ক্রেতা, খাদ্যএবংগণবন্টনমন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

খাদ্যগুণ সম্পন্ন চাল : অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য উপাদানের অভাব দূর করতে কেন্দ্রের উচ্চাকাঙ্খী উদ্যোগ

Posted On: 17 OCT 2024 5:15PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি ১৭ অক্টোবর ২০২৪


প্রধানমন্ত্রী গরীর কল্যাণ অন্ন যোজনা(জিএমজিকেএওয়াই)এবং অন্য কল্যাণমূলক উদ্যোগের ক্ষেত্রেও খাদ্যগুণ সম্পন্ন চাল সরবরাহের উদ্যোগকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অনুমোদন জানিয়ে আসছে। বর্তমান অবস্থায় জুলাই ২০২৪ থেকে ডিসেম্বর ২০২৮ পর্যন্ত এই উচ্চাকাঙ্খী উদ্যোগ চালিয়ে যাওয়া হবে, যাতে দেশে অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য উপাদানের অভাব দূর করতে তা এক সহায়ক কৌশল হতে পারে। 
বলার অপেক্ষা রাখে না যে, বৈজ্ঞানিক প্রমাণেই দেখা গেছে থ্যালাসেমিয়া এবং সিকল সেল অ্যানিমিয়ার মতো রোগে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে এই খাদ্যগুণ সম্পন্ন চালের ব্যবহার কতটা কার্যকর এবং নিরাপদ হতে পারে। 
ভারতে এই খাদ্যগুণ সম্পন্ন চাল প্যাকেজিং-এর ক্ষেত্রে থ্যালাসেমিয়া এবং সিকল সেল অ্যানিমিয়া আক্রান্তদের ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে খাদ্য নিরাপত্তা এবং মান নিয়ন্ত্রণ নিয়মবিধি ২০১৮ অনুযায়ী স্বাস্থ্য পরামর্শ মেনে চলতে হতো। এই স্বাস্থ্য পরামর্শ মেনে চলার আবশ্যিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বৈজ্ঞানিক কমিটি। তাদের বক্তব্য অন্য কোনো দেশ প্যাকেজিং-এ এই জাতীয় স্বাস্থ্য বিধির কথা উল্লেখ করে না। এরপর, ভারত সরকারের খাদ্য এবং গণবন্টন দপ্তর ২০২৩ সালে এই জাতীয় রোগে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে আয়রন গুণমান সম্পন্ন চাল কতটা নিরাপদ তার মূল্যায়নের জন্য একটি কর্মী গোষ্ঠী গঠন করে। 
এই কর্মী গোষ্ঠীর রিপোর্ট অনুযায়ী এইসব রোগাক্রান্তদের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার আশঙ্কা নিয়ে ওই জাতীয় স্বাস্থ্যবিধি উল্লেখ সংক্রান্ত ব্যবস্থার কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই। তাঁদের বক্তব্য হলো আয়রন গুণমান সম্পন্ন চাল থেকে খুব সামান্য পরিমানে আয়রন রক্তে মেশে। 
এরপর, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ(আইসিএমআর)-এর অধীনে একটি কমিটি বিস্তারিত পর্যালোচনা চালায়। এতে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের বহু বিশেষজ্ঞ ব্যাক্তিরা যুক্ত ছিলেন। বিশ্ব জুড়ে এর ব্যবহারিক দিক সমীক্ষা করে তাঁরা দেখেন কতটা আয়রন ডোজ নিরাপদ। 
বিশ্বভিত্তিক এই বৈজ্ঞানিক পর্যালোচনার ভিত্তিতে ওই কমিটি সিদ্ধান্তে পৌঁছয় যে, আয়রন গুণমান সম্পন্ন চাল ওই জাতীয় রোগের ক্ষেত্রে কোনো স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ নয়। আদিবাসী এলাকা থেকে প্রায় ৮ হাজার জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় দেখা যায় যে, সিকল সেল রোগে আক্রান্ত প্রায় দুই তৃতীয়াংশ রোগীর ক্ষেত্রে আয়রন জনিত অভাব রয়েছে। সিকল সেল অ্যানিমিয়া অথবা থ্যালাসেমিয়ার ক্ষেত্রে আয়রন গুণমান সম্পন্ন চালকে খাদ্য হিসেবে গ্রহন কোনো স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ নয় বলে প্রমাণিত হয়। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা- হু এবং মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন খাদ্য প্যাকেজিং-এ ওই জাতীয় স্বাস্থ্যবিধি উল্লেখ বাধ্যতামুলক বলে মনে করা না। 
ভারতে ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যগুলিতে বিস্তৃতভাবে এই খাদ্যগুণ সম্পন্ন চাল বিতরণ হয়েছে, যা প্রত্যেক রাজ্যেই ২ লক্ষ ৬৪ হাজারেরও বেশি সুবিধাভোগীর কাছে পৌঁছেছে। তাদের শরীরে এর ব্যবহারে কোনো কুফল দেখা যায়নি। ফলে, এই জাতীয় স্বাস্থ্যবিধি প্যাকেজিং-এর ক্ষেত্রে উল্লেখ না করার ব্যাপারে কমিটির সুপারিশের বাস্তবতাই প্রমাণ করে। 
ভারতে এই গুণমান সম্পন্ন চালের পরিমণ্ডল উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় ৩০ হাজার চাল কল কাজ করছে। ২১ হাজারেও বেশি কলে মিশ্রন যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে। যার মাধ্যমে প্রতি মাসে ২২৩ লক্ষ মেট্রিক টন গুণমান সম্পন্ন চাল উৎপাদিত হচ্ছে। এই চালের পরীক্ষা ব্যবস্থারও প্রসার ঘটানো হয়েছে। এই গুণমান সম্পন্ন চালের নিয়মিত পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়ে থাকে। 
বিশ্বজুড়ে খাদ্যগুণ সম্পন্ন চালের ব্যবহার হয়। গ্লোবাল ফর্টিফিকেশন ডেটা এক্সচেঞ্জের তথ্য অনুযায়ী ১৮টি দেশ এই জাতীয় চালের ব্যবহার করে থাকে। এইসব দেশের কোথাও প্যাকেজিং-এ ওই জাতীয় স্বাস্থ্য পরামর্শের ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না । 

 

PG/AB/CS



(Release ID: 2065957) Visitor Counter : 10