তথ্যওসম্প্রচারমন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

ভুল তথ্য ও ভুয়ো খবর পরিবেশন থেকে ডিজিটাল মিডিয়াকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানালেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

মেধাস্বত্ব অধিকারকে সুরক্ষিত রাখার পাশাপাশি মিডিয়া জগতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রসারের সপক্ষে বক্তব্য রাখলেন তিনি

Posted On: 16 NOV 2024 7:19PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

 

আজ জাতীয় প্রেস দিবস। এই উপলক্ষে প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার উদ্যোগে রাজধানীর ন্যাশনাল মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি সেখানে প্রধান অতিথির মূল ভাষণে ভারতের প্রাণবন্ত এবং বৈচিত্রময় মিডিয়া পরিবেশ ও পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন। শ্রী বৈষ্ণব বলেন, দেশে এই মুহূর্তে রয়েছে ৩৫ হাজারের মতো নথিভুক্ত সংবাদপত্র, অসংখ্য নিউজ চ্যানেল এবং এক বলিষ্ঠ ডিজিটাল পরিকাঠামো। ফোর জি এবং ফাইভ জি নেটওয়ার্কে বিনিয়োগ প্রচেষ্টা ভারতকে ডিজিটাল সংযোগের প্রথম সারিতে উঠে আসার কাজে সাহায্য করেছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে ডেটার জন্য প্রদেয় মাশুল হল সবচেয়ে কম। তবে, মিডিয়া ও সংবাদ জগতের পরিবর্তনশীল প্রেক্ষাপটে চারটি মূল চ্যালেঞ্জ এখন উপস্থিত। এর মধ্যে প্রথমটি হল ভুল তথ্য ও ভুয়ো খবর, যা শুধুমাত্র মিডিয়া জগৎকেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করায়নি, একই সঙ্গে তা গণতন্ত্রের পক্ষেও বিপদজনক। ডিজিটাল মিডিয়ার দ্রুত প্রসার এবং এই মঞ্চে প্রকাশিত ও প্রচারিত তথ্য পরিবেশনে দায়িত্বশীলতার প্রশ্নটি আজ চিন্তা করে দেখার মতো। ১৯৯০-এর দশকে দেশে যখন ডিজিটাল মিডিয়ার সংখ্যা ছিল একান্তই সীমিত, তখনই কিন্তু নিরাপদ একটি ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর জোর দেওয়ার কাজ শুরু হয়। তথ্য ও সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতা ও দায়বদ্ধতার কথাও সেই সময় বলা হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে এমন এক নতুন কাঠামো তথা পরিকাঠামো গড়ে তোলা প্রয়োজন যা একাধারে তথ্য ও সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি জাতির সামাজিক কাঠামোকেও সুরক্ষিত করে তুলতে সাহায্য করবে। 

শ্রী বৈষ্ণব বলেন, চিরাচরিত ডিজিটাল মিডিয়ার ধারণা থেকে কনভেনশনাল মিডিয়ায় পরিবর্তনে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়। কারণ, তা সাংবাদিকদের সততা ও সম্পাদকীয় মতামতকে প্রভাবিত করে। এই কারণে, কনভেনশনাল মিডিয়া জগতের প্রচেষ্টাকে যথাযথ ভাবে আর্থিক দিক থেকে সাহায্য করা প্রয়োজন। 

অ্যালগরিদম চালিত ডিজিটাল মঞ্চগুলি এমন কিছু বিষয়বস্তুতে প্রাধান্য দিয়ে থাকে যা পাঠক ও দর্শকদের মনে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। তাতে হয়তো এই মঞ্চগুলির রাজস্বের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে থাকে, কিন্তু উত্তেজক খবর এবং বিচ্ছিন্নতাকামী শক্তি তাতে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা থাকে। সুতরাং এর সুদূরপ্রসারী সামাজিক প্রভাব ও পরিণতির কথা আমাদের কোনো ভাবেই ভুললে চলবে না। এই কারণে এই মঞ্চগুলির সঙ্গে যুক্ত সকলকে আমি আহ্বান জানাই আরও বেশি দায়বদ্ধ ও দায়িত্বশীল থেকে প্রয়োজনীয় সমাধানের পথ অন্বেষণ করার। 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অর্থাৎ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের উদ্ভব ও প্রসার এআই মডেলগুলিকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ক্রম প্রসারে সৃজনশীল দুনিয়ায় ইতিবাচক ও গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনকে কিন্তু অবশ্যই সম্ভব করে তুলতে হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে যে সমস্ত সমস্যা দেখা দেয়, তা কাটিয়ে উঠতে মেধাস্বত্বকে সুরক্ষিত করা ও সুরক্ষিত রাখার জন্য বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। এআই হল এমন এক উদ্ভাবন যা সৃজনশীলতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। কিন্তু যাঁরা প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা তাঁদের অবদানকে আমাদের কোনো ভাবেই ভুললে চলবে না। তাঁরা যাতে তাঁদের কাজের উপযুক্ত পারিশ্রমিক ও স্বীকৃতি পেতে পারেন সেটিও সকলের ভেবে দেখা প্রয়োজন। 

আজকের এই বিশেষ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডঃ এল মুরুগান, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব শ্রী সঞ্জয় জাজু, প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারপারসন বিচারপতি শ্রীমতী রঞ্জনা প্রকাশ দেশাই এবং বর্ষীয়ান সাংবাদিক শ্রী কুন্দন রামনলাল ব্যাস। 
 


PG/SKD/AS


(Release ID: 2074130) Visitor Counter : 15