প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

কমনওয়েলথ লিগাল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন – কমনওয়েলথ অ্যাটর্নি অ্যান্ড সলিসিটর্স জেনারেল সম্মেলনে প্রদত্ত প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ

Posted On: 03 FEB 2024 12:19PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ৩ ফেব্রুয়ারি,২০২৪

 

আইন জগতের বিশিষ্ট ও উজ্জ্বল ব্যক্তিবর্গ, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত অতিথিবৃন্দ এবং উপস্থিত মাননীয় দর্শক ও শ্রোতৃবৃন্দ। আপনাদের সকলকেই জানাই আমার অভিনন্দন।

বন্ধুগণ,

আজকের এই সম্মেলন উদ্বোধনের সুযোগ লাভ আমার কাছে এক বিশেষ আনন্দের বিষয়। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রথম সারির আইন বিশেষজ্ঞরা আজ এখানে উপস্থিত হয়েছেন জেনে আমি খুশি। ১৪০ কোটি ভারতবাসীর পক্ষ থেকে আমি বিশ্বের অতিথিবৃন্দদের স্বাগত জানাই। ‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া’র অভিজ্ঞতা আপনারা পূর্ণ মাত্রায় উপভোগ ও সঞ্চয় করুন, এই আহ্বান জানাই। 

বন্ধুগণ,

আফ্রিকা থেকেও অনেক বন্ধু এখানে এসেছেন বলে আমি জানতে পেরেছি। আফ্রিকান ইউনিয়নের সঙ্গে ভারতের এক বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। ভারতের জি-২০ সভাপতিত্বকালে আফ্রিকান ইউনিয়ন এই গোষ্ঠীর এক বিশেষ অংশ হয়ে উঠেছিল, যার ফলে আফ্রিকার জনসাধারণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে বলে আমি মনে করি। 

বন্ধুগণ,

গত কয়েক বছরে নানা অনুষ্ঠানে আমি আইন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সুযোগ পেয়েছি। মাত্র কয়েকদিন আগেই ভারতের শীর্ষ আদালতের ৭৫ বর্ষ পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানেও আমি উপস্থিত ছিলাম। আবার, গত সেপ্টেম্বর মাসে এই একই জায়গায় আমি এসেছিলাম আন্তর্জাতিক আইনজীবীদের সম্মেলনে। সুতরাং, আমাদের এই ধরনের আলাপ-আলোচনা ও আলাপচারিতার মাধ্যমে দেশের বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে একটি সম্যক ধারণা গড়ে উঠেছে। সুবিচার যাতে মানুষের কাছে দ্রুত এবং আরও ভালোভাবে আমরা পৌঁছে দিতে পারি, সেই সুযোগ এই ধরনের অনুষ্ঠানগুলি আমাদের এনে দিয়েছে। 

বন্ধুগণ,

ভারতীয় চিন্তাদর্শে বিচার তথা বিচার ব্যবস্থার এক বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। প্রাচীন ভারতের চিন্তাবিদরা বলতেন, “ন্যায় মূলং স্বরাজ্যং স্যাৎ” – এর অর্থ হল, স্বাধীন এবং স্বশাসিত শাসন ব্যবস্থার ভিত্তিই হল বিচার তথা সুবিচার। কারণ, বিচার ব্যবস্থা ছাড়া যেকোনো জাতিই অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ে। 

বন্ধুগণ,

আজকের সম্মেলনের মূল বিষয়বস্তু হল – ‘সুবিচার পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে আন্তঃসীমান্ত এলাকাগুলির বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ’। বর্তমান বিশ্ব দ্রুত পরিবর্তনশীল। সেই কারণে এই বিষয়টি যথেষ্ট মাত্রায় প্রাসঙ্গিক বলেই আমি মনে করি। অনেক সময়েই সুবিচার নিশ্চিত করার জন্য একটি দেশ অন্য দেশগুলির সঙ্গে মতবিনিময় করে থাকে। কারণ, এইভাবে যদি আমরা পরস্পরের সঙ্গে আলোচনা ও মতবিনিময়ে প্রস্তুত থাকি, তাহলেই আমরা একে অন্যের বিচার ব্যবস্থাকে আরও ভালোভাবে জানতে পারব। পরস্পরকে ভালোভাবে বোঝার মধ্যেই নিহিত রয়েছে আরও ভালোরকম নিশ্চয়তা, যা আমাদের দ্রুততার সঙ্গে আরও ভালোভাবে সুবিচারকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে। এই দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে আলাপ-আলোচনার এই ধরনের মঞ্চগুলি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। 

বন্ধুগণ,

আমাদের দেশের বিচার ব্যবস্থায় অনেকগুলি ক্ষেত্রকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের কাজ করতে হয়। যেমন, এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল এবং মেরিটাইম ট্র্যাফিক – এই দুটি ক্ষেত্রের মধ্যে বোঝাপড়ার সাহায্যেই আইন ও বিচার ব্যবস্থা ভালোভাবে গড়ে উঠতে পারে। শুধু তাই নয়, অনুসন্ধান, তদন্ত এবং সুবিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার মাত্রাকেও আমাদের আরও উন্নত করে তুলতে হবে। এমনকি, পরস্পরের কাজকর্মের সুনির্দিষ্ট সীমারেখার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকেও পারস্পরিক সহযোগিতা সম্ভব বলেই আমরা মনে করি। এইভাবে যখন আমরা মিলিতভাবে কাজ করি, তখন সুবিচার মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয় এবং তাতে বিচার ব্যবস্থা কখনই বিলম্বিত হয় না। 

বন্ধুগণ,

সাম্প্রতিককালে অপরাধের প্রকৃতি ও পরিধির দ্রুত পরিবর্তন ঘটেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চল জুড়ে গড়ে উঠেছে অপরাধীদের এক বিরাট নেটওয়ার্ক। অপরাধমূলক কাজকর্মের জন্য অর্থ যোগান এবং কাজ চালিয়ে যেতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির আশ্রয় তারা গ্রহণ করে থাকে। বিশ্বের কোনো একটি অঞ্চলের অর্থনৈতিক অপরাধ অন্যান্য অঞ্চলের অপরাধমূলক কাজকর্মে সহায়ক হয়ে উঠতে পারে। বর্তমানে ক্রিপ্টো-কারেন্সির রমরমা এবং সাইবার হুমকি নতুন নতুন সমস্যার উদ্ভব ঘটিয়েছে। সুতরাং, বিংশ শতকের দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে একুশ শতকের চ্যালেঞ্জগুলির কোনোভাবেই মোকাবিলা সম্ভব নয়। এই ধরনের চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলায় যা প্রয়োজন তা হল, চিন্তা ও কল্পনার পরিধিকে বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি, সংস্কার প্রচেষ্টার কাজে উদ্যোগ গ্রহণ। এজন্য এমন এক আধুনিক আইন ব্যবস্থা আমাদের গড়ে তুলতে হবে যাতে নিশ্চিত ও ভালোভাবে সুবিচার পৌঁছে দেওয়া যায়। এজন্য সার্বিক ব্যবস্থাকে করে তুলতে হবে নমনীয় অথচ গ্রহণযোগ্য। 

বন্ধুগণ,

সংস্কার প্রচেষ্টার কথা যখন আমরা বলি, তখন আমাদের বিচার ব্যবস্থাকে নাগরিক-কেন্দ্রিক বা নাগরিকমুখী করে তোলার ওপর আমরা বিশেষ জোর দিই। সহজতর বিচার ব্যবস্থা হল সুবিচারের এক স্তম্ভবিশেষ। এই ক্ষেত্রটিতে ভারত এমন অনেককিছু বিষয়ে শিক্ষালাভ করেছে, যা অন্যান্যদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া যেতে পারে। ২০১৪ সালে ভারতবাসী আমাকে আশীর্বাদ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের জন্য। তার আগে আমি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার পালন করে এসেছিলাম। সেই সময় সান্ধ্যকালীন আদালত গঠনের সিদ্ধান্ত আমরা গ্রহণ করেছিলাম। ফলে, সারাদিনের কাজকর্মের পর মানুষ শুনানির জন্য আদালতে হাজির হতে পারতেন। একইসঙ্গে, সুবিচারের পাশাপাশি অর্থ ও সময়ের সাশ্রয় ঘটিয়েছিল সেই ব্যবস্থা। হাজার হাজার মানুষ তাতে উপকৃত হয়েছিলেন। 

বন্ধুগণ,

বিচার ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ভারত একটি অভিনব ধারণার জন্ম দিয়েছে এবং তা হল লোক-আদালত। এর অর্থ হল, সাধারণ মানুষের আদালত। গণ-কৃত্যক পরিষেবা সম্পর্কিত ছোটখাটো অভিযোগগুলির নিষ্পত্তির লক্ষ্যেই এই আদালত গঠন করা হয়। লোক-আদালতগুলির মাধ্যমে হাজার হাজার অভিযোগের ফয়সালা হয়েছে, নিশ্চিত হয়েছে সুবিচার। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে এই ধরনের লোক-আদালত গঠনের প্রক্রিয়া একটি মূল্যবান সংযোজন হয়ে উঠতে পারে বলে আমি মনে করি। 

বন্ধুগণ,

সুবিচার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আইনগত জ্ঞান ও শিক্ষা হল এক বিশেষ হাতিয়ার। কারণ, শিক্ষা হল এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে মানুষের আবেগের সঙ্গে যুক্ত হয় পেশাগত দক্ষতা ও যোগ্যতা, যা তরুণ মনকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করে। এখন বিশ্বজুড়ে একটি আলোচনা খুবই গুরুত্ব লাভ করেছে এবং তা হল আইন ও বিচার ব্যবস্থার বিভিন্ন ক্ষেত্রে কিভাবে মহিলাদের আরও ভালোভাবে আকৃষ্ট করা যায়। এই লক্ষ্য পূরণে প্রথম পদক্ষেপই হল শিক্ষাজগতের প্রতিটি ক্ষেত্রকে অন্তর্ভুক্তিমূলক করে তোলা। আইন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে মহিলা শিক্ষার্থীরা যত বেশি সংখ্যায় ভর্তি হবেন, আইনকে একটি পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রেও তাঁরা তত বেশি আগ্রহী হয়ে উঠবেন। ফলে, মহিলা আইনজীবীদের সংখ্যাও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে। আজকের এই সম্মেলনে যাঁরা অংশগ্রহণ করছেন, তাঁরা এই বিষয়টি সম্পর্কে আলোচনা ও মতবিনিময় করে দেখতে পারেন। 

বন্ধুগণ,

বর্তমান বিশ্বের প্রয়োজন তরুণ আইনজীবীদের যাঁরা বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। আবার, সতত পরিবর্তনশীল বিশ্বজগতে প্রযুক্তিকে সঙ্গে নিয়েই আইনগত শিক্ষাকে প্রসারিত করা দরকার। অপরাধ জগতের সর্বশেষ হালহকিকৎ, তদন্ত ও অনুসন্ধান এবং সাক্ষ্য নিঃসন্দেহে আইনজীবীদের কাজে অনেকটাই সহায়ক হয়ে উঠবে। 

বন্ধুগণ,

যে সমস্ত তরুণ পেশাগতভাবে আইনের সঙ্গে যুক্ত, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানার ও বোঝার জন্য তাঁদের প্রস্তুত থাকতে হবে। আমাদের দেশে অনেক বড় বড় আইন বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছে। এই ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির কর্তৃপক্ষরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সফর বিনিময় কর্মসূচিকে আরও বেশি মাত্রায় উৎসাহিত করতে পারেন। যেমন, এই ভারতেই সম্ভবত রয়েছে একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে ফরেন্সিক বিজ্ঞানের ওপর পঠনপাঠনের ব্যবস্থা রয়েছে। অন্যান্য দেশের ছাত্রছাত্রী, আইনজীবী, এমনকি বিচারপতিরাও এখান থেকে সংক্ষিপ্ত পাঠ্যক্রমের সুযোগ নিতে পারেন। আবার, সুবিচার সম্ভব করে তোলার জন্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানও নানাভাবে কাজ করে চলেছে। উন্নয়নশীল দেশগুলি তাতে আরও বেশি মাত্রায় প্রতিনিধিত্বের সুযোগ গ্রহণ করতে পারে। এই ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ইন্টার্ন হিসেবে আমাদের ছাত্রছাত্রীরা নানা ধরনের সাহায্য ও সহায়তা পেতে পারেন। আন্তর্জাতিক শ্রেষ্ঠ আইন ও বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে এর মাধ্যমে তাঁদের সম্যক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা আরও সমৃদ্ধ হতে পারে। 

বন্ধুগণ,

ঔপনিবেশিক শাসনকাল থেকেই ভারতের আইন ব্যবস্থার এক বিশেষ ঐতিহ্য বা পরম্পরা রয়েছে। কিন্তু, গত কয়েক বছরে আমরা তাতে বেশ কিছু সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। যেমন, ঔপনিবেশিক সময়কাল থেকে চলে আসা অথচ বর্তমানে অপ্রচলিত হাজার হাজার আইনকে আমরা বাতিল করেছি। কারণ, এগুলির মধ্যে ছিল এমন কিছু কিছু আইন, যা অযথা সাধারণ মানুষের হয়রানি বাড়িয়ে তুলত। আমাদের এই সংস্কার প্রচেষ্টা জীবনযাত্রাকে আরও সহজ করে তোলার পাশাপাশি, কাজকর্মকেও সহজ করে তোলার কাজে সফল হয়েছে। বর্তমান বাস্তবতাকে স্বীকার করে নিয়ে ভারত চেষ্টা করেছে তার আইন ব্যবস্থাকে অত্যাধুনিক করে গড়ে তোলার। তিনটি মাত্র নতুন আইনগত পদক্ষেপের সাহায্যে আমরা শতাব্দী প্রাচীন বহু ঔপনিবেশিক অপরাধ আইনকে বাতিল বলে ঘোষণা করেছি। কারণ, অতীতে মানুষকে শাস্তি দেওয়ার ওপরই যেন আইন ব্যবস্থার বিশেষ ঝোঁক ছিল। কিন্তু, আমাদের এই উদ্যোগ গ্রহণের ফলে জোর দেওয়া হচ্ছে সুবিচার নিশ্চিত করে তোলার ওপর। তাই, দেশের বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে নাগরিকদের মনে এখন কোনো ভয় বা ভীতি কাজ করে না। কারণ, তাঁরা জানেন যে সুবিচারের লক্ষ্যেই চালু হয়েছে বর্তমান আইন ও বিচার ব্যবস্থা।

বন্ধুগণ,

প্রযুক্তিরও এক্ষেত্রে এক বিশেষ ইতিবাচক ভূমিকা রয়েছে, বিশেষত বিচার ব্যবস্থায় প্রযুক্তির ভূমিকা বর্তমানে অনস্বীকার্য। গত কয়েক বছরে ভারত বিভিন্ন স্থানের মানচিত্র তৈরির কাজে ড্রোন প্রযুক্তির আশ্রয় গ্রহণ করেছে। আবার, এই ব্যবস্থার আওতায় গ্রামীণ জনসাধারণকে দেওয়া হয়েছে স্বচ্ছ ও সুস্পষ্ট সম্পত্তির কাগজপত্র। ফলে, আইন ও বিচারগত বিবাদ-বিতর্কের মাত্রা যেমন হ্রাস পেয়েছে, অযথা মামলার হয়রানির হাত থেকেও মানুষ মুক্তি পেয়েছেন। ডিজিটাল ব্যবস্থায় দেশের অনেক আদালতেই বর্তমানে অনলাইনে বিচার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে, দূরদুরান্তের মানুষ সশরীরে আদালতে হাজিরা না দিয়েও বিচার প্রক্রিয়ার সুযোগ গ্রহণ করতে পারছেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে আমাদের এই শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ লাভ করে আমরা যথেষ্ট আনন্দিত। আবার, অন্যান্য দেশের এই ধরনের উদ্যোগ সম্পর্কে জানার ও বোঝার জন্যও সমান আগ্রহ রয়েছে আমাদের। 

বন্ধুগণ,

সুবিচার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে যে সমস্ত চ্যালেঞ্জ বা সমস্যা রয়েছে, তা দূর করা সম্ভব। কিন্তু, মিলিত মূল্যবোধকে সঙ্গে নিয়ে এই কাজে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। সুবিচারের প্রতি আমাদের হতে হবে আবেগবদ্ধ। আমাদের এই শক্তি ও মানসিকতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে আজকের এই সম্মেলন বিশেষ সাহায্য করবে বলেই আমি মনে করি। আসুন আমরা সকলে মিলে এমন এক বিশ্বজগৎ গড়ে তুলি যেখানে প্রত্যেকেই সঠিক সময়ে সুবিচার আশা করতে পারেন এবং এই সুযোগ থেকে কেউ যেন বঞ্চিত না থাকেন। 

ধন্যবাদ।


PG/SKD/DM/


(Release ID: 2002421) Visitor Counter : 120