প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

উত্তরপ্রদেশের লক্ষ্ণৌতে বিকশিত ভারত বিকশিত উত্তরপ্রদেশ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

Posted On: 19 FEB 2024 4:36PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ লক্ষ্ণৌতে বিকশিত ভারত বিকশিত উত্তরপ্রদেশ অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন। ফেব্রুয়ারিতে উত্তর প্রদেশ চতুর্থ বিশ্ব বিনিয়োগকারী শিখর সম্মেলন ২০২৩-এ ১০ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের ১৪০০০ প্রকল্পের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। এই সমস্ত প্রকল্পগুলি নির্মাণ, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর পরিষেবা, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, আবাসন, রিয়েল এস্টেট, স্বাস্থ্য, বিনোদন এবং শিক্ষা ক্ষেত্রগুলির সঙ্গে জড়িত।

অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিকশিত ভারত সংকল্পের মধ্যে দিয়ে বিকশিত উত্তরপ্রদেশের উন্নয়নে আজকের এই অনুষ্ঠান এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ স্বরূপ। উত্তরপ্রদেশের ৪০০টির বেশি নির্বাচনী ক্ষেত্রের লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের উপস্থিতিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, গত ৭-৮ বছরে যা সম্ভব ছিল না, প্রযুক্তির সহায়তায় প্রান্তবর্তী এলাকার মানুষও এখন এই জাতীয় অনুষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হতে পারছেন। অতীতে উত্তর প্রদেশে উচ্চহারে অপরাধ প্রবনতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উত্তরপ্রদেশে এখন পরিবেশের সদর্থক পরিবর্তন হয়েছে এবং বিনিয়োগ ও উন্নয়নের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। তিনি নিজে বারাণসীর সাংসদ হওয়ায় রাজ্যের এই উন্নয়নে আনন্দ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের উত্তর প্রদেশ লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রত্যক্ষ করছে। আজকের উন্নয়ন প্রকল্পগুলি সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বিনিয়োগকারী ও যুব সম্প্রদায়কে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, এতে উত্তর প্রদেশের সামগ্রিক পরিবর্তন ঘটবে। 

গত ৭ বছর ধরে উত্তরপ্রদেশের ডবল ইঞ্জিন সরকারের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সময়কাল উত্তরপ্রদেশে লাল ফিতে সংস্কৃতিকে বদলে দিয়ে লাল কার্পেটের সংস্কৃতি নিয়ে এসেছে। তিনি বলেন, বিগত ৭ বছরে উত্তরপ্রদেশে অপরাধ প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে এবং ব্যবসায়িক সংস্কৃতি প্রসারলাভ করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ৭ বছরে উত্তরপ্রদেশের ব্যবসার বাতাবরণের মধ্যে দিয়ে এক আস্থার মনোভাব গড়ে উঠেছে মানুষের মধ্যে দিয়ে। ডবল ইঞ্জিন সরকারের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিবর্তন যে কতখানি আবশ্যক ছিল, এই সরকার তা প্রমান করেছে। তিনি এই সময়কালের মধ্যে রাজ্য থেকে রপ্তানী দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান। রাজ্যে, বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং বন্টনেরও প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের উত্তরপ্রদেশ এমন এক রাজ্য যেখানে দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি এক্সপ্রেসওয়ে, আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর রয়েছে। এটি এমন এক রাজ্য যেখানে দেশের প্রথম র‌্যাপিড রেল চলছে। পূর্বাঞ্চল এবং পশ্চিমাঞ্চল পেরিফেরাল এক্সপ্রেসওয়ের বৃহদাংশের উপস্থিতি এই রাজ্যে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। রাজ্যে নদী জলপথের ব্যবহারের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরফলে যাতায়াত যেমন সুগম হয়েছে তার পাশাপাশি যোগাযোগের প্রসার ঘটেছে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের এই উন্নয়ন প্রকল্পগুলি কেবলমাত্র বিনিয়োগের নিরিখে বিচার করলে হবেন না। উন্নত ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে এর এক সার্বিক মূল্যায়ন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশার সঞ্চার ঘটাবে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। তিনি তাঁর সাম্প্রতিক সংযুক্ত আরব আমিরশাহী এবং কাতার সফর সম্পর্কে জানান। বিশ্বজুড়ে সর্বত্রই ভারতকে ঘিরে এক সদর্থক মনোভাব গড়ে উঠেছে। এবং ভারতের এই আর্থিক বৃদ্ধিতে প্রত্যেকটি রাষ্ট্রই এক নিশ্চয়তা এবং বিশ্বাসের অনুভব খুঁজে পাচ্ছে। তিনি বলেন, দেশজুড়ে যেখানে মোদীর গ্যারান্টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, সেখানে বিশ্ব এখন ভারতকে বিনিয়োগের এক ভালো রিটার্ন বলে দেখছে। প্রধানমন্ত্রী বিনিয়োগকারীদের প্রতি আস্থা জ্ঞাপন করে বলেন, নির্বাচন আসা মাত্রই বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতির সংস্কৃতি থেকে ভারত এখন সরে এসেছে। বিশ্বজুড়ে বিনিয়োগকারীরা এখন সরকারি নীতির প্রতি বিশ্বাস ব্যক্ত করছেন। উত্তরপ্রদেশেও এই অনুরূপ মনোভাব প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিকশিত ভারতের লক্ষ্যে নতুন করে চিন্তা করার সময় এসেছে। জনসাধারণের ন্যূনতম প্রয়োজন মেটানো এবং আঞ্চলিক ভারসাম্য বজায় রাখার অতীতের মনোভাব কোনো অবস্থাতেই রাষ্ট্রের উন্নয়নের উপযোগী নয় বলে তিনি জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই জাতীয় মনোভাবের ফলেই অতীতে উত্তরপ্রদেশকেও ফলভোগ করতে হয়েছে। তিনি বলেন, ডবল ইঞ্জিন সরকার প্রত্যেক পরিবারের জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে এসেছে। এর পাশাপাশি ব্যবসা ক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ্য  ঘটিয়েছে। তিনি বলেন, পিএম আবাস যোজনায় ৪ কোটি পাকা বাড়ি নির্মিত হয়েছে। শহরের মধ্যবিত্ত পরিবারগুলিকেও নিজের বাড়ির স্বপ্নপূরণে ৭ হাজার কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ২৫ লক্ষ সুবিধাভোগী পরিবারের মধ্যে উত্তরপ্রদেশেই ১.৫ লক্ষ পরিবার রয়েছে যারা সুদে ছাড় পেয়েছে। আয়কর সংস্কারের ফলে ২০১৪ সালে যেখানে আয় কর ছাড়ের সীমা ছিল ২ লক্ষ টাকা, তা এখন ৭ লক্ষ টাকায় দাঁড়ানোয় মধ্যবিত্ত পরিবারগুলি উপকৃত বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার এখন জীবনযাত্রায় স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে এসেছে, এর পাশাপাশি ব্যবসার স্বাচ্ছন্দ্য বিকাশের ওপরেও গুরুত্ব দিচ্ছে। ডবল ইঞ্জিন সরকার প্রত্যেক সুবিধাভোগীর কাছে সরকারের প্রত্যেকটি সুবিধা পৌঁছে দিচ্ছে। তিনি বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার উল্লেখ করে বলেন, উত্তর প্রদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ এতে উপকৃত। শহর গ্রাম সর্বত্রই মানুষের বাড়ির দরজায় এই সুবিধা পৌঁছে দিচ্ছে মোদীর গ্যারান্টি যান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি প্রকল্পগুলির সার্বিক লক্ষ্যপূরণ সামাজিক ন্যায়বিচারের এক আস্থা মনোভাব গড়ে তুলছে মানুষের মনে। শ্রী মোদী একে প্রকৃত ধর্মনিরপক্ষতার আখ্যা দেন। তিনি বলেন, অতীতে সরকারগুলির দূর্নীতিপরায়নতা সুবিধাভোগীদের কাছে সুবিধা পৌঁছে দিত না। তিনি বলেন, প্রত্যেক বাড়িতে পাইপ বাহিত পরিশ্রুত পানীয় জল, বিদ্যুৎ সংযোগ, পাকা বাড়ি এই সমস্ত যাবতীয় প্রতিশ্রুতি প্রত্যেক সুবিধাভোগীর কাছে যতক্ষণ না পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত মোদীর গ্যারেন্টি থেমে থাকবে না। 

অতীতে যাঁরা অবহেলিত হয়েছেন মোদী তাঁদের প্রতি নজর দিচ্ছেন বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাস্তার হকারদের পিএম স্বনিধি প্রকল্পে ১০,০০০ কোটি টাকার আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। উত্তরপ্রদেশেই ২২ লক্ষ রাস্তার হকার এই সাহায্য পেয়েছে। তিনি জানান, সুবিধাভোগীর এই প্রকল্পের ফলে বার্ষিক তাঁদের আয় ২৩০০০ টাকার মতো বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি জানান, পিএম স্বনিধির ৭৫ শতাংশ সুবিধাভোগী তপশীলি জাতি, উপজাতি, অনুন্নত বা আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত। যাদের অর্ধেকের বেশি মহিলা। তিনি বলেন, অতীতে তাদের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের কোনো গ্যারেন্টি থাকতো না। আজ মোদী সেই গ্যারেন্টি দিচ্ছে। তিনি একে জয়প্রকাশ নারায়ণের সামাজিক ন্যায়বিচার এবং রাম মনোহর লোহিয়ার স্বপ্নের বাস্তবায়ন বলে জানান।

লাখপতি দিদি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই নীতি এবং ডবল ইঞ্জিন সরকারের সিদ্ধান্তের ফলে অর্থনীতি এবং সামাজিক ন্যায় উভয়ই উপকৃত। তিনি বলেন, ১০ কোটি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত। এ পর্যন্ত ১ কোটি মহিলা লাখপতি দিদি হয়েছে। গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে ৩ কোটি লাখপতি দিদি তৈরি করা হবে বলে সরকারি সিদ্ধান্তের কথা প্রধানমন্ত্রী জানান। 

প্রধানমন্ত্রী উত্তরপ্রদেশের ক্ষুদ্র, অণু এবং কুটিরশিল্পকে শক্তিশালী করা প্রসঙ্গে বলেন, রাজ্যের এমএসএমই ক্ষেত্রকে সরকারি সমর্থন দেওয়া হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে তিনি প্রতিরক্ষা করিডর প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন। এক রাজ্য এক পণ্য প্রকল্পে প্রত্যেক জেলার আঞ্চলিক পণ্যকেও তুলে ধরা হচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা প্রকল্পে ১৩০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ উত্তরপ্রদেশের বিশ্বকর্মা পরিবারগুলিকে আধুনিক ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করবে। 

প্রধানমন্ত্রী জানান, সরকার দ্রুততার সঙ্গে কাজ করছে। ভারতে খেলনা নির্মাণ ক্ষেত্রের ওপরও তিনি আলোকপাত করেন। বারাণসীতে কাঠের খেলনা নির্মাণের প্রসার ঘটানো হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, অতীতে বিদেশ থেকে খেলনা আমদানির ফলে ভারতের কারিগরদের দক্ষতা বিপণ্ন হত। কিন্তু মনে রাখতে হবে আমাদের দেশে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই খেলনা নির্মাণের এক সমৃদ্ধ সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। খেলনা নির্মাণের ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তি গ্রহণের জন্য কারিগরদের অতীতে কোনো সাহায্য দেওয়া হত না বলে প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপ করেন। তিনি বলেন, বর্তমানে এই সাহায্যের ফলে ভারতের খেলনা বিদেশে রপ্তানী বেড়েছে। 

উত্তরপ্রদেশকে তিনি এক বৃহত্তম পর্যটন হাব বলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রত্যেকটি মানুষ বারাণসীতে আসতে চান এবং অযোধ্যায় মন্দির নির্মাণ লক্ষ লক্ষ পর্যটকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। তিনি বলেন, ক্ষুদ্র উদ্যোগপতি, বিমান সংস্থা এবং উত্তরপ্রদেশের হোটেল, রেস্তোরা মালিকদের জন্য অভূতপূর্ব সুযোগ সঞ্চার ঘটছে। উত্তরপ্রদেশের উন্নত মানের আঞ্চলিক, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক যোগাযোগের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বারাণসীর মাধ্যমে বিশ্বের বৃহত্তম জলপথ যাত্রার সঞ্চার ঘটেছে। ২০২৫ সালে কুম্ভ মেলার আয়োজন রাজ্যের অর্থনীতির প্রভূত উপকারে লাগবে বলেও তিনি জানান। তিনি বলেন, পর্যটন এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এই রাজ্যে কর্মসংস্থানের প্রভূত সুযোগ ঘটবে।

ভারত বৈদ্যুতিক পরিবহন ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রীন এনার্জির ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ও নির্মাণে ভারত এক বিশ্ব হাব হয়ে উঠবে। তিনি বলেন, সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি বাড়ির ছাদকে কাজে লাগানো হবে। প্রধানমন্ত্রী সূর্যঘর অথবা নিখরচায় বিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্ষেত্রে ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারে কোনো খরচ লাগবে না এবং দেশবাসী বাড়তি বিদ্যুৎ সরকারেকে বিক্রি করতে পারবে। ১ কোটি পরিবারের ক্ষেত্রে এই প্রকল্পে প্রত্যেক পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৩০,০০০-৮০,০০০ টাকা সরাসরি দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, যারা মাসে ১০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করবেন তারা ৩০,০০০ টাকা পাবেন আর ৩০০০ ইউনিটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারেবেন তাদের ৮০,০০০ টাকা দেওয়া হবে।

বৈদ্যুতিক যান উৎপাদনের ক্ষেত্রকে পিএনআই প্রকল্পের অধীনে রাখা হয়েছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈদ্যুতিক যানের নির্মাতা এবং ক্রেতা উভয়ই কর ছাড়ের সুবিধা পাবেন। এরফলে গত ১০ বছরে ৩৪.৫ লক্ষ বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। উত্তরপ্রদেশও এই সুযোগ সম্প্রসারিত হচ্ছে।

চৌধুরী চরণ সিংকে ভারতরত্ন দেওয়ার সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্র প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি উত্তরপ্রদেশের ভূমিপুত্র। রাষ্ট্রীয় সম্মান দেওয়ার ক্ষেত্রে অতীতের বৈষম্যমূলক নীতিগুলির উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চৌধুরী চরণ সিং-এর দ্বারা ক্ষুদ্র চাষিরা দারুণভাবে উপকৃত। 

প্রধানমন্ত্রী কৃষি ক্ষেত্রে চাষীদের চাষবাসের ক্ষেত্রে নতুন নতুন পন্থা সরকারি সাহায্যের উল্লেখ করে বলেন, জৈব চাষ এবং মোটাদানার শষ্য উৎপাদনকে সরকার বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে। উত্তরপ্রদেশের গঙ্গার তীরে প্রাকৃতিক চাষের বৃহৎ সম্ভাবনা রয়েছে বলেও তিনি জানান। 

খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ উদ্যোগপতিদের ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁদের উৎপাদিত ফসল বিশ্বের নানা প্রান্তের খাবার টেবিলে এখন জায়গা করে নিচ্ছে। বিদেশে চালের রপ্তানী বাড়ছে বলেও তিনি জানান।

উত্তরপ্রদেশের কৃষি এবং গ্রামীণ অর্থনীতির বিশেষ প্রসার ঘটছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী সমস্ত অংশীদারদের এর থেকে সর্বাধিক সুবিধা গ্রহণ করতে বলেন। ডবল ইঞ্জিন সরকারের প্রয়াসের ফলে উত্তর প্রদেশের উন্নয়নই নয়, এরফলে দেশের উন্নয়ন হচ্ছে বলে তিনি জানান। 

উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল শ্রীমতী আনন্দীবেন প্যাটেল, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী যোগী আদিত্যনাথ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শ্রী রাজনাথ সিং, উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রীরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বিশিষ্ট শিল্পপতি, ভারত এবং বিশ্বের প্রথম সারির শিল্প প্রতিনিধিরা, দূতাবাসের প্রতিনিধিরা সহ অনুষ্ঠানে প্রায় ৫ হাজার মানুষ যোগ দেন। 
    


PG/AB/NS…



(Release ID: 2007263) Visitor Counter : 63