প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী উদীয়মান রাজস্থান বিশ্ব বিনিয়োগ শিখর সম্মেলনের উদ্বোধন করলেন
রাজস্থান বিনিয়োগকারীদের অন্যতম গন্তব্য হয়ে উঠছে: প্রধানমন্ত্রী
ডিজিটাল প্রযুক্তির গণতন্ত্রীকরণ প্রতিটি ক্ষেত্র এবং জনগোষ্ঠীকে যেভাবে উপকৃত করছে, তা তুলে ধরেছে ভারত: প্রধানমন্ত্রী
Posted On:
09 DEC 2024 1:52PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ উদীয়মান রাজস্থান বিশ্ব বিনিয়োগ শিখর সম্মেলন ২০২৪ – এর উদ্বোধন করেন। রাজস্থানের জয়পুরের প্রদর্শনী ও সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব বাণিজ্য এক্সপো-রও সূচনা করেন তিনি। ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এই সমারোহের সফল আয়োজনের জন্য সেখানকার রাজ্য সরকারকে অভিনন্দন জানান।
ভারতে বাণিজ্য পরিমণ্ডল নিয়ে সারা বিশ্বের লগ্নিকারীরা উৎসাহিত হয়ে উঠেছেন বলে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেছেন। এই দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিকাশের মূল মন্ত্র হ’ল – সম্পাদন, পরিবর্তন ও সংস্কার। এই কথা পুনরায় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার সাত দশক পর ভারত বিশ্বের একাদশতম বৃহৎ অর্থনীতি হয়ে উঠেছিল। কিন্তু, বিগত এক দশকে এই দেশ বড় অর্থনীতিগুলির মধ্যে পঞ্চম স্থানে এসে গেছে। এই সময় ভারতের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও রপ্তানি প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে বলে তিনি জানান। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিগত দশকে ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ আগের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। পরিকাঠামো খাতে লগ্নির পরিমাণ ২ ট্রিলিয়ন থেকে বেড়ে হয়েছে ১১ ট্রিলিয়ন টাকা।
ভারতের এই উন্নয়নের চালিকাশক্তি হ’ল – গণতন্ত্র, জনবিন্যাস, ডিজিটাল ডেটা এবং পরিষেবা প্রদানে দক্ষতা। এই দেশ মানবতার কল্যাণকে মূল দর্শন করে এগিয়ে চলেছে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। কেন্দ্রে সুস্থায়ী সরকার গড়ে তোলার জন্য দেশের নাগরিকদের প্রশংসা করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সনাতন ঐতিহ্যকে সঙ্গে নিয়ে ভারত যেভাবে অগ্রসর হয়ে চলেছে, তার কৃতিত্ব দেশের যুবশক্তির। দেশের জনবিন্যাসে তারুণ্যের অনুপাত বেশি হওয়া ভারতের কাছে অত্যন্ত ইতিবাচক একটি বিষয় এবং সরকার সেদিকে লক্ষ্য রেখে উপযুক্ত নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।
শ্রী মোদী বলেন, বিগত দশকে ভারতের তরুণ প্রজন্ম প্রযুক্তি ও তথ্য ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এই শতক প্রযুক্তি এবং তথ্যের দ্বারাই চালিত। বিগত দশকে এদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৪ গুণ বেড়েছে এবং ডিজিটাল লেনদেনে নতুন নজির তৈরি হচ্ছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির গণতন্ত্রীকরণ প্রতিটি ক্ষেত্র ও জনগোষ্টীকে কিভাবে উপকৃত করতে পারেন, বিশ্বের সামনে তা তুলে ধরেছে ভারত। এ প্রসঙ্গে তিনি ইউপিআই, সরাসরি সুবিধা হস্তান্তর, সরকারি বৈদ্যুতিন বিপণন কেন্দ্র, ডিজিটাল বাণিজ্যের মুক্ত মঞ্চ বা ওএনডিভিসি-র কথা তুলে ধরেন। প্রযুক্তিগত এইসব উদ্যোগ রাজস্থানকে বিশেষভাবে উপকৃত করেছে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন।
স্বাধীনতার পর দীর্ঘ সময় কেন্দ্রীয় সরকারের ভুল নীতির কারণে রাজস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন। কিন্তু, বর্তমান সরকারের দূরদর্শিতার সুবাদে এই রাজ্য শুধুমাত্র বিকাশশীলই নয়, বিনিয়োগে নির্ভরযোগ্য কেন্দ্র হয়ে উঠেছে বলে তিনি মনে করেন। উন্নয়নের কাজে ঐ রাজ্য সরকারের উদ্যোগের ভুয়সী প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
রাজস্থান তামা, দস্তা, চুনাপাথর, গ্রানাইটের মতো খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ এবং স্বনির্ভর ভারত গঠনের প্রশ্নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক রাজ্য বলে প্রধানমন্ত্রী মনে করেন। ভারতের শক্তি নিরাপত্তার প্রশ্নে এই রাজ্যের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই দশকের শেষ নাগাদ সারা দেশে পুনর্নবীকরণযোগ্য উৎস থেকে ৫০০ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
রাজস্থান রাজ্যটি দিল্লি ও মুম্বাইয়ের মতো বড় বাণিজ্য কেন্দ্রের নিকটবর্তী এবং সেখানে সড়ক ও রেল যোগাযোগ আরও জোরদার করে তোলায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রসঙ্গ উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে।
পর্যটনের ক্ষেত্রে ভারতের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী দেশের পর্যটন মানচিত্রে রাজস্থানের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানের কথা মনে করিয়ে দেন।
বিশ্ব সরবরাহ ও মূল্য শৃঙ্খলের বিষয়ে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতকে উৎপাদনের অন্যতম কেন্দ্র করে তোলা সারা বিশ্বের পক্ষেই অত্যন্ত জরুরি। উৎপাদন ক্ষেত্রে গতি আনতে ভারত সরকারের উৎপাদন সংযুক্ত উৎসাহদান প্রকল্পের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী। তিনি আরও বলেন, এই কর্মসূচির সুবাদে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি রপ্তানি ও কর্মসংস্থানের পালেও হাওয়া লেগেছে। রপ্তানির ক্ষেত্রে রাজস্থানের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন তিনি। অণু, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্ষেত্রে রাজস্থানের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই শিখর সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে বিস্তৃত আলোচনার সুযোগ রয়েছে। ক্ষুদ্র শিল্পের প্রসারে তাঁর সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচির প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রায় ৫ কোটি ক্ষুদ্র সংস্থা দেশের সংগঠিত ক্ষেত্রে যুক্ত হওয়ার ফলে ঋণের সুযোগ পেতে চলেছে খুব সহজেই। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সরকারের ঋণ সংযুক্ত জামিন প্রকল্পের প্রাসঙ্গিকতা ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, বিগত দশকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ক্ষেত্রে ঋণের পরিমাণ দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে – ২০১৪’র ১০ লক্ষ কোটি টাকা থেকে বেড়ে এখন তা ২২ লক্ষ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় উন্নত ভারত ও উন্নত রাজস্থানের স্বপ্ন সফল হয়ে উঠবে বলে প্রধানমন্ত্রী প্রত্যয়ী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজস্থানের রাজ্যপাল শ্রী হরিভাউ কিষাণরাও বাগদে, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভজনলাল শর্মা প্রমুখ।
PG/AC/SB
(Release ID: 2082481)
Read this release in:
English
,
Urdu
,
Marathi
,
Hindi
,
Manipuri
,
Assamese
,
Punjabi
,
Gujarati
,
Tamil
,
Telugu
,
Kannada
,
Malayalam