জাহাজচলাচলমন্ত্রক
দ্বিতীয় জাতীয় লাইটহাউস উৎসবের সূচনা লাইটহাউস পর্যটন কনক্লেভ ২০২৪-এর মধ্য দিয়ে
Posted On:
19 OCT 2024 4:39PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ১৯ অক্টোবর ২০২৪
দ্বিতীয় জাতীয় বাতিঘর (লাইটহাউস) উৎসবের প্রথম দিনে কেন্দ্রীয় বন্দর, জাহাজ চলাচল ও জলপথ মন্ত্রকের উদ্যোগে পুরীতে আয়োজিত হয় লাইটহাউস ট্যুরিজম কনক্লেভ ২০২৪। তাতে অংশগ্রহণ করেন ১০০ জনেরও বেশি প্রতিনিধি। তাঁদের মধ্যে ছিলেন সরকারি কর্মী ও আধিকারিক, পর্যটন বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশ সংরক্ষণবিদ। এই ধরনের কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হল লাইটহাউস পর্যটনের বিশাল সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার মাধ্যমে পর্যটন উন্নয়ন ও ঐতিহ্যের মধ্যে সংরক্ষণগত এক যোগসূত্র গড়ে তোলা।
পুরীর সাংসদ শ্রী সম্বিত পাত্র, পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস ও পর্যটন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শ্রী সুরেশ গোপী এবং ওড়িশার উপমুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী প্রভাতী পারিদা এই কনক্লেভকে তাঁদের উপস্থিতির মাধ্যমে অলঙ্কৃত করেন।
কনক্লেভে প্রথাগত ভাবে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা করেন কেন্দ্রীয় বন্দর, জাহাজ চলাচল ও জলপথ প্রতিমন্ত্রী শ্রী শান্তনু ঠাকুর। মূল বক্তব্যটিও উপস্থাপিত করেন তিনি। শ্রী ঠাকুর তাঁর ভাষণে বলেন যে ভারতের জলপথ এক বিশেষ ঐতিহ্য বহন করে। এই কারণে নানা দিক থেকে তা প্রচুর সম্ভাবনাময়। আমাদের প্রাচীন ও ঐতিহাসিক লাইটহাউসগুলিকে আবার নতুন করে সাজিয়ে তোলার এক বিশেষ সুযোগ এখন উপস্থিত। লাইটহাউসগুলির কাঠামো এমন ভাবে গড়ে তোলা হয়েছে যা সমুদ্রে নাবিকদের দিক নির্ণয় করতে সাহায্য করে। বর্তমানে এই লাইটহাউসগুলিকে কেন্দ্র করে পর্যটনের প্রভূত সম্ভাবনার বিকাশ ঘটেছে। ফলে, লাইটহাউস ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল পর্যটন, সংস্কৃতি ও শিক্ষার বিশেষ কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। দেশের এই ধরনের প্রাচীন ৭৫টি লাইটহাউসের উন্নয়নের মধ্য দিয়ে আমরা শুধুমাত্র ইতিহাসকেই সংরক্ষণ করছি না, একই সঙ্গে পর্যটনে বিকাশ ও সমষ্টিগত প্রচেষ্টাকে উৎসাহদান করছি।
এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে ডায়রেক্টরেট জেনারেল অফ লাইটহাউসেস অ্যান্ড লাইটশিপস (ডিজিএল)-এর পক্ষ থেকে এক বিশেষ উপস্থাপনায় দেশে পর্যটনের বিকাশে লাইটহাউসগুলির সম্ভাবনাকে প্রতিনিধিদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়। ৭ কোটি টাকা বিনিয়োগে দেশের উপকূল অঞ্চলের ৯টি রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ৭৫টি লাইটহাউসকে নতুন করে গড়ে তোলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ও তাঁর দৃষ্টিভঙ্গী অনুসরণ করে এই কাজ শুরু করা হয়। প্রতিটি লাইটহাউসই ঐতিহ্য ও বিনোদনের এক একটি দিশারী হয়ে উঠেছে। মিউজিয়াম, অ্যাম্পিথিয়েটার, শিশু উদ্যান এবং আরও অনেক কিছুর মাধ্যমে লাইটহাউসগুলিকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। ওড়িশার গোপালপুর, পুরী, চন্দ্রভাগা, পারাদ্বীপ এবং ফলসপয়েন্ট এই পাঁচটি লাইটহাউসকেও বিশেষ ভাবে সাজানো হয়েছে।
PG/SKD/AS
(Release ID: 2066574)
Visitor Counter : 43