স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্ধারিত টিকার নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাতিক মানের মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ ন্যাশনাল রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া

Posted On: 11 OCT 2024 11:55AM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১১ অক্টোবর, ২০২৪ 

 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) টিকার নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত যে মাপকাঠি প্রকাশ করেছে ভারতের সেন্ট্রাল ড্রাগস্‌ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও) এবং ন্যাশনাল রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া সহ এই সংস্থার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানগুলি সেই মাপকাঠি অনুসারে আন্তর্জাতিক মানদন্ডে উত্তীর্ণ হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসের ১৬ থেকে ২০ তারিখ ভারতের টিকা সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থাপনাগুলির বিষয়ে সর্বাঙ্গীনভাবে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে পর্যালোচনা করা হয়। জেনেভা-স্থিত হু’র সদর দপ্তরের নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ দল এ সংক্রান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালায়। এই দলে বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।
টিকার মূল্যায়নের ক্ষেত্রে সেটি ব্যবহার করার সময় কতটা কার্যকর, নিরাপদ এবং তার যথাযথ গুণমান বজায় রয়েছে কিনা – এই তিনটি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। হু বিভিন্ন নীতি-নির্দেশিকার মাধ্যমে টিকার আন্তর্জাতিক গুণমান সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনাটি গড়ে তুলেছে। এর ফলে, বিভিন্ন টিকাকরণে যে টিকাগুলি ব্যবহার করা হয়, সেগুলি ছাড়পত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি বিবেচিত হয়। ভারত, ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক মাপকাঠির বিবেচনায় পঞ্চম সংস্করণটির প্রতিটি নিয়মাবলী মেনে উৎপাদিত টিকা ব্যবহার করা যাবে কিনা, সে সংক্রান্ত ছাড়পত্র দিত। বর্তমানে হু’র আন্তর্জাতিক মাপকাঠির বিবেচনায় ষষ্ঠ সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে। ভারত এই সংস্করণ অনুসারে টিকার গুণমান বিবেচনা করছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুসারে, এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ স্তর – ৩ এর শর্তাবলীগুলি ভারত মেনে চলছে বলে জানা গেছে। 
এটিকে এক যুগান্তকারী সাফল্য বলে উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব শ্রীমতী পুণ্যসলিলা শ্রীবাস্তব জানান, হু’র সহযোগিতায় সিডিএসসিও এক্ষেত্রে এক উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। বিশ্ব জুড়ে ওষুধ শিল্পে ভারত প্রথম সারির দেশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ভারতের টিকা এবং জেনেরিক ওষুধগুলি ব্যয়সাশ্রয়ী। স্বাস্থ্য সচিব এই সাফল্য অর্জনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের কঠোর পরিশ্রম রয়েছে বলে মন্তব্য করেন। 
ভারতে হু’র প্রতিনিধি ডঃ রোডরিকো এইচ অফরিন বলেছেন, বিভিন্ন দেশে নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থাপনাগুলিকে শক্তিশালী করে তুলতে হু প্রয়োজনীয় সহায়তা করে থাকে। এর ফলে, সংশ্লিষ্ট দেশগুলি চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত উপাদান উৎপাদনে প্রয়োজনীয় গুণমান বজায় রেখে চলতে পারে। পাশাপাশি, উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী যাতে ব্যয় সাশ্রয়ী মূল্যে ক্রেতারা পান, সেই বিষয়টিও বিবেচনা করা হয়। ভারতের এই সাফল্য অর্জনের জন্য ডঃ অফরিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক এবং তার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানগুলিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। মন্ত্রকের অধীনস্ত সিডিএসসিও-র কন্ট্রোলার জেনারেল ডঃ রাজীব সিং রঘুবংশী জানান, বর্তমানে ইউনিসেফ, হু এবং পিএএইচও সহ রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিভিন্ন সংস্থায় ভারত নানাধরনের টিকা সরবরাহ করে। বিশ্বের অন্যতম টিকা উৎপাদক দেশ হিসেবে ভারত পরিচিত।
হু একইসঙ্গে জাতীয় স্তরে নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থাপনা, ওষুধের নিবন্ধন ও বাজারজাত করার প্রক্রিয়া, বাজারে নজরদারি, লাইসেন্স, গবেষণাগারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা, গবেষণার পর বিভিন্ন ওষুধের প্রয়োগ সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনারও পর্যালোচনা করেছে। ভারতের জাতীয় নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের এই সাফল্য অর্জনের জন্য হু’র টিম লিডার ডঃ আলিরেজা খাদেম অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকা আবারও স্বীকৃতি পেল। এদেশের ওষুধ শিল্প এবং ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার দক্ষতাও এই স্বীকৃতির অন্তর্ভুক্ত। গত কয়েক বছর ধরে ভারতের জাতীয় নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ ন্যাশনাল রেগুলেটরি অথরিটি’কে হু নানাভাবে সহায়তা করে আসছে। 
ভারত ৩৬টি গুরুত্বপূর্ণ টিকা প্রস্তুত করে। সেই হিসেবে আন্তর্জাতিক স্তরে প্রধান টিকা উৎপাদক দেশগুলির তালিকায় ভারত স্থান করে নিয়েছে। উৎপাদিত এই টিকাগুলি ১৫০টি দেশে ব্যবহৃত হয়। টিকার গুণমান নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে হু’র যে প্রাক্‌-যোগ্যতা কর্মসূচি রয়েছে ভারত তাতে সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে। আগামী দিনে ভারতের নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থাপনাকে আরও শক্তিশালী করতে অতিরিক্ত কিছু পরিকল্পনা করা হয়েছে। সিডিএসসিও, রাজ্য স্তরে ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ওষুধ গবেষণাগার, টিকা প্রয়োগের ফলে কোনও বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে, হু সেই সংক্রান্ত নজরদারি সহ জাতীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থার অধীনস্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মূল্যায়নও করেছে। 


PG/CB/SB



(Release ID: 2064730) Visitor Counter : 7