প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

প্রধানমন্ত্রী মধ্যপ্রদেশের চিত্রকুটে প্রয়াত শ্রী অরবিন্দ ভাই মফতলালের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে ভাষণ দিয়েছেন

প্রয়াত শ্রী অরবিন্দ ভাই মফতলালের সম্মানে স্মারক ডাক টিকিটের প্রকাশ করা হয়

Posted On: 27 OCT 2023 4:10PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ২৭ অক্টোবর, ২০২৩

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী মধ্যপ্রদেশের চিত্রকুটে প্রয়াত শ্রী অরবিন্দ ভাই মফতলালের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে ভাষণ দিয়েছেন। ১৯৬৮ সালে শ্রী সদগুরু সেবা সংঘ ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠা করেন পরমপূজ্য রণছোড়দাসজি মহারাজ। শ্রী অরবিন্দ ভাই মফতলাল তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। স্বাধীনোত্তর ভারতে অরবিন্দ ভাই মফতলাল এক প্রথম সারির উদ্যোগপতি ছিলেন। তিনি দেশের শ্রীবৃদ্ধিতে এক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। 

সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাধু-সন্ন্যাসীরা চিত্রকূটকে ভগবান রামচন্দ্র, সীতা দেবী এবং ভগবান লক্ষ্মণের বাসভূমি হিসেবে এক স্বর্গীয় স্থান বলে মনে করেন। প্রধানমন্ত্রী শ্রী রঘুবীর মন্দির এবং শ্রী রাম জানকী মন্দিরে তাঁর পূজো দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন। হেলিকপ্টারে করে চিত্রকূট আসার পথে কামাথগিরি পর্বত এবং পরমপূজ্য রণছোড়দাসজি মহারাজের মূর্তিতে পুস্পার্ঘ্য নিবেদনের কথা উল্লেখ করেন। শ্রী রাম এবং জানকীর দর্শনে অপার ভক্তির উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শ্রী রাম সংস্কৃত মহাবিদ্যালয়ের ছাত্ররা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছেন। শ্রী সদগুরু সেবা ট্রাস্টকে শ্রী অরবিন্দ ভাই মফতলালের এই জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনের জন্য সমস্ত বঞ্চিত, দুস্থ, আদিবাসী এবং দরিদ্রদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী আস্থা প্রকাশ করে বলেন, নতুন চালু হওয়া জানকী কুন্ড চিকিৎসালয় লক্ষ লক্ষ দরিদ্রদের সেবায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে। শ্রী অরবিন্দ ভাই মফতলালের প্রতি সম্মান জানাতে একটি স্মারক ডাক টিকিটেরও আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন তিনি। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই পরিবার শ্রী অরবিন্দ ভাই মফতলালের কাজকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে এবং চিত্রকূটকে এই জন্ম শতবার্ষকী উদযাপন ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নেওয়ার প্রশংসা করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চিত্রকূট সাধু-সন্তদের কাছে অপার মহিমা মন্ডিত। তিনি পরমপূজ্য রণছোড়দাসজি মহারাজের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, তাঁর ব্যক্তিগত জীবনকে মহারাজ নানাভাবে প্রভাবিত করেছে। ৭ দশক আগে সম্পূর্ণ জঙ্গলে ঢাকা এই বনাঞ্চলে সামাজিক সেবা কর্মের এক কীর্তি রচনা করে গেছিলেন তিনি। মানব সেবায় পরমপূজ্য রণছোড়দাসজি মহারাজ অনেক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগে তাঁর কৃতকর্ম আজও স্মরণীয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা আমাদের দেশের এক মহত্ব যে এইসব মহান মানুষরা এখানে জন্মলাভ করেছেন এবং তাঁর আত্মপরতার ঊর্দ্ধে সর্বজনীন হয়ে উঠেছেন। 

শ্রী মোদী শ্রী অরবিন্দ ভাই মফতলালের জীবন সাধু-সন্তদের সংসর্গে এক মহান কীর্তিগাথা রচনা করেছিলেন এবং পরমপূজ্য রণছোড়দাসজি মহারাজের প্রদর্শিত পথে জনসেবার জন্য তিনি নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কল্যাণকর্মে নিজেকে যুক্ত করা সবথেকে বড় সম্পদ। শ্রী সদগুরু সেবা ট্রাস্ট মফতলাল ফাউন্ডেশন, রঘুবীর মন্দির ট্রাস্ট, শ্রী রামদাস হনুমানজি ট্রাস্ট, জে জে গ্রুপ অফ হাসপাতাল প্রভৃতি সেবাকর্মের এক উজ্জ্বল নমুনা। তিনি বলেন, রঘুবীর মন্দির লক্ষ লক্ষ মানুষকে খাদ্য যোগায় এবং লক্ষ লক্ষ সাধু সন্তকে মাসিক রেশন প্রদান করে। হাজার হাজার শিশুর শিক্ষাদানে গুরুকূলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। জানকী চিকিৎসালে লক্ষ লক্ষ রুগীর চিকিৎসা হয়। শ্রী মোদী বলেন, এটা ভারতের এক অপার মহিমা যে মানুষকে নিরলস কাজ করে যাওয়ার শক্তি যোগায় এই দেশ। গ্রামীণ শিল্পক্ষেত্রে মহিলাদের প্রশিক্ষণের দিকটির ওপরও প্রধানমন্ত্রী আলোপাত করেন।

প্রধানমন্ত্রী আনন্দ প্রকাশ করে বলেন যে সদগুরু নেত্র চিকিৎসালয় দেশে এবং বিদেশে একটি প্রথম সারির চক্ষু হাসপাতাল এবং ১২ শয্যার হাসপাতাল থেকে উন্নত হয়ে তা বর্তমানে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ রোগীর চিকিৎসা করে। তারা বাড়ি বাড়ি গিয়েও ভ্রাম্যমান চিকিৎসার মাধ্যমে এবং শিবির করেও চোখের চিকিৎসা করে থাকে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেবকর্মের জন্য সম্পদের প্রয়োজন কিন্তু তার থেকেও বড় কথা হল আত্মত্যাগ এবং নিষ্ঠা, সর্বোপরি সেবার মনোভাব। ভিলোদা এবং দাহুদে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার মানুষের সেবাকর্মে শ্রী অরবিন্দের কাজেরও প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। শ্রী মোদী বলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে তার সেই কাজকে প্রত্যক্ষ করেছেন ফলে তাঁর লক্ষ ও আদর্শের সঙ্গে এক ভাবাবেগগত সংযোগ গড়ে উঠেছে। 

প্রধানমন্ত্রী চিত্রকূটকে নানাজি দেশমুখের কর্মক্ষেত্র বলে উল্লেখ করে বলেন, আদিবাসী সমাজের সেবায় তাঁর কৃতকর্ম সকলের কাছে এক অনুপ্রেরণার অঙ্গ হয়ে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আদিবাসী সমাজের কল্যাণকর্মে এক সর্বাত্মক প্রয়াস নেওয়া হয়েছে এবং ভগবান বিরসা মুণ্ডার জন্মবার্ষিকীকে জন জাতীয় গৌরব দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয় এই আদর্শের কথা মাথায় রেখে। আদিবাসী সংগ্রহালয়ের উন্নয়নের ওপর অগ্রাধিকার দিয়ে তিনি বলেন, আদিবাসী সমাজের ঐতিহ্য এবং অবদানকে তুলে ধরতে এর গুরুত্ব অপরিসীম। একলব্য আবাসিক বিদ্যালয়গুলি আদিবাসী শিশুদের শিক্ষার প্রসারে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং বন সম্পদ আইনের মতো ইতিবাচক  সিদ্ধান্তের ফলে তা আদিবাসীদের জীবনে এক সদর্থক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। পরিশেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভগবান রামের আশীর্বাদ যিনি আদিবাসী সমাজকে তাঁর জীবনে গ্রহণ করেছিলেন সেই পথ আমাদের কাজের প্রেরণা স্বরূপ। উন্নত এবং সুশৃঙ্খল ভারতবর্ষ গড়ে তোলার লক্ষ্য অর্জনে এই আশীর্বাদ আমাদের পাথেয় হয়ে থাকবে।

মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল শ্রী মঙ্গুভাই প্যাটেল, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী শিবরাজ সিং চৌহান, সদগুরু সেবা সংঘ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান শ্রী বিশাদ পি মফতলাল এবং শ্রী রঘুবীর মন্দির ট্রাস্টের অছি শ্রী রূপল মফতলাল অন্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। 

    


PG/AB/NS


(Release ID: 1972296) Visitor Counter : 106