রাষ্ট্রপতিরসচিবালয়
azadi ka amrit mahotsav

রাজ্যপাল সম্মেলনের উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রপতি

Posted On: 02 AUG 2024 2:00PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ০২ আগস্ট, ২০২৪

 

রাষ্ট্রপতি শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মু নতুন দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে আজ রাজ্যপাল সম্মেলনের উদ্বোধন করেছেন। কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কের বিন্যাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ নানা বিষয় সহ সাধারণ মানুষের জন্য কল্যাণকর কর্মসূচির প্রসারেও এই সম্মেলনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। 

 

উদ্বোধনী ভাষণে রাষ্ট্রপতি বলেন, এই সম্মেলনের আলোচ্যসূচির নির্বাচিত বিষয়গুলি জাতীয় লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। উপরাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন। উপরাষ্ট্রপতি শ্রী জগদীপ ধনখড়, রাজ্যপালদের শপথের উল্লেখ করেন। সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্পগুলি সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করতে রাজ্যপালদের সাংবিধানিক দায়িত্বের দিকও তুলে ধরেন তিনি। তার পাশাপাশি গত এক দশকে দেশে যে অসাধারণ উন্নয়ন ঘটেছে সে সম্পর্কেও জনসাধারণকে ওয়াকিবহাল করার উপরেও তিনি গুরুত্ব দেন। 

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী কেন্দ্র-রাজ্যের মধ্যে কার্যকরী সেতুবন্ধ গড়ায় রাজ্যপালদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের কথা বলেন। সেইসঙ্গে জনসাধারণ এবং সামাজিক সংগঠনগুলিকেও অনগ্রসরশ্রেণী মানুষের কল্যাণে যুক্ত হতে বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজ্যপালের পদ একটা গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক পদ, যা রাজ্যের মানুষের বিশেষত আদিবাসী এলাকায় কল্যাণকর্মে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ দু’দিনের এই আলোচনাচক্রের গুরুত্বপূর্ণ দিককে তুলে ধরে রাজ্যপালদের উজ্জীবিত গ্রাম এবং উচ্চাকাঙ্খী জেলাগুলি নিয়মিত সফর করার আহ্বান জানান। সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থাবোধ গড়ে তোলার পাশাপাশি উন্নয়নমূলক কাজকর্মে শক্তিযোগানোর স্বার্থে তা জরুরি।

 

রাষ্ট্রপতি সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করে বলেন, ফৌজদারি ন্যায় বিচার সংক্রান্ত তিনটি নতুন আইনের রূপায়ণ দেশের বিচার ব্যবস্থায় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম - আইনের এই নতুন নামকরণের মধ্য দিয়ে বোঝা যায় আমাদের চিন্তাধারায় পরিবর্তন এসেছে। 

 

রাষ্ট্রপতি বলেন, সুষ্ঠু গণতন্ত্রের স্বার্থে রাজ্যগুলির সঙ্গে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির ভালো সমন্বয় রক্ষা করা দরকার। তিনি বলেন, রাজ্যপালদেরও ভেবে দেখা উচিত, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে এই সমন্বয়কে কিভাবে তারা আরও বেশি প্রসারিত করতে পারেন। 

 

রাষ্ট্রপতি বলেন, ব্যক্তির বিকাশ এবং সামাজিক পরিবর্তনের পাশাপাশি উদ্ভাবন এবং আর্থিক প্রগতির লক্ষ্যে গুণগত উচ্চ শিক্ষাকে এক অভিন্ন সম্পদ হিসেবে গণ্য করা হয়। তিনি বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির স্বীকৃতি ও মূল্যায়ন ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে রাজ্যপালদের উচিত তাঁদের নিজের ক্ষমতাবলে এই সংস্কার প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা।

 

রাষ্ট্রপতি বলেন, ভারত সরকার দরিদ্রদের উন্নয়নের পাশাপাশি সীমান্ত এলাকা, অনগ্রসর সম্প্রদায় ও এলাকা এবং দেশের উন্নয়নের যাত্রাপথে যেসব মানুষ পিছিয়ে রয়েছেন তাদেরকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। তিনি বলেন, আদিবাসী এলাকায় বসবাসকারী আদিবাসী জনসংখ্যার বিপুল অংশের ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের লক্ষ্যকে কিভাবে আরও বেশি করে অর্জন করা যায়, তা নিয়ে রাজ্যপালদের নতুন পন্থা পদ্ধতির নির্দেশ দেওয়া উচিত।  

 

রাষ্ট্রপতি বলেন, যুব উন্নয়ন এবং যুবদের দ্বারা উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হতে পারে যদি তাদের শক্তিকে সদর্থক এবং গঠনমূলক কাজের দিকে উৎসাহিত করা যায়। ‘মাই ভারত’ প্রচারাভিযানকে এই লক্ষ্যে একটি সুচিন্তিত ব্যবস্থা বলে উল্লেখ করেন তিনি। আরও বেশি করে যুব সম্প্রদায় যাতে এতে উপকৃত হন, সেজন্য রাজ্যপালদের উচিত তাদেরকে এ'ব্যাপারে উৎসাহিত করা। 

 

‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’ প্রচারাভিযানের উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এর ফলে বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মানুষরা একে অন্যকে আরও বেশি করে বুঝতে পারছেন। তিনি জলবায়ু পরিবর্তন এবং বিশ্ব উষ্ণায়নের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় আরও উদ্যোগ গ্রহণের কথা বলেন। ‘এক পেড় মা কে নাম’ এই প্রচারাভিযানে সাধারণ মানুষকে আরও বেশি করে যুক্ত করতে রাজ্যপালদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে তিনি জানান। 

 

রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রাকৃতিক উপায়ে চাষবাসে উৎসাহ দিয়ে আমরা মাটির উর্বরাশক্তি এবং কৃষকদের আয় বৃদ্ধি করতে পারি। জনকল্যাণে এবং মানুষের পরিষেবায় রাজ্যপালরা কাজ করলে তাঁদের শপথের সাথে ন্যায় বিচার করা হয় বলে রাষ্ট্রপতি জানান।

 

এই সম্মেলনে রাজ্যপালরা আলাদা আলাদা ভাগে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন বিষয়ের উপরে তাঁদের বক্তব্য জানাবেন। সম্মেলনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা ছাড়াও মন্ত্রকের আধিকারিকরা উপস্থিত থাকবেন। রাজ্যপালদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর প্রস্তাবসমূহ ৩ অগাস্ট, সমাপ্তি অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দেওয়া হবে।

 

PG/AB/SKD



(Release ID: 2040977) Visitor Counter : 71