প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

শ্রী রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে ১১ দিনের বিশেষ আচার অনুষ্ঠান শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী

আজ এর আনুষ্ঠানিক সূচনা নাসিক ধামের পঞ্চবটি থেকে

“আমি আবেগে আপ্লুত! জীবনে এই প্রথমবার আমার এমন অনুভূতি হচ্ছে”

“ঈশ্বর আমাকে ভারতের সব মানুষের প্রতিনিধিত্ব করার ভার দিয়েছেন। এ এক গুরুদায়িত্ব”

“প্রাণ প্রতিষ্ঠার মুহূর্তটি আমাদের সবার কাছে এক স্মরণীয় অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে। রাম মন্দিরের জন্য যাঁরা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, সেইসব অগণিত মানুষের অনুপ্রেরণা থাকবে আমার সঙ্গে”

“যেসব মানুষ আমার কাছে ঈশ্বরের সমান তাঁরা যখন তাঁদের অনুভূতি প্রকাশ করে আশীর্বাদ দেন, তখন তা আমার ভিতরে নতুন শক্তির সঞ্চার করে”

Posted On: 12 JAN 2024 10:31AM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ১২ জানুয়ারি, ২০২৪

 

আগামী ২২ জানুয়ারি, অযোধ্যা ধামের রাম মন্দিরে শ্রী রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ১১ দিনের বিশেষ আচার অনুষ্ঠান শুরু করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “এ এক গুরু দায়িত্ব। আমাদের শাস্ত্রে বলা হয়েছে, যজ্ঞ ও ঈশ্বর আরাধনার জন্য নিজেদের ভিতরের দৈব চেতনাকে জাগ্রত করতে হয়। এজন্য অনুষ্ঠানের আগে উপবাস ও কৃচ্ছসাধন প্রয়োজন। আধ্যাত্মিক যাত্রার কিছু ধর্মাত্মা ও মহাপুরুষের কাছ থেকে যে নির্দেশিকা আমি পেয়েছি, “যম - নিয়ম” পালনের যে পরামর্শ তাঁরা দিয়েছেন, তার ভিত্তিতে আজ থেকে আমি ১১ দিনের বিশেষ আচার অনুষ্ঠান শুরু করছি।” 

রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে সমগ্র জাতি কিভাবে রাম ভক্তি সাগরে নিমজ্জিত হয়েছে, এক আবেগঘন বার্তায় প্রধানমন্ত্রী তার উল্লেখ করেছেন। এই মুহূর্তটিকে পরমেশ্বরের আশীর্বাদ আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আমি আবেগে আপ্লুত! জীবনে এই প্রথমবার আমার এমন অনুভূতি হচ্ছে। আমার ভিতরে এক অন্যরকম ভক্তি রসের অস্তিত্ব অনুভব করছি। আমার অন্তর্সত্তার এই আবেগময় যাত্রা প্রকাশ করার নয়, কেবল অনুভবের। আমি চাইলেও এর গভীরতা, এর ব্যাপ্তি, এর তীব্রতা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। আপনারা নিশ্চয়ই আমার অবস্থাটা বুঝতে পারছেন।” 

এই সুযোগ পাওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “একের পর এক প্রজন্ম, বছরের পর বছর ধরে যে সংকল্প বুকের ভিতরে লালন করেছে, আজ সেই স্বপ্ন পূরণের সময়ে উপস্থিত থাকার সৌভাগ্য আমার হচ্ছে। ঈশ্বর আমাকে ভারতের সব মানুষের প্রতিনিধিত্ব করার ভার দিয়েছেন। এ এক গুরুদায়িত্ব।”

এই উদ্যোগের জন্য সাধারণ মানুষ, সাধু সন্ন্যাসী এবং ঈশ্বরের আশীর্বাদ প্রার্থনা করে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভগবান রাম যেখানে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছিলেন, সেই নাসিক ধামের পঞ্চবটি থেকে তিনি এই আচার অনুষ্ঠানের সূচনা করছেন। এই একই দিনে স্বামী বিবেকানন্দ ও মাতা জিজাবাঈ-এর জন্মজয়ন্তী হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী জাতির চেতনার এই দুই আলোকদীপকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী তাঁর জন্মদায়িনী মাকেও স্মরণ করেছেন। তিনিও সর্বদাই সীতা-রামের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ।

ভগবান রামের ভক্তদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আমি শারীরিকভাবে ওই পবিত্র মুহূর্তের সাক্ষী থাকবো, কিন্তু আমার মনের মধ্যে, আমার প্রতিটি হৃদস্পন্দনের মধ্যে ১৪০ কোটি ভারতীয় আমার সঙ্গে থাকবেন। আপনিও আমার সঙ্গে থাকবেন....প্রতিটি রামভক্ত আমার সঙ্গে থাকবেন। ওই মুহূর্তটি আমাদের সবার জীবনে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাম মন্দিরের জন্য যাঁরা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, সেইসব অগণিত মানুষের অনুপ্রেরণা থাকবে আমার সঙ্গে।”

সমগ্র জাতিকে তাঁর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে, মানুষের আশীর্বাদ চেয়ে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে নিজেদের মনোভাব তাঁর সঙ্গে ভাগ করে নিতে বলেছেন। তিনি বলেছেন, “ঈশ্বর যে ‘নিরাকার’, আমরা সবাই সেই সত্য জানি। কিন্তু শারীরিক আকারেও ঈশ্বর আমাদের আধ্যাত্মিক যাত্রায় শক্তির সঞ্চার করেন। মানুষের মধ্যেই যে ঈশ্বর রয়েছেন, তা আমি ব্যক্তিগতভাবে দেখেছি, অনুভব করেছি। যেসব মানুষ আমার কাছে ঈশ্বরের সমান, তাঁরা যখন তাঁদের অনুভূতি প্রকাশ করে আশীর্বাদ দেন, তখন তা আমার ভিতরে নতুন শক্তির সঞ্চার করে। আজ আমি আপনাদের সবার আশীর্বাদ প্রার্থনা করছি।” 

PG/SD/SKD



(Release ID: 1995615) Visitor Counter : 113