প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

গুজরাটের মেহসানার তারাভে ১৩,৫০০ কোটিরও বেশি অর্থমূল্যের একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সূচনা ও শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী

ইন্টারনেট সংযোগ, রেল, সড়ক, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, গবেষণা ও পর্যটন ক্ষেত্র সংক্রান্ত একগুচ্ছ প্রকল্পের সূচনা

রেল, সড়ক ও জল সরবরাহ সংক্রান্ত একগুচ্ছ প্রকল্প জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ

গান্ধীনগরের গুজরাট বায়োটেকনলোজি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষা ভবনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

আনন্দে জেলা স্তরের হাসপাতাল ও আয়ুর্বেদ হাসপাতাল, অম্বাজিতে ঋণছাদিয়া মহাদেব মন্দির ও লেকের শিলান্যাস

গান্ধীনগর, আমেদাবাদ, বনসকন্ঠ ও মেহসানাতে একগুচ্ছ সড়ক ও জল সরবরাহ প্রকল্পের শিলান্যাস; দিসায় বায়ুসেনার ঘাঁটিতে রানওয়ের সূচনা

আমেদাবাদে মানব ও জৈব বিজ্ঞান গ্যালারির শিলান্যাস, গিফট সিটিতে গুজরাট জৈব প্রযুক্তি গবেষণা কেন্দ্রের নতুন ভবনের শিলান্যাস

Posted On: 22 FEB 2024 2:54PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি,  ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের মেহসানার তারাভে ১৩,৫০০ কোটিরও বেশি অর্থমূল্যের একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সূচনা ও শিলান্যাস করেছেন। এর মধ্যে ইন্টারনেট সংযোগ, রেল, সড়ক, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, গবেষণা ও পর্যটন ক্ষেত্র সংক্রান্ত একগুচ্ছ প্রকল্প রয়েছে। 

সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ থেকে ঠিক এক মাস আগে অযোধ্যায় রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সৌভাগ্য তাঁর হয়েছিল। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আবুধাবিতে উপসাগরীয় দেশে প্রথম হিন্দু মন্দির প্রতিষ্ঠার স্মৃতিচারণও করেন তিনি। 

তারাভে আজ বালিনাথ মহাদেব মন্দিরে তিনি বিগ্রহ দর্শন ও পূজাপাঠ করেছেন বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই মন্দির যেমন একটি শৈব তীর্থ, তেমনি রেওয়ারি সমাজের কাছেও এটি অত্যন্ত পবিত্র এক স্থান। সারা বিশ্ব থেকে ভক্তরা এখানে সমবেত হন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতে এখন ‘দেব কাজ’ এবং ‘দেশ কাজ’ একই সঙ্গে দ্রুত গতিতে চলছে। একদিকে যেমন পবিত্র তীর্থস্থানের সংস্কার করা হচ্ছে, তেমনি ১৩,০০০ কোটি টাকার উন্নয়নমূলক বিভিন্ন প্রকল্পের সূচনা ও শিলান্যাস করা হয়েছে। রেল, সড়ক, বন্দর, পরিবহণ, জল সরবরাহ, নিরাপত্তা, নগরোন্নয়ন ও পর্যটন ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত এই সব প্রকল্প সহজ জীবনযাপনের পথ প্রশস্ত করবে এবং এখানকার যুবসমাজের জন্য কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত খুলে দেবে। 

মেহসানার পবিত্র ভূমিতে আধ্যাত্মিক শক্তির অনুরণন রয়েছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাজার হাজার বছর ধরে এখানকার পরিবেশ ভগবান কৃষ্ণ ও দেবাদিদেব মহাদেবের সঙ্গে ভক্তদের সংযোগসাধন করছে। এই প্রসঙ্গে তিনি গদিপতি মহন্ত বিরমগিরি বাপু এবং মহন্ত শ্রী জয়রামগিরি বাপুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বালিনাথ মহাদেব, হিংলাজ মাতাজি এবং ভগবান দত্তাত্রেয়র মন্দির সংস্কারের কাজ সম্পন্ন হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী এই কাজে নিয়োজিত কারিগর ও শ্রমিকদের অভিনন্দন জানান। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই মন্দিরগুলি শুধু উপাসনারই স্থান নয়, এগুলি আমাদের শতাব্দী প্রাচীন সভ্যতার প্রতীক। সমাজে জ্ঞানের প্রসারেও মন্দিরগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। স্থানীয় আখড়াগুলি এক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছে। স্কুল এবং কলেজ গড়ে তোলার ফলে স্থানীয় মানুষের মধ্যে শিক্ষা ও চেতনার প্রসার ঘটেছে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মোদীর গ্যারান্টির লক্ষ্য হল সমাজের প্রান্তিকতম স্থানে থাকা মানুষটির জীবনেও পরিবর্তন আনা। এই প্রসঙ্গে তিনি কোটি কোটি দরিদ্র মানুষের জন্য পাকাবাড়ি নির্মাণের এবং ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার কর্মসূচির উল্লেখ করেন। ১০ কোটি পরিবারে নলবাহিত জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। 

প্রধানমন্ত্রী গত দু-দশকে গুজরাটের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী স্থানের উন্নয়ন এবং পরিকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন সরকারি প্রয়াসের উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, দশকের পর দশক ধরে ভারতে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে উন্নয়ন ও ঐতিহ্যের মধ্যে সংঘাত বাধানোর চেষ্টা হয়েছে। কিছু মানুষ এমনকি ভগবান রামের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাঁর মন্দির নির্মাণে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছেন। আজ যখন সমগ্র জাতি রামলালার জন্মস্থানে মন্দির নির্মাণ নিয়ে উদ্বেল, তখনও কিছু মানুষ নেতিবাচকতা ছড়ানোর চেষ্টা করছেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ এমন এক নতুন ভারত গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উত্তরাধিকার হয়ে থাকবে। নতুন ও আধুনিক রাস্তাঘাট এবং রেলপথ উন্নত ভারতের দিকে যাত্রা সুগম করবে। দেড় বছর আগে দিসা বায়ুসেনা ঘাঁটিতে রানওয়ের শিলান্যাস করা হয়েছিল। আজ এই রানওয়ের উদ্বোধনই প্রমাণ করে যে মোদী যা গ্যারান্টি দেয় তা পালন করে। 

২০ – ২৫ বছর আগেকার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই সময়ে উত্তর গুজরাটে সুযোগ সুবিধা খুবই সীমিত ছিল। সেখানে শিল্পের বিকাশও সেভাবে হয়নি। কৃষিজীবী ও পশুপালকদেরও কঠোর জীবনসংগ্রামের মুখোমুখি হতে হতো। বর্তমান সরকার সমগ্র অঞ্চলের জলস্তর বাড়িয়েছে। কৃষকরা এখন বছরে ২-৩টি শস্যের চাষ করতে পারছেন। আজ দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে যে ৮টি জল সরবরাহ সংক্রান্ত প্রকল্পের সূচনা ও শিলান্যাস হল সেগুলি উত্তর গুজরাটের জল সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে বিশেষ সহায়ক হবে। রাসায়নিকমুক্ত প্রাকৃতিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ এবং জলসেচের আধুনিক প্রযুক্তি অবলম্বনের জন্য উত্তর গুজরাটের কৃষকদের প্রশংসা করেন তিনি। 

অনুষ্ঠানে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। 


PG/SD/AS


(Release ID: 2015547) Visitor Counter : 66