প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
তামিল কবি সুব্রমনিয়া ভারতী-র সমগ্র রচনাবলী প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ
Posted On:
11 DEC 2024 4:14PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত জি, রাও ইন্দরজিৎ সিং এবং এল মুরুগন জি, এই অনুষ্ঠানের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব সাহিত্যবিদ শ্রী সিনি বিশ্বনাথন জি, প্রকাশক ভি শ্রীনিবাসন জি এবং উপস্থিত সকল সুধীজন, ভদ্রমহোদয়া এবং ভদ্রমহোদয়গণ,
আজ সারা দেশ মহান কবি সুব্রমনিয়া ভারতী জির জন্মবার্ষিকী উদযাপন করছে। আমি সুব্রমনিয়া ভারতী জির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। ভারতীয় সংস্কৃতি ও সাহিত্য, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের স্মৃতি এবং তামিলনাডু়র গরিমার জন্য এই অনুষ্ঠানটি উল্লেখযোগ্য। মহাকবি সুব্রমনিয়া ভারতী-র সৃষ্টির প্রকাশ একটি বিশাল পরিষেবা এবং প্রবল আধ্যাত্মিক উদ্যোগ যা আজ সমাপ্তিতে পৌঁছেছে। ২১টি খণ্ডে ‘কলা, বরিসায়িল, ভারতীয়ার পদাইপ্পুগল’ সংকলন একটি অসাধারণ এবং অভূতপূর্ব সাফল্য, ৬ দশকের নিরলস প্রচেষ্টা এবং অসীম সাহসের অভূতপূর্ব ফল। এই অসাধারণ এবং অভূতপূর্ব সাফল্য শ্রী সিনি বিশ্বনাথন জির নিষ্ঠা এবং কঠিন পরিশ্রমের ফসল। আমার বিশ্বাস, এটি আগামী প্রজন্মকে বিপুলভাবে সাহায্য করবে। প্রায়ই আমরা একটা কথা শুনে থাকি, ‘একটা জীবন, একটাই লক্ষ্য’। কিন্তু শ্রী সিনি জি প্রকৃতভাবেই এর অর্থটি তুলে ধরেছেন। এটা সত্যই এক গভীর নিষ্ঠা। তাঁর ভালোবাসার এই পরিশ্রম আমাকে মনে করিয়ে দেয় মহামহোপাধ্যায় পাণ্ডুরং বামন কানে-কে যিনি তাঁর জীবনের ৩৫টি বছর উৎসর্গ করেছিলেন ধর্মশাস্ত্রের ইতিহাস লিখতে। আমার বিশ্বাস, শ্রী সিনি বিশ্বনাথন জির এই কাজ সারস্বত মহলে একটি মাত্রা যোগ করবে। আমি আমার হার্দিক অভিনন্দন জানাই বিশ্বনাথন জি, তাঁর সহযোগীদের এবং আপনাদের সকলকে এই অসাধারণ সাফল্যের জন্য।
বন্ধুগণ,
আমাকে বলা হয়েছে যে, ‘কলা, বরিসায়িল, ভারতীয়ার পদাইপ্পুগল’-এর ২৩টি খণ্ডে শুধু ভারতী জির সাহিত্যই নেই, বরং তাঁর প্রেক্ষাপট সম্পর্কে তাঁর অন্তর্দশন এবং দার্শনিক ব্যাখ্যাও আছে। প্রতিটি খণ্ডে আছে ধারাবিবরণী, ব্যাখ্যা এবং টীকা যা ভারতী জির ভাবনা চিন্তাকে গভীরভাবে বুঝতে এবং সে যুগের পরিপ্রেক্ষিতটি আত্মস্থ করতে প্রভূত সাহায্য করবে। এই সংকলন, গবেষক এবং বুদ্ধিজীবীদের জন্য একটি মূল্যবান সম্পদ।
বন্ধুগণ,
আজ পবিত্র গীতা জয়ন্তী। শ্রী সুব্রমনিয়া ভারতী জি-র গভীর বিশ্বাস ছিল গীতা এবং তার আদর্শের ওপর। তিনি তামিল ভাষায় গীতা অনুবাদ করেছিলেন এবং সহজ ভাষায় এর ব্যাখ্যা করেছিলেন। এক আশ্চর্য সমাপতন যে, আজ আমরা গীতা জয়ন্তীর দিনেই সুব্রমনিয়া ভারতী জি-র জন্মবার্ষিকী পালন করছি এবং তাঁর রচনাবলী প্রকাশ করছি- এ এক ধরনের ‘ত্রিবেণী সঙ্গম।’ এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গীতা জয়ন্তী উপলক্ষ্যে আমি আপনাদের সকলকে এবং সকল ভারতীয়কে হার্দিক শুভকামনা জানাই।
বন্ধুগণ,
আমাদের সংস্কৃতিতে শব্দ শুধুমাত্র নিজেকে প্রকাশ করার মাধ্যমই নয়। আমরা এমন একটি সংস্কৃতির অংশীদার যা ‘শব্দ ব্রহ্ম’-এর কথা বলে এবং তার অসীম শক্তিকে স্বীকার করে। সেইজন্য সাধু এবং বুদ্ধিজীবীদের কথা শুধুমাত্র তাঁদের ভাবনা নয়, সেগুলি তাঁদের তপস্যা, অভিজ্ঞতা ও ভক্তির নির্যাস। আমাদের কর্তব্য আগামী প্রজন্মের জন্য সেইসব অসাধারণ ব্যক্তির প্রজ্ঞাকে সংরক্ষণ করা। এই ধরনের সংকলনের গুরুত্ব আজকের আধুনিক প্রেক্ষাপটেও সমান প্রাসঙ্গিক। যেন আমাদের ঐতিহ্যেরই অঙ্গ। উদাহরণ স্বরূপ, মহামতি ব্যাসের অনেক রচনাই এখনও আমরা পাই কারণ, সেগুলি সুচারুভাবে পুরাণে সংকলিত। একইরকম ভাবে আধুনিক যুগের সংকলন যেমন স্বামী বিবেকানন্দের সমগ্র রচনা, ডঃ বাবাসাহেব আম্বেদকরের রচনা এবং ভাষণ এবং দীনদয়াল উপাধ্যায়ের সম্পূর্ণ বাঙ্ময় আজও সমাজ এবং শিক্ষা জগতের জন্য অমূল্য সম্পদ বলে প্রমাণিত হয়েছে। বিভিন্ন ভাষায় থিরুক্কুরাল অনুবাদেরও প্রয়াস চলছে। গত বছর পাপুয়া নিউগিনিতে টোক পিসিন ভাষার অনূদিত থিরুক্কুরাল প্রকাশের আমার সুযোগ হয়েছিল এবং তারও আগে ঠিক এখানেই লোক কল্যাণ মার্গে থিরুক্কুরালের গুজরাটি অনুবাদও আমি প্রকাশ করেছিলাম।
বন্ধুগণ,
সুব্রমনিয়া ভারতী ছিলেন একজন দূরদর্শী মানুষ যিনি দেশের প্রয়োজন অনুসারে কাজ করেছিলেন। তাঁর দর্শন ছিল এত প্রসারিত যে তিনি সেই যুগে দেশের যেখানে যেমন প্রয়োজন, সেখানে তিনি কাজ করেছেন। তিনি শুধু তামিলনাড়ু এবং তামিল ভাষার গর্ব নন, তিনি ছিলেন একজন চিন্তাবিদ যাঁর প্রতিটি শ্বাস নিবেদিত হয়েছিল ভারত মাতার সেবায়। ভারতী জির স্বপ্ন ছিল ভারতের উত্থান এবং গর্ব। আমাদের সরকার লাগাতার প্রয়াস চালিয়েছে ভারতী জির অবদানকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে। ২০২০-তে কোভিডের সমস্যা সত্বেও আমরা জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে ভারতী জির শততম বার্ষিকী উদযাপন করেছিলাম। আমি ব্যক্তিগতভাবে আন্তর্জাতিক ভারতী উৎসবে অংশ নিয়েছি। সে লাল কেল্লা থেকে দেশের উদ্দেশে ভাষণই হোক বা আন্তর্জাতিক মঞ্চে হোক, আমি লাগাতার ভারতী জির ভাবনার মাধ্যমে ভারতের দর্শনকে তুলে ধরেছি। আর আজ শ্রী সিনি জি যেটা বললেন, আমি বিশ্বের যেখানেই গেছি, আমি ভারতী জি কে নিয়ে বলেছি এবং সিনি জি সেটাই তুলে ধরেছেন। এবং আপনারা জানেন, আমার এবং সুব্রমনিয়া ভারতী জি-র মধ্যে একটা জীবন্ত আধ্যাত্মিক সংযোগ আছে এবং সেটা হল কাশী। কাশীর সঙ্গে তাঁর বন্ধন সেখানে যত সময় তিনি বসবাস করেছিলেন, তা কাশীর ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে। তিনি কাশীতে গেছিলেন জ্ঞান আহরণে এবং সেখানে তার সঙ্গে একাত্ম হয়ে গেছিলেন তিনি। তাঁর পরিবারের অনেকেই এখনও কাশীতে বসবাস করেন। এবং আমার সৌভাগ্য যে তাঁদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ আছে। বলা হয়, কাশীতে বসবাসের সময়েই ভারতীয়ার তাঁর চোখে পড়ার মতো গোঁফটি রাখতে উৎসাহিত হয়েছিলেন। ভারতীয়ার কাশীতে বসবাসকালে গঙ্গার তীরে বসে অনেক রচনা করেছিলেন। সেই কারণে কাশীর সাংসদ হিসেবে আমি পূর্ণ হৃদয়ে তাঁর রচনার সংকলনের পবিত্র কাজকে স্বাগত জানিয়েছি এবং উদযাপন করেছি। আমাদের সরকারের সৌভাগ্য হয়েছে বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটিতে মহাকবি ভারতীয়ারের অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি চেয়ার স্থাপন করার।
বন্ধুগণ,
সুব্রমনিয়া ভারতী ছিলেন এমন একজন ব্যক্তিত্ব যিনি শতাব্দীতে একবারই আসেন। তাঁর ভাবনা, তাঁর মেধা এবং বহুমুখী ব্যক্তিত্ব আজও প্রত্যেককে চমকিত করে। মাত্র ৩৯ বছরের জীবনে ভারতী জি আমাদের এত দিয়েছিলেন যে, শিক্ষাবিদদের তা ব্যাখ্যার চেষ্টা করতে পুরো জীবনটা ব্যয় করতে হবে। যদিও মাত্র ৩৯ বছর তিনি বেঁচে ছিলেন, তাঁর রচনা ৬টি দশকের পরেও রয়ে গেছে। শৈশবে খেলাধুলা এবং লেখাপড়া শেখার বয়সে তিনি জাতীয়তাবোধ রোপণ করেছিলেন। একদিকে তিনি ছিলেন আধ্যাত্মিকতার সন্ধানী অন্যদিকে তিনি ছিলেন আধুনিকতার সমর্থক। তাঁর রচনায় প্রতিভাত হয় প্রকৃতি প্রেমের পাশাপাশি সুন্দর ভবিষ্যতের প্রেরণা। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় তিনি শুধুমাত্র স্বাধীনতা দাবি করেছিলেন তাই নয়, তিনি ভারতীয়দের হৃদয়ে মুক্ত হবার বাসনা জাগিয়েছিলেন। এবং এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার ! তিনি দেশবাসীকে বলেছিলেন এবং আমি তামিলে বলার চেষ্টা করছি। উচ্চারণে ভুল হলে ক্ষমা করবেন। মহাকবি ভারতীয়ার বলেছিলেন : এন্তু তণিয়ুম্, ইন্দ সুদন্তির, দাগম্। এন্তু মডিয়ুম্ ইঙ্গল অডিমৈয়িন্মোগম্।
এর অর্থ ‘কখন আমাদের স্বাধীনতার তৃষা মিটবে? কখন আমাদের দাসত্ব ঘুচবে?’ সেই সময় এক শ্রেণীর মানুষ ছিলেন যারা দাসত্বকে মেনে নিয়েছিলেন। তিনি তাঁদের ভর্ৎসনা করেছিলেন। ‘কখন এই দাসত্বের মোহ কাটবে?’ এমন আহ্বান তার কাছ থেকেই আসতে পারে যার আছে আত্মিক সাহস এবং জয়ের আত্মবিশ্বাস ! আর এটাই ভারতীয়ারের মহৎ গুণ। তিনি সোজাসুজি বলতেন এবং সমাজকে সঠিক দিশা দেখিয়েছিলেন। সাংবাদিকতা জগতেও তিনি মনে রাখার মতো কাজ করেছিলেন। ১৯০৪-এ তিনি তামিল সংবাদপত্র ‘স্বদেশমিত্রন’-এ যোগ দেন। তারপরে ১৯০৬-এ তিনি লাল কাগজে সাপ্তাহিক সংবাদপত্র ‘ইন্ডিয়া’ প্রকাশ শুরু করেন। তামিলনাডু়তে এটাই প্রথম সংবাদপত্র যাতে রাজনৈতিক কার্টুন ছাপা হত। ভারতী জি সমাজকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন দুর্বল এবং প্রান্তিক মানুষকে সাহায্য করার জন্য। তাঁর কবিতা সংকলন ‘কান্নন পাত্তু’-তে তিনি ভগবান কৃষ্ণকে ২৩টি রূপে কল্পনা করেছিলেন। একটি কবিতায় তিনি দরিদ্রতর পরিবারের জন্য বস্ত্র দিতে আহ্বান জানান, যাঁদের দেওয়ার ক্ষমতা আছে তাঁদের প্রতি ছিল এই আহ্বান। সৎ কাজের জন্য উৎসাহপূর্ণ তাঁর কবিতাগুলি আজও আমাদের অনুপ্রাণিত করে।
বন্ধুগণ,
ভারতীয়ার ছিলেন, দূরদর্শী এমন একজন ব্যক্তি যিনি সময়ের অনেক আগে দেখতে পেতেন এবং ভবিষ্যৎ বুঝতে পারতেন। এমন একটা সময় যখন সমাজ নানা সংগ্রামে ব্যতিব্যস্ত তখন ভারতীয়ার যুব সমাজ এবং মহিলাদের সশক্তিকরণের পক্ষে জোরালো সওয়াল করেন। বিজ্ঞান এবং উদ্ভাবনে গভীর আস্থা ছিল ভারতীয়ারের। তিনি তাঁর সময়ে এমন একটি যোগাযোগ ব্যবস্থার কথা ভেবেছিলেন যা দূরত্ব অতিক্রম করবে এবং সমগ্র দেশকে ঐক্যবদ্ধ করবে। এবং আজ প্রযুক্তি ভারতীয়ারের সেই ভাবনা মতো রূপ পেয়েছে। তিনি বলেছিলেন : “কাশীনগর, পুলওয়ার পেশম্, উরে তান্,।। কাঞ্চিয়িল্, কেট্পদর্কোর্, করুবি চেইয়োম।।”
এর অর্থ, “এমন একটা যন্ত্র হবে যার মাধ্যমে বেনারস থেকে সাধুদের বলা কথা কাঞ্চিতে বসে আমরা শুনতে পাবো।“ আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি কীভাবে ডিজিটাল ইন্ডিয়া সেই স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করছে। ‘ভাষিণী’-র মতো অ্যাপ ভাষার অনেক বাধাই অপসারিত করেছে। যখন ভারতের প্রত্যেকটি ভাষার জন্য শ্রদ্ধার ভাব থাকবে, যখন প্রত্যেক ভাষার জন্য গর্ব হবে, এবং যখন প্রত্যেকটি ভাষা সংরক্ষণ করার আন্তরিক প্রচেষ্টা হবে তখনই প্রত্যেকটি ভাষার প্রকৃত সেবা করা হবে।
বন্ধুগণ,
মহাকবি ভারতীর সাহিত্য বিশ্বের প্রাচীনতম তামিল ভাষার একটি সম্পদ। এবং আমরা গর্বিত যে আমাদের তামিল ভাষা পৃথিবীর প্রাচীনতম ভাষা। যখন আমরা তাঁর সাহিত্যের প্রচার করবো তখন আমরা তামিল ভাষারও সেবা করবো। এবং যখন আমরা তামিল ভাষার সেবা করবো তখন আমরা দেশের প্রাচীনতম ঐতিহ্যেরও সেবা করবো।
ভাই ও বোনেরা,
গত ১০ বছরে দেশ তামিল ভাষার গরিমা বাড়াতে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছে। আমি রাষ্ট্রসংঘে সমগ্র বিশ্বের সামনে তামিল গরিমা পরিবেশন করেছি। সারা পৃথিবীতে আমরা খুলেছি থিরুভাল্লুভার কালচারাল সেন্টার। ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর ভাবনা প্রতিফলিত সুব্রমনিয়া ভারতী-র দর্শনের মধ্যে। ভারতীয়ার সব সময় দেশের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির মধ্যে সংযোগ ঘটানোর আদর্শকে শক্তিশালী করেছেন। বর্তমানে কাশী তামিল সঙ্গমম এবং সৌরাষ্ট্র তামিল সঙ্গমম-এর মতো মতো অনুষ্ঠানগুলি সেই কাজই করে চলেছে। এই উদ্যোগগুলি সারা দেশের মানুষের অনুসন্ধিৎসা বৃদ্ধি করছে তামিল শেখা এবং জানার জন্য। তামিলনাড়ুর সংস্কৃতিকেও তুলে ধরা হচ্ছে। আমাদের সংকল্প, দেশের প্রত্যেক নাগরিক, দেশের প্রত্যেকটি ভাষাকে যেন নিজের বলে মনে করে এবং প্রত্যেক ভাষার জন্য গর্বিত হয়। আমরা যুবা সমাজকে নিজেদের মাতৃভাষায় উচ্চশিক্ষা করার সুযোগ দিয়েছি যাতে তামিলের মতো ভারতীয় ভাষাগুলি প্রসারিত হয়।
বন্ধুগণ,
আমার পূর্ণ বিশ্বাস, ভারতী জির সাহিত্য সংকলন তামিল ভাষা প্রসারে আমাদের প্রয়াসকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমরা একসঙ্গে ‘বিকশিত ভারত’-এর লক্ষ্যে পৌঁছবো এবং ভারতীয়ারের স্বপ্নকে সম্ভব করবো। আরও একবার এই সংকলন প্রকাশের জন্য আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই। আমি দেখছিলাম জীবনের এই পর্যায়ে তামিলনাড়ুতে থাকা এবং দিল্লির শীত সহ্য করার বিষয়টি। তিনি নিশ্চয়ই গভীর নিষ্ঠার সঙ্গে জীবন অতিবাহিত করেছেন। আমি তাঁর হাতে লেখা চিরকুটগুলিও দেখছিলাম- কী সুন্দর হাতের লেখা! এই বয়েসে সই করার সময় আমাদের হাত কাঁপে। কিন্তু তাঁর হাতের লেখা তাঁর নিষ্ঠা এবং আন্তরিকতার প্রকৃত প্রতীক। আমি আন্তরিক শ্রদ্ধার সঙ্গে আপনাকে প্রণাম জানাই। আপনাদের সকলকে আন্তরিক ভনক্কমের মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানাই এবং অশেষ ধন্যবাদ।
PG/AP/NS…
(Release ID: 2086337)
Visitor Counter : 7
Read this release in:
English
,
Urdu
,
Hindi
,
Marathi
,
Manipuri
,
Punjabi
,
Gujarati
,
Odia
,
Tamil
,
Telugu
,
Kannada