প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে সংসদ সংস্কৃত প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

Posted On: 23 FEB 2024 2:21PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ 

 

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জি, কাশী বিদ্বত পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক বশিষ্ঠ ত্রিপাঠি জি, কাশী বিশ্বনাথ ন্যাস পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক নগেন্দ্র জি, রাজ্য সরকারের মন্ত্রীগণ এবং অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা, স্কলাররা, অংশগ্রহণকারীরা, ভদ্রমহোদয়া ও ভদ্রমহোদয়গণ!

আমার পরিবারের সকল সদস্যকে শুভেচ্ছা জানাই! সমস্ত স্কলার, বিশেষত তরুণ স্কলারদের মাঝে আমার মনে হচ্ছে, আমি যেন জ্ঞান সমুদ্রে ডুব দিয়েছি। কাশীর সঙ্গে আমাদের যোগসূত্র সেই প্রাচীনকাল থেকে। আমাদের তরুণরা এর স্বকীয়তাকে মজবুত করছেন। অমৃতকালে আমাদের তরুণ প্রজন্ম আগামী দিনে দেশকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবেন। কাশী হ’ল, সমস্ত জ্ঞানের রাজধানী। এটা অত্যন্ত গর্বের যে, কাশীর জ্ঞানের পরম্পরার যে ঐতিহ্য রয়েছে, আপনারা তার অংশীদার হয়ে উঠেছেন। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আপনারা অনেক কিছু শিখতে পেরেছেন এবং অনেকটা পথ এগিয়ে গিয়েছেন। 

আজ দুটি বই প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে কাশীতে গত ১০ বছরের উন্নয়নমূলক কাজকর্মের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। সেইসঙ্গে, এই বই দুটিতে ঠাঁই পেয়েছে, এখানকার সংস্কৃতিও। 

বন্ধুগণ,

ভগবান শিবের আশীর্বাদকে সঙ্গী করে গত ১০ বছরে কাশীর সর্বাত্মক উন্নয়ন ঘটানো হয়েছে। আজ আবার কোটি কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। আপনারা সকলে গত ১০ বছরে কাশীতে গঙ্গার উন্নয়ন দেখেছেন এবং কত দ্রুত কাশী বদলে গেছে, তাও দেখেছেন। আমি কি সত্যি বলছি না? কাশী শুধুমাত্র আমাদের বিশ্বাসের তীর্থভূমি নয়, এটি ভারতের চিরন্তন চেতনা বিকাশের কেন্দ্র। এই কাশী হ’ল, আমাদের সংস্কৃতি ও সঙ্গীতের উৎসস্থল। বিজ্ঞান হোক, বা অন্য কোনও ক্ষেত্র, যখনই ভারত নতুন কোনও ভাবনার জন্ম দিয়েছে, তার সঙ্গে কাশী বা অন্য কোনও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে। কাশী হ’ল, শিবের শহর এবং সেইসঙ্গে বৌদ্ধ শিক্ষার ভূমিও। প্রত্যেক অঞ্চল, প্রত্যেক ভাষা, প্রত্যেক ঐতিহ্য মানুষ কাশীতে ছুটে আসেন জ্ঞানের অন্বেষণ, গবেষণা এবং শান্তির জন্য। 

ভাই ও বোনেরা,

বিশ্বনাথ ধাম উদ্বোধনের সময় আমি বলেছিলাম যে, বিশ্বনাথ ধাম ভারতকে দিক-নির্দেশ করবে, ভারতকে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আজ তা আমরা দেখতে পাচ্ছি। নতুন কাশী নতুন ভারতের প্রেরণা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। আমার আশা, যে সব তরুণ এখান থেকে পাশ করে বেরোবেন, তাঁরা গোটা বিশ্বের সামনে ভারতের জ্ঞান, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বার্তাবাহক হয়ে উঠবেন। বাবা বিশ্বনাথের ভূমি গোটা বিশ্বের কল্যাণ-সাধনের ক্ষেত্র হয়ে উঠবে।

বন্ধুগণ,

নানা ভাষার মাধ্যমে আমাদের জ্ঞান, বিজ্ঞান ও আধ্যাত্মিকতা উল্লেখযোগ্যভাবে সমৃদ্ধ হয়েছে। তার মধ্যে সামনের সারিতে রয়েছে সংস্কৃত। ভারত হ’ল, একটি যাত্রা এবং সংস্কৃত হ’ল, এর ইতিহাসের প্রাথমিক অধ্যায়। ভারত হ’ল, বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের ভূমি এবং সংস্কৃত হ’ল, এর উৎস। এমন একটা সময় ছিল, যখন আমাদের দেশের বিজ্ঞান গবেষণা এই সংস্কৃত ভাষাতেই করা হ’ত। 

বন্ধুগণ,

আজ কাশীকে ঐতিহ্য এবং বিকাশের মডেল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এখানে পরিকাঠামো এবং সমস্ত সুযোগ-সুবিধা গড়ে তোলা হচ্ছে। উত্তর প্রদেশের কুশীনগরে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ করা হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরে দেশে উন্নয়নে আরও গতি আসবে এবং সাফল্যের নজির গড়বে। এটাই মোদীর গ্যারান্টি। কাশীকে নতুন করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। এখানে সেতু তৈরি করা হবে, রাস্তা নির্মাণ করা হবে। গড়ে তোলা হবে নতুন ভবন। আমি পুরস্কারজয়ীদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। 

হর হর মহাদেব!

(প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি দিয়েছেন হিন্দিতে) 

 

PG/MP/SB


(Release ID: 2015623) Visitor Counter : 64