প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

প্রধানমন্ত্রী অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রী সত্যসাঁই জেলার পালাসমুদ্রমে ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ কাস্টমস, ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড নারকোটিক্স-এর নতুন ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করেছেন

Posted On: 16 JAN 2024 6:08PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৪


প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রী সত্যসাঁই জেলার পালাসমুদ্রমে ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ কাস্টমস, ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড নারকোটিক্স-এর নতুন ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করেছেন। তিনি এই উপলক্ষে আয়োজিত প্রদর্শনীটিও ঘুরে দেখেন। প্রধানমন্ত্রী ইন্ডিয়ান রেভেনিউ সার্ভিস (কাস্টমস অ্যান্ড ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস)- এর ৭৪ ও ৭৫ ব্যাচের অফিসার পদে প্রশিক্ষণাধীনদের পাশাপাশি ভুটানের রয়্যাল সিভিল সার্ভিসের অফিসার পদে প্রশিক্ষণাধীনদের সঙ্গে কথা বলেন।
সমাবেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী পালাসমুদ্রমে এই নতুন ক্যাম্পাসের উদ্বোধনের জন্য প্রত্যেককে অভিনন্দন জানান। পালাসমুদ্রমের বিশেষত্বকে তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অঞ্চল আধ্যাত্মিকতা, দেশ গঠন এবং সুপ্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং এই অঞ্চল ভারতের ঐতিহ্যের প্রতিনিধি। পুত্তাপুর্ত্তিতে শ্রী সত্যসাঁই বাবার জন্মস্থল, মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী পদ্মশ্রী কাল্লুর সুব্বারাও, বিখ্যাত পুতুল নাচশিল্পী দালাভাই চলাপতিরাও এবং মহান বিজয়নগর সাম্রাজ্যের সুপ্রশাসনের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী প্রেরণার উৎস বলে জানান।
আজ থিলুভাল্লাভুর দিবস। সেই সূত্রে প্রধানমন্ত্রী মহান তামিল ঋষির বাণী উদ্ধৃত করেন এবং বলেন গণতন্ত্রে মানুষের কল্যাণে কর সংগ্রহে রাজস্ব আধিকারিকদের ভূমিকার কথা। 
প্রধানমন্ত্রী মোদী এর আগে লেপাক্ষীর বীরভদ্র মন্দির পরিদর্শন করেন এবং রঙ্গনাথ রামায়ণের পাঠ শোনেন। প্রধানমন্ত্রী ভক্তদের সঙ্গে ভজন কীর্তনে যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রী জানান, অযোধ্যাধামে মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে তিনি ১১ দিনের বিশেষ আচার পালন করছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, শ্রীরামের প্রেরণা ভক্তিরও ঊর্ধ্বে। শ্রীরাম সুপ্রশাসনের প্রতীক এবং এই প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রবল অনুপ্রেরণা।
মহাত্মা গান্ধীর লেখা উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রামরাজ্যের মূল ভাবনাটি প্রকৃত গণতন্ত্রের ভিত্তি। মহাত্মা গান্ধী যে রামরাজ্যের আদর্শের কথা বলতেন সেটা প্রধানমন্ত্রী জানান, যেখানে দেশে প্রত্যেক নাগরিকের কথা শোনা হয় এবং প্রত্যেকই তাদের প্রাপ্য সম্মান পান। প্রধানমন্ত্রী সংস্কৃত শ্লোক উদ্ধৃত করে বলেন, “রামরাজ্যবাসী (নাগরিক), মাথা উঁচু করে থাকুন এবং ন্যায়ের জন্য লড়াই করুন, প্রত্যেকের সঙ্গে সমান ব্যবহার করুন, দুর্বলকে রক্ষা করুন, ধর্মকে সর্বোচ্চ স্থানে রাখুন, আপনি হবেন রামরাজ্যবাসী”। তিনি বলেন, “একবিংশ শতাব্দীতে যারা এই আধুনিক প্রতিষ্ঠানগুলির নীতিনির্দেশ তৈরি করবেন তাদের এই ৪ টি বিষয়কে মনে রাখতে হবে।”
রামচরিতমানসের উল্লেখ করে রামরাজ্যে স্বামী তুলসীদাস বর্ণিত কর ব্যবস্থার কথা বলেন। কর ব্যবস্থার কল্যাণের দিকটি তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি গত ১০ বছরে কর সংস্কার নিয়ে বলেন। পূর্বেকার সময়ে অস্বচ্ছ কর ব্যবস্থার কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি। তিনি আরও বলেন, “আমরা দেশকে নতুন ব্যবস্থা দিয়েছি জিএসটি চালু করে এবং আয়করের সরলীকরণ করে এবং ব্যক্তিগত হাজিরা ছাড়াই কর নির্ধারণ করে”। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মানুষের অর্থ ফিরিয়ে দিচ্ছি বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে। 
রামরাজ্যে সম্পদের পূর্ণ ব্যবহারের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পূর্বে সরকারগুলি বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে বিলম্ব ঘটানোয় দেশের প্রভূত আর্থিক ক্ষতি হত। তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি যে কাজ সময়ে শেষ হলে ক্ষতি কম হয় এবং সময় বাঁচে”।
আরও একবার গোস্বামী তুলসীদাসকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী এমন এক ব্যবস্থা তৈরি করার কথা বলেন যেখানে শুধুমাত্র যার প্রয়োজন সেই দরিদ্র মানুষই সহায়তা পাবে। তিনি জানান গত ১০ বছরে ১০ কোটি ভুয়ো নাম নথি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, “আজ প্রতিটি পয়সা সুবিধাপ্রাপকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছচ্ছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই এবং দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ, এই সরকারের অগ্রাধিকার।”
প্রধানমন্ত্রী মোদী গতকাল নীতি আয়োগ প্রকাশিত সাম্প্রতিক প্রতিবেদনটির উল্লেখ করেন যেখানে বলা হয়েছে বর্তমান সরকারের প্রয়াসের ফলে গত ৯ বছরে ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্রমুক্ত হয়েছেন। একে ঐতিহাসিক এবং অভূতপূর্ব সাফল্য বলে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, আগে দশকের পর দশক ধরে শুধু গরিবি হটাও-এর স্লোগান দেওয়াই হত। ২০১৪-য় ক্ষমতায় আসার পর বর্তমান সরকার দরিদ্রদের কল্যাণে অগ্রাধিকার দিয়েছে। যদি দরিদ্র মানুষকে অর্থ এবং সুযোগ দেওয়া হয় তাহলে দারিদ্রকে পরাজিত করার ক্ষমতা আছে তাদের। আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি এটি বাস্তব হয়ে উঠছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী দারিদ্র হ্রাসের জন্য নব্য মধ্যবিত্ত শ্রেণির উত্থানকেই কৃতিত্ব দেন। তিনি বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত সকল মানুষ নব্য মধ্যবিত্ত শ্রেণির সম্ভাবনা এবং অর্থনৈতিক কাজে নব্য মধ্যবিত্ত শ্রেণির অবদানের কথা বুঝতে পেরেছেন। 
প্রধানমন্ত্রী মোদীর লালকেল্লার প্রাকার থেকে বলা সবকা প্রয়াসের কথা উল্লেখ করেন। রাবণের বিরুদ্ধে সম্পদের কৌশলী ব্যবহারে শ্রীরামের দক্ষতার উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আধিকারিকদের দেশ গঠনে তাদের ভূমিকার কথা অনুধাবন করতে বলেন এবং দেশের আয়, বিনিয়োগ এবং সহজে ব্যবসা করার সুযোগ বাড়াতে সমন্বিত প্রয়াসের আহ্বান জানান। 
অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্যপাল শ্রী এস আব্দুল নাজির, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ওয়াই এস জগনমোহন রেড্ডি, অর্থমন্ত্রী শ্রীমতি নির্মলা সীতারমন, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস-এর চেয়ারম্যান শ্রী সঞ্জয় কুমার আগরওয়াল উপস্থিত ছিলেন অন্যদের মধ্যে।  

PG/AP /SG



(Release ID: 2015394) Visitor Counter : 30