন্ডেশনের সঙ্গে ওয়াধওয়ানি ইনোভেশন নেটওয়ার্কের সমঝোতার বিষয়টি অত্যন্ত ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেন তিনি। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে দেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রয়াসে শ্রী রমেশ ওয়াধওয়ানির ভূমিকার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। 

নিঃস্বার্থ সেবা জীবনের প্রকৃত সত্যের সন্ধান দেয়- এই মর্মে বিভিন্ন সংস্কৃত লেখনের উদাহরণ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকেও সেবার কাজে প্রয়োগ করতে হবে। এই মূল্যবোধকে পাথেয় করে বিভিন্ন প্রতিকূলতা পেরিয়েও শ্রী রমেশ ওয়াধওয়ানি যেভাবে কাজ করে চলেছেন, তা এক দৃষ্টান্ত বলে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন। 

তিনি আরও বলেন, যেকোন দেশে ভবিষ্যতের মূল চাবিকাঠি হল তরুণ প্রজন্ম। একবিংশ শতকের চাহিদা পূরণে ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থাকে যথার্থভাবে আধুনিক করে তোলা জরুরি। এক্ষেত্রে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে প্রধানমন্ত্রী আবারও মনে করিয়ে দেন। পিএম ই-বিদ্যা এবং দীক্ষা মঞ্চের আওতায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর ‘এক দেশ, এক ডিজিটাল শিক্ষা পরিকাঠামো’-র সুবাদে বিভিন্ন পাঠ্যপুস্তকের ৩০টি ভারতীয় এবং ৭টি বিদেশী ভাষায় অনুবাদ এক্ষেত্রে বড় এক পদক্ষেপ বলে প্রধানমন্ত্রী মনে করেন। তিনি বলেন, গবেষণা খাতে ব্যয় ২০১৩-১৪-র ৬০,০০০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১.২৫ লক্ষ কোটি টাকা। ৬০০০ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তৈরি হয়েছে গবেষণা কেন্দ্র। ভারতে উদ্ভাবনা পরিমণ্ডলের দ্রুত প্রসারের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৪-য় যেখানে মেধাস্বত্ত্ব আবেদনের সংখ্যা ছিল ৪০,০০০ তা এখন দাঁড়িয়েছে ৮০,০০০-এ। এক দেশ, এক সদস্যতা কর্মসূচির আওতায় গবেষণামূলক কর্মকাণ্ডে গতি আনতে ৫০,০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হয়েছে জাতীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এরফলে গবেষকরা খুব সহজেই বিশ্বমানের বিভিন্ন গবেষণা পত্রিকার নাগাল পেতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী গবেষণা ফেলোশিপের সুবিধা পাচ্ছেন প্রতিভাবান গবেষকরা। 

নরেন্দ্র মোদী বলেন, আজকের তরুণ প্রজন্ম শুধুমাত্র গবেষণামুখী নয়, নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে সদা প্রস্তুত। এ প্রসঙ্গে তিনি ভারতীয় রেলের সঙ্গে সহযোগিতায় আইআইটি ম্যাড্রাসে তৈরি হওয়া ৪২২ মিটারের হাইপার লুপ, আইআইএসসি ব্যাঙ্গালোরে ন্যানো প্রযুক্তি সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড ইত্যাদির উল্লেখ করেন। মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে ভারতে তৈরি হওয়া প্রথম এমআরআই যন্ত্রের কথাও উঠে আসে তাঁর বক্তব্যে। তিনি আরও বলেন, উৎকর্ষমানের নিরিখে সারা বিশ্বের প্রথম ২০০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯০টি জায়গা দখল করে নিয়েছে ভারতের নানা বিশ্ববিদ্যালয়। কিউএস বিশ্ব র্যা ঙ্কিং-এ ২০১৪-য় ভারতের মাত্র ৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জায়গা পেয়েছিল- ২০২৫-এ পেয়েছে ৪৬টি। ভারতের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শাখা খোলা হচ্ছে ভিন দেশেও। আবার সারা বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির শাখা খুলছে ভারতে। 

প্রতিভা, মানসিকতা এবং প্রযুক্তি- এই ত্রয়ীর মেলবন্ধন ভারতের ভবিষ্যৎ গড়ে দেবে বলে প্রধানমন্ত্রী প্রত্যয়ী। কচিকাঁচাদের মধ্যে উদ্ভাবনমূলক উদ্যোগের প্রসারে চালু হওয়া অটল টিঙ্কারিং ল্যাব কর্মসূচির কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। 

আগামী ২৫ বছরের মধ্যে বিকশিত ভারত গড়ে তোলায় সরকারের দায়বদ্ধতার কথা আবারও জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরীক্ষাগারে গবেষণায় লব্ধ ফলকে খুব দ্রুত বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সাধারণ মানুষের কাজে লাগানোর উপযোগী করে তোলা দরকার। উপযুক্ত গবেষণা পরিমণ্ডল তৈরি করায় শিক্ষা, শিল্প ও বিনিয়োগ জগতের অংশীদারিত্ব এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে তিনি আবারও মনে করিয়ে দেন। এই ধরনের উদ্যোগকে উৎসাহিত করতে সরকার নিয়মবিধির সরলীকরণ সহ সব ধরনের সহায়তায় প্রস্তুত- ফের জানান প্রধানমন্ত্রী। 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, মহাকাশ প্রযুক্তি, জৈব প্রযুক্তির মতো ক্ষেত্রগুলিতে ধারাবাহিক বিকাশ এই সময়ের দাবি বলে প্রধানমন্ত্রী মনে করেন। এক্ষেত্রে ভারত-এআই মিশনের সূচনা এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে তাঁর মন্তব্য। 

কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক এবং ওয়াধওয়ানি ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে যুগ্ম উদ্ভাবনার সম্মেলনে ভারতের উদ্ভাবনা পরিমণ্ডলের প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ- এমনটাই বলেন প্রধানমন্ত্রী। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, ডঃ জিতেন্দ্র সিং, শ্রী জয়ন্ত চৌধুরী, ডঃ সুকান্ত মজুমদার প্রমুখ। 

প্রেক্ষাপট

সংস্কৃতে যুগ্ম কথাটির অর্থ হল সম্মিলন। এই প্রথম সংশ্লিষ্ট নানা ক্ষেত্রের প্রতিনিধিদের নিয়ে এ ধরনের আলোচনার আয়োজন হল। এর লক্ষ্য, ভারতের উদ্ভাবনা ও গবেষণা পরিমণ্ডলে বেসরকারি লগ্নির প্রসার। 


SC/AC /NS…


(Release ID: 2125323) Visitor Counter : 4