প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
মহারাষ্ট্রের জলগাঁও – এ লাখোপতি দিদি সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের বঙ্গানুবাদ
Posted On:
25 AUG 2024 5:07PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২৫ অগাস্ট, ২০২৪
আমার মহারাষ্ট্রের ভাই ও বোনেরা!
জয় শ্রীকৃষ্ণ...
আগামীকাল শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমী, এই উপলক্ষে আমি আপনাদের সকলকে শুভেচ্ছা জানাই।
মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল শ্রী সি পি রাধাকৃষ্ণণজি, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী একনাথ শিন্ডেজি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী কৃষি ও কৃষক কল্যাণ এবং গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী শ্রী শিবরাজ সিং চৌহানজি, এই অঞ্চলের প্রতিনিধি প্রতাপ রাও যাধব, কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী শ্রী চন্দ্রশেখরজি এবং এখানকার ভূমিকন্যা রক্ষা খাড়সেজি, মহারাষ্ট্র সরকারের মন্ত্রীগণ, সাংসদ ও বিধায়করা এবং এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত আমার মা ও বোনেরা, যাঁরা বিপুল সংখ্যায় এখানে এসেছেন আমাদের আশীর্বাদ করার জন্য। যতদূর পর্যন্ত আমার চোখ যাচ্ছে, মনে হচ্ছে আমি মায়েদের মহাসাগরে অবস্থান করছি। এই দৃশ্য সত্যি নয়নাভিরাম।
আমার বক্তব্য শুরু করার আগে আমি নেপালে বাস দুর্ঘটনায় যাঁরা নিকটাত্মীয়কে হারিয়েছেন, তাঁদের সমবেদনা জানাই। এই দুর্ঘটনায় আমরা মহারাষ্ট্রের, বিশেষ করে জলগাঁও – এর অনেক বন্ধুকে হারিয়েছি। স্বজনহারা পরিবারগুলিকে সমবেদনা জানাই। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারত সরকার নেপাল সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। আমরা আমাদের মন্ত্রী, রক্ষা তাই খাড়সেকে নেপালে তৎক্ষণাৎ পাঠাই। বিমানবাহিনীর বিশেষ বিমানে মৃতদেহগুলিকে আনার ব্যস্থা করেছি। আহতদের চিকিৎসারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। ক্ষতিগ্রস্তরা কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের থেকে সবধরনের সহায়তা পাবেন – সেই আশ্বাস আমি দিচ্ছি।
বন্ধুগণ,
আজ লাখোপতি দিদিদের এই মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমার প্রিয় বোনেরা বিপুল সংখ্যায় এখানে উপস্থিত। লক্ষ লক্ষ সখী মন্ডলের জন্য ৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি দেওয়া হয়েছে। মহারাষ্ট্রে আমাদের যেসব বোনেরা এই ধরনের গোষ্ঠীর সদস্য, তাঁরা কোটি কোটি টাকা সহায়তা মূল্য হিসেবে পেয়েছেন। এর ফলে, লক্ষ লক্ষ বোনেরা লাখোপতি দিদিতে পরিণত হবেন। আমি প্রত্যেক মা ও বোনকে শুভেচ্ছা জানাই।
বন্ধুগণ,
মহারাষ্ট্রের গর্বিত সংস্কার ও মূল্যবোধ আপনাদের সকলের মধ্যে আমি দেখতে পাই। মহারাষ্ট্রের এই মূল্যবোধ ভারত ছাড়িয়ে বিশ্ব জুড়ে অনুভূত হয়। গতকালই বিদেশ সফর শেষ করে আমি এসেছি। ইউরোপের পোল্যান্ডেও মহারাষ্ট্রের প্রভাব আমি দেখেছি। পোল্যান্ডের জনসাধারণ মহারাষ্ট্রবাসীকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করেন। এখানে থেকে আপনারা তা বুঝতে পারবেন না। পোল্যান্ডের রাজধানীতে কোলাপুর স্মারক রয়েছে। পোল্যান্ডের জনসাধারণ কোলাপুরের মানুষদের থেকে যে সেবা পেয়েছেন, তাকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে কোলাপুর স্মারক তৈরি করা হয়েছে।
আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে, দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় পোল্যান্ডের হাজার হাজার মা ও শিশুকে কোলাপুরের রাজ পরিবার আশ্রয় দিয়েছিল। ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের আদর্শে অনুপ্রাণিত রাজ পরিবার এবং সাধারণ মানুষ এদের সেবা করেছেন। মহারাষ্ট্রের জনসাধারণের মানবিকতার প্রশংসা আমি সেখানে যখন শুনেছি, গর্বে আমার মাথা উঁচু হয়েছে। আমরা মহারাষ্ট্রের উন্নয়নের কাজ অব্যাহত রাখবো এবং এই রাজ্যের নাম উজ্জ্বল করবো।
বন্ধুগণ,
মহারাষ্ট্রের মূল্যবোধ গড়ে তুলেছেন এখানকার সাহসী ও দৃঢ়চেতা মায়েরা। এই অঞ্চলের মাতৃত্বের শক্তি সারা দেশকে অনুপ্রাণিত করেছে। ওয়ারকারী ঐতিহ্যের তীর্থভূমি জলগাঁও। মহান সন্ন্যাসিনী মুক্তাই – এর ভূমিতে তাঁর অধ্যাত্ম শক্তি আজকের প্রজন্মকেও অনুপ্রাণিত করে। বহিনা বাঈ – এর কবিতাগুলি সমাজের বিভিন্ন নিয়মকে পুনর্মূল্যায়নের শক্তি যোগায়। মহারাষ্ট্রের প্রতিটি কোণায় মাতৃত্বের শক্তি অনুভব করা যায়। ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের জীবনে কে তাঁকে পথ দেখিয়েছিলেন? মাতা জিজায়ু, তাই না? সমাজ যখন শিক্ষা ও মহিলাদের কাজকে স্বীকৃতি দিত না, সাবিত্রী বাঈ ফুলে সেই সময় এগিয়ে আসেন। ভারতের মাতৃত্ব শক্তি দেশ ও সমাজের ভবিষ্যৎ গঠনে সর্বদাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আজ যখন আমরা উন্নত রাষ্ট্র হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছি, তখনও আমাদের মহিলাদের শক্তি অনুভূত হচ্ছে। আমি মহারাষ্ট্রের প্রত্যেক বোনের মধ্যে রাজমাতা জিজায়ু এবং সাবিত্রী বাঈ ফুলের প্রভাব দেখতে পাই।
বন্ধুগণ,
আমি যখন লোকসভা নির্বাচনের সময় এখানে প্রচার করতে এসেছিলাম, তখন আমি বলেছিলাম, আমাদের ৩ কোটি বোনকে লাখোপতি দিদি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য হয়ে এই ৩ কোটি দিদিরা কাজ করেন, যাঁরা বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত। এরা বছরে ১ লক্ষ টাকারও বেশি রোজগার করবেন। গত ১০ বছরে ১ কোটি লাখোপতি দিদি গড়ে তোলা হয়েছে। গত দু’মাসে ১১ লক্ষেরও বেশি লাখোপতি দিদি তৈরি হয়েছেন। এদের মধ্যে ১ লক্ষ দিদি মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। মহায়ুতি সরকার এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। মা ও বোনেদের ক্ষমতায়নের জন্য একনাথজি, দেবেন্দ্রজি এবং অজিত দাদার টিম যথেষ্ট সক্রিয়। মহারাষ্ট্রের মা, বোন, যুবসম্প্রদায় এবং কৃষকদের জন্য অগণিত প্রকল্প রয়েছে।
বন্ধুগণ,
লাখোপতি দিদি শুধুমাত্র আমাদের বোনেদের আয় বৃদ্ধির কর্মসূচি নয়, এটি আসলে সমগ্র পরিবার ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ক্ষমতায়নকে নিশ্চিত করে। গ্রামগুলির অর্থনীতির সংস্কার ঘটাতে সাহায্য করে। আজ এখানে উপস্থিত বোনেরা খুব ভালো করেই জানেন, যখন তিনি আয় করা শুরু করেছেন, তখন পরিবারে তাঁর সম্মান কতটা বৃদ্ধি পেয়েছে। যখন বোনেদের রোজগার বাড়ে তখন পরিবারের সদস্যরাও আরও বেশি অর্থ ব্যয়ের সুযোগ পান। অর্থাৎ কোনও বোন লাখোপতি দিদি হলেই গোটা পরিবারে তার প্রভাব পড়ে। এখানে আসার আগে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বোনেদের অভিজ্ঞতার কথা আমি শুনছিলাম। লাখোপতি দিদিরা যথেষ্ট আত্মপ্রত্যয়ী। এদের মধ্যে অনেকেই ২ লক্ষ টাকা আয় করেন। কেউ ৩ লাখ, কেউ ৮ লাখেরও বেশি। গত কয়েক মাসে তাঁরা এই সাফল্য অর্জন করেছেন।
বন্ধুগণ,
আজ আপনারা সর্বত্রই শুনছেন যে, ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে। আমাদের বোনেদের এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তবে, বছর কয়েক আগে এরকম পরিস্থিতি ছিল না। বোনেদের প্রত্যেক পরিবারকে খুশি রাখার দায়িত্ব ছিল। কিন্তু, তাঁদের কেউ সাহায্য করতেন না। লক্ষ লক্ষ বোনেদের নামে কোনও সম্পত্তি ছিল না। তাঁদের যদি ঋণের প্রয়োজন হ’ত, তাঁরা পেতেন না। কেউ যদি ছোট ব্যবসা করতে চাইতেন, ব্যাঙ্ক থেকে তাঁদের ঋণ দেওয়া হ’ত না। আর তাই, আপনাদের ভাই, আপনাদের এই ছেলে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আমি ঠিক করি যে, যাই ঘটুক না কেন আমি আমার দেশের মা, বোন ও মেয়ের এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেব। আর তাই, মোদী সরকার মহিলাদের জন্য একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি যে, আপনারা একদিকে পূর্ববর্তী সরকারগুলির সাত দশকের সময়কালকে রাখুন, আর অন্যদিকে মোদী সরকারের ১০ বছরকে বিবেচনা করুন। দেখবেন, মোদী সরকার বোন ও মেয়েদের জন্য যা কাজ করেছে, তা স্বাধীনতার পর আর কোনও সরকার করেনি।
বন্ধুগণ,
আমাদের সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, দরিদ্রদের জন্য যে গৃহ নির্মাণ করা হবে, তা হবে মহিলাদের নামে। এ পর্যন্ত ৪ কোটি বাড়ি নির্মিত হয়েছে। আমরা আরও তিন কোটি বাড়ি নির্মাণের কাজ শেষ করতে চলেছি। এই বাড়িগুলি বেশিরভাগই হচ্ছে মেয়েদের নামে। দ্বিতীয় যে বড় পরিবর্তন আমরা এনেছি, সেটি ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে। প্রথমেই আমরা জন ধন অ্যাকাউন্ট খুলেছি। এই অ্যাকাউন্টগুলির সিংহভাগই মহিলাদের। এরপর, আমরা মুদ্রা যোজনা শুরু করি। ঋণদানের ক্ষেত্রে কোনও গ্যারান্টার লাগছে না। গ্যারান্টার হ’ল মোদী। এই প্রকল্পের ৭০ ভাগ সুবিধাভোগী হলেন মহিলা। দেশের কেউ কেউ বলেন, মহিলাদের ঋণ দেওয়া উচিৎ নয়। কারণ, তাঁরা ঋণ খেলাপি হয়ে যান। কিন্তু, আমি একটু অন্যভাবে বিবেচনা করেছি। আমার মাতৃ শক্তির প্রতি সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আপনাদের সততা এবং ক্ষমতার প্রতি বিশ্বাস আছে। আমাদের মা ও বোনেরা কঠোর পরিশ্রম করেছেন এবং সততার সঙ্গে ঋণ পরিশোধ করেছেন। এখন আমরা মুদ্রা যোজনার সীমা বৃদ্ধি করে ২০ লক্ষ টাকা করেছি। আমরা রাস্তার হকারদের জন্য পিএম স্বনিধি প্রকল্পের সূচনা করেছি। এই প্রকল্পটিও আমাদের মা বোনেদের জন্য সুবিধাজনক হয়েছে। আমাদের অনেক বোন বিশ্বকর্মা সম্প্রদায়ের, যাঁরা হস্তশিল্পের সঙ্গে যুক্ত। আমাদের সরকার এদের জন্য ঋণের ব্যবস্থা করেছে।
বন্ধুগণ,
আমি যখন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কথা বলি, তখন দেখেছি যে, খুব কম লোকই এদের কথা গুরুত্ব সহকারে ভাবতেন। কিন্তু আজ এই গোষ্ঠীগুলি ভারতের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হয়ে উঠেছে। গ্রামাঞ্চল এবং প্রত্যন্ত আদিবাসী অঞ্চলের সখী মন্ডল যে পরিবর্তন নিয়ে এসেছে, তা বেশ বোঝা যাচ্ছে। গত ১০ বছরে ১০ কোটি বোন এই আন্দোলনে সামিল হয়েছেন। এরা যাতে ব্যাঙ্ক থেকে স্বল্প সুদে ঋণ পান, আমরা তা নিশ্চিত করেছি। এ প্রসঙ্গে আমি আপনাদের কাছে একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরছি। আপনারা এতে আশ্চর্যই হবে না, বিরক্তও হবেন। ২০১৪ সাল পর্যন্ত সখী মন্ডলগুলিকে মাত্র ২৫ হাজার কোটি টাকা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ দেওয়া হয়েছে। গত ১০ বছরে এরা ঋণ পেয়েছেন ৯ লক্ষ কোটি টাকা। অর্থাৎ, ৩০ গুণ বেশি। ফলস্বরূপ, গ্রামাঞ্চলে আমাদের বোনেদের আয় বেড়েছে এবং দেশ শক্তিশালী হয়েছে। আজ ১ লক্ষ ২৫ হাজার ব্যাঙ্ক সখী গ্রামাঞ্চলে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পৌঁছে দিচ্ছেন। কোনও কোনও বোন জানিয়েছেন, তাঁরা ১ কোটি টাকার বেশি আর্থিক লেনদেন করে থাকেন।
আমরা মহিলাদের এখন ড্রোন পাইলট হয়ে ওঠার জন্য প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। কৃষকদের আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষি কাজে সহায়তার জন্য মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে আমরা ড্রোন দিচ্ছি। পশুপালনের সঙ্গে যুক্ত ২ লক্ষ পশু সখীকে আমরা প্রশিক্ষিত করছি। আমরা কৃষি সখী কর্মসূচীর আওতায় দেশের বিভিন্ন গ্রামে আগামী দিনে লক্ষ লক্ষ কৃষি সখী গড়ে তুলব। এই উদ্যোগগুলি আমাদের বোনেদের মধ্যে আস্থা যোগাবে। তাঁদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং সমাজে মেয়েদের সম্ভাবনার কথা নতুনভাবে ভাবনাচিন্তা হবে।
বন্ধুগণ,
গত মাসে বাজেট পেশ হয়েছে। এই বাজেটে আমাদের মা ও বোনেদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পে ৩ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বিভিন্ন অফিস ও কারখানায় আমাদের বোনেরা যাতে কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট জায়গায় বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কর্মরতা মহিলাদের জন্য হস্টেল এবং তাঁদের শিশুদের জন্য ক্রেশের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আজ সশস্ত্র বাহিনীর ৩টি শাখায় মহিলা আধিকারিক নিয়োগ করা হচ্ছে। মেয়েরা যুদ্ধ বিমান চালাচ্ছেন, সৈনিক স্কুল ও মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে তাঁদের ভর্তির সুযোগ করা হয়েছে। আমাদের পুলিশ ও আধা-সামরিক বাহিনীতেও মহিলাদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে। কৃষি এবং ডেয়ারী বা দোহ শিল্পে যে স্টার্টআপ বিপ্লব পরিলক্ষিত হয়েছে, সেখানে বিপুল সংখ্যক মহিলা যুক্ত। রাজনীতিতে মহিলাদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির জন্য আমরা নারী শক্তি বন্দন আইন কার্যকর করেছি।
বন্ধুগণ,
আমাদের মা বোনেদের ক্ষমতায়নের সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও জাতীয় স্বার্থে অগ্রাধিকারের তালিকাভুক্ত। লালকেল্লার প্রাকার থেকে আমি বারবার এই প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছি। যে রাজ্যেই ঘটনা ঘটুক না কেন, আমাদের মা ও বোনেদের রাগ ও দুঃখ আমি উপলব্ধি করতে পারি। আমি প্রতিটি রাজনৈতিক দল ও রাজ্য সরকারকে বলব, তারা যাতে এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করে, যেখানে মহিলাদের বিরুদ্ধে সংগঠিত হওয়া অপরাধের যথাযথভাবে বিচার হয়। কারণ, এই অপরাধ অমার্যনীয়। যারা এই অপারাধীদের সাহায্য করে, তারাও যেন ছাড় না পায়। হাসপাতাল, স্কুল, অফিস অথবা থানা – প্রতিটি জায়গায় এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। সমাজের ওপর থেকে নীচ পর্যন্ত সর্বত্র এই বার্তাই পৌঁছে দিতে হবে যে, মেয়েদের বিরুদ্ধে সংগঠিত অপরাধ অমার্যনীয়। সরকার আসবে, সরকার যাবে। কিন্তু, মহিলাদের মর্যাদা রক্ষা করা সমাজ ও সরকারের অংশ হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
বন্ধুগণ,
মহিলাদের বিরুদ্ধে যাঁরা অপরাধ সংগঠিত করে, তাঁরা যাতে কঠোর শাস্তি পায়, তা নিশ্চিত করতে আমাদের সরকার আইনকে আরও শক্তিশালী করছে। আজ এই অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যায় মা ও বোনেরা রয়েছেন। আপনাদের জানাই, আগে অভিযোগ করা হ’ত, সঠিক সময়ে এফআইআর দায়ের করা হয়নি, শুনানি পিছিয়ে যাচ্ছে এবং মামলাগুলি দীর্ঘায়িত হচ্ছে। আমরা ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় এই সমস্যাগুলি দূর করেছি। মহিলা ও শিশুদের বিরুদ্ধে যে অপরাধ সংগঠিত হয়, তার প্রতিকারে একটি অনুচ্ছেদ রাখা হয়েছে। কোনও অত্যাচারিত মহিলা যদি থানায় যেতে না পারেন, তা হলে তিনি বাড়ি থেকে ই-এফআইআর দায়ের করতে পারবেন। ই-এফআইআর দায়েরের ফলে থানা পর্যায়ে কোনও সময়ের অপচয় হবে না। এর ফলে, দ্রুত তদন্ত হবে এবং দোষী শাস্তি পাবে। নাবালিকাদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদন্ড এবং যাবজ্জীবন কারাদন্ডের বিধান রাখা হয়েছে। অনেক মেয়েই বিয়ে নামে প্রতারণার শিকার হন। আগে এর জন্য কোনও বিধান ছিল না। এখন ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় বিবাহের নামে কেউ প্রতারণার শিকার হলে সে বিষয়ে শাস্তির স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সক্রিয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ভারতীয় সমাজ থেকে আমরা এই অপরাধকে সমূলে বিনাশ করব।
বন্ধুগণ,
আজ ভারত উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতে চলেছে। এক্ষেত্রে মহারাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এই রাজ্য আন্তর্জাতিক স্তরে বিনিয়োগকারীদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। মহারাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ আরও বিনিয়োগ এবং আরও কর্মসংস্থানের মধ্যে নিহিত রয়েছে। মহায়ুতি সরকার বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা দিচ্ছে। আগামী দিনেও মহারাষ্ট্রের একটি স্থায়ী মহায়ুতি সরকারের প্রয়োজন, যে সরকার শিল্পায়নকে উৎসাহিত করবে। মহারাষ্ট্রে এমন একটি সরকারের প্রয়োজন, যে সরকার শিক্ষা, দক্ষতা বিকাশ এবং মহারাষ্ট্রের যুবসম্প্রদায়ের কর্মসংস্থানকে অগ্রাধিকার দেবে। আমি নিশ্চিত যে, মা ও বোনেরা মহারাষ্ট্রের সমৃদ্ধির জন্য আমাকে সমর্থন করবেন।
মা ও বোনেরা, আপনাদের প্রতি আমার আস্থা রয়েছে। ভারত সরকার মহারাষ্ট্রের মহায়ুতি সরকারকে সবধরনের সহায়তা দেবে। আপনাদের সকলকে শুভেচ্ছা জানাই।
আমার সঙ্গে বলুন –
ভারত মাতা কি – জয়
দু’হাত তুলে জোর গলায় বলুন,
ভারত মাতা কি – জয়
ভারত মাতা কি – জয়
ভারত মাতা কি – জয়
ভারত মাতা কি – জয়
ভারত মাতা কি – জয়
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
(প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি হিন্দিতে দিয়েছেন)
PG/CB/SB
(Release ID: 2051999)
Read this release in:
English
,
Urdu
,
Hindi
,
Hindi_MP
,
Marathi
,
Manipuri
,
Assamese
,
Punjabi
,
Gujarati
,
Odia
,
Tamil
,
Telugu
,
Kannada
,
Malayalam