মৎস্য ও পশু পালন এবং দুগ্ধশিল্প মন্ত্রক

চন্দ্রযান-৩ অভিযানের সাফল্য উদযাপনের লক্ষ্যে ভারত সরকার ২৩ আগস্ট দিনটিকে “জাতীয় মহাকাশ দিবস” হিসেবে ঘোষণা করেছে

মৎস্যচাষ দপ্তর নতুন দিল্লির কৃষি ভবনে আগামীকাল “জাতীয় মহাকাশ দিবস” উদযাপন করবে

Posted On: 12 AUG 2024 1:52PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১২ আগস্ট ২০২৪

 

চন্দ্রযান-৩ অভিযানের সাফল্য উদযাপনের লক্ষ্যে ভারত সরকার ২৩ আগস্ট দিনটিকে “জাতীয় মহাকাশ দিবস” হিসেবে ঘোষণা করেছে। ২০২৩-এর এই দিনেই বিক্রম ল্যান্ডার চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে এবং তারপর প্রজ্ঞান রোভার চন্দ্রপৃষ্ঠ সমীক্ষার কাজ শুরু করে। সেই ঐতিহাসিক সাফল্য ভারতকে মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলির তালিকাভুক্ত করে দেয়। চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণকারী চতুর্থ এবং চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে অবতরণকারী প্রথম দেশ হিসেবে মর্যাদা পায় ভারত। ২০২৪-এর জুলাই এবং আগস্ট জুড়ে এই সাফল্যের উদযাপন চলছে সারা দেশে। এর লক্ষ্য মহাকাশ বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির বিষয়ে তরুণ প্রজন্মকে আরও উৎসাহী করে তোলা। 

কেন্দ্রীয় মৎস্যচাষ, পশুপালন এবং দুগ্ধোৎপাদন তথা পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রী শ্রী রাজীব রঞ্জন সিং নতুন দিল্লির কৃষি ভবনে আগামীকাল মৎস্যচাষ দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত “জাতীয় মহাকাশ দিবস” উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। উপস্থিত থাকবেন ওই মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক এস পি সিং বাঘেল এবং মৎস্যচাষ দপ্তরের সচিব ডঃ অভিলাষ লিখি প্রমুখ। 

উদযাপনের অঙ্গ হিসেবে নতুন দিল্লির পাশাপাশি দেশের ১৮টি জায়গায় “মৎস্যচাষ ক্ষেত্রে মহাকাশ প্রযুক্তির প্রয়োগ” বিষয়ে আলোচনা ও প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরাসরি এবং ভার্চ্যুয়ালি এই আয়োজনে যোগ দেবেন মৎস্যজীবী, সাগরমিত্র, মৎস্যচাষ সমবায় দপ্তরের প্রতিনিধি, বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মৎস্যচাষ বিভাগের আধিকারিক ও শিক্ষার্থীরা। 

দেশের অর্থনীতিতে মৎস্যচাষ ক্ষেত্রের অবদান অনেকখানি। ৮,১১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ বিস্তীর্ণ উপকূল রেখা ও অভ্যন্তরীণ জলসম্পদের কল্যাণে ভারতে মৎস্যচাষ পরিমণ্ডল যথেষ্ট সম্ভাবনাময়। 

সামুদ্রিক মৎস্য উৎপাদন ব্যবস্থাপনায় মহাকাশ প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। উপগ্রহ মারফৎ দূর-সংবেদন ব্যবস্থাপনা এবং ভূ-অবস্থান সংক্রান্ত তথ্যাদি এক্ষেত্রে মৎস্যচাষের সঙ্গে জড়িতদের সহায়তা করতে পারে অনেকখানি। উপগ্রহ-ভিত্তিক যোগাযোগ ব্যবস্থাপনা সামুদ্রিক প্রাণীসম্পদ সম্পর্কে মৎস্যজীবীদের মধ্যে তথ্যের আদান-প্রদান সহজ করে তুলবে। পাশাপাশি, বেআইনি কার্যকলাপ রোধেও এইসব প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ। 

সমুদ্র পরিসরে মাছ ধরার পক্ষে উপযুক্ত জায়গা চিহ্নিত করায় মহাকাশ প্রযুক্তি বিশেষভাবে উপযোগী। উল্লেখ্য, ২০১৪-য় ভারতের সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ আহরণের পরিমাণ ছিল ৩.৪৯ লক্ষ টন। ২০২৩-এ এই পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫.৩১ লক্ষ টন। 

‘প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদা যোজনা’র আওতায় মৎস্যসম্পদ আহরণে প্রযুক্তির ব্যবহারে বিশেষভাবে উদ্যোগী ভারত সরকারের মৎস্যচাষ বিভাগ। সমুদ্রে যাতায়াতকারী মাছ ধরার জলযানগুলির মধ্যে সমন্বয়ের লক্ষ্যে জাতীয় স্তরে একটি পরিকল্পনাও গৃহীত হয়েছে। এর লক্ষ্য, ৯টি উপকূলবর্তী রাজ্য এবং ৪টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মাছ ধরার ট্রলারগুলিতে ১ লক্ষ ট্রান্সপন্ডার বসানো। এজন্য খরচ ধরা হয়েছে ৩৬৪ কোটি টাকা। 
 

PG/AC/DM.



(Release ID: 2045093) Visitor Counter : 31